GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

সুকুমার বড়ুয়া

অবদানের ক্ষেত্র: সাহিত্য
সুকুমার বড়ুয়া

সুকুমার বড়ুয়া

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

১৯৫৭ সালের দিকে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ নালাপাড়ার একটা মেসে কাজ নিলেন সুকুমার বড়ুয়া। পাঁচ জনের জন্য রান্না করতে হত তাঁকে। খাওয়াসহ মাসে ১৫ টাকা বেতন। সকালে তাঁর রান্না শেষ হওয়ার পর সবাই খেয়ে যখন বাইরে কাজে চলে যেতেন তখন সুকুমার বই পড়ার নেশায় মেতে ওঠেন। ‘সঞ্চয়িতা’, ‘সঞ্চিতা’, ‘পথের পাঁচালী’, ‘কুলি’, ‘জনান্তিক’ আরও সব শিহরণ জাগানো বই। এই বইগুলি, এর ভেতরকার জগৎ, সুকুমারের ভেতরটাকে এবং তাঁর জীবনের অর্থটাকে বদলে দিচ্ছিল সঙ্গোপনে।এই মেসে কাজ করার সময় নিয়মিত চায়ের দোকানে যেতেন তিনি। সেখানে যাওয়ার একমাত্র আকর্ষণ ছিল ‘খেলাঘর’ আর ‘কচি কাঁচার আসর’ পড়া। এই প্রচুর পড়াই একদিন তাঁকে সাহস জোগালো। লিখতে বললো। কেউ, কোন মানুষ কিন্তু নয়। নিভৃতে অন্যদের লেখাই তাঁকে লিখতে বলল, উত্‍সাহ জোগালো। তিনি লিখলেনও প্রথম কবিতা। বৃষ্টি নিয়ে। ‘বৃষ্টি নেমে আয়’। প্রথম লেখাটি প্রকাশিত হয় ‘খেলাঘর’ এর পাতায়। সেটা ৩ জুলাই, ১৯৫৮ সাল। প্রথম লেখা প্রকাশের আনন্দকে অপার্থিব আনন্দ বলে মনে হয়েছে সুকুমার বড়ুয়ার কাছে। আর এই আনন্দের সাথে বাড়তি পাওয়া হিসেবে যোগ হয়েছে পুরস্কার। জীবনের প্রথম লেখার জন্য তিনি ৩য় পুরস্কার পান।

সেই শুরু এরপর আর থেমে থাকেনি দেশের সুপরিচিত ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়ার লেখা। শুধু ছড়ার জগতে আবদ্ধ থেকে লেখার জন্য তিনি অকল্পনীয় প্রশংসা ও স্বীকৃতি পেয়েছেন।

সুকুমার বড়ুয়া জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার মধ্যম বিনাজুরি গ্রামে। ৫ জানুয়ারি, ১৯৩৮ সালে। পিতার নাম সর্বানন্দ বড়ুয়া। মা কিরণ বালা বড়ুয়া। বাবার পয়সা ছিলনা মোটেই। কিন্তু একটা ছেলের শখ ছিল। সেই শখের ধারাবাহিকতায় তিনি বাবা মায়ের তেরতম সন্তান।

জন্মের পর তাঁর নাম কী রাখা হবে এ ব্যাপারে তাঁর পূজা দিদি আর বাবা সর্বানন্দ বড়ুয়া কথা বলতেন ঘুমুতে যাবার আগে। ছোট ভাইয়ের নাম কী হবে এ নিয়ে বোনটির চিন্তার অন্ত ছিল না। হিন্দু মহাভারতের অনেক পাত্র পাত্রীর নাম তাঁদের দু’জনেরই জানা ছিল। ফলে প্রতিদিনই নাম বদলে যায়। আজ অর্জুন তো কাল নকুল। তার পরদিন মহাদেব। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। সেই প্রভাবে কোন কোন দিন তাঁর নাম চীন, জাপান, আমেরিকাও হয়েছে। সেই নাম অর্জুন, মহাদেব, চীন, জাপান ঘুরে সুকুমার বড়ুয়া হলো তাঁর মামা বাড়ির প্রভাবে।

তাঁর মামা বাড়ি ছিল তাঁদের বাড়ি থেকে উন্নত। অর্থাত্‍ অবস্থাসম্পন্ন। ফলে তাঁদের পরিবারের প্রতি মামাদের প্রভাব ছিল অনেক বেশি। বাবা আর পূজা দিদির প্রস্তাবিত নাম শুনে মামীমা একদিন নাক শিটকোলেন। কি বিশ্রী নাম। ওর নাম হবে সুকুমোল কিংবা সুকুমার। ফলে তাঁর পূজা দিদির নাম রাখার স্বপ্ন মাঠে মারা পড়ল। মহাদেব কিংবা অর্জুন কিংবা নকুল হয়ে গেলেন সুকুমার বড়ুয়া। তাঁর পুজা দিদি রাতে শোবার সময় তাঁকে গল্প শোনাতেন। ঘুরে ফিরে তিনি দুটো গল্পই শুনাতেন। একটা শিয়াল আর ঘুঘু পাখির, আরেকটি পিঠে গাছের গল্প।

তখন ১৯৪৩ সাল। দুর্ভিক্ষের বছর। সারা পৃথিবী জুড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মর্মান্তিক কালো ছায়া। সুকুমার বড়ুয়ার বয়স মাত্র পাঁচ বছর। বাড়িতে, পুরো পরিবারে বড় দুই বোনসহ ছয়জন সদস্য। কোন জমিজমা নেই। বাবা হাটবাজারে ছোটখাট বেচাকেনা করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াল থাবায় জনজীবন বিপর্যস্ত। জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। অনাহারে অর্ধাহারে থেকে ভিখিরীর সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। পুরো পরিবারটি চলছে শুধু শাক সেদ্ধ খেয়ে। রুচি বদলের জন্য কোন কোন দিন কলার থোড় কখনোবা ভাতের মাড় খেয়ে দিন যাপন করতে হয়েছে তাঁদের। কোনো কোনো দিন তাও জুটতো না। অনেক শখের শিশুপুত্র আর বাড়িতে পাঁচ পাঁচটা মুখ। এই হাহাকার সারা পৃথিবীর মত তাঁর বাবার বুকের মধ্যেও বেজেছিল। একসময় বাবা বেরিয়ে পড়েন ভাগ্যান্বেষণে। কেউ জানলো না কোথায় গেলেন। বাবা আর ফিরে আসেননি সুকুমারদের জীবনে, পরিবারে।

সেই পূজা দিদি। যিনি বিভূতিভূষনের দূর্গার মতো ছিলেন সুকুমারের জীবনে। অভাবে, নাখেতে পেয়ে অথবা লঙ্গরখানার খিচুড়ি আর জাউ খেয়েও হতে পারে, তাঁর দিদির হাত পা ফুলে গেছে। চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। একদিন মধ্যম বিনাজুরির সেই দোচালার ছনের ঘরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। সুকুমার তখন বড় দিদির বাড়ি। এর পনের বছর পর পথের পাঁচালী পড়তে গিয়ে দূর্গার সাথে তাঁর পূজা দিদির মিল দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলেন সুকুমার।

দুর্ভিক্ষের সময় অভাবের কারণে সুকুমারের মা তাঁকে মামাবড়িতে রেখে আসেন। কারণ এখানে খাওয়া দাওয়ার সুবিধা ছিল কিছুটা বেশি। সুকুমারের আপন মামারা গরীব হলেও তাঁদের প্রতিবেশীরা ধনী ছিলেন। মামার দুই জেঠতুতো ভাই রামজীবন সওদাগর আর রামজীবন মহাজনের বেশ নামডাক ছিল। কিন্তু বড়লোক হলে কী হবে। রাত পোহালেই ভিখারীর ঠেলা সামলাতে অস্থির হয়ে পড়তেন তাঁরা। তখন এমন সব হিন্দু মুসলিম পরিবারের মহিলারা ভিক্ষায় নেমেছিল, যা কেউ ভাবতেও পারতো না। কোন কোন একরোখা ভিখারী গোঁ ধরতো চাল ধোয়া পানি হলেও খাবে, তবুও যাবেনা।

মামাবাড়িতে এসে মামীমাকে খুব ভয় পেতেন সুকুমার। কারণ সে বাড়িতে শিক্ষাকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হতো। যে বিষয়টি তাঁর নিজের বাড়িতে ছিলনা। বর্ণজ্ঞান থেকে প্রথম শ্রেণী পর্যন্ত সেখানেই পড়াশোনা করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন চরমে পৌঁছেছে।
দেশে দুর্ভিক্ষ আর হাহাকার বেড়েই চলেছে। পথে ঘাটে রোজ অনাহারে মানুষ মরছে। মামাবাড়িতেও চরম অভাব। সুকুমারের এক স্নেহময়ী জেঠিমা ছিলেন। তাঁকে তিনি দুদুমা বলে ডাকতেন। এরমধ্যেই একদিন সেই দুদুমা এলেন সুকুমারকে বড়দিদির বাড়ি নিয়ে যেতে। সুকুমারের বড়দিদির বাড়ির অবস্থা ভালো। সুকুমারের ভগ্নিপতি ছিলেন গ্রামের মেম্বার।

মামা বাড়ি থেকে আবার তিনি মধ্যম বিনাজুরি গ্রামে ফিরে গেলেন। কারণ বড়দিদির বাড়ি তাঁদের নিজ বাড়ির পাশেই ছিল। সুকুমারের রানী দিদি আগে থেকেই বড় দিদির বাড়িতে ছিলেন। ভগ্নিপতির ছিল বেশ বড় ধানের গোলা, খড়ের গাদা, বড়বড় গরু। এখানে এসে বহুদিন পর পেটপুরে খাবারের অভিজ্ঞতা হয়েছিল সুকুমারের।

মামাবাড়িতে থাকতে যোগীন্দ্রনাথ সরকারের ‘হাসি-খুশি’ পুরোটা মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। এখানে তাঁর বোন সুমতি প্রথমে হাতে লেখা বই, পরে একটি বাল্যশিক্ষা কিনে পড়তে দিয়েছিলেন। অল্প কদিনের মধ্যে বাল্য শিক্ষা পুরোটা মুখস্থ দেখে সবাই তো অবাক। অনেকেই সে সময় বলাবলি করলেন, ছেলেটার মাথা আছে।

দিদি তাঁকে ডাবুয়া খালের পাশে ‘ডাবুয়া স্কুল’ এ ভর্তি করে দিলেন। কিন্তু সেই স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর তৃতীয় শ্রেণীর পড়াটা আর শেষ হয়নি সুকুমারের। স্কুলের হেডমাষ্টার চেয়েছিলেন সুকুমারের পড়াশুনাটা যেন বন্ধ হয়ে না যায়। আর সেকারণে হেডমাস্টার সুশীল বাবু জানালেন, তার পরীক্ষার ফি দিতে হবে না। তারপরেও তাঁর বড় দিদি তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেননি। পড়াননি। স্কুলে যাওয়ার সময় বাধা দিলেন। বললেন, যাও গরু ছাগল রাখো, পড়তে হবেনা। প্রচুর কাজের চাপে, ব্যবহারের বস্ত্রের অভাবে যখন সুকুমারকে আর মানুষ বলে মনে হচ্ছিল না, তখনই মা এসে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করলেন। নিয়ে গেলেন মামাবাড়িতে।

এরপর মামা বাড়ি থেকে সুকুমারকে চট্টগ্রাম শহরে দামপাড়া পুলিশ লাইনে নিয়ে গেলেন তাঁর মা। কারণ সেখানে তাঁর মামা পুলিশে কনষ্টেবলের চাকরি করেন। মামা, মামী, দিদিমা আর দুই বছরের সাধনের সাথে সুকুমারও এই প্রথম শহরবাসী হলেন। মামা পুলিশ হিসাবে রেশনের উপর নির্ভরশীল। মাঝে মাঝে অবশ্য পাবলিক রেশন তুলতেন ভোলা বাবুর কন্ট্রোল থেকে। ওখানে তাঁর কাজ ছিল মামাতো ভাই সাধনকে নিয়ে খেলা করা আর পানি সংগ্রহ করা।

১৯৫০ সালের ১ জুন। চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ নালাপাড়ার বাবু মনোমহোন তালুকদার এর বাসা। সেখানে মাসিক তিন টাকা বেতনের চাকুরি নিলেন সুকুমার। একটি পাঁচ মাসের শিশুকে সঙ্গ দেওয়া তাঁর প্রধান কাজ। এই শিশুটি এখন চিত্র পরিচালক চঞ্চল বড়ুয়া (‘ঘর ভাঙা ঘর’)। এই পরিবারে এসে জীবনে প্রথম কিছুটা উন্নত শ্রেণীর রুচিশীল মানুষের সাথে পরিচয় হলো সুকুমারের। এতোদিন যাঁদের আশে-পাশে তিনি ছিলেন, তাঁরা সকাল আর রাতের খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতেন। সেই জীবন থেকে শিল্প সাহিত্য অনেক দূরের বিষয় ছিল। এই বাড়িটির কর্তাবাবুটি গম্ভীর প্রকৃতির হলেও বেশ স্নেহপ্রবণ ছিলেন। গৃহকর্ত্রী মাসীমা আপন সন্তানের মতো সুকুমারকে ভালোবাসেন। শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা নাচ, গান, নাটক ইত্যাদি করে। সুকুমারের সাথে তাদের আপন ভাইবোনের মতো সম্পর্ক। কেউই সুকুমারকে আলাদা চোখে, কাজের ছেলে হিসাবে দেখতেন না।

১৯৫২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে সুকুমার তাঁর এক মামাতো ভাইয়ের সাথে ভৈরব বাজার চলে এলেন। সেখানে বাবুর্চির কাজ নিলেন। দুজনের জন্য রান্না করার কাজ। সুকুমারের মা তখন মামাবাড়িতে। দক্ষিণ নালাপাড়ার বাবু মনোমহোন তালুকদার এর বাসার চেয়ে এখানে এই রান্নার কাজে দুটাকা বেশি মাইনে পেতেন। কিন্তু এই বেশি আয়ের চাকরির জন্য নয়, এখানে কাজ করার পেছনে ভিন্ন একটি উত্তেজনা কাজ করতো সুকুমারের ভেতর। কারণ এখানে এসেই পেলেন মামাতো ভাইয়ের সংগ্রহে রাখা ‘দেব সাহিত্য কুটির’ এর মজার মজার শিশু সাহিত্য সংকলন। তাড়াতাড়ি কাজ সেরে সেইসব পড়া শুরু করতেন।

এর ছ’মাস পর চট্টগ্রামের সেই পুরোনো বাসায় দেখা করতে গেলেন সুকুমার। তাঁরা বললেন, পাঁচ টাকা মাইনে কি আমরা দিতে পারিনা? তোর মা কেন পড়ানোর নামে ফাঁকি দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল? কোন স্কুলে, কোন ক্লাসে পড়ছিস?’ সুকুমার বললেন, ‘গল্প কবিতার বই পড়েছি অ-নে-ক।’ সবাই হেসে ফেললেন। সেই বাসায় আবার কাজ নিলেন এবং সেখানে তিনি আরো দু’বছর ছিলেন।

কিন্তু পর্যাপ্ত বেতনের অভাবে সে বাসার কাজ ছেড়ে দিয়ে এক চায়ের দোকানে কাজ নিলেন তিনি। সেখানে সাত টাকা বেতন ছিল। দক্ষিণ নালাপাড়ার সুখেন্দু বিশ্বাস নামের সেই ব্যক্তির দোকানে ১৯৫৫ সালে ১০ মাস কাজ করেছিলেন তিনি।

এরপর ১৯৫৭ সালের দিকে সবকিছু ছেড়ে আবার সেই দক্ষিণ নালাপাড়ার পুরোনো বাসায় ফিরে এলেন তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন সেই বাড়িতে মনোমহোন তালুকদারের পরিবারের লোকজন কেউ থাকেনা, বাসাটা এখন মেস হয়ে গেছে। সেই মেসে মাসে ১৫ টাকা বেতনের কাজ নিলেন সুকুমার বড়ুয়া। পাঁচ জনের জন্য রান্না করতে হয়। কিন্তু ১৫ টাকা বেতনে তাঁর আর চলছিল না। মাকে টাকা পাঠালে বাকি টাকা দিয়ে নিজের চলা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। সেই কাজ ছেড়ে ১৯৫৯ সালে কিছুদিন ফলমূল বিক্রি করলেন। এরপর আইসক্রিম, বুট বাদাম ইত্যাদি বিক্রি করেও রোজগার বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। লালদিঘির পাড় থেকে শুরু করে উজারা সিনেমা হল পর্যন্ত অনেক কিছু ফেরি করে বিক্রি করে বেড়িয়েছেন সুকুমার। অবস্থাসম্পন্ন বড় বড় আত্মীয়রা দূর থেকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন। অনেকে আক্ষেপও করেছেন। দানিয়ালাপাড়ায় মাসিক পাঁচ টাকায় বাসা ভাড়া করে মাকে নিয়ে এলেন তিনি। অনেকদিন পর আবার মায়ের সাথে থাকা শুরু হল। কিন্তু রোজগার আর খরচের তারতম্যের কারণে জীবন প্রায় থেমে যায় যায় করছে। মেসে থাকতে ঢাকার পত্রিকায় ছয় সাতটি লেখা বেরিয়েছিল। এখন কিন্তু লেখালেখি নিয়ে ভাবার অবকাশও নেই।

বছর খানিক এভাবে কাটলো। এরপর মাকে আবার মামা বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন। আর নিজে ফিরে গেলেন সেই পুরোনা মেসে। আগের বেতনেই। এখানে একটা সান্ত্বনা আছে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে লেখালেখি করার সুযোগটা পাওয়া যায়। এরমধ্যে ‘দৈনিক জামানা’ পত্রিকায় একটা দীর্ঘ লেখা নিয়ে গেলেন তিনি। নাম, ‘পথের ধূলো’। করুণ কবিতা। কবিতাটি জসীম উদ্দীন এর ‌’কবর’ কবিতা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। এই কবিতাও পড়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর মেসেই।

এরমধ্যেই ঢাকায় আসার জন্য মন তৈরী হয়ে গেছে সুকুমারের। কারণ তাঁর মন বলছে, এখানে থাকলে আসলে কিছুই হবেনা। কিন্তু জীবনে উপার্জন আর সুনাম দুটোরই দরকার আছে। তাই মিথ্যে বলতে হলো তাঁকে। মেসের কর্মকর্তাদের একদিন বললেন, ‘আমি এক ছাপাখানায় প্রশিক্ষণের কাজ পেয়েছি।’ কবি হয়ে বাবুর্চিগিরি যেমন পোষায় না তেমনি মানায়ও না। বড় ভাইয়ের মতো স্নেহপ্রবণ সবাই সুকুমারকে মুক্তি দিতে রাজি হলেন।

মহানন্দে সাত টাকা দশ আনার টিকিট কেটে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন সুকুমার বড়ুয়া। ঢাকায় এসে পেলেন দাদাভাইকে, ইত্তেফাক অফিসে। তারপরে বাবু দেবপ্রিয় বড়ুয়ার (অবসরপ্রাপ্ত বাসস প্রধান) সাথে পরিচয় হল। তোপখানা রোডে তাঁরা সাতজন মেস ভাড়া করেছেন। কাজের লোক দরকার। আবারও চাকরি মিলে গেল। মাথাপিছু পাঁচ টাকা করে সাতজনের জন্য পঁয়ত্রিশ টাকা মাইনের চাকরি। চাকরিতো হলো কিন্তু লেখা আর হয়না। তবুও অনেক কষ্ট করে লিখলেন ‘ছারপোকার গান’ আর ‘খাওয়ার গান’ শিরোনামের দুটি লেখা। ১৯৬১ সালের ২৭ ডিসেম্বর। মাকে হারিয়ে একদম একা হয়ে পড়লেন সুকুমার বড়ুয়া।

১৯৬২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে চৌষট্টি টাকা বেতনের চাকুরী হয় সুকুমারের। ১৯৬৩ সালে তোপখানা রোডে ছয় টাকায় বেড়ার ঘর ভাড়া করে এই প্রথম স্বাধীনভাবে প্রচুর লেখালেখি শুরু করেন। কচিকাঁচার আসর, খেলাঘর আর মুকুলের মাহফিলে এসমস্ত লেখা ছাপা হতে থাকে। ১৯৭৪ সালে পদোন্নতি হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী হন। ১৯৯৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৬৪ সালের ২১ এপ্রিল ননী বালার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সুকুমার বড়ুয়া। চট্টগ্রামের গহিরা গ্রামের এক বিশিষ্ট শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র বড়ুয়ার মেয়ে ননী বালা। সুকুমার বড়ুয়া চার সন্তানের জনক। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে।

১৯৭০ সালে ‘পাগলা ঘোড়া’, ১৯৭৬ সালে ‘ভিজে বেড়াল’, ১৯৭৯ সালে ‘চন্দনা রঞ্জনার ছড়া’, ১৯৮০ সালে ‘এলোপাতাড়ি’, ১৯৮১ সালে ‘নানা রঙের দিন’, ১৯৯১ সালে ‘সুকুমার বড়ুয়ার ১০১টি ছড়া’, ১৯৯২ সালে ‘চিচিং ফাঁক’, ১৯৯৫ সালে ‘কিছু না কিছু’, ১৯৯৭ সালে ‘প্রিয় ছড়া শতক’, ১৯৯৭ সালে ‘বুদ্ধ চর্চা বিষয়ক ছড়া’, ২০০৬ সালে ‘ঠিক আছে ঠিক আছে’ গ্রন্থগুলি প্রকাশিত হয়। এছাড়া সুকুমার বড়ুয়ার আরও অনেক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

সুকুমার বড়ুয়া তাঁর লেখালেখির জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁকে ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার,, ১৯৯২ সালে ঢালী মনোয়ার স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৯৪ সালে বৌদ্ধ একাডেমী পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ ছাত্র সংসদ সম্মাননা, ১৯৯৭ সালে অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য সম্মাননা, ১৯৯৯ সালে আলাওল শিশু সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে চোখ সাহিত্য পুরস্কার, ভারত, ২০০৪ সালে স্বরকল্পন কবি সম্মাননা পদক, ২০০৬ সালে অবসর সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এখন তাঁর অধিকাংশ সময় কাটে নিজের লেখাগুলিকে সংরক্ষণ করার চিন্তায়। তিনি আজীবন বুকের ভেতর একটি বড় স্বপ্ল লালন করছেন। সেটি চট্টগ্রামে সুকুমারের পৈতৃক ভিটায় ‘সুকুমার শিশু তীর্থ’ নামে একটি শিশু পাঠাগার স্থাপন করা। এই পাঠাগারটি স্থাপন করার জন্য তিনি সামাজের সকলের কাছে আবেদন জানান। বেঁচে থাকাকালীন তিনি এই পাঠাগারের কাজ শেষ করতে চান।

সংক্ষিপ্ত জীবনী:
জন্ম: সুকুমার বড়ুয়া জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার মধ্যম বিনাজুরি গ্রামে। ৫ জানুয়ারি, ১৯৩৮ সালে।
বাবা-মা: বাবার নাম সর্বানন্দ বড়ুয়া। মা কিরণ বালা বড়ুয়া। তিনি বাবা মায়ের তেরতম সন্তান। পড়াশুনা: বর্ণজ্ঞান থেকে প্রথম শ্রেণী পর্যন্ত তিনি মামা বাড়ির স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর বড় দিদির বাড়িতে এসে তিনি ডাবুয়া খালের পাশে ‘ডাবুয়া স্কুল’ এ ভর্তি হন। কিন্তু সেই স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর তাঁর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়।

কর্মজীবন: অল্প বয়স থেকেই তিনি মেসে কাজ করেছেন, ফলমূল, আইসক্রিম, বুট বাদাম ইত্যাদি ফেরী করে বিক্রি করেছেন তিনি। এরপর ১৯৬২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে চৌষট্টি টাকা বেতনের চাকুরী হয় তাঁর। ১৯৭৪ সালে পদোন্নতি হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী হন। ১৯৯৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

সংসার জীবন: ১৯৬৪ সালের ২১ এপ্রিল ননী বালার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সুকুমার বড়ুয়া। চট্টগ্রামের গহিরা গ্রামের এক বিশিষ্ট শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র বড়ুয়ার মেয়ে ননী বালা। সুকুমার বড়ুয়া চার সন্তানের জনক। তিন মেয়ে ও এক ছেলে।

তথ্য সূত্র:
সুকুমার বড়ুয়া, উত্তম বড়ুয়া, অরূপ রতন বড়ুয়া, রঞ্জনা বড়ুয়া, রাশেদ রউফ, নাওশেবা সবিহ্ কবিতা, চারুলতা, ভোরের কাগজের ইষ্টু কুটুম বিভাগ, টইটুম্বুর, জোবাইর হোসাইন সিকদার, স্বপন কুমার বড়ুয়া, নজরুল ইসলাম নঈম, তপন বাগচী, মাশরুফা মিশু, আলী আজম, শফিকুল আলম টিটন, সবুজের মেলা প্রমুখ।

মূল লেখক: পথিক সুমন
পুনর্লিখন : গুণীজন দল

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.