তাঁর জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। তাঁর বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীন কৃষক। তাঁরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। কোনরকমে খেয়ে দিন কাটতো তাঁদের। একটা ছনের ঘরে তাঁরা সবগুলো ভাই-বোন আর বাবা-মা একসঙ্গে থাকতেন। দারিদ্র্য কী জিনিস, তা তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছেন- খাবার নেই, পরনের কাপড় নেই; কী এক অবস্থা!
তাঁর মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই তাঁর পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি ভর্তি হন। কিন্তু তাঁর পরিবারে এতটাই অভাব যে, তিনি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলেন, তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলো না। বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন। তাঁকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো।
তাঁদের একটা গাভী আর কয়েকটা ছাগল ছিল। তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতেন। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতেন। এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতেন, তাতে কোনরকমে দিন কাটছিল। কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রির আয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে তিনি পান-বিড়ির দোকান দিলেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতেন। পড়াশোনা তো বন্ধই, আদৌ করবেন- সেই স্বপ্নও ছিল না!
এক বিকেলে বড় ভাই তাঁকে বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে। তখন তাঁর গায়ে দেয়ার মতো কোন জামা নেই। খালি গা আর লুঙ্গি পরে তিনি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চললেন। স্কুলে পৌঁছে তিনি তো বিস্ময়ে হতবাক! চারদিকে এত আনন্দময় চমত্কার পরিবেশ! তাঁর মনে হলো, তিনিও তো আর সবার মতোই হতে পারতেন। সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি আবার স্কুলে ফিরে আসবেন।
নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললেন, তিনি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারেন না? তাঁর বলার ভঙ্গি আর করুণ চাহনি দেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা তাঁর বড় ভাইয়ের মনে দাগ কাটল তিনি বললেন, ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপ করবো।
পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলেন। বড় ভাই তাঁকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন। তিনি বাইরে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট শুনতে পেলেন, ভাই বলছেন তাঁকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেয়া হয়। কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতে বললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয়!
স্যারের কথা শুনে তাঁর মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন, স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাত্ হয়ে গেল। তবু বড় ভাই তাঁকে পীড়াপীড়ি করে তাঁর পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি যোগাড় করলেন। পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি। বাড়ি ফিরে তিনি মাকে বললেন, তাঁকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে। তিনি আর এখানে থাকবেন না। কারণ ঘরে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই- তাঁর কোন বইও নেই, কিন্তু তাঁকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে। মা তাঁকে বললেন, কোথায় যাবি? তিনি উত্তর দিলেন, তাঁর এককালের সহপাঠী এবং এখন ক্লাসের ফার্স্টবয় মোজাম্মেলের বাড়িতে তিনি যাবেন। দুরু দুরু মনে মোজাম্মেলের বাড়ি গেলেন। সবকিছু খুলে বলতেই তাঁর মা সানন্দে রাজি হলেন। তাঁর খাবার আর আশ্রয় জুটলো; শুরু হলো নতুন জীবন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলেন তিনি। প্রতিক্ষণেই হেডস্যারের সেই অবজ্ঞাসূচক কথা মনে পড়ে যায় তাঁর, জেদ কাজ করে মনে; আরো ভালো করে পড়াশোনা করেন।
যথাসময়ে পরীক্ষা দিলেন। ফল প্রকাশের দিন তিনি স্কুলে গিয়ে প্রথম সারিতে বসলেন। হেডস্যার ফলাফল নিয়ে এলেন। তিনি লক্ষ্য করলেন, পড়তে গিয়ে স্যার কেমন যেন দ্বিধান্বিত। আড়চোখে তাঁর দিকে তাকাচ্ছেন। তারপর ফল ঘোষণা করলেন। তিনি প্রথম হয়েছেন! খবর শুনে বড় ভাই আনন্দে কেঁদে ফেললেন। শুধু তিনি নির্বিকার- যেন এটাই হওয়ার কথা ছিল।
তাঁর জীবনযাত্রা এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। তিনি রোজ স্কুলে যান। অবসরে সংসারের কাজ করেন। ইতিমধ্যে স্যারদের সুনজরে পড়ে গেছেন তিনি। ফয়েজ মৌলভী স্যার তাঁকে তাঁর সন্তানের মতো দেখাশুনা করতে লাগলেন। সবার আদর, যত্ন, স্নেহে তিনি প্রথম হয়েই পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলেন। এতদিনে গ্রামের একমাত্র মেট্রিক পাস তাঁর মফিজউদ্দিন চাচা তাঁর খোঁজ নিলেন। এই চাচার বাড়িতে তাঁর আশ্রয় জুটলো।
তিনি যখন সপ্তম শ্রেণী পেরিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে উঠবেন, তখন তাঁর চাচা একদিন কোত্থেকে যেন একটা বিজ্ঞাপন কেটে নিয়ে এসে তাঁকে দেখালেন। ওটা ছিল ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞাপন। যথাসময়ে ফর্ম পূরণ করে পাঠালেন। এখানে বলা দরকার, তাঁর নাম ছিল আতাউর রহমান। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফর্মে স্কুলের হেডস্যার তাঁর নাম আতিউর রহমান লিখে চাচাকে বলেছিলেন, ‘এই ছেলে একদিন অনেক বড় কিছু হবে। দেশে অনেক আতাউর আছে। ওর নামটা একটু আলাদা হওয়া দরকার; তাই আতিউর করে দিলাম।’
তিনি রাত জেগে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলেন। নির্ধারিত দিনে চাচার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে রওনা হলেন। যাই হোক পরীক্ষা দিলেন; তিনি ভাবলেন চান্স হবে না। কিন্তু দুই মাস পর চিঠি পেলেন, তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে।
সবাই খুব খুশি; কেবল তিনিই হতাশ। তাঁর একটা প্যান্ট নেই, যেটা পরে তিনি যাবেন। শেষে স্কুলের কেরানি কানাই লাল বিশ্বাসের ফুলপ্যান্টটা ধার করলেন। আর একটা শার্ট যোগাড় হলো। তিনি আর চাচা অচেনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিলেন। এখানেও তিনি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হলেন। কিন্তু মাসে ১৫০ টাকা বেতন দিতে হবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বৃত্তি দেয়া হবে, বাকি ৫০ টাকা তাঁর পরিবারকে যোগান দিতে হবে। চিঠি পড়ে তাঁর মন ভেঙে গেল। যেখানে তাঁর পরিবারের তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, সেখানে প্রতি মাসে ৫০ টাকা বেতন যোগানোর কথা চিন্তাও করা যায় না!
আর কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে তিনি তাঁর স্কুলের ফয়েজ মৌলভী স্যারের কাছে গেলেন। তিনি বললেন, আমি থাকতে চিন্তার কোন কারণ নেই। পরদিন ফয়েজ স্যার তাঁর আরো দুইজন সহকর্মী আর তাঁকে নিয়ে হাটে গেলেন। সেখানে গামছা পেতে দোকানে দোকানে ঘুরলেন। সবাইকে বিস্তারিত বলে সাহায্য চাইলেন। সবাই সাধ্য মতো আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা দিলেন। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকা হলো। আর চাচারা দিলেন ৫০ টাকা। এই সামান্য টাকা সম্বল করে তিনি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলেন। যাতায়াত খরচ বাদ দিয়ে তিনি ১৫০ টাকায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করলেন। শুরু হলো অন্য এক জীবন।
প্রথম দিনেই এম.ডাবি্লউ.পিট স্যার তাঁকে দেখতে এলেন। তিনি সবকিছু খুলে বললেন। তিনি পিট স্যারকে আরো জানালেন, যেহেতু তাঁর আর বেতন দেয়ার সামর্থ্য নেই, তাই তিন মাস পর ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সব শুনে স্যার তাঁর বিষয়টা বোর্ড মিটিঙে তুললেন এবং পুরো ১৫০ টাকাই বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
এতক্ষণ যাঁর কঠোর সংগ্রামী জীবনের গল্প বলা হলো তিনি হলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ, ড. আতিউর রহমান। তাঁর দীর্ঘ গবেষণা জীবনে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন অসংখ্য গবেষণা কর্মের সাথে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে তিনি সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বেগবান করেছেন। অর্থনীতি ছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার ও সংস্কৃতি বিষয়ক কার্যক্রমের তিনি একজন সক্রিয় কর্মী।
আতিউর রহমান জামালপুর সদর থানার দিঘপাইত ইউনিয়নের পূর্বপাড় দিঘুলী গ্রামে ১৯৪৯ সালের ২৮ নভেম্বর (বাংলা ১২ই অগ্রহায়ন, ১৩৫৬) জন্মগ্রহণ করেন। সার্টিফিকেট অনুযায়ী অবশ্য তাঁর জন্ম তারিখ ৩রা আগষ্ট ১৯৫১ সাল। ক্যাডেট কলেজের সব ছাত্রদের মধ্যে প্রথম এবং ঢাকা বোর্ডের মেধা তালিকায় পঞ্চম হয়ে তিনি ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এস.এস.সি. পাশ করলেন। ১৯৭০ সালে একই কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. পাশ করলেন। এখানেও কলেজের মধ্যে প্রথম এবং মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করলেন তিনি। এরপর ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স এবং ১৯৭৬ সালে মাস্টার্স পাশ করার পর কমনওয়েলথ স্কলারশীপ নিয়ে পড়তে গেলেন লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে ১৯৭৯ সালে আবার মাস্টার্স করার পর ভর্তি হলেন এম.ফিল.-এ। মাস ছয়েকের মধ্যেই তাঁকে পিএইচ.ডি.-তে ট্রান্সফার করে দেয়া হলো। তিনি পিএইচ.ডি. শেষ করলেন ১৯৮৩ সালে।
১৯৭৫ সালে মাস্টার্স পড়াকালীন তিনি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ড. আতিউর রহমানের কর্মজীবনের শুরু বলতে ওটাই। এরপর ১৯৮৩ সালে পিএইচ.ডি. শেষ করে দেশে ফিরে তিনি যোগ দিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (BIDS)-এ। কর্মজীবনের প্রায় সাতাশটি বছর তিনি পার করেছেন এই প্রতিষ্ঠানের সাথে। এছাড়া তিনি উন্নয়ন সমন্বয়-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এগুলোর মধ্যে আছে জনতা ব্যাংক অফ ডিরেকটরস-এর চেয়ারম্যান, সোনালী ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেকটরস এর সদস্য, পরিবেশ বিষয়ক ত্রৈমাসিক জার্নাল ইকোফাইল (Ecofile) এর সম্পাদক, বাংলাদেশ ইকোনমিক এসোসিয়েশান এর সাধারণ সম্পাদক, ক্রেডিট এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (CDF) এর অ্যাডভাইজার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, ব্রাক এবং প্রশিকা ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষক, বিআইডিএস থেকে প্রকাশিত জার্নাল বাংলাদেশ উন্নয়ন সমীক্ষার বোর্ড অফ এডিটরস এর চেয়ারম্যান ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এগুলোর মধ্যে ১৯৯৭ সালে দারিদ্র দূরীকরণে বিভিন্ন নির্দেশনার পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য মালদ্বীপে প্রেরিত জাতিসংঘের মিশনে নেতৃত্বদান, ১৯৯৪ সালে ইউ.এন.ডি.পি কান্ট্রি প্রোগ্রাম-ভি এর মিড-টার্ম রিভিউ এর সদস্য, ১৯৮৯; সালে এগ্রিকালচার সেক্টর রিভিউ এর অংশ হিসেবে ইউ.এন.ডি.পি ঢাকার জন্য ‘ক্রেডিট ফর দির পুওর’ নামে একটি স্টাডি করা ইত্যাদি কাজগুলো উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও দেশে এবং দেশের বাইরের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. আতিউর রহমান জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় এক বছরের মধ্যে এই ব্যাংকের ছেচল্লিশটা শাখায় কম্পিউটার সংযোজন করা সম্ভব হয়েছিল। তিনি এই ব্যাংকে এক বছরের কিছু বেশি সময় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই এক বছরের মধ্যেই জনতা ব্যাংকের ওয়েবসাইট চালু করেছিলেন এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করেছিলেন। একটা বিরাট ফান্ড যাতে গরীবরাও পায় সেজন্য লিন্কেজ (Linkage)প্রোজেক্টসহ নানা রকম প্রোজেক্ট চালু করেছিলেন। এছাড়া মেয়েরা যাতে টাকা পায় সেজন্য চালু করেছিলেন উইমেন এনটারপ্রোনারশীপ প্রোজেক্ট। এরকম আরও অনেক নতুন নতুন প্রকল্প চালু করেছিলেন তিনি। এই ব্যাংকে এখনও তাঁর প্রকল্পগুলো চালু আছে। জনতা ব্যাংকে তাঁর কাজের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি হচ্ছে ঐ বছরই জনতা ব্যাংক ‘বেস্ট ব্যাংক অফ দি ইয়ার’ পুরস্কার লাভ করে।
তিনি যখন উন্নয়ন সমন্বয়-এ ছিলেন তখন উন্নয়ন সমন্বয় থেকে তিনি এবং তাঁর কয়েকজন সহকর্মী বাংলাদেশের বাজেট নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন। তাঁরা বলেছেন, বাজেটকে সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় প্রণয়ণ করতে হবে। গরীবের জন্য বাজেট কেমন হওয়া উচিত, কোথায় কোথায় প্রাধান্য দেয়া উচিত ইত্যাদি বিষয়ে গ্রামের মানুষদের নিয়ে এবং বর্তমান ও সাবেক অর্থমন্ত্রীদের সাথে তাঁরা বসে আলোচনা করেছেন। কিভাবে বাজেট করলে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়ানো যায় এগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাঁরা বিকল্প একটি বাজেট তৈরি করেছিলেন। গরীবের বাজেট এবং জনগণ ও বাজেট নামে তিনি দুটি বইও লিখেছেন।
ড. আতিউর রহমান বিভিন্ন ধরণের সামাজিক আন্দোলনের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের সাথে জড়িত। পরিবেশের প্রতি ভালবাসা থেকেই বিপন্ন পরিবেশকে বাঁচাতে তিনি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গঠন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। এখানে কমিটি মেম্বার এবং বাজেট কমিটির কনভেনার হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আছে ‘সুশিক্ষা আন্দোলন’ জনগণকে সুশিক্ষা দেবার জন্য সামাজিক একটা চাপ সৃষ্টি করাই এর লক্ষ্য। এছাড়া জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য পিপল্স হেলথ মুভমেন্ট ইত্যাদি সামাজিক আন্দোলন গুলোর সাথে তিনি জড়িত। এছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ভোক্তাদের অনেকগুলো আন্দোলনের সাথে তিনি জড়িত।
গবেষণাধর্মী কাজের প্রতিই তাঁর আগ্রহ বেশি। তবে যাঁরা শুধুই গবেষণা করেন তিনি তাঁদের দলে নয়। গবেষণার সাথে সাথে ফলাফল অর্থাত্ কি পেলেন এই জিনিসটি তিনি সবাইকে তাঁর বইয়ের মাধ্যমে, লেখার মাধ্যমে, টেলিভিশনের মাধ্যমে জানাতে চান। তিনি নিজেকে একজন সক্রিয় অর্থনীতিবিদ মনে করেন। তিনি শুধু ঘরে বসে কাজ করেন না। তাঁর গবেষণালব্ধ জ্ঞানটাকে বা জানাটাকে তিনি সবার সাথে ভাগ করে নিতে চান। ব্যাংকিং সেক্টরে বা এনজিওদের বোর্ডে তাঁর কাজ করার উদ্দেশ্যই হলো তিনি যেটা ভাবেন সেটার ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখতে চান। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ খুঁজে পান তাঁর লেখার মাঝে।
ড. আতিউর রহমান অনেক বইয়ের রচয়িতা। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ত্রিশটার বেশি বই লিখেছেন। তাঁর লেখা ‘পিজেন্টস এন্ড ক্লাসেস’ বইটি হার্ভার্ড, কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড-সহ বিশ্বের সমস্ত বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রেফারেন্স বই হিসেবে পড়ানো হয়। লন্ডন ও দিল্লী থেকে একই সাথে বইটা প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রামীণ ব্যাংকের উপরও তাঁর কয়েকটা প্রকাশনা আছে, সেগুলো দেশে ও দেশের বাইরে খুবই সমাদৃত। দেশের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশী প্রশংসা পেয়েছেন ‘ভাষা আন্দোলনের আর্থ সামাজিক পটভূমি’ নামে গবষণাধর্মী বইটা লিখে। মুক্তিযুদ্ধের উপর তাঁর ট্রিলজি বের হয়েছে। তিনি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কাজ করেছেন।
তিনি সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে পৃথিবীটাকে দেখতে চান। তাঁর মতে দারিদ্র এক চরম সত্য। দারিদ্রের দুঃখ, কষ্ট এবং অপমান তিনি সহ্য করেছেন। আর সেজন্য তিনি তাঁর চিন্তার মাধ্যমে, লেখার মাধ্যমে, কথার মাধ্যমে দারিদ্র দূর করার চেষ্টা করেন সর্বদা। তাঁর প্রতিটি লেখাতে পাওয়া যাবে দরিদ্র মানুষের কথা। দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী গড়াই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
সংক্ষিপ্ত জীবনী:
জন্ম: ড. আতিউর রহমান জামালপুর সদর থানার দিঘপাইত ইউনিয়নের পূর্বপাড় দিঘুলী গ্রামে ১৯৪৯; সালের ২৮ নভেম্বর (বাংলা ১২ই অগ্রহায়ন, ১৩৫৬) জন্মগ্রহণ করেন।
পড়াশুনা: তাঁর মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই তাঁর পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। ক্যাডেট কলেজের সব ছাত্রদের মধ্যে প্রথম এবং ঢাকা বোর্ডের মেধা তালিকায় পঞ্চম হয়ে তিনি ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এস.এস.সি. পাশ করলেন। ১৯৭০ সালে একই কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. পাশ করলেন। এখানেও কলেজের মধ্যে প্রথম এবং মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করলেন তিনি। এরপর ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স এবং ১৯৭৬ সালে মাস্টার্স পাশ করার পর কমনওয়েলথ স্কলারশীপ নিয়ে পড়তে গেলেন লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে ১৯৭৯ সালে আবার মাস্টার্স করার পর ভর্তি হলেন এমফিল-এ। মাস ছয়েকের মধ্যেই তাঁকে পিএইচ.ডি.-তে ট্রান্সফার করে দেয়া হলো। তিনি পিএইচ.ডি. শেষ করলেন ১৯৮৩ সালে।
চাকরি জীবন: ১৯৭৫ সালে মাস্টার্স পড়াকালীন তিনি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ডঃ আতিউর রহমানের কর্মজীবনের শুরু বলতে ওটাই। এরপর ১৯৮৩ সালে পিএইচ.ডি. শেষ করে দেশে ফিরে তিনি যোগ দিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (BIDS)-এ। কর্মজীবনের প্রায় সাতাশটি বছর তিনি পার করেছেন এই প্রতিষ্ঠানের সাথে। এছাড়া তিনি উন্নয়ন সমন্বয়-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এগুলোর মধ্যে আছে জনতা ব্যাংক অফ ডিরেকটরস-এর চেয়ারম্যান, সোনালী ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেকটরস এর সদস্য, পরিবেশ বিষয়ক ত্রৈমাসিক জার্নাল ইকোফাইল (Ecofile) এর সম্পাদক, বাংলাদেশ ইকোনমিক এসোসিয়েশান এর সাধারণ সম্পাদক, ক্রেডিট এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (CDF) এর অ্যাডভাইজার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, ব্রাক এবং প্রশিকা ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষক, বিআইডিএস থেকে প্রকাশিত জার্নাল বাংলাদেশ উন্নয়ন সমীক্ষার বোর্ড অফ এডিটরস এর চেয়ারম্যান ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এগুলোর মধ্যে ১৯৯৭ সালে দারিদ্র দূরীকরণে বিভিন্ন নির্দেশনার পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য মালদ্বীপে প্রেরিত জাতিসংঘের মিশনে নেতৃত্বদান, ১৯৯৪ সালে ইউ.এন.ডি.পি. কান্ট্রি প্রোগ্রাম-ভি এর মিড-টার্ম রিভিউ এর সদস্য, ১৯৮৯ সালে এগ্রিকালচার সেক্টর রিভিউ এর অংশ হিসেবে ইউ.এন.ডি.পি ঢাকার জন্য ‘ক্রেডিট ফর দির পুওর’ নামে একটি স্টাডি করা ইত্যাদি কাজগুলো উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও দেশে এবং দেশের বাইরের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রকাশনা
ইংরেজী বই :
1. Budget and Participation: Voices from the Grassroot, IDPAA, PROSHIKA, UPL, Forthcoming 2003 ( With M. Abul Quasem, MM. Shafiqur Rahman, Dr. Zulfiqar Ali and Md. Arifur Rahman)
2. ‘Increasing Awareness and Knowledge about Gender Analysis of National Budget: An Analysis from the Perspective of Gender Equality. PLAGE, Ministry of Women and Children Affairs, Govt. of the People’s Republic of Bangladesh, Dhaka, December 2002.( with Dr. Pratima Paul Majumder, Dr. Zulfiqar Ali and Arifur Rahman).
3. Education for Development: Lessons from East Asia for Bangladesh. Institute for South East Asian Studies (ISEAS), Singapore, 2002.
4. The Budget-Making Process (principal author). A study commissioned by IDPAA, PROSHIKA and conducted by Shamunnay (with Dr. Pk. Md. Motiur Rahman, Mirza M. Shafiqur Rahman Dr. Bazlul Haque Khondker, Abdur Razzaque & Nigar Nargis), University Press Limited, (UPL), Dhaka, 2002. ( See list of contents)
5. People’s Budget: An Illustrative Exercise Using Participatory Tools (principal author). A study commissioned by IDPAA, PROSHIKA and conducted by Shamunnay (with M. Ismail Hussein, Mother Hussein, Mirza M. Shafiqur Rahman Muhammad A. Qualm & Zulfiqar Ali), University Press Limited (UPL), Dhaka, 2002. ( See list of contents)
6. Budget and the Poor (principal author). A study commissioned by IDPAA, PROSHIKA and conducted by Shamunnay (with Dr. Pk. Md. Motiur Rahman, Mirza M. Shafiqur Rahmann & Nigar Nargis), University Press Limited (UPL), Dhaka, 2002. (2nd edition) ( See list of contents)
7. People’s Report on Bangladesh Environment 2001 – 2 Volumes (Principal). The University Press Limited (UPL), Dhaka, 2002 ( See list of contents)
8. Early Impact of Grameen (principal author). A Multi-Dimensional Analysis: Outcome of a BIDS Research (with Rushidan Islam Rahman, Mahabub Hossain & Shahabuddin Mosherraf Hossain), Grameen Trust, Dhaka, 2002.
9. Peasants and Classes: A Study in Differentiation in Bangladesh. London: Oxford University Press, Delhi/Zed Books, and The University Press Limited (UPL), Dhaka, 1986.
10. Political Economy of South Asian Regional Cooperation. The University Press Limited (UPL), Dhaka and New Delhi: Sterling Publishers, 1986.
11. Beel Dakatia: The Environmental Consequences of a Development Disaster. The University Press Limited (UPL), Dhaka, 1995.
12. Demand and Marketing Aspects of Grameen Bank: A Closer Look. The University Press Limited (UPL), Dhaka, 1st edition 1986, 2nd edition 1995.
13. Rural Power Structure: A study of the UP Leaders in Bangladesh. Bangladesh Books International, Dhaka, 1981.
বাংলা বই :
– রবীন্দ্র চিন্তায় দারিদ্র ও প্রগতি, ২০০৪
– অধিকার ভিত্তিক উন্নয়ন, ২০০৪
– কেমন বাজেট চাই: তৃণমূল মানুষের ভাবনা, ২০০৩
– উন্নয়ন আলাপ, ২০০৩
– সুশাসনের সন্ধানে, ২০০৩
– মুক্তিযুদ্ধ জনযুদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধের আর্থসামাজিক পটভূমি, ২০০৩
– আলো আঁধারের বাংলাদেশ: মানব উন্নয়নের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, ২০০৩
– বাংলাদেশ উন্নয়নের সংগ্রাম, ১ঌঌ১, ২য় সংস্করণ ২০০২
– আগামী দিনের বাংলাদেশ, ২০০১
– ভাষা আন্দোলন: অর্থনৈতিক পটভূমি, ১ঌঌ০, ২য় সংস্করণ ২০০০
– ভাষা আন্দোলন: অংশগ্রহণকারীদের শ্রেনী অবস্থা, ১৯৯০, ২য় সংস্করণ ২০০০
– ভাষা আন্দোলন: পরিপ্রেক্ষিত ও বিচার, ১৯৯০, ২য় সংস্করণ ২০০০
– জনগণের বাজেট, ২০০০
– মানবিক উন্নয়ন, ২০০০
– আরেক বাংলাদেশ, ১৯৯৮
– অসহযোগের দিনগুলি: মুক্তিযুদ্ধেও প্রস্তুতি পর্ব, ১৯৯৮
– বাঁশের লড়াই বাঁচার লড়াই, ১৯৯৭
– মুক্তিযুদ্ধেও মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন, ১৯৯৭
– গরীবের বাজেট ভাবনা ও দারিদ্র বিমোচন, ১৯৯৬
– কৃষি প্রশ্ন: ঐতিহাসিক রুশ বিতর্ক এবং তৃতীয় বিশ্বতার প্রসঙ্গিকতা, ১৯৮৯
– সার্ক: রাজনৈতিক অর্থনীতি, ১৯৮৬
বিভিন্ন বইয়ের চাপ্টার :
1. Information Technology in Bangladesh: Current Status and Potentials (with Taifur Rahman, Farhana Khanam & Mashiur Rahman); in Contemporary Issues in Development, ed. by Asit K Biswas, Aminul Islam Chowdhury & KB Sajjadur Rasheed, Bangladesh Unnayan Parishad, Third World Centre for Water Management & Academic Press and Publishers Limited, Dhaka, 2002.
2. Informal Border Trade between Bangladesh and India: An Empirical Study in selected areas (with Abdur Razzaque) in Towards Greater Sub-regional Economic Cooperation: Limitation, Obstacles, and Benefits, ed. Forrest E. cookson & A.K.M. Shamsul Alam, The University Press Limited, 2002.
3. Early Impact of Grameen: A multidimensional analysis outcome of a BIDS Research study, (with Rushidan Islam Rahman, Mahabub Hossain and Shahabuddin Mosherraf Hossain), Grameen Trust, 2002.
4. Urban Poverty and Environment Interface: Some Illustrations on Dhaka (with Arifur Rahman). Based on paper presented. Publication from the International Conference on Urban Environment Management: Local Government and Community Action, Kolkata, November 25-27, 2001. New Delhi: Institute of Social Sciences (ISS), forthcoming 2002.
5. Environment-Poverty Nexus in Bangladesh. In Bangladesh Human Development Report 2000. Dhaka: Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), 2001.
6. Civil Society and Governance. In Governance: South Asian Perspective, ed. Hasnat Abdul Hye. Dhaka: The University Press Limited, 2000.
7. Chapters in Grameen Bank: Poverty Relief in Bangladesh, ed. A.N.M. Wahid. Colorado, USA: West View Press, 1993.
8. The General Performance of the Grameen Bank (Chapter 5)
9. Housing for the Rural Poor: The Grameen Bank Experience (Chapter 6)
10. Impact of Grameen Bank on the Nutritional Status of the Rural Poor (Chapter 7)
11. The Grameen Bank and the Power of Rural Administrative Elite in Bangladesh (Chapter 9)
12. The Loan Recovery Performance of the Grameen Bank (Chapter 10)
13. The General Replicability of the Grameen Bank Model (Chapter 12).
14. Development Responses to Natural Disaster. In Participatory Development Learning from South Asia, ed. Ponna Wingnaraja et al. Tokyo: United Nations University Press, and Karachi: Oxford University Press, 1991.
15. Poverty and Human Resource Development. In The Decade of Stagnation: The State of the Bangladesh Economy in the 1980s, ed. Rehman Sobhan. Dhaka: UPL, 1991.
16. Social Implication of Current Development Strategy. In Modernisation at Bay: Structure and Change in Bangladesh, ed. Abu Abdullah. Dhaka: The University Press Limited, 1991.
17. Missing Dimensions of Poverty: Issues of Vulnerability and Insecurity. Seminar paper presented in an international conference organized by Bangladesh Institute of International and Strategic Studies (BIISS), Dhaka, December 1989; also a chapter of a book published by BIISS, 1990.
জার্ণাল, গবেষণা প্রতিবেদন (ইংরেজী) :
1. Environment-Poverty Linkages in Bangladesh Perspective: Need for Sustainable Development (with Pallab Mazumder), Bangladesh Journal of Political Economy, Vol. XVI, No.1, Bangladesh Economic Association (BEA), Dhaka, June 2002.
2. Cyber Connectivity: Are we moving in the right direction? (with Taifur Rahman). The Daily Star, February 13, 2002.
3. Imperative for Regional Cooperation in South Asia: Creating an Environment for Sharing Experiences of Knowledge-Based Development South Asian Survey (A Journal of the Indian Council for South Asian Cooperation) Vol. 7, No.2, July-December 2000.
4. Socio-economic Perspective of the Participants in the Language Movement. 1952: Some Survey Findings. The Journal of Social Studies, No. 90, Special Issue: Language & Society, October-December 2000.
5. On Reaching the Hardcore Poor: Some Evidence on Social Exclusion in NGO Programmes (with Abdur Razzaque). Bangladesh Development Studies, Vol. XXVI, No.1, March 2000.
6. Education for Development: Some Conceptual Issues. The Journal of Social Studies, No. 85, July-September 1999.
7. The Budget and the Poor: A Participatory Analysis. The Journal of Social Studies, No. 74, July-September 1999.
8. People’s Perception and Response to Floodings: The Bangladesh Experience. Journal of Contingencies and Crisis Management, Vol. 4, No. 4, December 1996.
9. Rallying Against Poverty. Social Watch, Instituto Del Tercer Mundo, Montivideo, 1996.
10. Rural Development from Below: Lessons Learned from Grameen Bank Experience in Bangladesh. Journal of Socio-Economics, Vol. 25, No. 2, 1996.
11. Social consequences of Structural Adjustment Policies in Bangladesh prepared (with Zulfiqar Ali). Bangladesh Journal of Political Economy, Vol. 13, No. 1, pp. 213-254, July 1995.
12. Contributions of Education in Economic Development: Lessons for Bangladesh from Asian Countries. Atowar Hossain Memorial Lecture, Asiatic Society of Bangladesh, 1993. Published in the Journal of the Asiatic Society, 1994.
13. Towards Sustainable Development: Lessons from NGO Experiences in Bangladesh. ANGOC, Manila, February 1994.
14. Interlinked Transactions in Rural Markets in Bangladesh. Bangladesh Unnayan Samikshya, 1993.
15. The Impact of Shrimp Culture on Coastal Environment. GRASSROOTS – an Association for Development Agencies in Bangladesh (ADAB) Quarterly, Vol. 2, Issue-VIII, April-June 1993.
16. Food Procurement and Distribution System in Rural Bangladesh: An Empirical Study with Equity Consideration. Dhaka: The Journal of Social Studies, No.15, January 1992.
17. Improving Preparedness for Acute Food Shortages due to Natural Disaster in Asian and Pacific Countries. Prepared for the FAO, Regional Office for Asia and the Pacific (RAPA), 1992.
18. Rural Development From Below: Lessons Learned from Grameen Bank Experience in Bangladesh. GRASSROOTS, Vol. 1, Issue I, Dhaka, October-December 1991.
19. SAARC and the Global Agenda of Sustainable Development. Holiday, December 11, 1992.
20. The Grameen Bank and the Changing Patron-Client Relationship in Bangladesh. Journal of Contemporary Asia, Vol. 22, No. 3, 1992. 21. Migration and Food Security: A Case Study of Bangladesh. GRASSROOTS, Vol.1, Issue I, October-December 1991.
22. Human Responses to Natural Hazards in Bangladesh: Some preliminary observations, Farm economy, Bangladesh Agricultural Economists Association, August 1990.
23. Empowerment and Development: Towards Livelihood Security. A paper presented at the special seminar on Fourth Five Year Plan of Bangladesh, organized by Bangladesh Economic Association. October 1990. Published in a special issue of Political Economy, 1990.
24. Analytical Review of Studies on Rural Power Structure in Bangladesh: 1960s to 1980s. Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), June 1989.
25. Housing for the Rural Poor: the Grameen Bank experiences. Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), March 1989.
26. Human Responses to Natural Disaster. A paper presented at the 23rd Bengal Studies Conference, Winnipeg, University of Manitoba. June 1989.
27. Impact of Grameen Bank on the Nutritional Status of the Rural Poor. Working Paper No. 7, GBEP, Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), December, 1987. Also published as BIDS Research Report No. 108, September 1989.
28. Rural Power Structure: A Study of the UP leaders in Bangladesh. Journal of Social Studies, No. 4, July, 1989.
29. The State, Local Power Brokers and Rural Development in Bangladesh: A Study of the Selected Upazila Chairman. Sociology and Development, 1989.
30. Alleviation of Poverty: the Replicability of Grameen Bank Model. South Asia Journal, Vol. 2, No. 1, 1988.
31. Demand Constraints and the Future Viability of Grameen Bank Credit Programme: An Econometric Study of the Expenditure Pattern of Rural Households. Bangladesh Development Studies, Vol. XVI, No. 2, June 1988.
32. Economic Effect of Flood, 1988 (jointly with M. Hossain and Hossain Z. Rahman), (Mimeo). Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), Rural Credit and Grameen Bank. 1988.
33. Management System of Grameen Bank: Organization, Monitoring and Training Aspects. Working Paper No. 18, GBEP, Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), January 1988.
34. Rural Touts and Power Structure in Bangladesh: Some Indicative Results of a Perception Survey of the Patronage Network. ADAB News (a development magazine), Vol. XV, No.4, Regn. DA-360, July-August 1988.
35. Peasant Differentiation in Bangladesh, 1950s to 1980s. Journal of the Asiatic Society of Bangladesh, Vol. XXXII, No. 1, Special issue, June 1987.
36. Small Farmers are Being Proletarianized (A Note on Persistence and Polarization). The Journal of Peasant Studies, Vol. 15 No. 2, January 1988.
37. Factors Contributing to the Excellent Recovery Performance of Grameen Bank. A paper presented at the International Workshop on Issues on Loan Recovery jointly organized by Ohio State University and Bangladesh Bank, 1987. Published in the Journal of Development and Administrative Studies, Vol. 9, No. 2, December 1987.
38. Participative Management Style of Grameen Bank. Bank Parikrama, Special Issue, 1987.
39. Impact of Grameen Bank on the Rural Power Structure. Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS) Research Report No. 62, 1987.
40. Agricultural Taxation in Bangladesh (jointly with Hossain, M. and Akash, M.M.). Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS) Research Report No. 41, 1986.
41. Consciousness Raising Efforts of Grameen Bank. Working Paper No.3, GBEP, Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), July 1986.
42. Differentiation of the Peasantry in Bangladesh: 1950s to 1980s. Social Scientist, Nos. 162-163, November-December, 1986.
43. Dual Role to Tradition in Social Mobilization: The Grameen Bank and Rural Poor Women in Bangladesh. Presented in the Bengal Conference at Oshkosh, Wisconsin, 1986. Published later by Wisconsin University, USA.
44. Rural Proletarianization: Empirical Evidence from Two Villages of Bangladesh. Journal of Social Studies, No. 23, January 1984.
45. The State and the Peasantry: The Bangladesh Case. DERAP Paper No. A304. Bergen, Norway: Christian Michelsen Institute, October 1983.
46. Land Concentration and Dispossession in Two Villages of Bangladesh. Bangladesh Development Studies, Vol. X, No. 2, Spring 1981.
জার্ণাল, গবেষণা প্রতিবেদন (বাংলা) :
– সামাজিক পুঁজি ও উন্নয়ন, ২০০৩
– উন্নয়নের জন্য শিক্ষা, ২০০২
– বিশ্বায়ন ও তথ্য প্রযুক্তি; নয়া অর্থনীতিতে বাংলাদেশ, ২০০২
– বাংলাদেশের শিক্ষা বৈষম্য দুর্নীতি ও অস্থিরতা, ২০০২
– দারিদ্র বিমোচন: বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা, ২০০২
– মানব উন্নয়ন বই, ২০০০
– বাজেট প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ, ১৯৯৯
– রবীন্দ্র ভাবনায় স্ব-উন্নয়ন ও আত্মশক্তি, ১৯৯৫
– উন্নয়নে শিক্ষার অবদান: বাংলাদেশের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষণীয়, ১৯৯৪
– গ্রহায়ণ ও উন্নয়ন: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ, ১৯৯২
– গ্রামীন বাজার ও আন্তসংযোগ, ১৯৯১
– বিশ্ব আন্দোলনের আর্থ-সামাজিক পটভূমি: একটি তাত্ত্বিক কাঠামোর সন্ধানে, ১৯৮৯
– গ্রামের গরীবের জন্য ঋণ: বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের তুলনামূলক চিত্র, ১৯৮৯
– ভাষা আন্দোলনের রাজনৈতিক অর্থনীতি: মধ্যবিত্তের ভূমিকা, ১৯৮৭
– স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা: একটি পদ্ধতিগত আলোচনা, ১৯৮৬
তথ্যসূত্র হিসাবে আইভি সুলতানার নেওয়া সাক্ষাত্কার এবং রাজিব আহমেদের ‘আতিউর রহমান : রাখাল থেকে অর্থনীতিবিদ’ নামক ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে।
লেখক : গুণীজন দল