GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

হামিদুর রাহমান

অবদানের ক্ষেত্র: শিল্পকলা
হামিদুর রাহমান

হামিদুর রাহমান

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

১৯৫৭ সালের নভেম্বর মাস। শুরু হল শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ। শহীদ মিনারের কাজে একেবারে ডুবে গেলেন তিনি। নিজ বাড়ি-ঘর ছেড়ে নির্মাণাধীন মিনারের পাশেই একটি খুপরি ঘরে বাসস্থান গড়লেন। এই খুপরি ঘরেই তিনি ঘুমান আর বাকি সময় নিবিষ্টমনে কাজ করেন। ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের প্রতীক হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে যে শহীদ মিনার তা তাঁরই সৃষ্টি। শহীদ মিনারের মূল স্তম্ভটি জননী-জন্মভূমির প্রতীক। পরম স্নেহে জননী তাঁর সন্তানের দিকে ঝুঁকে আছেন। দুই পাশে দাঁড়ানো রয়েছে তাঁর চারটি শহীদ সন্তান, যাঁরা মাতৃভাষার জন্য, মাতৃভূমির জন্য, মায়ের জন্য জীবন দিয়েছেন। এই শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে- তিনি হলেন শিল্পী হামিদুর রহমান।

মীর্জা এফ মোহাম্মদ ও জামিলা খাতুন ছিলেন সংস্কৃতি আমোদে মানুষ। পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে আশিক লেনের একটি পুরনো দোতলা বাড়িতে থাকেন তাঁরা। এফ মোহাম্মদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীত-সাধক ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর মতো মানুষদের। জামিলা খাতুনের সঙ্গে উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত-শিল্পী আব্বাসউদ্দিনের সুফিবাদের গভীর তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা বেশ জমে উঠত। এফ মোহাম্মদ ও তাঁর ভাই মীর্জা ফকির মোহাম্মদ ওই সময়ে ঢাকায় থিয়েটারের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। এই পরিবারের সঙ্গে ঢাকার সংস্কৃতিবান পরিবারগুলোর বেশ সখ্যতা ছিল।

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখার লোকজনের অবাধ যাতায়াত ছিল এই বাড়িতে। বাবা-মা ও পরিবারের বন্ধুদের গুণ ছড়িয়ে পড়ছিল ছেলেমেয়েদের মধ্যেও। এফ মোহাম্মদ ও জামিলা খাতুন দম্পতির ছেলে নাসির আহমদ, নাজির আহমদ, হামিদ আহমদ (হামিদুর রাহমান) ও সাঈদ আহমদ। এই দম্পতির তিন মেয়ে। মেহেরুননিসা বেগম, শামসুন্নাহার বেগম ও লুত্‍ফুন্নাহার বেগম।

হামিদুর রাহমান চিত্রশিল্পী হলেও শৈশবে তাঁর মূল আগ্রহের জায়গা ছিল গান ও কবিতা। স্কুলের অনুষ্ঠানগুলোতে গান গাওয়ার জন্য ডাক পড়ত হামিদুর রাহমানের। কবি ও সাহিত্যিক বন্ধুদের মতো তিনিও চাইতেন সাহিত্যচর্চায় নিবেদিত হতে। আবার একই সাথে চলত ছবি আঁকাও। হামিদুর রাহমানের শৈশবের শিক্ষা শুরু হয় পুরনো ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে। ওই স্কুলে পড়ার সময় একদিন ভূগোলের ক্লাসে বসে মানচিত্র আঁকছিলেন। বাঁ হাতে কালির দোয়াত আর ডান হাতে আঁকছেন মানচিত্র। হঠাত্‍ শার্টের বাঁ হাতায় কিছু একটা ঢুকে পড়ে। ডান হাতে মানচিত্র আঁকতে আঁকতেই শ্রেণিশিক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বাঁ হাতটা তুলে ধরেন। বাঁ হাতের মুঠোতে ধরা দোয়াত থেকে কালি পড়ে তাঁর মুখ, গায়ের শার্ট- সব মাখামাখি হয়ে যায়। শ্রেণিকক্ষের মেঝেতেও কালি পড়ে। খুব অপমানিত বোধ করেন হামিদ। বাড়িতে গিয়ে বাবাকে বলেন, ওই স্কুলে তিনি আর যাবেন না। বাবা ছেলের মনের অবস্থাটা বুঝতে পেরে তাঁকে কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি করেন। সেই স্কুলের বেঞ্চিতে কালির দোয়াত বসানো থাকত। হাত দিয়ে দোয়াত ধরে রাখার কোনো ঝামেলা ছিল না। তাঁদের পুরনো ঢাকার সেই বাড়ির আশপাশেই ছিল নানা ধরনের কারিগর। তাঁতের শাড়ি, সোনার গয়না ও শঙ্খের কাজ করত তারা। কারিগররা তাদের গড়া জিনিসের ওপর নানা ধরনের নিপুণ নকশা ফুটিয়ে তুলত। স্কুলে পড়ার বয়সেই এসব ঘুরে ঘুরে দেখতেন হামিদ। ওই বয়সে বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি এঁকে বন্ধুদের বাহবা কুড়াতেন তিনি। পুরনো ঢাকার কারিগরদের নকশা আঁকার নৈপুণ্য, রঙের ব্যবহার ও হাতি, ঘোড়া, বাঘ, পুতুল গড়ার কাজ তাঁকে মুগ্ধ করত। পদার্থ বিদ্যা ও রসায়নের আর্যা, সূত্র, সংকেত তাঁর মোটেও ভালো লাগত না। তাঁর ভালো লাগত গাছের পাতার গঠন ও রং। দূরবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রেখে সেসব মন ভরে দেখতেন তিনি। উদ্ভিদবিদ্যার ক্লাসে খুব মজা পেতেন হামিদুর রাহমান। রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা নিরস লাগার কারণেই মাঝপথে কলেজ ছেড়ে দেন তিনি। চুটিয়ে আড্ডা দেন বন্ধুদের সঙ্গে। বন্ধু কবি আলাউদ্দিন আল-আজাদ, হাসান হাফিজুর রাহমান, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও শামসুর রাহমানের সঙ্গে সদরঘাটের বাকল্যাণ্ড বাঁধের পাশে স্বরচিত কবিতা, গল্প ইত্যাদি আবৃত্তি করেন। একদিন কবি শামসুর রাহমানই তাঁকে বলেন, ‘তুই রং ও রেখায় মনের ভাব ভালো প্রকাশ করতে পারবি।’ আর হামিদুর রাহমান উত্তরে বলেন, ‘তুই ছোটগল্প লেখা ছেড়ে দিয়ে কবিতা লেখ।’ কবি শামসুর রাহমানের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব এত গভীর ছিল যে দুজনেই নাম মিলিয়ে রেখেছিলেন। ‘হামিদ আহমদ’ বদলে নাম নিয়েছিলেন হামিদুর রাহমান।

রং ও রেখায় মনের ভাব প্রকাশের জন্যও তো শিক্ষা দরকার। হামিদুর রাহমান তা শিখবেন কোথায়? ১৯৪৮ সালে সারা বাংলাদেশে আর্ট স্কুল বলতে গভর্নমেন্ট আর্ট ইনস্টিটিউট। ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুলের দুই-তিনটি কক্ষ নিয়ে সে স্কুল। শিক্ষকদের মধ্যে আছেন জয়নুল আবেদিন, সফিউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ারুল হক ও কামরুল হাসানের মতো বিখ্যাত শিল্পীরা। ১৯৪৮ সালে এখানেই হামিদের চিত্রকলার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু। গভর্নমেন্ট আর্ট ইনস্টিটিউটে দুই বছরের শিক্ষা শেষ করার আগেই উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান ইউরোপে। বড়ভাই নাজির আহমদ তখন বিবিসিতে লন্ডনে কর্মরত। প্রথমে গিয়ে উঠেন তাঁর কাছেই। লন্ডনে কয়েক মাস থাকার পর হামিদ ঠিক করেন, প্যারিস যেহেতু শিল্পের রাজধানী, সেখানেই লেখাপড়া করবেন তিনি। প্যারিসে থাকতেন তাঁর ভাই নাজিরের বন্ধু শিল্পী পরিতোষ সেন। প্যারিসে গিয়ে তাঁর সহযোগিতা নিয়ে ভর্তি হলেন ইকোল দ্য ব্যোজ আর্টসে। প্যারিসে একা থাকার সমস্যা, নিঃসঙ্গতা এবং ভাষা সমস্যার কারণে মত পাল্টাতে বাধ্য হলেন হামিদ। ইকোল দ্য ব্যোজ আর্টসে সংক্ষিপ্ত শিক্ষা শেষে ফিরে এলেন লন্ডনে। ভর্তি হলেন লন্ডনের সেন্ট্রাল স্কুল অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইনে। ততদিনে হামিদের বন্ধুত্ব হয়ে গেছে নভেরা আহমেদের সঙ্গে। নভেরা তখন পড়ছেন লন্ডনের ক্যাম্বারওয়েল স্কুল অব আর্টসে। ইউরোপে ভাস্কর্য শিখতে গিয়েছিলেন নভেরাও। ঢাকার গভর্নমেন্টে আর্ট কলেজে হামিদের সহপাঠী শিল্পী আমিনুল ইসলাম তখন ইতালিতে। সেখান থেকে বন্ধু হামিদকে লিখে জানালেন, তিনি ইতালি সরকারের বৃত্তি নিয়ে ফ্লোরেন্সের অ্যাকাডেমিয়া ডি বেলে আর্টিতে ভর্তি হয়েছেন। বান্ধবী নভেরাকে নিয়ে হামিদ চলে গেলেন ইতালিতে। মুরাল পেইন্টিং শেখার জন্য তিনিও ভর্তি হলেন অ্যাকাডেমিয়া ডি বেলে আর্টিতে। নভেরা ইতালীয় ভাস্কর ভেন্তোরিনো ভেন্তরির কাছে ভাস্কর্য শিক্ষা শুরু করলেন। তিনজনে মিলে ভাড়া করলেন একটা স্টুডিও। একসাথে থাকা, শিল্পচর্চা ও ইতালির বিভিন্ন শিল্পকলা কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা। সেটা ছিল ১৯৫৩ সাল। ছয় মাস পর ইতালি থেকে হামিদ ও নভেরা ফিরে এলেন লন্ডনে। যোগ দিলেন নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯৫৪ সালে শিল্পী হামিদুর রাহমানের প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয় প্যারিসে। প্রথম প্রদর্শনীর মাধ্যমেই চিত্রকলার সমঝদার ও সমালোচকদের নজর কাড়েন। ১৯৫৬ সালে হামিদুর রাহমান লন্ডনের সেন্ট্রাল স্কুল অব আর্টস থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। ওই বছর তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে বিখ্যাত শিল্পীদের শিল্পকলা ও শিল্পের বিভিন্ন দিকের সঙ্গে গভীর ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন।

চিত্রকলার বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ১৯৫৬ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন শিল্পী হামিদুর রাহমান। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন ভাস্কর নভেরা আহমেদও। ওই বছরই ঢাকায় পাকিস্তান আমেরিকান সোসাইটির উদ্যোগে ইউনাইটেড স্টেটস ইনফরমেশন সার্ভিস (ইউএসআইএস) মিলনায়তনে তাঁর প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী হয়। ঢাকায় সেটাই ছিল প্রথম বিমূর্ত চিত্রকলার প্রদর্শনী। হামিদুর রাহমানের সেসব বিমূর্ত চিত্র তখন রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। প্রচুর বিতর্ক ও আলোচনা, সমালোচনাও হয়েছিল।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসে। ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পাকিস্তান সরকার নির্বিচার গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান আবদুল জব্বার, আবুল বরকত ও রফিকউদ্দিন আহমদ। ২২ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। দিকে দিকে স্লোগান উঠতে থাকে ?রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই?, ?শহীদ স্মৃতি অমর হোক?। পরবর্তী সময়ে শহীদ হন সালাম ও শফিউর রহমান।

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারী ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে কারফিউের মধ্যেই রাতারাতি গড়ে তোলা হয় শহীদ মিনার। শহীদ মিনার যেখানে গড়ে ওঠে সে স্থানটিতেই একুশে ফেব্রুয়ারীর পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবুল বরকত। ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী সেই শহীদ মিনার পাকিস্তান সরকার নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এরপর নিশ্চিহ্ন মিনারের কাপড় ঘেরা স্থানটিই হয়ে ওঠে বাঙালীর শহীদ মিনার। ১৯৫৪ সালের ২ এপ্রিল হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর শহীদ মিনার নির্মাণ ও শহীদ দিবস ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ক্ষমতায় আসার মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় ভেঙে যায় যুক্তফ্রন্ট। ক্ষমতায় আসে আবুল হোসেন সরকারের নেতৃত্বাধীন কৃষক-শ্রমিক পার্টি। আবুল হোসেন সরকারের মুখ্যমন্ত্রিত্বের আমলে ১৯৫৬ সালে ২১ ফেব্রুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে বর্তমান শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। ভাষা আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে হামিদুর রাহমান ছিলেন ইউরোপে। দূর থেকে তাঁর বুকেও তখন রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রাহমান খানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক সরকারের আমলে সরকারিভাবে পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শহীদ মিনারের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার এম. এ. জব্বার ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ওপর। শিল্পী হামিদুর রাহমান তখন ঢাকায়। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন হামিদুর রাহমানকে শহীদ মিনারের একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের অনুরোধ জানান। হামিদ শহীদ মিনারের একটি মডেল, ৫২ টি নকশা ও পরিকল্পনার অন্যান্য কাগজপত্র পেশ করেন। বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়নে তাঁকে সহযোগিতা করেন ভাস্কর নভেরা আহমেদ। অন্যান্য শিল্পী ও স্থপতিরাও প্রতিযোগিতামূলক নকশা দিয়েছিলেন। বিখ্যাত গ্রিক স্থপতি ডক্সিয়াডেস, প্রকৌশলী এম এ জব্বার ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি হামিদের নকশাটি অনুমোদন করে। শিল্পী হামিদুর রাহমানের পরিকল্পনা অনুসারে ১৯৫৭ সালের নভেম্বর মাসে শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয় এবং ১৯৫৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত হামিদুর রাহমানের তত্ত্বাবধানে শহীদ মিনারের কাজ চলেছিল। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন ভাস্কর নভেরা আহমেদ।

বিশাল কাজের প্রায় অনেকটাই গুছিয়ে এনেছিলেন হামিদুর রহমান। কিন্তু ওই বছরের অক্টোবরে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের প্রথম দিনেই হামিদুর রাহমানকে শহীদ মিনার এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি শিল্পকর্মের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে আসারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। সামরিক সরকার ওই সময় তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে। তিনি তা জানতে পেরে করাচিতে চলে যান। সেখানে একদিন থাকার পর চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এক্ষেত্রে তাঁকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন পাকিস্তানে অবস্থানরত তাঁর এক মার্কিন বন্ধু।

১৯৬৩ সালে হামিদুর রাহমানের মূল পরিকল্পনায় অনেক কাটছাট করে শহীদ মিনারের কাজ শেষ করা হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনী শহীদ মিনারের ওপরও বর্বর আক্রমণ চালায় এবং সেটি আবার ধুলিসাত্‍ করে ফেলে। সবশেষ ১৯৮৪ সালে হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদের আমলে শহীদ মিনারের কাজ সম্পন্ন হয়। বর্তমান শহীদ মিনারে হামিদুর রাহমানের পরিকল্পনার কাঠামোগত দিকটি ঠিক রাখা হলেও নান্দনিক অনেককিছু বাদ পড়ে গেছে।

১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া রাজ্যের একাডেমী অব ফাইন আর্টসে ভিজিটিং লেকচারার হিসেবে কাজ করেন শিল্পী হামিদুর রাহমান। ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আবার দেশে ফিরে আসেন। পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিলে খণ্ডকালীন প্রশিক্ষকের কাজ করার সুবাদে ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসার পর তিনি পাকিস্তানের তত্‍কালীন রাজধানী করাচিতে থেকেছেন। এরপর আর্ট কাউন্সিলের ঢাকা শাখায়ও তিনি কাজ করেছেন। করাচিতে থাকার সময় হামিদুর রাহমানের ১১ নম্বর বোনাস রোডের স্টুডিওটি ছিল শিল্পী ও চিত্র সমালোচকদের মিলনকেন্দ্র। তখনকার সময়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অনেক চিত্রশিল্পী, কবি, সাহিত্যিকই সেখানে যাতায়াত করতেন।

১৯৬০ সালে ঢাকায় ফিরে এসে বিয়ে করেন হামিদুর রাহমান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হামিদুর রাহমান ভেবেছিলেন, এবার হয়ত তাঁর করা মূল পরিকল্পনা অনুসারে শহীদ মিনার নির্মিত হবে। কিন্তু ১৯৭২ সালে ঘটে যায় উল্টো ঘটনা। শহীদ মিনারের নিচের দেয়ালে তিনি এক হাজার বর্গফুটের যে ম্যুরাল অঙ্কন করেছিলেন তা যেন কোনো অদৃশ্য হাতের ইশারায় ধ্বংস করে ফেলা হয়। সুদীর্ঘ এই ম্যুরালের ওপর কারা চুনকাম করেছে তা কেউ বলতে পারে না। এমনকি এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সরকারের গণপূর্ত বিভাগও সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারে না। ক্ষোভে, দুঃখে ও লজ্জায় ওই বছরই ইউরোপের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন তিনি। দেশ ত্যাগ করলেও দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি তাঁর যে অসীম মমতা তা ত্যাগ করতে পারলেন না। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশকে তিনিই প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরলেন তাঁর চিত্রকলার মাধ্যমে। ১৯৭০ সালের জলোচ্ছ্বাসের ভয়াবহ রূপ ও সেই জলোচ্ছ্বাসে যে প্রাণহানি হয় তা তিনি তাঁর চিত্রে তুলে ধরেছেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের সাহস ও সংগ্রাম ও মানবিক বিপর্যয়ের চিত্রমালাও তিনি রচনা করেছেন। এসব ছবি নিয়ে লন্ডনে প্রদর্শনী করেছেন ১৯৭৩ সালে। ইউরোপের দর্শকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপ প্রত্যক্ষ করে তাঁর চিত্রের মাধ্যমে। শিল্পী হামিদুর রাহমানের ছবিতে আবহমান বাংলার চালচিত্র ফুটে উঠেছে বারবার বিভিন্নভাবে। হামিদুর রাহমানের শিল্পীসত্ত্বায় সমন্বয় ঘটেছে দেশপ্রেম, সমকালীনতা, মানবতাবোধ ও আন্তর্জাতিকতার। তাঁর ছবিতে এসেছে কৃষক, জেলে, মজুরদের জীবন ও তাদের জীবনের অনুষঙ্গ- নৌকা, মাছ, বৃক্ষ, বৃষ্টি, বন্যা ইত্যাদি। চিত্রে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সমকালীন ঘটনাবলি ও জীবন উপস্থাপনে তিনি প্রকাশবাদ, বিমূর্ততা, কিউবিক পদ্ধতির মতো তাঁর সময়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন শিল্পরীতি ব্যবহার করেছেন। বাংলাদেশের বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত বাস্তবতা, গণকবর, বন্দিশিবিরে নারী, আদিবাসী জীবন- এসব বিষয় শিল্পী হামিদুর রাহমানের মানবতাবোধকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

১৯৭৩ সালে তিনি লন্ডন থেকে চলে যান কানাডায়। ১৯৭৫ সালে তিনি কানাডায় শিক্ষকতা শুরু করেন। শুরু হয় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস। কানাডায় বসবাস করা সত্ত্বেও বারবার দেশে ফিরে আসতে চেয়েছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও বেশ কয়েকবার ঢাকায় এসেছেন। বন্ধুবান্ধবদের কাছে বলেছেনও বাংলাদেশে থিতু হওয়ার কথা। ঢাকায় এসে বারবার চেষ্টা করেছেন শহীদ মিনারকে তাঁর স্বপ্নের রূপে গড়ে তুলতে। কিন্তু বারবারই তাঁকে ব্যর্থ হতে হয়েছে। ১৯৮৪ সালে ঢাকায় এলে সরকারের গণপূর্ত বিভাগ তাঁকে নিয়ে শহীদ মিনার পরিদর্শন করে এবং অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সে উদ্যোগও পরে আর বাস্তবায়িত হয়নি।

ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক শহীদ মিনারের নকশা প্রণয়ন ছাড়াও ঢাকার অনেক বিশিষ্ট ভবনের দেয়ালে শিল্পী হামিদুর রাহমান অনেক মুরাল করেছিলেন। ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরি ভবনের দেয়াল, এয়ারপোর্ট রোডে এম আর খানের বাসার ভেতরের দেয়াল, শাহবাগে সাকুরা রেঁস্তোরার ভেতরের দেয়াল, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ভবনের ভেতরের দেয়াল, পাকিস্তান স্টেট ব্যাংক ভবন, ব্যাংক অব আমেরিকার করাচি শাখার ভবন, আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি ভবন, জনতা ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংকের লন্ডন শাখার দেয়াল, ব্রাসেলসের জনতা ব্যাংক শাখার দেয়ালে হামিদুর রাহমানের করা মুরাল রয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিভিন্ন ভবন ও দেয়ালে যেসব মুরাল তিনি করেছেন সব মিলিয়ে সেসবের আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট। তাঁর করা উল্লেখ্যযোগ্য মরালের মধ্যে আছে ‘বোরাক দুলদুল’, ‘ফিশার ম্যান্স্ ভিলেজ’ ও ‘বোট কম্পোজিশন’। ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরির দেয়ালে এগুলো ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে করা হয়। ইংল্যান্ডের কমনওয়েলথ ইনস্টিটিউট গ্যালারিতে স্থায়ী প্রদর্শনী হিসেবে ৩২ ফুট / ১৩ ফুট আকারের ‘নদীমাতৃক বাংলাদেশ’ নামে একটি মুরাল রয়েছে। কানাডার ইন্টারন্যাশনাল ডাউসন কলেজ ভবনেও তিনি একটি মুরাল করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেয়ালে তাঁর মুরালের মোট আয়তন ২০ হাজার বর্গফুটেরও বেশি।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে তাঁর চিত্রকলার প্রদর্শনী হয়েছে। ১৯৫১ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর যেসব চিত্র প্রদর্শনী হয়েছে সে তালিকাও বিশাল। ১৯৭৩ সালে লন্ডনের কমনওয়েলথ ইনস্টিটিউট গ্যালারি তাঁর একটি একক চিত্র প্রদর্শনী স্পন্সর করে। ১৯৫৬ সালে লন্ডনে আয়োজিত কমনওয়েলথ চিত্র প্রদর্শনীতে তাঁর চিত্রকলা অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৬০ সালে ইতালির মিলানে গ্রুপ শোতে এবং ১৯৫৭ সালে ওয়াশিংটনের কালেক্টরস কর্নার গ্যালারিতে তাঁর চিত্রমালা প্রদর্শিত হয়। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে কানাডা ও ভারতের প্রধান প্রধান গ্যালারিতে তাঁর চিত্রের বেশকিছু প্রদর্শনী হয়। ১৯৮২ সালে কানাডার অটোয়ায় তাঁর কাজের একটি প্রদর্শনী হয়। ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালেও তাঁর চিত্রকর্মের প্রদর্শনী হয়েছে।

শিল্পচর্চার জন্য হামিদুর রাহমান দেশে ও বিদেশে পুরস্কৃত ও সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৭২ সালে ন্যাশনাল এক্সিবিশন অব বাংলাদেশী পেইন্টার্স-এ শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পান ‘মাদার অ্যান্ড স্মোক’ চিত্রের জন্য। ইরানের ফিফথ তেহরান বাইএনালে প্রথম পুরস্কার অর্জন করে তাঁর ‘ফ্লাওয়ার ইন মাই বডি’ চিত্রটি। কমনওয়েলথ পেইন্টার্স এক্সিবিশনে শ্রেষ্ঠ চিত্রের সম্মান অর্জন করে ‘বোট’। পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে ১৯৬২ সালে ন্যাশনাল এক্সিবিশন অব পেইন্টিংস অ্যান্ড স্কালপচার্সে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করে তাঁর ‘সানফ্লাওয়ার’ চিত্রটি। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁকে প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড অব প্রাইড অব পারফরমেন্স ফর পেইন্টিং পদক প্রদান করে, কিন্ত তিনি এ পদক প্রত্যাখ্যান করেন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮০ সালে তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক প্রদান করে।

১৯৮৮ সালের ১৯ নভেম্বর শিল্পী হামিদুর রাহমান প্রতিদিনের মতোই নাস্তার টেবিলে বসেছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ছিল তাঁর ছেলের বিয়ে। নাস্তার টেবিল ছেড়ে আর উঠতে পারেননি তিনি। হঠাত্‍ থেমে যায় তাঁর হৃদস্পন্দন। সুদূর কানাডার মন্ট্রিয়লে মৃত্যুকে বরণ করে নেন অমর এই শিল্পী। তবে তাঁর অন্তিম ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশের মাটিতে চিরশয্যা নেওয়ার। ২৫ নভেম্বর শিল্পী হামিদুর রাহমানের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এর পরের দিন আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবরের পাশে শিল্পী হামিদুর রাহমানকে কবর দেওয়া হয়।

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

জন্ম ও শৈশব-কৈশোর
চিত্রকর হামিদুর রহমানের জন্ম ১৯২৮ সালে পুরনো ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। বাবা মীর্জা এফ মোহাম্মদ ও মা জমিলা খাতুনের চার ছেলের মধ্যে হামিদ ছিলেন তৃতীয়। হামিদের বড় ভাই নাসির আহমদ ছিলেন সংস্কৃতিমনা ও ব্যবসায়ী। পরে নাজির আহমদ ছিলেন বিশিষ্ট বেতার ব্যক্তিত্ব। হামিদুর রাহমানের ছোট সাঈদ আহমদ বাংলাদেশের পথিকৃত নাট্যকারদের মধ্যে অন্যতম। পারিবারিক নাম হামিদ আহমদ হলেও পরে তিনি তা পরিবর্তন করে হামিদুর রাহমান করেন।

শিক্ষা
বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় থেকে চিত্রকলায় প্রাথমিক শিক্ষা নেওয়ার পর তিনি প্যারিসের ইকোল দ্য বোজ্ আর্টস থেকে সংক্ষিপ্ত শিক্ষা লাভ করেন। পরে লন্ডনের সেন্ট্রাল স্কুল অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন থেকে ১৯৫৬ সালে ডিগ্রি অর্জন করেন। এর মধ্যে ১৯৫৩ সালে ইতালির ফ্লোরেন্স একাডেমী দ্য বেল আর্ট থেকে মুরাল পেইন্টিংয়ের ওপরে গ্রীষ্মকালীন কোর্স সম্পন্ন করেন।

পেশা
হামিদুর রাহমান পেশাগত জীবনে কোথাও স্থির হননি। চিত্রশিল্পের নেশায় ঘুরে বেরিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। পেশায় চিত্রকলার শিক্ষক ছিলেন তিনি। ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় একাডেমী অব ফাইন আর্টসে ভিজিটিং লেকচারার হিসেবে কাজ শুরু করেন। সর্বশেষ অধ্যাপনা করেছেন কানাডার ম্যাকডোনাল্ড কার্টিয়ার পলিটেকনিক মন্ট্রিয়লে।

পরিবার
১৯৬০ সালে বিয়ে করেন হামিদুর রাহমান। হামিদুর রাহমান ও আশরাফ রাহমান দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে নাদিম রাহমান, ছোট ছেলে ফাহিম রাহমান, মেয়ে নওশাবা রাহমান।

উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম
ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক শহীদ মিনারের নকশা প্রণয়ন করেন হামিদুর রাহমান। পাকিস্তানের বিশিষ্ট অনেক ভবনের দেয়ালে তাঁর করা অনেক মুরাল রয়েছে। ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরির দেয়ালে মুরাল করেছেন তিনি। এছাড়া মুরাল করেছেন লন্ডন, করাচি, ব্রাসেলস ও কানাডার বিভিন্ন ভবনে। বিশ্বের বিভিন্ন দেয়ালে তাঁর মুরালের মোট আয়তন ২০ হাজার বর্গফুটেরও বেশি।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে তাঁর চিত্রকলার প্রদর্শনী হয়েছে। ১৯৭৩ সালে লন্ডনের কমনওয়েলথ ইনস্টিটিউট গ্যালারি তাঁর একটি একক চিত্র প্রদর্শনী স্পন্সর করে। ১৯৫৬ সালে লন্ডনে আয়োজিত কমনওয়েলথ চিত্র প্রদর্শনীতে তাঁর চিত্রকলা অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৬০ সালে ইতালির মিলানে গ্রুপ শোতে এবং ১৯৫৭ সালে ওয়াশিংটনের কালেক্টরস কর্নার গ্যালারিতে তাঁর চিত্রমালা প্রদর্শিত হয়। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে কানাডা ও ভারতের প্রধান প্রধান গ্যালারিতে তাঁর চিত্রের বেশ কিছু প্রদর্শনী হয়। ১৯৮২ সালে কানাডার অটোয়ায় তাঁর কাজের একটি প্রদর্শনী হয়। ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালেও তাঁর চিত্রকর্মের প্রদর্শনী হয়েছে।

পুরস্কার ও সম্মাননা
শিল্পচর্চার জন্য হামিদুর রাহমান দেশে ও বিদেশে পুরস্কৃত ও সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৭২ সালে ন্যাশনাল এক্সিবিশন অব বাংলাদেশি পেইন্টার্স-এ শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পান ‘মাদার অ্যান্ড স্মোক’ চিত্রের জন্য। ইরানের ফিফথ তেহরান বাইএনালে প্রথম পুরস্কার অর্জন করে তাঁর ‘ফ্লাওয়ার ইন মাই বডি’ চিত্রটি। কমনওয়েলথ পেইন্টার্স এক্সিবিশনে শ্রেষ্ঠ চিত্রের সম্মান অর্জন করে ‘বোট’। পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে ১৯৬২ সালে ন্যাশনাল এক্সিবিশন অব পেইন্টিংস অ্যান্ড স্কালপচার্সে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করে তাঁর ‘সানফ্লাওয়ার’ চিত্রটি। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁকে প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড অব প্রাইড অব পারফরমেন্স ফর পেইন্টিং পদক প্রদান করে, কিন্ত তিনি এ পদক প্রত্যাখ্যান করেন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮০ সালে তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক প্রদান করে।

মৃত্যু
শিল্পী হামিদুর রাহমান ১৯৮৮ সালের ১৯ নভেম্বর কানাডার মন্ট্রিয়লে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে ভাষা শহীদদের কবরের কাছাকাছি স্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তিনি।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই লেখাটির জন্য ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছেন নাট্যকার সাঈদ আহমদ। তাঁর সম্পাদনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত ‘হামিদুর রাহমান’ গ্রন্থটিও এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হয়েছে।

লেখক : ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.