GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

সাখাওয়াত আলী খান

অবদানের ক্ষেত্র: শিক্ষা
সাখাওয়াত আলী খান

সাখাওয়াত আলী খান

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

সাখাওয়াত আলী খানের বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলেকে ডাক্তারি পড়াবেন। কিন্তু অনেকটা বন্ধুদের উৎসাহে তাঁর ঝোঁক চলে যায় সাহিত্যের দিকে। সিদ্ধান্ত নেন সাহিত্য পড়বেন। কিন্তু সাহিত্য পড়ার বিষয়ে বাবার অমত ছিল প্রচন্ড, বাবা এবার ছেলেকে অর্থনীতিতে পড়ার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু ছেলে এবারও বাবার কথা শুনলেন না। ভর্তি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায়। সাহিত্যে ভর্তি হওয়ার ঘটনায় তাঁর বাবা খুব মন খারাপ করেছিলেন। তাঁর বাবা হয়তো ভেবেছিলেন সাহিত্য পড়লে তাঁর ছেলে জীবনে উন্নতি করতে পারবে না। কিন্তু বাবার সেই ধারণা ভূল প্রমাণিত করে সাখাওয়াত আলী খান হয়েছেন এদেশের একজন অসাধারণ প্রজ্ঞাবান শিক্ষক, গণমাধ্যম এবং যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, গভীর বিশ্লেষণী ক্ষমতাসম্পন্ন গবেষক এবং খ্যাতিমান লেখক।

সাখাওয়াত আলী খানের জন্ম ১৯৪১ সালের ৩০ নভেম্বর, ঢাকায়। বাবা ওয়াজেদ আলী খান। মা খলিকা আক্তার নুর বেগম। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সাখাওয়াত আলী খান। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে। বাবা ওয়াজেদ আলী খান প্রধানত সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ছাত্র জীবনে তিনি যুক্ত ছিলেন কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত করলেও বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে জড়িত হয়ে তিনি সেই খেতাব বর্জন করেন।

বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ সাখাওয়াত আলী খানের শিক্ষাজীবন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় কলকাতায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালে কলকাতার পার্ক সার্কাসে অবস্থিত মে ফ্লাওয়ার স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হন। বাবা তখন কলকাতায় এয়ার রেইড প্রটেকশন (এআরপি)-এর ইকুইপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে মাসহ গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। ধানুয়া প্রাইমারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন।

১৯৪৭ সালে বাবা কলকাতার চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। নতুন চাকরি নেন ঢাকা কো-অপারেটিভ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিয়নে। সাখাওয়াত আলী খানও ঢাকায় চলে আসেন। বাবা-মাসহ আশেক লেনে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন । দাঙ্গার কারণে এবং আলাদা পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সময় বিপুলসংখ্যক মানুষ ভারত ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে। স্বভাবতই ঢাকার ভালো স্কুলগুলোর ওপর এর চাপ পড়ে। তাই ঢাকায় স্কুলে ভর্তি হতে বেশ বেগ পেতে হয়। আরমানিটোলায় অবস্থিত হাম্মাদিয়া হাইস্কুল নামের একটা অখ্যাত স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি।

১৯৪৮ সালে আশেক লেনের বাসা ছেড়ে আরমানিটোলার কালীপ্রসন্ন ঘোষ স্ট্রিটে ভাড়া বাসায় ওঠেন। সেই সময় আরমানিটোলা গভর্নমেন্ট হাইস্কুল ছিল ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্কুল। এটি ছিল মূলত শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের ল্যাবরেটরি স্কুল। উচ্চপদস্থ কারো সুপারিশ নিয়ে বাবা তাঁকেসহ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করেন। প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দিলেন, সিট নেই, তাই কোনোভাবেই চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করানো সম্ভব নয়। হতাশ হয়ে বাবা ফিরে আসতে উদ্যত, এমন সময় প্রধান শিক্ষক প্রস্তাব দিলেন, ক্লাস থ্রি-তে নেয়া যেতে পারে। তবে এজন্যে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। বাবা প্রথমটায় রাজি হননি। মামাদের পরামর্শে শেষ পর্যন্ত রাজি হন। ভর্তি পরীক্ষা দেন। খুব ভালো করেন পরীক্ষায়। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত এই স্কুলে পড়েন – ১৯৫১ সাল পর্যন্ত। প্রথম দিকে ক্লাসের ফার্স্টবয় ছিলেন।

স্কুলের কাছে একটা ভাঙাচোরা সিনেমা হল ছিল। শো-এর সময় পেছন দিকে দাঁড়ালে সিনেমার গান-সংলাপ স্পষ্ট শোনা যেত। মাঝে মাঝে সন্ধ্যার সময় বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে সিনেমার গান শুনতেন।

১৯৫২-তে বাবা সমবায়ের চাকরি ছেড়ে দেন। মা গ্রামের বাড়ি চলে যান। ভাষা আন্দোলনের সময় সিনিয়র ছাত্রদের সঙ্গে মিছিলে যেতেন। ২১শে ফেব্রুয়ারি কারফিউর ভেতর মানুষের ছোটাছুটি। সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ বাবার জন্যে ওষুধ কিনতে যেয়ে তিনি শোনেন মিছিলে গুলির কথা। বাবা সুস্থ হয়ে এই বছর হাউজ বিল্ডিং-এ চাকরি নেন। সাখাওয়াত আলী খান সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন কলেজিয়েট হাইস্কুলে। ১৯৫৬ সালে এই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন তিনি।

১৯৫৭ সালে সাখাওয়াত আলী খান ঢাকা কলেজে আই.এস.সি.-তে ভর্তি হন । ঢাকা কলেজের বর্তমান ক্যাম্পাসে প্রথম দিকের ব্যাচ ছিলেন তাঁরা। এসময় বাম রাজনীতিকদের সংস্পর্শে আসেন। প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় অনুপ্রাণিত হন। ১৯৫৮-তে আই.এস.সি.-র ফাইনাল পরীক্ষায় ব্যবহারিক বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। পরের বছর অর্থ্যাৎ ১৯৫৯ সালে আই.এস.সি. পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় ভর্তি হন। ১৯৬০ সালে তাঁর বাবা মৃত্যুবরণ করেন।

বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ওঠেন। এই সময় আর্থিক টানাটানিতে পড়তে হয় তাঁকে। গ্রামে জমাজমির আয় আর টিউশনি করে লেখাপড়া চালিয়ে যান। ১৯৬২ সালে বাংলায় সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

এম.এ. পড়ার সময় উপার্জন ও জীবিকার প্রশ্নটি ভাবনায় প্রাধান্য পায় তাঁর। তখন একটা পত্রিকায় খণ্ডকালীন কাজ নেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে সান্ধ্যকালীন ডিপ্লোমা কোর্সে ছাত্র ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সাংবাদিকতা যে একটা পড়ার সাবজেক্ট হতে পারে এটা তখন অনেকের ধারণার মধ্যেও ছিল না। তবুও তাঁর রুমমেট অর্থনীতির ছাত্র নুরুল আবেদিন এবং তিনি ভর্তি পরীক্ষা দেন।

ভর্তি পরীক্ষার পর ফলাফলের জন্য আর কোন খোঁজখবর নেননি তিনি। মৌখিক পরীক্ষার দিন নুরুল আবেদিনের কাছে খবর পান ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এটি ছিল তাঁর কাছে অপ্রত্যাশিত। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। কয়েকশ’ ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিলেও প্রথম ব্যাচে মাত্র ১৫ জন ভর্তি করা হয়। দিনে এম.এ. এবং সন্ধ্যার পর সাংবাদিকতার ক্লাস করতেন সাখাওয়াত আলী খান। ১৯৬৩ সালে এম.এ. এবং সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

এরপর কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। পুরোদস্তুর সাংবাদিক। মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে যেতেন। সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান আতিকুজ্জামান খান, তরুণ শিক্ষক কিউএআইএম নুরউদ্দিনসহ অন্যদের সঙ্গে গল্প করতেন। ১৯৬৯ সালে একদিন আতিকুজ্জামান খান তাঁকে সাংবাদিকতায় এম.এ. শ্রেণীতে ভর্তির ফরম দিয়ে দ্রুত পূরণ করে জমা দিতে বলেন। যেহেতু তিনি কাজ করছেন তাই ক্লাস করার জন্য সময় বের করা কষ্টকর হবে ভেবে প্রথমটায় রাজি হননি। আতিকুজ্জামান তাঁকে ক্লাস করার ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় সাংবাদিকতায় মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হন তিনি।

১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাপানি ভাষায় সার্টিফিকেট কোর্স শেষ করেন। ১৯৮৯ সালে ইন্টারপ্লে অব জার্নালিজম এ্যান্ড পলিটিক্স শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করে।

ছাত্রজীবনে ১৯৫৮ সালে জেনারেল ইস্কান্দার মির্জার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত ‘দৈনিক মজলুম’-এ কিছুদিন কাজ করেন। পত্রিকাটি অল্প ক’দিন টিকে ছিল। সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করার পর শিক্ষানবীশ হিসেবে কিছুদিন ইত্তেফাক গ্রুপ থেকে প্রকাশিত ‘ঢাকা টাইমস’-এ কাজ করেন।

আবদুল গাফফার চৌধুরী সম্পাদিত ‘সাপ্তাহিক সোনার বাংলা’ পত্রিকা ও দৈনিক আজাদ-এও কিছু দিন কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খাঁর পত্রিকা দৈনিক পয়গাম-এ সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে যোগ দেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে গঠিত পাকিস্তান প্রেস ট্রাস্ট ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকা প্রকাশের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। সেখানে বেছে বেছে উচ্চবেতনে লোক নেয়া হয়। তাঁর কাছেও সেখানে চাকরি করার প্রস্তাব আসে। ৫ জানুয়ারি ১৯৬৫ সালে হাসান হাফিজুর রহমানসহ দৈনিক পাকিস্তানে যোগ দেন তিনি। সিনিয়র সাব-এডিটর কাম শিফট ইন চার্জ ছিলেন। স্বাধীনতার আগে-পরে মিলিয়ে প্রায় আট বছর এই পত্রিকায় (পরবর্তীকালে দৈনিক বাংলা) চাকরি করেন। এসময় জুনিয়র সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্বও পালন করেন।

আবুল কালাম শামসুদ্দিন, হাসান হাফিজুর রহমান, শামসুর রাহমান, আহসান হাবিব, নির্মল সেন, ফজলুল করিম, ফওজুল করিম, খোন্দকার আলী আশরাফ, তোয়াব খান, মোজাম্মেল হক, আহমেদ হুমায়ুন, সানাউল্লাহ্ নূরী, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, মাফরুহা চৌধুরী, ফজল শাহাবুদ্দীন, আফলাতুন প্রমুখ ‘দৈনিক পাকিস্তান’-এ (এবং পরবর্তীকালে ‘দৈনিক বাংলা’-য়) তাঁর সহকর্মী ছিলেন।

১৯৭২ সালে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা পরিত্যক্ত দৈনিক পাকিস্তান ভবন এবং প্রেস ঠিকঠাক করে ‘দৈনিক বাংলা’ প্রকাশের উদ্যোগ নেন। প্রথমটায় অর্থায়ন একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, পরে সরকার পত্রিকাটিকে ট্রাস্টভুক্ত করে। শুরু হয় ‘দৈনিক বাংলা’র যাত্রা।

স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ প্রায় শিক্ষকশূন্য হয়ে পড়ে। অধ্যাপক নুরউদ্দিনের অনুরোধে এই বিভাগে শিক্ষকতা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৯৭২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরের বছর সহকারী অধ্যাপক পদে এবং ১৯৯২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তাঁর নেতৃত্বে সাংবাদিকতা বিষয়ে সম্মান কোর্স খোলা হয় এবং সাংবাদিকতার সান্ধ্যকালীন কোর্স উঠে গিয়ে দিবাকালীন কোর্স শুরু হয়। সম্মান কোর্স চালু সংক্রান্ত ফিজিবিলিটি কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এই কমিটিতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ড. আহমদ শরীফ, প্রফেসর সা’দউদ্দিন প্রমুখ। তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা সম্মান কোর্সের সিলেবাস প্রণয়ন করেন। ১৯৭৭-এ বিভাগের সকল কোর্স দিনে চলে আসে, তিন বছরের সম্মান কোর্স চালু হয় এবং ডিপ্লোমা কোর্স উঠে যায়। যতদূর জানা যায়, তখন উপমহাদেশে এটিই ছিলো সাংবাদিকতায় প্রথম অনার্স কোর্স। ২০০২-২০০৪ সময়ে আবারো বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দীর্ঘতম সময়ের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে তিনি অবসর নেন ২০০৭-এর ৩০ জুন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সুপার নিউমেরারি অধ্যাপক। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে গণযোগাযোগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে যোগ দেন।

ড. সাখাওয়াত আলী খান ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ১৯৮০-৮২ সালে প্রেস কাউন্সিলের তিন সদস্য বিশিষ্ট জুডিশিয়াল কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৬-৭৯ ও ২০০২-০৪ সময়ে দু দফায় প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এর ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানের এক্সপার্ট স্টাডি গ্রুপের সদস্য। সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স প্রণয়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠন করা এডহক কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পিআইবিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় এম.এ. কোর্স চালুর জন্যে গঠিত কমিটির তিনি চেয়ারম্যান।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশসহ জাপান, মেক্সিকো, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সেমিনার ও ওয়ার্কশপে যোগ দেন এবং কয়েকটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্রায় তিন দশক ধরে যোগাযোগ, সাংবাদিকতা, জনসংযোগ, বিজ্ঞাপনকলা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর পিআইবি, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (নিমকো), ফরেন সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমি, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, বাংলাদেশ বিমান ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট, সেন্টার পর ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম এ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিসেডিজেসি), ম্যাস্-লাইন মিডিয়া সেন্টার (এমএমসি), সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ পরিচালনা এবং লেকচার প্রদান করেন।

অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের পিএইচডি থিসিস-এর পরীক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, এবং সরকারি কর্মকমিশনের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পাঠক্রম প্রণয়ন এবং পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে কয়েকজন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বির্ভিন্ন জেলায় পিআইবি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আয়োজিত সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন তিনি।

সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম, গবেষণা এবং সমাজসেবামূলক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত- সচেতন-সক্রিয় মানুষ- ড. সাখাওয়াত আলী খান। তিনি কুয়ালালামপুর থেকে প্রকাশিত ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন জার্নাল এর সম্পাদনা বোর্ডের সদস্য এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ জার্নাল এর অ্যাডভাইজার। এছাড়া তিনি আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি ‘৬৯-এর গণআন্দোলনের শহীদ আসাদের স্মৃতি রক্ষায় গঠিত আসাদ পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই। অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান নরসিংদী জেলার শিবপুরে শহীদ আসাদ কলেজের পরিচালনা পরিষদ সদস্য এবং শহীদ আসাদ কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত আলী খান।

একজন সফল শিক্ষক, প্রশিক্ষকের পাশাপাশি গবেষক এবং লেখক হিসেবেও সমান খ্যাতিমান তিনি। তাঁর ৩০টির মতো গবেষণা-প্রবন্ধ বিভিন্ন বই এবং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭১-এ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের ওপর লেখা দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এর অষ্টম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়।

সাখাওয়াত আলী খান ১৯৬৩ সালে মালেকা খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁরা এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক-জননী।

মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের এলাকায় চলে যান তিনি। গেরিলা যোদ্ধাদের সংগঠক এবং পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। যুদ্ধের ভেতরও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জুতা (কেডস) কিনতে কয়েকবার ঢাকায় আসেন। একবারে বেশি কিনলে পাকবাহিনীর সন্দেহ হতে পারে। তাই ২০-৩০ জোড়া করে কয়েকজনে মিলে কয়েকশ’ জোড়া কেডস কিনে নিয়ে যান। বুদ্ধিবৃত্তিক সহায়তা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থেকে তাদের সহযোগিতা করেছেন তিনি।

একজন অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান তাঁর সময়কে সমৃদ্ধ করেছেন নিজের কীর্তি দিয়ে। নিজের দেশের আর দেশের মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা দিয়ে। নিজের চিন্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন- কথায়, লেখায়-অনেকের জীবনে। আর তাই পরবর্তী প্রজন্ম আলোকিত হবে তাঁর ব্যক্তিত্বের আলো থেকে।

সংক্ষিপ্ত জীবনী:
জন্ম: সাখাওয়াত আলী খানের জন্ম ১৯৪১ সালের ৩০ নভেম্বর, ঢাকায়।

বাবা: ওয়াজেদ আলী খান।

মা: খলিকা আক্তার নুর বেগম। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সাখাওয়াত আলী খান। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে।

পড়াশুনা: বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ সাখাওয়াত আলী খানের শিক্ষাজীবন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় কলকাতায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালে কলকাতার পার্ক সার্কাসে অবস্থিত মে ফ্লাওয়ার স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হন। বাবা তখন কলকাতায় এয়ার রেইড প্রটেকশন (এআরপি)-এর ইকুইপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে মাসহ গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। ধানুয়া প্রাইমারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন।

১৯৪৭ সালে বাবার সঙ্গে সাখাওয়াত আলী খান ঢাকায় চলে আসেন। আরমানিটোলায় অবস্থিত হাম্মাদিয়া হাইস্কুল নামের একটা অখ্যাত স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি।

১৯৪৮ সালে আরমানিটোলা গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত এই স্কুলে পড়েন – ১৯৫১ সাল পর্যন্ত। প্রথম দিকে ক্লাসের ফার্স্টবয় ছিলেন। সাখাওয়াত আলী খান সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন কলেজিয়েট হাইস্কুলে। ১৯৫৬ সালে এই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন তিনি।

১৯৫৭ সালে সাখাওয়াত আলী খান ঢাকা কলেজে আই.এস.সি.-তে ভর্তি হন । ঢাকা কলেজের বর্তমান ক্যাম্পাসে প্রথম দিকের ব্যাচ ছিলেন তাঁরা। এসময় বাম রাজনীতিকদের সংস্পর্শে আসেন। প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় অনুপ্রাণিত হন। ১৯৫৮-তে আই.এস.সি.-র ফাইনাল পরীক্ষায় ব্যবহারিক বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। পরের বছর অর্থ্যাৎ ১৯৫৯ সালে আই.এস.সি. পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় ভর্তি হন।

কর্মজীবন: ছাত্রজীবনে ১৯৫৮ সালে জেনারেল ইস্কান্দার মির্জার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত ‘দৈনিক মজলুম’-এ কিছুদিন কাজ করেন। পত্রিকাটি অল্প ক’দিন টিকে ছিল। সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করার পর শিক্ষানবীশ হিসেবে কিছুদিন ইত্তেফাক গ্রুপ থেকে প্রকাশিত ‘ঢাকা টাইমস’-এ কাজ করেন।

আবদুল গাফফার চৌধুরী সম্পাদিত ‘সাপ্তাহিক সোনার বাংলা’ পত্রিকা ও ‘দৈনিক আজাদ’-এও কিছু দিন কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খাঁর পত্রিকা ‘দৈনিক পয়গাম’-এ সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে যোগ দেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে গঠিত পাকিস্তান প্রেস ট্রাস্ট ১৯৬৪ সালে ‘দৈনিক পাকিস্তান’ পত্রিকা প্রকাশের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। সেখানে বেছে বেছে উচ্চবেতনে লোক নেয়া হয়। তাঁর কাছেও সেখানে চাকরি করার প্রস্তাব আসে। ৫ জানুয়ারি ১৯৬৫ সালে হাসান হাফিজুর রহমানসহ ‘দৈনিক পাকিস্তান’-এ যোগ দেন তিনি। সিনিয়র সাব-এডিটর কাম শিফট ইনচার্জ ছিলেন। স্বাধীনতার আগে-পরে মিলিয়ে প্রায় আট বছর এই পত্রিকায় (পরবর্তীকালে ‘দৈনিক বাংলা’) চাকরি করেন। এসময় জুনিয়র সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্বও পালন করেন।

আবুল কালাম শামসুদ্দিন, হাসান হাফিজুর রহমান, শামসুর রাহমান, আহসান হাবিব, নির্মল সেন, ফজলুল করিম, ফওজুল করিম, খোন্দকার আলী আশরাফ, তোয়াব খান, মোজাম্মেল হক, আহমেদ হুমায়ুন, সানাউল্লাহ্ নূরী, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, মাফরুহা চৌধুরী, ফজল শাহাবুদ্দীন, আফলাতুন প্রমুখ ‘দৈনিক পাকিস্তান’-এ (এবং পরবর্তীকালে ‘দৈনিক বাংলা’-য়) তাঁর সহকর্মী ছিলেন।

১৯৭২ সালে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা পরিত্যক্ত ‘দৈনিক পাকিস্তান’ ভবন এবং প্রেস ঠিকঠাক করে দৈনিক বাংলা প্রকাশের উদ্যোগ নেন। প্রথমটায় অর্থায়ন একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, পরে সরকার পত্রিকাটিকে ট্রাস্টভুক্ত করে। শুরু হয় ‘দৈনিক বাংলা’র যাত্রা।

স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ প্রায় শিক্ষকশূন্য হয়ে পড়ে। অধ্যাপক নুরউদ্দিনের অনুরোধে এই বিভাগে শিক্ষকতা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৯৭২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরের বছর সহকারী অধ্যাপক পদে এবং ১৯৯২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

তাঁর দীর্ঘতম সময়ের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে তিনি অবসর নেন ২০০৭-এর ৩০ জুন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সুপার নিউমেরারি অধ্যাপক। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে গণযোগাযোগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে যোগ দেন।

ড. সাখাওয়াত আলী খান ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

সাখাওয়াত আলী খান ১৯৬৩ সালে মালেকা খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁরা এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক-জননী।

মূল লেখক: মীর মাসরুর জামান
পুনর্লিখন : গুণীজন দল

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.