GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

বশীর আল্‌হেলাল

অবদানের ক্ষেত্র: সাহিত্য
বশীর আল্‌হেলাল

বশীর আল্‌হেলাল

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

তখন বশীর আল্‌হেলালের বয়স তিন কি চার বছর। হাতেখড়ি হবে এই ছোট্ট ছেলেটির। তাঁর মা তাঁকে পড়ালেন নতুন জামা, আর চন্দন বেটে কপাল জুড়ে প্রলেপ দিয়ে সাজালেন। মূল বাড়ি থেকে একটু দূরে বৈঠকখানায় বসে আছেন বাবা। এই ঘরেই তাঁর ভাই-বোনসহ অনেক আত্মীয়স্বজন অধীর হয়ে অপেক্ষা করছে। নতুন জামা আর কপাল জুড়ে চন্দনের প্রলেপ দিয়ে সাজিয়ে ছোট্ট ছেলেটিকে মা নিয়ে এসে বাবার কোলে বসিয়ে দিলেন। বাবা তাঁর নিজ হাতে তৈরী একটি কলম ছেলেটির ছোট্ট কোমল হাতে ধরিয়ে দিলেন। সেই ছোট্ট হাতটি বাবা তাঁর নিজ হাতে শক্ত করে ধরে কলমটি চন্দনের মধ্যে চুবিয়ে কাঠের তক্তিতে লিখলেন, ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’। শুরু হল বশীর আল্‌হেলালের লেখাপড়া। তখন কি তাঁর মা-বাবা জানতেন এই ছেলেটি একদিন হবেন বাংলাদেশের শক্তিমান কথা সাহিত্যিক। আর তাঁর হাতেই একদিন রচিত হবে অনেক গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ গবেষণার বইসহ আরও অনেক বই।

বশীর আল্‌হেলাল, বাংলাদেশের এই শক্তিমান কথা সাহিত্যিকের জন্ম ১৯৩৬ সালে ৬ জানুয়ারী। মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামের মীর পাড়ায়। তালিবপুর মুর্শিদাবাদের একটি বৃহৎ ও বিখ্যাত গ্রাম। তালিবপুর গ্রামটি কান্দি মহকুমার ভবপুর থানার অন্তর্গত ও সালার রেলষ্টেশনের নিকটে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এ গ্রাম। বশীর আল্‌হেলালের জন্মগ্রাম তালিবপুরে জন্মেছিলেন প্রখ্যাত পল্লীগীতি শিল্পী আব্দুল আলীম ও ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদ আবুল বরকতসহ শত কবি-সাহিত্যিক, সংগ্রামী ও বিপ্লবী।

বশীর আল্‌হেলালের পূর্ব-পুরুষরা ১২ প্রজন্ম পূর্বে ইরাকের বাগদাদ থেকে ভারতে এসেছিলেন। ভারত উপমহাদেশ তখন থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ ছিল। মূলত ধর্ম প্রচারের জন্য তাঁর পূর্ব-পুরুষগণ এখানে এসেছিলেন। এখানে এসে তাঁরা মুর্শিদাবাদ এলাকায় বসবাস শুরু করেন।

তাঁর বাবার নাম সৈয়দ মুহাম্মদ আলী আসমার। তিনি উত্তর ভারতের দেওবন্দ, বেনারস, রামপুর ইত্যাদি স্থানে শিক্ষা লাভ করেন এবং ওই সমস্ত অঞ্চলে শিক্ষকতা করেন। তিনি আরবী-ফার্সী-উর্দু ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন। আরবী-ফার্সী-উর্দু ভাষায় অসাধারণ পাণ্ডিত্যের জন্য সমগ্র ভারতে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া তিনি মৌলবী ও ইউনানী পশু চিকিৎসক ছিলেন।

তাঁর বাবা ফার্সী ও আরবী ভাষায় লেখালেখি করতেন। তিনি মূলত ফার্সী ভাষার একজন শক্তিমান সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি উর্দু ভাষায়ও লিখতেন। তবে তিনি বাংলা সাহিত্য কম জানতেন। বাংলায় ভাল কথা বলতে পারলেও লিখতে পারতেন না। বশীর আল্‌হেলালের মায়ের নাম আ-মাতার রোকেয়া (রোকেয়া খাতুন)। তিনি বাংলা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাননি। তিনি কেবল প্রথাগত ভাষা জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।

বশীর আল্‌হেলালের পিতামহ ছিলেন আবুল মুজফফর। তিনি দীর্ঘদিন দার্জিলিঙের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনিও ছিলেন বিশিষ্ট ফার্সী কবি। তাঁর কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছিলো।

সৈয়দ মুহাম্মদ আলী আসমার ও আ-মাতার রোকেয়া পরিবারে ১২টি সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু অধিকাংশই কৈশোর অতিক্রম করার পূর্বেই মারা যান। মেয়ে সন্তানের মধ্যে কেবল ওয়াকেফাতুল আহাদ বিয়ে হওয়ার পর মারা যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের পরিবারে বেঁচেছিলেন ৩টি ছেলে সন্তান। নেয়ামাল ওয়াকিল (জন্ম ১৯২৬), নেয়ামাল বাসির (জন্ম ১৯৩২) ও নেয়ামাল বশীর (জন্ম ১৯৩৬)। নেয়ামাল ওয়াকিল ছিলেন কথাশিল্পী ও নাট্যকার। তিনি ১৯৬৫ সালে কলকাতায় স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। নেয়ামাল বাসির পাকিস্তান সরকারের পার্লামেন্টের সেক্রেটারী ছিলেন। স্বাধীনতার পরে তিনি বাংলাদেশ পার্লামেন্টের সেক্রেটারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট অনুবাদক, ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক। নেয়ামাল বাসির ও নেয়ামাল বশীর দু’ভাইয়ের নাম প্রায় একই রকম এবং তাঁরা দুজনই লেখালেখি করতেন, ফলে তাঁদের লেখা যখন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হতো তখন পাঠকরা দ্বিধায় পড়ে যেতেন আসলে লেখাটি কার। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য নেয়ামাল বশীর পরবর্তীতে তাঁর নাম পরিবর্তন করে বশীর আল্‌হেলাল রাখেন।

বাবার কাছে পড়াশুনায় হাতেখড়ি হওয়ার পর বশীর আল্‌হেলাল ভর্তি হন তালিবপুর পাঠশালায়। তিনি চতুর্থ শ্রেণীতে ২ টাকা বৃত্তি পান। এরপর ভর্তি হন তালিবপুর গ্রামের এইচ.ই. হাইস্কুলের প্রাইমারী সেকশনে। সেখানে তিনি ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।

১৯৪৭ সালে বশীর আল্‌হেলালের দু’ভাই পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। কিছু দিন পর তিনিও পূর্ব বাংলার রাজশাহীতে মেজ ভাইয়ের কাছে চলে আসেন। ৭ম শ্রেণীতে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। রাজশাহীতে এক বছর পড়াশুনা করার পর সেতাবগঞ্জ হাই স্কুলে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই মেট্রিক পাশ করেন।

মেট্রিক পাশ করার পর ১৯৫২ সালে তিনি আবার জন্মভূমি পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যান। ওই সময় পাকিস্তানে যাওয়া আসার জন্য ভিসা লাগতো না। তখন তাঁর মামাদের ব্যবসা ছিল কলকাতায়। তিনি কলকাতার সরকারি কলেজে ভর্তি হলেন এবং মামাদের বাসায় থাকা শুরু করলেন। ১৯৫৪ সালে এই কলেজ থেকে ২য় বিভাগে আই.এ. পাশ করেন। এরপর তিনি জলপাইগুড়ির এ.সি. কলেজে বাংলায় অনার্সে ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে ১৯৫৭ সালে ২য় বিভাগে অনার্স পাশ করার পর তিনি কলকাতায় চলে যান। সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় এম.এ. ক্লাসে ভর্তি হন। ওই সময় তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং বামপন্থী রাজনীতি শুরু করেন।

বামপন্থী ছাত্র রাজনীতিতে তিনি অনেকদিন যুক্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি কলকাতা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন এবং লাল কার্ড পান। তখনকার দিনে লালকার্ড পাওয়া খুব সহজ ছিলো না। ১৯৫৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২য় বিভাগে বাংলায় এম.এ. পাশ করেন। ততদিনে তিনি লেখক হিসেবেও সুনাম অর্জন করেছেন। ছাত্র রাজনীতি ও কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতির পাশাপাশি তিনি প্রচুর পড়তেন এবং লেখালেখি করতেন। ওই সময় কলকাতা থেকে তাঁর প্রথম গল্পের বই বের হয়।

এম.এ. পাশ করার পর বশীর আল্‌হেলাল কলকাতায় হজ কমিটিতে চাকুরী নেন। তখন মাওলানা আযাদের ছেলে আকরাম খান কলকাতা থেকে একটি পত্রিকা বের করতেন। পত্রিকাটি সপ্তাহে ৩ দিন বের হতো। এটা মুসলমানদের পত্রিকা ছিল। হজ কমিটিতে চাকুরীর পাশাপাশি তিনি এই পত্রিকায়ও চাকুরী করতেন। তিনি সাংবাদিকতা ও চাকুরীর পাশাপাশি লেখালেখি অব্যাহত রাখেন। তাঁর বাবা ফার্সী, উর্দু ও আরবী ভাষায় লেখালেখি করলেও বশীর আল্‌হেলাল ছোট বেলা থেকে মাতৃভাষা বাংলায় লিখতেন।

১৯৬৮ সালের প্রথম দিকে তিনি তাঁর মাকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তখন পরিস্থিতি ভাল ছিল না বলে ভারত থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। তাঁর মেঝ ভাই তখন ঢাকায় পাকিস্তান সরকারের চাকরি করতেন। ঢাকায় আসার পর তাঁর চোখের সামনে একে একে ঘটে গেল ১৯৬৯-এর গণঅভূত্থান, ১৯৭০’র নির্বাচন ও ১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধ। আর এসব আন্দোলন-সংগ্রামে তিনিও সামিল হয়েছিলেন।

১৯৬৯ সালে তিনি ফিরোজা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ফিরোজা বেগম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁদের পরিবারও দেশবিভাগের পর ভারত থেকে পূর্ববাংলায় চলে আসেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। পড়াশুনা শেষ করে তাঁরা এখন চাকরী করছেন।

মাকে নিয়ে ঢাকায় আসার পর বশীর আল্‌হেলাল বিভিন্ন বইয়ের সমালোচনা লেখা শুরু করেন। যা ওই সময় খুব কম লেখা হতো। আর শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী মহল ছাড়া এসব বিষয় তেমন কেউ পড়তেন না। বছর খানেকের মধ্যে তিনি শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী মহলে বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন। ১৯৬৮ সালের শেষের দিকে বাংলা একাডেমীতে চাকরীর জন্য আবেদন করেন। ১৯৬৯ সালে সহ-অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হলেন বাংলা একাডেমীতে। সর্বশেষে তিনি বাংলা একাডেমীর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর তিনি বাংলা একাডেমীতে চাকরী করেছেন।

বশীর আল্‌হেলাল মূলত কথাসাহিত্যিক হিসেবে সুনাম অর্জন করলেও গল্প, উপন্যাস, কবিতা, অনুবাদ ও প্রবন্ধ-গবেষণায়ও তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তাঁর বড় ভাইয়ের কাছ থেকেই মূলত লেখালেখির ব্যাপারে উৎসাহ পেয়েছিলেন। ছেলেবেলায় তিনি গল্পের বই পড়তে খুব ভালবাসতেন। সেইসময় গল্পের বই পড়ার পাশাপাশি নিজেও গল্প লিখতেন এবং তা বড় ভাইকে দেখাতেন। তাঁর ভাই বলতেন, খুব ভাল হয়েছে। ছেলেবেলায় যে গল্পগুলো লিখতেন সেগুলোর বেশীর ভাগই ছিল ইসলামী। নিজে নিজে গল্প বানিয়ে তিনি সহপাঠীদের শোনাতেন। সহপাঠীরা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতেন।

৭ম শ্রেণি থেকেই তাঁর লেখালেখির শুরু। ৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি লেখালেখির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন। এ সময় ছোট কাগজে-পত্রিকায় লেখা দেয়া শুরু করেন। ওই সময় খুবই ধার্মিক ছিলেন তিনি। হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর জীবনী তাঁর প্রায় মুখস্ত ছিল।

তিনি যখন ১০ম শ্রেণীতে পড়তেন তখন রচনা প্রতিযোগিতায় একবার হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর উপর প্রবন্ধ লিখে পুরস্কার হিসেবে একটা ঘড়ি পেয়েছিলেন। ওই সময় থেকে তাঁর লেখা ‘আজাদ’ আর ‘মোহাম্মদী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হতো। তিনি যখন আই.এ. পড়তেন তখন ‘দৈনিক পাকিস্তান’সহ পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি পত্রিকায় লিখতেন।

তিনি অসংখ্য গল্প লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর ৬টি গল্পের বই বেরিয়েছে। সেগুলো হলো-‘স্বপ্নের কুশীলব’, ‘প্রথম কৃষ্ণচূড়া’, ‘আনারসের হাসি’, ‘বিপরীত মানুষ’, ‘ক্ষুধার দেশের রাজা’, ‘গল্প সমগ্র’-প্রথম খণ্ড।

গ্রামীণ ও শহুরে মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনকে আরো অর্থবহ করতে তিনি জীবনধর্মী ও সমাজসচেতনতামূলক ছোটগল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। বশীর আল্‌হেলালের সকল সৃষ্টি-কাজে প্রধানত গ্রামীণ ও শহুরে মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন ধারণের চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি বেশ ক’টি উপন্যাস লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর ৬টি উপন্যাস বেরিয়েছে। সেগুলো হলো- ‘কালো ইলিশ’, ‘ঘৃতকুমারী’, ‘শেষ পানপাত্র’, ‘নূরজাহানদের মধুমাস’, ‘শিশিরের দেশে অভিযান’ ও ‘যে পথে বুলবুলিরা যায়’।

বশীর আল্‌হেলাল একজন সাহিত্য সমালোচক হিসেবেও সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেন। সাহিত্যের নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনা লিখেছেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকাতে আসার পর সাহিত্য সমালোচনা লিখতে শুরু করেন। ওই সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকায় অসংখ্য কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাসের উপরে সমালোচনা লিখেছেন, যা সাহিত্য সমালোচনার ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করেছে।

বাংলাদেশে যে ক’জন প্রবন্ধ-গবেষক রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বশীর আল্‌হেলাল। বাংলা একাডেমীতে চাকরি করার সময় তিনি প্রবন্ধ-গবেষণার কাজ শুরু করেন। ভাষা-সাহিত্য বিষয়ে গবেষণা করে তিনি বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর বই লেখেন। বানান, ঊচ্চারণ ও পরিভাষা প্রয়োগের বিষয়ে প্রশিক্ষণের উপরেও তিনি কাজ করেছেন।

তাঁর প্রবন্ধ-গবেষণার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই হলো: ‘আমাদের কবিতা’, ‘বাংলা গদ্য’, ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস’, ‘বাংলা একাডেমীর ইতিহাস’, ‘আদর্শ বাংলা বানান’, ‘বাংলা ভাষার নানান বিবেচনা’, ‘বাংলা ঊচ্চারণ’, ‘কিশোর বাংলা ঊচ্চারণ মঞ্জুরী’, ‘ভাষা আন্দোলনের সেই মোহনায়’ ও ‘আমাদের বিদ্বৎসমাজ’।

প্রশাসনে বাংলা ভাষা প্রচলন ও ভাষা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও তাঁর যথেষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। স্বাধীনতার পরে সরকারী অফিস-আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য বিশেষ করে বাংলা একাডেমীর প্রতিনিধিরূপে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এসময় তিনি অফিসের কাজের যাবতীয় কাগজ-পত্র বাংলায় অনুবাদ করে দেন। বাংলা একাডেমীর ছোটদের অভিধান সম্পাদনা পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমীর প্রশাসনিক পরিভাষা’র সংকলন সম্পাদনার কাজ করেন।

তিনি একজন অনুবাদক। শুধু ইংরেজী নয়, ইংরেজী ছাড়াও তিনি একসময় উর্দু-ফার্সী ভাষায় অনুবাদ করেছেন। তাঁর যে অনুবাদ বইগুলো বের হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো – ‘এশিয়ার লোককাহিনী’ প্রথম খণ্ড, ‘যুগোস্লাভিয়ার ছোটগল্প’, ‘দেশে আসা’ ও ‘হামিদুর রহমান রিপোর্ট’।

বাংলা একাডেমী থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় রাজনৈতিক কলাম লেখা শুরু করেন। শুধু ‘দৈনিক বাংলা’-য় তাঁর ১৬৫টি নিবন্ধ ছাপা হয়েছিল। এছাড়া অন্যান্য পত্রিকায়ও তাঁর বেশ কটি নিবন্ধ ছাপা হয়। এগুলো ছিল রাজনৈতিক নিবন্ধ।

বশীর আল্‌হেলাল কবিরূপে তেমন পরিচিত নন। কিন্তু তিনি কবিতা লেখেন। কবিতার ক্ষেত্রে তিনি নমনীয়। তিনি মনে করেন, কবিতার চিরায়তকে কম-বেশী হোক সবসময় প্রবাহিত রাখা চাই। মজার কথা তিনি কবিতা লেখার জন্য নিজস্ব একটা ফর্ম তৈরী করে নিয়েছেন। এর নাম ভণিতা কবিতা। অর্থাৎ ১০ লাইনের এই কবিতাগুলোর শেষের দুই লাইনের মধ্যে কবির নাম থাকে। কবিতার প্রতিটি লাইনের শেষ শব্দের ছন্দের সাথে পরের লাইনের শেষ শব্দের ছন্দের মিল থাকে।

বশীর আল হেলাল-এর ভণিতা কবিতার একটি নমুনা:

চিঠির বাক্সে চিঠি আছে, পায়ে আমার বাত
ও মেয়ে, ওটা এনে দিবি? নামছে আঁধার রাত
আঁধার রাতে অন্ধ আমি, সকাল হওযার পরে
দেহ খাঁচায় তখনো পাখি থাকবে ধৈর্য ধরে
আশা আছে এতটুকু দে রে এনে দে চিঠিখানা
এই শেষবার সে লেখে নি আ’ ভুল ঠিকানা
চিঠিটা যদি বড় হয় ধর বড় হয় পাতা দুই
ইতিতে প্রথমে দেখে নেবে সেই নীল রঙে সাদা জুঁই
বশীর আল্‌হেলাল বলে এই বুড়ো কেন এত তোর আশা
আয়ুর অধিক হয় নাকি রে লম্বা ভালোবাসা

বশীর আল্‌হেলাল তার সাহিত্যকর্মের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হল: আলাওল সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯১, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৩, লেখিকা সংঘ পুরস্কার, গৌরী ঘোষাল স্মৃতি সম্মান পুরস্কার-২০০২ কলকাতা ও অধ্যাপক আবুল কাসেম পুরস্কার-২০০৪।

সংক্ষিপ্ত জীবনী:

জন্ম: বশীর আল্‌হেলালের জন্ম ১৯৩৬ সালে ৬ জানুয়ারী। মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামের মীর পাড়ায়।

বাবা: তাঁর বাবার নাম সৈয়দ মুহাম্মদ আলী আসমার। মা: তাঁর মা’য়ের নাম আ-মাতার রোকেয়া (রোকেয়া খাতুন)।

পড়াশুনা: বাবার কাছে পড়াশুনায় হাতেখড়ি হওয়ার পর বশীর আল্‌হেলাল ভর্তি হন তালিবপুর পাঠশালায়। তিনি চতুর্থ শ্রেণীতে ২ টাকা বৃত্তি পান। সে সময় ২ টাকার মূল্য ছিলো অনেক। এরপর ভর্তি হন তালিবপুর গ্রামের এইচ.ই. হাইস্কুলের প্রাইমারী সেকশনে। সেখানে তিনি ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। ৭ম শ্রেণীতে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। রাজশাহীতে এক বছর পড়াশুনা করার পর সেতাবগঞ্জ হাই স্কুলে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই মেট্রিক পাশ করেন।

১৯৫৪ সালে কলকাতার সরকারি কলেজ থেকে ২য় বিভাগে আই.এ. পাশ করেন। এরপর তিনি জলপাইগুড়ির এ.সি. কলেজে বাংলায় অনার্সে ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে ১৯৫৭ সালে ২য় বিভাগে অনার্স পাশ করার পর তিনি কলকাতায় চলে যান। সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় এম.এ. ক্লাসে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২য় বিভাগে বাংলায় এম.এ. পাশ করেন।

কর্মজীবন: এম.এ. পাশ করার পর বশীর আল্‌হেলাল কলকাতায় হজ কমিটিতে চাকুরী নেন। তখন মাওলানা আযাদের ছেলে আকরাম খান কলকাতা থেকে একটি পত্রিকা বের করতেন। পত্রিকাটি সপ্তাহে ৩ দিন বের হতো। এটা মুসলমানদের পত্রিকা ছিল। হজ কমিটিতে চাকুরীর পাশাপাশি তিনি এই পত্রিকায়ও চাকুরী করতেন।

১৯৬৯ সালে সহ-অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হলেন বাংলা একাডেমীতে। সর্বশেষে তিনি বাংলা একাডেমীর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর তিনি বাংলা একাডেমীতে চাকরী করেছেন।

সংসার জীবন: ১৯৬৯ সালে তিনি ফিরোজা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ফিরোজা বেগম সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁদের পরিবারও দেশবিভাগের পর ভারত থেকে পূর্ববাংলায় চলে আসেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। পড়াশুনা শেষ করে তাঁরা এখন চাকরী করছেন।

তথ্যসূত্র: জুন, ২০০৯ তারিখে বশীর আল্‌হেলালের সরাসরি সাক্ষাৎকার নিয়ে জীবনীটি লেখা হয়েছে।

লেখক : মৌরী তানিয়া এবং শেখ রফিক

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.