GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

মুস্তাফা মনোয়ার

অবদানের ক্ষেত্র: শিল্পকলা
মুস্তাফা মনোয়ার

মুস্তাফা মনোয়ার

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

তখন ভাষা আন্দোলনের সময়। মুস্তাফা মনোয়ার ছিলেন নারায়ণগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্র। থাকতেন নারায়ণগঞ্জে মেজ বোনের বাড়িতে। নারায়ণগঞ্জ থেকেই তিনি শুনতে পেলেন ঢাকায় গুলি হয়েছে, কয়েকজন ছাত্র শহীদ হয়েছে। পাকিস্তানিরা বাংলা ভাষা বন্ধ করে দিতে চায়। সেই প্রেক্ষাপটে মুস্তাফা মনোয়ার ছবি আঁকতে শুরু করলেন এবং সেই ছবি বন্ধুদের সঙ্গে সারা নারায়ণগঞ্জ শহরের দেয়ালে দেয়ালে সেঁটে দিতে লাগলেন। ফলশ্রুতিতে পুলিশ এসে তাঁকে এবং তাঁর দুলাভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানকে বন্দি করে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে পাঠিয়ে দিলেন। দীর্ঘ একমাস কারাবাসের পর তিনি মুক্তি পেলেন।

ছবি আঁকার কারণে কিশোর বয়সে কারাবরণ করা এই শিল্পী কারাগার থেকে মুক্তির পর ছবি আঁকা থেকে কিন্তু পিছপা হননি। বরং তিনি ছবি আঁকায় আরও বেশি মনযোগী হয়েছিলেন। আর তাইতো পরবর্তীতে চিত্রশিল্পে তাঁর স্বতঃস্ফুর্ত পদচারণা, বাংলাদেশে নতুন শিল্প আঙ্গিক পাপেটের বিকাশ, টেলিভিশন নাটকে তাঁর অতুলনীয় কৃতিত্ব আমরা দেখতে পাই। তিনি শিল্পকলার উদার ও মহৎ শিক্ষক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন। দ্বিতীয় সাফ গেমসের ‘মিশুক’ নির্মাণ এবং ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনের লালরঙের সূর্যের প্রতিরূপ স্থাপনাসহ শিল্পের নানা পরিকল্পনায় তিনি বরাবর তাঁর সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।

১৯৩৫ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর এক শিল্পী পরিবারে মুস্তাফা মনোয়ারের জন্ম। তাঁর বাবা কবি গোলাম মোস্তফা ছিলেন ভীষণ শিল্পরসিক, তিনি শুধু কবিতা লিখতেন না, ভালো গানও গাইতেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার মনোহরপুর গ্রামে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কালী নদী। আর একপাশে বড় একটা বটগাছ। গ্রামের তিন দিকটাই খোলা, যতদূর চোখ যায় শুধু ফসলের মাঠ। মাঠের ওপাশে বহুদূর পর্যন্ত শুধু আকাশ। বাংলাদেশের গ্রাম বলতে তাঁর মনে নিজের গ্রামের ছবিটাই ভেসে ওঠে সবার আগে, যে গ্রামটি তিনি ছোটবেলায় দেখেছেন। তারপর কত গ্রামে গেছেন তিনি কিন্তু গ্রাম বলতে ঘুরেফিরে তাঁর ছেলেবেলার সেই মনোহরপুর গ্রামের ছবিই ভেসে ওঠে। ছেলেবেলায় তাঁর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগত গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ, মুক্ত মাঠ, আর যতদূর চোখ যায় কেবলই সবুজ শস্যক্ষেত। যখন সবুজ ধানের ক্ষেতের ওপর দিয়ে হাওয়া বইত তখন ধান ক্ষেতে খুব সুন্দর ঢেউ খেলে যেত। তিনি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকতেন। পরে একটা গান শুনতেন- ‘এমন ধানের ওপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে’- তখন স্পষ্ট মনে হতো এ ছবি তিনি দেখেছেন। বড় হয়ে যখন এরকম কোন কবিতা বা লেখা পড়তেন তখন মনে হতো এটা তো তাঁর দেখা।

প্রাকৃতিক দৃশ্যের সঙ্গে সঙ্গে বড় পুকুরে, বটগাছে আর নদীতে, বিলে বিস্তর হরিয়াল, শামুকভাঙা, চেগাপাখি, পানকৌড়ি, হাঁস আর লম্বা গলার বক দেখার স্মৃতি তাঁর আজও চোখে ভাসে । যে দেখার অভিজ্ঞতাকে তিনি তাঁর পাপেটে খুব বিস্তারে এবং বিশ্বাসে প্রয়োগ করে ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে’ গানটির কাহিনীরূপ উপস্থাপন করেছেন।

মুস্তাফা মনোয়ারের মা মারা যাওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল পাঁচ বছর। মা না থাকায় গ্রামের সবাই তাঁকে খুব স্নেহ করত। ছোটাবলায় প্রথম একবার তিনি পানিতে ডুবে যান, সে যাত্রায় পানিতে ঝাঁপ দিয়ে তাঁকে তাঁর মেজ বোন তাড়াতাড়ি উদ্ধার করেন। এরপর থেকে তাঁকে সবাই খুব চোখে চোখে রাখতেন। কিন্তু শিশু মনোয়ার সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে পালিয়ে গামছা দিয়ে ডোবায়, পুকুরে, বিলে এবং নদীতে মাছ ধরতে যেতেন।

মুস্তাফা মনোয়ারের বাবা কবি গোলাম মোস্তফা কর্মসূত্রে থাকতেন কলকাতায়। বাবার সঙ্গে তাই তাঁকেও অধিকাংশ সময় কলকাতায় থাকতে হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যেই তাঁর বাবা বেশ ঘটা করে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে মনোহরপুর চলে আসতেন। আসার সময় কলকাতা থেকে অনেক গুণীজনকেও তিনি গ্রামে নিয়ে আসতেন এবং গ্রামময় গানবাজনা আর লাঠিখেলার উৎসব আয়োজন করতেন। এসব আয়োজন হতো তাঁদের বাড়ির সামনের উন্মুক্ত কাচারি ঘরকে ঘিরে। এখানে নিয়মিত অতিথি হতেন কন্ঠ শিল্পী আব্বাস উদ্দিন। আর তিনি এলে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দরাজ গলার গান ছিল ধরাবাঁধা।

কলকাতায় তাঁর প্রিয় খাবার ছিল আইসক্রিম আর চকলেট। একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে চকলেট কিনে একটা বাড়ির সামনে দিয়ে দৌড় দেওয়ার সময় একটা কুকুর এসে তাঁকে কামড়ে দিল। তাঁর পা দিয়ে রক্ত পড়ছিল। তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো এবং ডাক্তার তাঁকে ১৪টি ইনজেকশন দিল।

কলকাতায় থাকতে অনেক ছোট বয়স থেকেই মুস্তাফা মনোয়ার গ্রামোফোন বাজাতেন। রেকর্ড বাজালেই মনোয়ার রেকর্ডের সামনে গিয়ে বসে থাকতেন এবং তাঁর পছন্দের গানগুলো যেকোনো রেকর্ড থেকে বের করে দিতে পারতেন। তখন তাঁর অক্ষর পরিচয় হয়নি এবং রেকর্ডের সবগুলোর চেহারা ছিল একই রকমের। রেকর্ড থেকে পছন্দের গান বের করার এই প্রতিভা দেখে তাঁর বাবা বেশ অবাক হয়েছিলেন এবং বন্ধুবান্ধবকে ডেকে দেখাতেন। কবি নজরুল ইসলামকেও মুস্তাফা মনোয়ারের এই প্রতিভা দেখিয়েছিলেন তাঁর বাবা।

মুস্তাফা মনোয়ার প্রথম ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার শিশু বিদ্যাপীঠে। এই স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি গান হতো, ব্রতচারী হতো। স্কুলে পড়ার সময় তিনি বাবা ও বড়ভাইয়ের কাছ থেকে সঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলেন। সঙ্গীতের শিক্ষায় তাঁর প্রথম শেখা রাগের নাম হচ্ছে জৈনপুরি।

তিনি যখন আর্ট কলেজে পড়তে শুরু করেন তখন নতুন করে আবার সঙ্গীত শিক্ষার সূচনা করেন ওস্তাদ ফাইয়াজ খানের শিষ্য ওস্তাদ সন্তোষ রায়ের কাছে। আর্ট কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময়ে তিনি ‘হিজ মাস্টার ভয়েস কম্পিটিশনে’ অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে একক সঙ্গীত পরিবেশনার জন্য বশীর আহমেদ এবং সুবীর সেনের সঙ্গে যুগ্মভাবে সেরা গায়ক নির্বাচিত হন। প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরীর দলে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত থেকে গান করেছিলেন। পরে ছবি আঁকার ব্যস্ততার কারণে মুস্তাফা মনোয়ারের আর গান গাওয়া হয়নি। কিন্তু সুর থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন নন কোনোদিনই। তাঁর পাপেট শিল্প সুর. কথা, গান অভিনয়, চিত্রকলা, কবিতা সব শিল্পকেই ধরে রেখেছে।

বাবা গোলাম মোস্তফার ফটোগ্রাফি চর্চা আর বইয়ের ইলাস্ট্রেশন দেখে এবং মেজ ভাই মুস্তাফা আজিজের ছবি আঁকা দেখে তিনি শিল্পকলার বহু দিকের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ওঠেন। কলকাতার বালিগঞ্জ হাইস্কুল থেকে কবি গোলাম মোস্তফা যখন হুগলি কলেজিয়েট স্কুলে গেলেন তখন মুস্তাফা মনোয়ার এখানকার গঙ্গার বিস্তৃতি দেখে খুশি হয়ে ওঠেন। আর এখানে এসেই তাঁর শিল্পী জীবনের সচেতন যাত্রা শুরু হয়।

নারায়ণগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে মুস্তাফা মনোয়ার কলকাতায় গিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হন সায়েন্সে। পড়ালেখায় মনোযোগ তাঁর কোনোদিনই ছিল না, তার উপর আবার কলেজে ভর্তি হয়েছেন সায়েন্সে, অথচ অঙ্কে ভীষণ কাঁচা। তখন তাঁদের কলেজে দু মাস পরপর ক্লাস পরীক্ষা হতো। ভালো নম্বর যাঁরা পেতেন ক্লাসে সবার সামনে তাঁদের ডেকে সবাইকে দেখানো হতো। একদিন স্যার অঙ্কের খাতা দিতে এসে কয়েকজন ভালো নম্বরধারী ছাত্রের নাম ধরে ডাকলেন এবং খাতা দেওয়ার পর হঠাত্‍ বেশ নাটকীয় ভঙ্গিতে বলে উঠলেন ‘মুস্তফা মনোয়ার।’ বেশ হাসি হাসি মুখ নিয়ে মুস্তাফা মনোয়ার উঠে দাঁড়ালেন। শিক্ষক তো তাঁর মুখে হাসি দেখে অবাক, ‘এই ছেলে, তুমি কত পেয়েছ জানো? হাসছো! তুমি চার পেয়েছ।’ ছেলেটা আরো হাসছে। ‘এখনো হাসছ! লজ্জা করছে না! অঙ্কে কেউ কোনোদিন চার পায়?’ ছেলেটা বলল, ‘স্যার কোন অঙ্কটা ঠিক হয়ে গেল, তাই ভেবে হাসছি।’

অঙ্কে এত খারাপ করে সায়েন্সে পড়া মুশকিল। এসময় বিপদ থেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। মুস্তাফা মনোয়ারদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকতেন এই গুণী লেখক। খুব রসিক মানুষ, অনেক নামডাক, দেশ-বিদেশ বেড়িয়েছেন। তিনি মাঝে মাঝে তাঁর ছবি দেখতেন এবং খুব প্রশংসা করতেন। মুজতবা আলী একদিন বললেন, ছেলেটার এত ভালো গুণ সায়েন্স পড়ে নষ্ট হবে! তিনি মুস্তফা মনোয়ারের বড় ভাবির সঙ্গে তাঁকে কলকাতা আর্ট কলেজে নিয়ে গেলেন। শিল্পী রমেন চক্রবর্তী তাঁর আঁকাআঁকি দেখে খুশি হয়ে তাঁর ভর্তির ব্যবস্থা করলেন। সৈয়দ মুজতবা আলী প্রতিভা চিনতে ভুল করেননি। ১৯৫৯ সালে কলকাতা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় থেকে ফাইন আর্টসে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন মুস্তাফা মনোয়ার।

১৯৬৫ সালে মেরী মনোয়ারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মুস্তাফা মনোয়ার। পারিবারিক উদ্যোগে তাঁরা বিয়ে করেছেন । মেরী মনোয়ার তখন পড়াশোনা শেষ করে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে শিক্ষকতা করতেন। এছাড়া ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড টেক্সট বুক বোর্ডে কাজ করেছেন। বেশ কিছুদিন ঢাকা মিউজিক কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবেও কর্মরত ছিলেন মেরী মনোয়ার। এছাড়া ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাঁদের এক ছেলে সাদাত মনোয়ার এবং এক মেয়ে নন্দিনী মনোয়ার।

মুস্তাফা মনোয়ার কর্মজীবন শুরু করেন পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে । এরপর একে একে কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপমহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ঢাকা’র জেনারেল ম্যানেজার এবং এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি জনবিভাগ উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং এডুকেশনাল পাপেট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জাপান ব্রডকাষ্টিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, এন এইচ কে শিক্ষামূলক টিভি অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও প্রযোজনা কোর্সে; বিবিসি লন্ডন, যুক্তরাজ্য, টেলিভিশন প্রযোজনা কৌশলে এবং এন এইচ কে, জাপান, উর্দ্ধতন অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কোর্সে। বিভিন্ন সময়ে বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৭২ সালে বিটিভি থেকে প্রচারিত শিশু প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে জনপ্রিয় ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানের রূপকার তিনি। এছাড়া বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান নির্মাণের দায়িত্ব পালন করে প্রশংসিত হয়েছেন ।

ওয়ার্ল্ড ভিউ ফাউন্ডেশন আয়োজিত শ্রীলঙ্কা, কলম্বোতে এ্যানিমেশন এ্যান্ড পাপেট ফর টিভি শীর্ষক সম্মেলনে রিসোর্স পারসন হিসেবে, ১৯৯১ সালে সিঙ্গাপুরস্থ এশিয়ান ম্যাস কমিউনিকেশন রিসার্চ ইনফরমেশন সেন্টার আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে এবং ১৯৯২ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিসেফ আঞ্চলিক দফতর নেপালে অনুষ্ঠিত মা ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন মুস্তাফা মনোয়ার। ১৯৭১ সালে ভারতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় প্রথম বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দলের নেতৃত্ব দান করেন। ১৯৭৬ সালে মস্কোয় অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দান করেন। ১৯৮০ সালে হংকং-এ অনুষ্ঠিত এশিয়ান সাংস্কৃতিক উৎসবে অনুষ্ঠান পরিচালকরূপে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি। তাসখন্দে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পাপেট সম্মেলনে বাংলাদেশ পাপেট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দান ও শো প্রদর্শন করেন। এছাড়া তিনি আরও বহু দেশ সফর করেন।

২য় ও ৬ষ্ঠ সাফ গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ডিরেক্টর ও ভিজুয়ালাইজার এর দায়িত্ব পালন করেন মুস্তাফা মনোয়ার। অনুষ্ঠানটি দর্শক শ্রোতা কতৃক খুব প্রশংসিত হয়েছে। ২য় সাফ গেমস-এর মাসকট ‘মিশুক’, ১০ ফুট উঁচু হরিণ শাবক এবং ৬ষ্ঠ সাফ গেমস এর মাসকট ‘অদম্য’ একটি বড় বাঘরূপী জীবন্ত পাপেট নির্মাণ তাঁর একটি বড় সাফল্য। পরবর্তীতে ‘মিশুক’-এর একটি প্রতিরূপ তৈরী করে ঢাকা শহরের প্রধান কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও বিশিষ্ট নৃত্য পরিকল্পনাকারী এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৫ সালে সার্ক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান নির্মাণের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। নির্মিত অনুষ্ঠানটি দেশে এবং বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশের চিত্রশিল্পে জলরঙের চর্চায় তিনি অবদান রেখেছেন। জলরং ছাড়াও তেলরং ও গ্রাফিক্সে শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ারের দক্ষতার স্বীকৃতি মিলেছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে।

কলকাতা আর্ট কলেজ থেকে পাস করার পর ঢাকা আর্ট কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি প্রথম পাপেট নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। গ্রামবাংলার পুতুলনাচ ছোটবেলাতেই তাঁকে আকৃষ্ট করেছিল। আর এখন তো বাংলাদেশের পাপেটচর্চার অন্যতম প্রাণপুরুষ তিনি। বাংলাদেশে পাপেট তৈরি ও কাহিনী সংবলিত পাপেট প্রদর্শনের তিনিই মূল উদ্যোক্তা। কলকাতা আর্ট কলেজে পড়তে গিয়ে তিনি প্রথম ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের পাপেট দেখেছিলেন। পাপেট নিয়ে বহুদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাঁর আছে। প্রথমবার তিনি তাঁর নিজের পাপেট দলসহ বাংলাদেশের ফোক পাপেট দল ধনমিয়াকে নিয়ে মস্কো ও তাশখন্দ সফর করেন। সেখানে বাংলাদেশের ফোক পাপেট ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। মুস্তাফা মনোয়ার তাঁর সফল শিল্পকর্মের স্পন্দনে বাংলাদেশের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যকে গেঁথে দিতে সিদ্ধহস্ত। যে কারণে তাঁর পাপেটের কেন্দ্রীয় চরিত্র হয় পারুল। ‘পারুল’ নামটির সঙ্গে সঙ্গে সেই সাত ভাই জাগানো লোককথার কথা মনে হয়। পারুল বোন একটিই, সেই-ই তো একদিন সাত ভাইকে জাগিয়েছিল। এই মর্ত্যে আবার নবজাগরণের ঘটনাটা খুব সম্ভবত শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার সেই ‘পারুল’ বোনটির মাধ্যমেই ঘটাতে চান। কেননা, তিনি তাঁর পাপেটকে এখন আনন্দময় শিক্ষা কর্মসূচিতে প্রয়োগ করতেই অধিক ব্যস্ত। ১৯৬০-৬১ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কলিম শরাফী তাঁর একটি ডকুমেন্টারিতে সর্বপ্রথম মুস্তাফা মনোয়ারের পাপেটকে অন্তর্ভুক্ত করেন।

টেলিভিশনে ‘আজব দেশে’ অনুষ্ঠানে নিয়মিতভাবে তিনি ‘বাঘা’ ও ‘মেনি’ চরিত্র রচনা করে পাপেট প্রদর্শনী করেন। এটা ৬৭-৬৮ সালের ঘটনা। কাহিনীতে দেশের পলিটিক্যাল পরিবেশ এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিরোধী পাকিস্তানী মনোভাবের প্রকাশকে ব্যঙ্গ করা হত পাপেট নাটকের মাধ্যমে। এই সঙ্গে ছোটদের ছবি আঁকা ও দেশের সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ প্রকাশ করা হত। অনুষ্ঠানের তিনি পরিকল্পক ও উপস্থাপক ছিলেন।

টেলিভিশনে নতুন শৈলীর অনুষ্ঠান নির্মাণে মুস্তাফা মনোয়ার বরাবর অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছেন। টেলিভিশনে তাঁর প্রযোজিত শেক্সপিয়রের ‘ট্রেমিং অব দি শ্রু’র, মুনীর চৌধুরী অনূদিত বাংলা টেলিভিশন নাটক ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ এবং রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ ইতিহাস সৃষ্টি করে আছে। এই নাটক দুটি যুক্তরাজ্যের গ্রানাডা টিভির ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি অব টিভি ড্রামা’র জন্য মনোনীত হয়। সার্কভুক্ত দেশের টেলিভিশনের জন্য নির্মিত শিশুদের শিক্ষামূলক মীনা কার্টুন বা আনিমেশন ফিল্মের পরিকল্পকদের মধ্যেও তাঁর সক্রিয় অবস্থান ছিল। টেলিভিশনের ছোট স্টুডিওতে ত্রিমাত্রিকতা রচনা করে তিনি তাঁর উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রকাশ করেন।

কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত করা হয় শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ারকে। ১৯৫৭ সালে কলকাতার একাডেমী অফ ফাইন আর্টস আয়োজিত নিখিল ভারত চারু ও কারুকলা প্রদর্শনীতে গ্রাফিক্স শাখায় শ্রেষ্ঠ কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চারুকলা প্রদর্শনীতে তেলচিত্র ও জলরঙ শাখার শ্রেষ্ঠ কর্মের জন্য দুটি স্বর্ণপদক পান। চারুকলার গৌরবময় অবদান ও কীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক-এ ভূষিত হন তিনি। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে টিভি নাটকের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য টেনাশিনাস পদক লাভ করেন। চিত্রশিল্প, নাট্য নির্দেশক এবং পাপেট নির্মাণে অবদানের জন্য শিশু কেন্দ্র থেকে ২০০২ সালে বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন। ১৯৯২ সালে চারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৯ সালে শিশু শিল্পকলা কেন্দ্র কিডস কালচারাল ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম কর্তৃক কিডস সম্মাননা পদক-১৯৯৯-এ ভূষিত হন। ২০০২ সালে চারুকলা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী কতৃর্ক ঋষিজ পদক-২০০২ ভূষিত হন। এছাড়া তিনি আরও বহু পুরস্কারে ভূষিত হন।

সংক্ষিপ্ত জীবনী:
জন্ম: ১৯৩৫ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর এক শিল্পী পরিবারে মুস্তাফা মনোয়ারের জন্ম।

বাবা: কবি গোলাম মোস্তফা।

মা: মার নাম জমিলা খাতুন। তাঁর যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তাঁর মা মারা যায়।

ভাই-বোন: তাঁরা ছয় ভাই-বোন। মুস্তাফা মনোয়ার ভাই-বোনদের মধ্যে সবার ছোট।

পড়াশুনা:মুস্তাফা মনোয়ার প্রথম ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার শিশু বিদ্যাপীঠে। নারায়ণগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে তিনি কলকাতায় গিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হন সায়েন্সে। কিন্তু সেখানে তিনি পড়াশুনা না করে কলকাতা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৯ সালে কলকাতা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় থেকে ফাইন আর্টসে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন মুস্তাফা মনোয়ার।

বিয়ে ও পরিবার: ১৯৬৫ সালে মেরী মনোয়ারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মুস্তাফা মনোয়ার। পারিবারিক উদ্যোগে তাঁরা বিয়ে করেছেন । মেরী মনোয়ার তখন পড়াশোনা শেষ করে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে শিক্ষকতা করতেন। এছাড়া ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড টেক্সট বুক বোর্ডে কাজ করেছেন। বেশ কিছুদিন ঢাকা মিউজিক কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবেও কর্মরত ছিলেন মেরী মনোয়ার। এছাড়া ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাঁদের এক ছেলে সাদাত মনোয়ার এবং এক মেয়ে নন্দিনী মনোয়ার।

কর্মজীবন: মুস্তাফা মনোয়ার কর্মজীবন শুরু করেন পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে। এরপর একে একে কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপমহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ঢাকা’র জেনারেল ম্যানেজার এবং এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি জনবিভাগ উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং এডুকেশনাল পাপেট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জাপান ব্রডকাষ্টিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, এন এইচ কে শিক্ষামূলক টিভি অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও প্রযোজনা কোর্সে; বিবিসি লন্ডন, যুক্তরাজ্য, টেলিভিশন প্রযোজনা কৌশলে এবং এন এইচ কে, জাপান, উর্দ্ধতন অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কোর্সে। বিভিন্ন সময়ে বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৭২ সালে বিটিভি থেকে প্রচারিত শিশু প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে জনপ্রিয় ‘নতুন কুঁড়ির’ রূপকার তিনি। এছাড়া বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান নির্মাণের দায়িত্ব পালন করে প্রশংসিত হয়েছেন ।

মূল লেখক : সাইমন জাকারিয়া
পুনর্লিখন : গুণীজন দল

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.