ইদ্রিছ মিঞা

‘চতুর্থ শ্রেণীর পর একটা বৃত্তি পরীক্ষা ছিল, এবং আমরা যারা চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ছিলাম, নির্দিষ্ট সময়ে সবাই বৃত্তি পরীক্ষা দিতে যাবো নিকটবর্তী ঝিনেদা শহরে, সে-ভাবেই প্রস্তুত হচ্ছিলাম। নতুন ওস্তাদজীর থাকার ব্যবস্থা হল আমাদের বহির্বাটিতে, অর্থাৎ খানকায়। দাদাজান আমার পড়াশুনার ব্যাপারে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েছেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেল এই অভিনব ব্যবস্থায়, কারণ শমশের খান অবিলম্বে আমাকে নিয়ে পড়লেন। গণিতে তাঁর দক্ষতা ছিল, সেটা প্রমাণের জন্য তিনি আমাকেই বেছে নিলেন। পরীক্ষায় আমি তাঁর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। তাঁর আশা ছিল, গণিতে আমি একশ’র মধ্যে একশ’ই পাব। দেখা গেল, দুটি প্রশ্নে ভুল করেছি। এই ব্যর্থতায় আমি নিজে তেমন বিচলিত হইনি, কিন্তু আমার ওস্তাদজী কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। সেই দৃশ্য আমাকে বিচলিত করেছিল। ঝিনেদায় আমার চাচার বাসায় আমরা সবাই উঠেছিলাম, আমার চাচা, আমাকে নয়, আমার ওস্তাদজীকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন, আমি সে দৃশ্য ভুলিনি।’

উপরের এই কথাগুলো বলেছেন এদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী। ছেলেবেলাতেই তাঁর ওস্তাদজী তাঁর প্রখর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়েছিলেন। আর তাই তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি অংকে একশতে একশই পাবেন। একশতে একশ না পাওয়ায় ওস্তাদজী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তবে ছেলেবেলায় ওস্তাদজীর প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও পরবর্তীতে তিনি একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ হিসেবে দেশবাসীর অনেক প্রত্যাশা পূরণ করেছিলেন। তিনি শুধু এদেশের অন্যতম শিক্ষাবিদই নন তিনি একজন কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, সম্পাদক।

উপরের এই কথাগুলো বলেছেন এদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী। ছেলেবেলাতেই তাঁর ওস্তাদজী তাঁর প্রখর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়েছিলেন। আর তাই তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি অংকে একশতে একশই পাবেন। একশতে একশ না পাওয়ায় ওস্তাদজী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তবে ছেলেবেলায় ওস্তাদজীর প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও পরবর্তীতে তিনি একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ হিসেবে দেশবাসীর অনেক প্রত্যাশা পূরণ করেছিলেন। তিনি শুধু এদেশের অন্যতম শিক্ষাবিদই নন তিনি একজন কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, সম্পাদক।