GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

অজিত গুহ

অবদানের ক্ষেত্র: শিক্ষা
অজিত গুহ
আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন শুরু হলে জগন্নাথ কলেজ একটি ঘাঁটি হিসেবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এবং ছেলেদের বাংলা ভাষার দাবিতে রাজপথে নামানোর ক্ষেত্রে কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান অজিত গুহের যে হাত ছিল এ কথা বুঝতে কারোর বাকি রইল না। ভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে আটক করে পাকিস্তান সরকার। একনাগাড়ে দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাগারে আটক থাকার পর মুক্ত হন। এর কয়েক মাস পর পূর্ব বাংলায় ৯২ক ধারা প্রবর্তিত হলে আবার তাঁকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষিপ্ত হতে হয়। প্রায় বছর খানেক কারাগারে আটক থাকার পর তিনি মুক্ত হন। কিন্তু ততদিনে তাঁর শারীরিক অবস্থা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। জেলখানাতেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হওয়ায় পাকিস্তান সরকার তাঁকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার চিন্তা করে।

জেলখানায় গিয়ে সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব তাঁকে সরকারি খরচে ভারতে চিকিৎসার লোভনীয় প্রলোভন দেয়। কিন্তু অজিত গুহ সবই বুঝতে পারেন। একবার সরকার তাঁকে ভারতে পাঠাতে পারলে আর এমুখো হতে দিবে না। তিনি তৎক্ষণাৎ এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। একবার তাঁকে জেলখানায় কী একটা কারণে পরীক্ষা না করেই এ.টি.এস. দেয়া হয়। কিন্তু তাতে ব্যাপক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয়। জেলখানার ডাক্তার ভয় পেয়ে যান। একপর্যায়ে তারা অজিত গুহের জীবনের আশা ছেড়ে দেন। কিন্তু জেলখানায় যদি অজিত গুহ মারা যান তাহলে সে দায় জেল কর্তৃপক্ষের উপরই বর্তাবে। ফলে জেলখানার কর্তৃপক্ষ হত্যার দায় থেকে নিষ্কৃতি পেতে একদিন অজিত গুহকে তড়িঘড়ি করে মুক্তি দিয়ে স্ট্রেচারে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় রেখে যান। কিন্তু সেখানেই ডাক্তার ও নার্সদের আন্তরিক সেবায় সুস্থ হয়ে উঠেন জনপ্রিয় এই শিক্ষাবিদ। কিন্তু সারা জীবনেও সেই স্বাস্থ্য আর উদ্ধার করতে পারেননি তিনি।

অজিত গুহের জন্ম ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানের এক সভ্রান্ত গুহ পরিবারে। বাবা নৃপেন্দ্রমোহন গুহ। মাতা বিঁধুমুখী গুহ। অজিত গুহের বয়স যখন মাত্র ১৪/১৫ বছর তখন তাঁর মা মারা যান। তারপর অজিত গুহকে মানুষ করে তোলেন তাঁর কাকীমা শৈবালিনী গুহ। কুমিল্লার সুপারিবাগানে গুহ পরিবারের চার পুরুষের বাস। অজিত গুহের ছোটবেলায় কুমিল্লা ছিল নানা কারণেই বিখ্যাত। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার উর্বর ভূমি হিসেবে তখন কুমিল্লার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। স্বদেশী চেতনায় উদ্বুদ্ধ কুমিল্লায় তখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের জোয়ার বইছে। যার নেতৃত্বে ছিল তখনকার অভয় আশ্রম।

ভারত জুড়ে তখন হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব ক্রমাগতই বাড়ছিল। কিন্তু তখনো কুমিল্লায় হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব দেখা দেয়নি। ফলে উভয়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য ছিল খুবই চমৎকার। অজিত গুহ এই পরিমন্ডলেই জন্মেছিলেন, বেড়ে উঠেছিলেন।

সুপারি বাগানেই শরৎ পন্ডিত পরিচালিত একটি পাঠশালা ছিল। পাঠশালাটি ছিল একটি বেল গাছের নীচে, এজন্য অনেকেই একে বেলতলার পাঠশালা বলে ডাকত। শরৎ পন্ডিতের এই পাঠশালার ব্যবস্থা করেছিলেন গুহ পরিবারই। কিন্তু সেখানে শুধু গুহ পরিবারের ছেলেমেয়েরাই পড়াশুনা করত না। অন্যরাও পড়ার সুযোগ পেত। অজিত গুহের প্রাথমিক শিক্ষা এখানেই শুরু হয়। শরৎ পন্ডিত ছিলেন একটু কড়া শাসনের শিক্ষক। অমনোযোগী ছাত্রদের তিনি কড়া শাসন করতেন। অজিত গুহ একবার পড়ায় বসে অমনোযোগী হয়ে পড়েন। তখন শরৎ পন্ডিত রাগ করে নারকেল গাছে তাঁর মাথা ঠুকে দেন। তাতে অজিত গুহের মাথা ফেটে যায়। তাঁকে এই দাগ সারা জীবনই বহন করতে হয়।

শরৎ পন্ডিতের এই শাস্তি গুহ পরিবারের কারো চোখে ভাল লাগেনি। তাই অজিত গুহ শরৎবাবুর পাঠশালা ছেড়ে দিয়ে বিখ্যাত ঈশ্বর পাঠশালায় গিয়ে ভর্তি হন। এই বিদ্যালয় থেকেই তিনি ১৯৩০ সালে কৃতিত্বের সাথে প্রবেশিকা পাশ করেন। ১৯২৯ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু যখন কুমিল্লায় আসেন তখন তাঁকে ঈশ্বর পাঠশালার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অজিত গুহ সেই সংবর্ধনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বেশ নজর কাড়েন সকলের। অজিত গুহ প্রবেশিকা পাশের পর কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৩২ সালে আই.এ. এবং ১৯৩৪ সালে বি.এ. পাশ করেন। বি.এ. পাশ করার পর অজিত গুহের পড়াশোনা কিছুকাল বন্ধ ছিল। তখন তিনি কিছুদিন কুমিল্লার ইউসুফ স্কুলে শিক্ষকতা করেছিলেন বলে শোনা য়ায়।

১৯৩৬ সালে পড়াশোনার জন্য তিনি কলকাতায় চলে আসেন। বড় বোন বিমলা ও তাঁর স্বামীর উৎসাহে তাঁদের বাসায় থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডিয়ান ভারনাকুলারস-এ ভর্তি হন। সেখানে স্পেশাল সাবজেক্ট ছিল বাংলা। বাংলায় তাঁর প্রধান বিষয় ছিল প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য এবং ভাষাতত্ত্ব। ১৯৩৮ সালে এম.এ. পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অজিত গুহ বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। তখন কলকাতা শহরে এ রোগ ব্যাপক আকারে দেখা দেয়। সবাই শহর ছেড়ে চলে যায়। অজিত গুহ সেবছর পরীক্ষা না দিয়ে কুমিল্লায় চলে আসেন। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৩৯ সালে তিনি এম.এ. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উর্ত্তীর্ণ হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময়ে তিনি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছিলেন ‘পূর্বাশা’ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। সেসময় তিনি এই পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। এম.এ. ডিগ্রি লাভের পর তিনি বি.টি. পড়েন এবং প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। এরপর তিনি ১৯৪০-৪২ সাল পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে অবস্থান করেন। শান্তিনিকেতনে অবস্থান তাঁর জীবনের অনেক বন্ধ দুয়ার খুলে দেয়। তখন থেকেই তিনি মনে-প্রাণে, আদর্শে-আচরণে, বিশ্বাসে ও অনুধ্যানে রবীন্দ্রানুসারী হন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে কলকাতা আরো উপ্তত্ত হয়ে ওঠে। তিনি কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন। গুহ পরিবার তখন ঢাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছিল। ১৯৪২ সালে অজিত গুহ প্রিয়নাথ হাই স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এই স্কুলে তিনি একনাগাড়ে প্রায় ছয় বছর শিক্ষকতা করেন। তিনি ঢাকার প্রগতি লেখক ও শিল্পী সঙ্ঘের একজন উৎসাহী সদস্য হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুখ্যাতির কারণেই ১৯৪৮ সালের ১৬ আগষ্ট অজিত গুহ জগন্নাথ কলেজের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২০ বছর চাকরী করার পর কলেজের প্রাদেশিকীকরণের কারণে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিনি এখানে শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি কিছুকাল বেকার ছিলেন। পরে তাঁর পূর্ব পরিচিত টিএন্ডটি কলেজে যোগদান করেন। কিন্তু কলেজের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দলাদলি এবং ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এ তাঁর একটি লেখা প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে সহকর্মীদের সাথে বিতর্কের সূত্র ধরে অজিত গুহ সেই চাকরি থেকেও পদত্যাগ করেন।

তিনি তাঁর মার্জিত রুচিবোধ আর প্রজ্ঞার কারণে শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন। শোনা যায়, সেসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র তাঁর ক্লাস করার জন্য নিয়মিত জগন্নাথ কলেজে যেতেন। তিনি ১৯৫৭-৫৮ সাল পর্যন্ত একবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। কিছুদিন তিনি সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজেও খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেন। তাঁর সময় কেউ ক্লাস ফাঁকি দিয়েছে এ ঘটনা বিরল। ক্লাসে তিনি ছাত্রদের বলতেন, ‘তোমাদের কাক্ষিত বিদ্যা তো দিতে পারি না। শুধু পার্সেন্টেজ দিতে পারি। পার্সেন্টেজের জন্য যারা আস তারা না এলেও পার। পরে আমি তাদের পুষিয়ে দেব।’ তিনি সুলতিত রসবোধে বলতেন, “কেউ দেরীতে এলে কিংবা আগে চলে যেতে চাইলে কোনো কথা না বলে আসা-যাওয়া করো। আমার পড়াশোনার মাঝে বিজাতীয় ভাষায় ‘মে আই কাম ইন স্যার’ বলে চিৎকার করে কিংবা চলে যাবার অনুমতি চেয়ে আমার চিন্তার বা বলার স্রোতে বাধা দিয়ো না।”

ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক। তিনি শুধু শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালের জন্য শিক্ষা দিতেন না। তিনি তাদেরকে সারা জীবন শিক্ষাচর্চার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতেন। ক্লাসে তিনি সেভাবেই ছাত্রছাত্রীদের প্রভাবিত করতেন। অন্য শিক্ষকদেরও সেভাবে উদ্বুদ্ধ করতেন। কবি হাসান হাফিজুর রহমান ছিলেন অজিত গুহের বিভাগেরই একজন অনুজ সহকর্মী। তাঁকে তিনি বলতেন, “তুমি কীভাবে দাঁড়িয়ে কেমন ভঙ্গিতে ছেলেদের সামনে বক্তৃতা দিচ্ছ, একজন সফল শিক্ষক হওয়ার জন্য তা-ও ধর্তব্য। মনে রেখো, হাসান, প্রথম প্রথম লেসন বাড়িতে আগেই তৈরি করে রাখবে।”

অজিত গুহ ছাত্রদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতেন। কারো পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করার টাকা নেই, যাও অজিত স্যারের কাছে। তিনি সুপারিশ করে হোক আর নিজের পকেটের টাকা দিয়ে হোক ব্যবস্থা করে দেবেন। ছাত্রদের মধ্যে আবার কেউ কেউ তাঁর কাছ থেকে টাকা ধারও নিত। কিন্তু ইচ্ছা করে না দিলে তিনি কারো কাছে সেই টাকা চাইতেন না। মানুষের জন্য খরচ করেই তিনি প্রভূত আনন্দ পেতেন। জমিদার পরিবারে জন্মেছিলেন। কোনোদিন অভাব দেখেননি। কিন্তু জীবনের শেষ বয়সে এসে প্রচণ্ড আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েন। যে কারণে তাঁকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিতে হয়েছিল। যদিও তাঁর আর যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। কারণ তার আগেই তিনি এ পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। সেদিন ১৯৬৯ সালের ১২ নভেম্বর, অজিত গুহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে যোগদানের জন্য প্রথমে কুমিল্লা যান। তারপর দিনই তাঁর চট্টগ্রাম যাবার কথা। কিন্তু সেদিন রাতেই আকস্মিকভাবে তিনি কুমিল্লায় তাঁর নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

অজিত গুহ সরাসরি কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি ছিলেন দেশপ্রেম ও গণচেতনায় উদ্বুদ্ধচিত্ত। বাংলা ভাষা ছিল তাঁর রক্তের প্রতিটি কণিকায়। ফলে পাকিস্তান সৃষ্টি হবার পর থেকেই তিনি একের পর এক মুক্তবুদ্ধির বিরোধীতাকারীদের আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত হন। ‘জগন্নাথ কলেজ বাংলা সংস্কৃতি সংসদ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। অজিত গুহ ছিলেন এই সংগঠনটির প্রাণ। পাকিস্তানের শুরুর দিকে বাংলা সংস্কৃতির ব্যাপারটাই ছিল ভয়াবহ দোষের। এই প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করার কারণে তাঁকে কলেজের পাকিস্তানপন্থী শিক্ষকদের কাছ থেকে বিরূপ মন্তব্য সহ্য করতে হয়েছে। পাকিস্তান সরকার যখন আরবি হরফে বাংলা লেখার উদ্যোগ নিয়েছিল তখন তার ব্যাপক বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। এছাড়া সেসময় সরকার নিয়োজিত পূর্ববঙ্গ ভাষা সংস্কার কমিটির সদস্য হিসেবে তাঁর সক্রিয়তা অনেকেই পছন্দ করেনি। এছাড়াও তিনি তখন পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ, কচি-কাঁচার মেলা এবং বুলবুল ললিতকলার কাজে যুক্ত ছিলেন সক্রিয়ভাবে। প্রগতিশীল মহলের সাথে এই যোগাযোগের কারণেই তিনি বাংলা একাডেমির প্রথম নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ছাত্রদের অনুরোধে ‘রক্তকপোত’ নামে একটি প্রকাশনার ভূমিকা লিখে দেয়ায় তাঁকে আদালতে অভিযুক্তও হতে হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে তাঁর কোনো অনুশোচনা ছিল না।

অজিত গুহ বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, রবীন্দ্রনাথের ‘গীতাঞ্জলি’ ও ‘সঞ্চয়িতা’ সম্পাদনা এবং পরে ফয়জুন্নেসা বেগমের সঙ্গে কালিদাসের ‘মেঘদূত’ অনুবাদ ও সম্পাদনা করেন। যা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। পাকিস্তান আমলে রেডিওতে একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল ‘সাহিত্য বাসর’, যা প্রতি রবিবার সকালে প্রচারিত হতো। অজিত গুহ নিয়মিত সেই অনুষ্ঠানে আবৃত্তি ও আলোচনা করতেন। ১৯৫০-৫১ সালে ঢাকায় প্রথম যখন নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হয় তখন অনুষ্ঠানগুলির প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে বিষয় ঠিক করে দিয়েছিলেন অজিত গুহ।

অজিত গুহ ছিলেন প্রচন্ড রসিক ও ভোজন প্রিয়। তিনি নিজে রান্না করে মানুষকে খাওয়াতে পছন্দ করতেন। রন্ধন শিল্পে তিনি ছিলেন পাকা। তাঁর ভাড়া বাসায় মাঝে মাঝেই প্রগতিশীল লেখক-শিল্পী-সাহিত্যিকদের খাদ্যসমেত আড্ডা বসত। সেখানে নানা রসিকতাও হতো। অজিত গুহ ছিলেন চিরকুমার। তিনি তাঁর বাসাটাকে পরিণত করেছিলেন মুক্তশিক্ষার পরীক্ষামূলক পরীক্ষাগারে। ঘর সবসময় ছিমছাম করে রাখতেন। এই অভ্যাস তাঁর জেলখানাতেও ছিল। জেলখানায় অজিত গুহ ঘুম থেকে উঠতেন ভোর চারটায়। তারপর নিজে পড়াশোনা করতেন। পরে কারাগারে যারা ছাত্র-বন্দী ছিলেন, সামনে পরীক্ষা, তাদের পড়াতেন। জেলখানায় তিনি যে ওয়ার্ডে থাকতেন সেখানে একটি স্টোভ আনিয়ে নিয়েছিলেন। জেলখানায় ভাল বাজার এলেই তিনি নিজ দায়িত্বে সেগুলো ওয়ার্ডে আনিয়ে রান্না করতেন। এজন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত মসলাপাতি নিজের টাকায় বাইরে থেকে আনাতেন। নিজের টাকায় ঘি, ময়দা, ডিম, মাংস কিনে এনে ওয়ার্ডে পরোটা, মাংস, সিঙাড়া ইত্যাদি তৈরি করে সকলকে খাওয়াতেন। কারো পেটের অসুখ থাকলে তার জন্য আবার আলাদা রান্না করে খাওয়াতেন। তিনি কখনোই কোনো মানুষকে ছোট করে দেখতেন না। কাউকে ঘৃণা করতেন না। তাঁর সংবেদনশীল মন, উদার ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গী এবং অত্যন্ত রুচিশীল জীবনযাত্রা তাঁকে একজন অসাধারণ আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল।

১৯৪৮ সালে ঢাকায় যখন প্রথম আর্ট ইন্সস্টিটিউট গড়ে ওঠে তার পর থেকেই এখানে শিল্প আন্দোলন চাঙ্গা হতে থাকে। জয়নুল আবেদীন ততদিনে করাচি থেকে স্থায়ীভাবে ঢাকায় এসে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দায়িত্বভার নিয়েছেন। তাঁকে কেন্দ্র করেই মূলত তখন গড়ে উঠে ‘ঢাকা আর্ট গ্রুপ’। জয়নুল আবেদীন ছিলেন এর সভাপতি। সেখানে অজিত গুহ যথেষ্ট দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

এক সময় জগন্নাথ কলেজে এই পন্ডিত মানুষটির ছাত্র ছিলেন ড. আনিসুজ্জামান। যিনি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, জেনেছেন। তিনি অজিত গুহের মূল্যায়ন করতে গিয়ে লিখেছেন, “মানুষের জীবন গ্লানিমুক্ত হোক, ভাষা তার স্বাভাবিক স্থান অধিকার করুক, গড়ে উঠুক সুস্থ সাহিত্য, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প থেকে দেশ অব্যাহতি লাভ করুক,এই ছিল তাঁর কামনা। জনপ্রিয় শিক্ষকরূপে, সচেতন নাগরিকরূপে, উৎসাহী সংস্কৃতিসেবীরূপে এই প্রেরণা তিনি দিয়ে গেছেন আমাদের। এই সত্যনিষ্ঠ আদর্শপ্রিয় মানুষের সেই দান আমাদের চিত্তে স্থায়ী হয়ে রইল।” সংক্ষিপ্ত জীবনী:

জন্ম: অজিত গুহের জন্ম ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল কুমিল্লা শহরের সুপারি বাগানের এক সভ্রান্ত গুহ পরিবারে।
বাবা-মা: বাবা নৃপেন্দ্রমোহন গুহ। মাতা বিঁধূমুখী গুহ।

পড়াশুনা: অজিত গুহের প্রথমিক শিক্ষা সুপারি বাগানে শরৎ পন্ডিত পরিচালিত একটি পাঠশালায় শুরু হয়। এরপর অজিত গুহ এই পাঠশালা ছেড়ে দিয়ে বিখ্যাত ঈশ্বর পাঠশালায় গিয়ে ভর্তি হন। এই বিদ্যালয় থেকেই তিনি ১৯৩০ সালে কৃতিত্বের সাথে প্রবেশিকা পাশ করেন। অজিত গুহ প্রবেশিকা পাশের পর কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৩২ সালে আই.এ. এবং ১৯৩৪ সালে বি.এ. পাশ করেন। বি.এ পাশ করার পর অজিত গুহের পড়াশোনা কিছুকাল বন্ধ ছিল। তখন তিনি কিছুদিন কুমিল্লার ইউসুফ স্কুলে শিক্ষকতা করেছিলেন বলে শোনা য়ায়।

১৯৩৬ সালে পড়াশোনার জন্য তিনি কলকাতায় চলে আসেন। বড় বোন বিমলা ও তাঁর স্বামীর উৎসাহে তাঁদের বাসায় থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডিয়ান ভারনাকুলারস-এ ভর্তি হন। সেখানে স্পেশাল সাবজেক্ট ছিল বাংলা। বাংলায় তাঁর প্রধান বিষয় ছিল প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য এবং ভাষাতত্ত্ব। ১৯৩৮ সালে এম. এ. পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অজিত গুহ বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। অজিত গুহ সেবছর পরীক্ষা না দিয়ে কুমিল্লায় চলে আসেন। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৩৯ সালে তিনি এম.এ. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উর্ত্তীর্ণ হন।

কর্মজীবন: ১৯৪২ সালে অজিত গুহ প্রিয়নাথ হাই স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এই স্কুলে তিনি একনাগাড়ে প্রায় ছয় বছর শিক্ষকতা করেন। তিনি ঢাকার প্রগতি লেখক ও শিল্পী সঙ্ঘের একজন উৎসাহী সদস্য হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুখ্যাতির কারণেই ১৯৪৮ সালের ১৬ আগষ্ট অজিত গুহ জগন্নাথ কলেজের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২০ বছর চাকরী করার পর কলেজের প্রাদেশিকীকরণের কারণে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিনি এখানে শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি কিছুকাল বেকার ছিলেন। পরে তাঁর পূর্ব পরিচিত টিএন্ডটি কলেজে যোগদান করেন। কিন্তু কলেজের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দলাদলি এবং দৈনিক ইত্তেফাকে তাঁর একটি লেখা প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে সহকর্মীদের সাথে বিতর্কের সূত্র ধরে অজিত গুহ সেই চাকরি থেকেও পদত্যাগ করেন।

তিনি তাঁর মার্জিত রুচিবোধ আর প্রজ্ঞার কারণে শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন। শোনা যায়, সেসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র তাঁর ক্লাস করার জন্য নিয়মিত জগন্নাথ কলেজে যেতেন। তিনি ১৯৫৭-৫৮ সাল পর্যন্ত একবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। কিছুদিন তিনি সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজেও খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেন।

বিয়ে: অজিত গুহ ছিলেন চিরকুমার।

মৃত্যু: ১৯৬৯ সালের ১২ নভেম্বর, অজিত গুহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে যোগদানের জন্য প্রথমে কুমিল্লা যান। তারপর দিনই তাঁর চট্টগ্রাম যাবার কথা। কিন্তু সেদিন রাতেই আকস্মিকভাবে তিনি কুমিল্লায় তাঁর নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তথ্যসূত্র: এই লেখাটি তৈরি করার জন্য অজিত গুহের সহকর্মী ড. সালাউদ্দিন আহমেদ ও অজিত গুহ স্মারক গ্রন্থের সাহায্য নেয়া হয়েছে।

লেখক : চন্দন সাহা রায়

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.