GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

আব্বাসউদ্দীন আহমদ

অবদানের ক্ষেত্র: সংগীত
লোক সঙ্গীতের পুরোধা পুরুষ আব্বাসউদ্দীন আহমদ

লোক সঙ্গীতের পুরোধা পুরুষ আব্বাসউদ্দীন আহমদ

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

জন্ম, ছেলেবেলা ও বেড়ে ওঠা
বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের পুরোধা পুরুষ আব্বাসউদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ তথা এই উপমহাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ও লোকসঙ্গীত শিল্পী। কুচবিহার অঞ্চলে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা, যেখানে গাঁথা রয়েছে তাঁর মূল শিকড়, ভাওয়াইয়া সুরের দেশ, দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে কৃষকরা হাল বাইতে বাইতে, পাট নিড়াতে নিড়াতে গাইত ভাওয়াইয়া গান। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারাটা গ্রাম মাটির গানের সুরে মুখরিত হয়ে থাকত। সেসব গানের সুরেই শিল্পীর মনের নীড়ে বাসা বেঁধেছিল ভাওয়াইয়া গানের পাখি। এ গানে সুর তাঁর সত্তায় তুলে দিত আলোড়ন। চাষীদের গানের সুর অবিকল আয়ত্ত করে তুলে নিতেন নিজের গলায়। স্কুলের পথে হেটে যেতে বাড়ি আড়াল হলেই ধরতেন গানের অনুশীলন, বাজারে আসার আগ পর্যন্ত চলত। গান নিয়ে আত্মীয়- স্বজনের ঘোর আপত্তি থাকলেও তাঁর বাবার মৌন সম্মতিতে আসলে শিল্পী আব্বাসউদ্দীনের সুরময় জীবনের সূচনা ঘটে। এই কীর্তিমান শিল্পীর জন্ম বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহারের বলরামপুর গ্রামে। ১৯০১ সালের ২৭শে অক্টোবর। তিনি ছিলেন তুফানগঞ্জের বিত্তবান উকিল জাফর আলীর সন্তান, তবে জীবন ধারা ছিল গ্রামের আর দশটি সাধারণ ছেলের মতই। গ্রাম-বাংলার প্রাকৃতিক নিসর্গের কাছে বেড়ে ওঠা গান পাগল আব্বাসউদ্দীনের কল্পনাপ্রবণ মনে এদেশের মাটির লোকসুরের বিকাশ ও বৈচিত্রতা ঘটেছিল ঋতু পরিবর্তনের রূপ বৈচিত্রতা অবলোকন করে, পাখির ডাক শুনে। পরবর্তী জীবনে খুব অল্প সময়ের জন্য কলকাতা ও মুর্শিদাবাদে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করলেও এই শিল্পী ছিলেন প্রকৃতপক্ষে একজন স্বশিক্ষায় শিক্ষিত শিল্পী। বরেণ্য শিল্পীর লোকগানে নিজে নিজে পারদর্শিতা অর্জন করার গল্প বেশ আকর্ষণীয়। বাংলাদেশের লোকগান বেঁচে আছে তাঁর গলায় তাঁর অসামান্য কীর্তিতে।

পালাগান, দোতারার সাথে পরিচয় হয়েছিল ছেলেবেলাতেই, ঘোড়ার লেজ সংগ্রহ করে নিজ হাতে ‘বেণা’ তৈরী করে জীবনের প্রথম গান গাওয়া হয়েছিল। এই লোকসঙ্গীত শিল্পী জীবনে প্রথম গান গেয়েছিলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত। ছেলেবেলায় গান ও লেখাপড়ায় পারদর্শী আব্বাসউদ্দীনের বেশ নামডাক ছিল। একটু বড় হয়ে মানে মেট্রিক পরীক্ষার সময় গ্রামে আগত একটি সমাজ সংস্কারক যাত্রা দলের পরিবেশনা দেখে জীবনে প্রথম নব চেতনার গানের সংস্পর্শে আসেন। গানের সুর দিয়ে গণমানুষের মনে উদ্দীপনা জাগাবার শপথ নিয়েছিলেন। ছেলেবেলায় কলকাতা থেকে আগত তুফানগঞ্জের একটি হিন্দু পরিবারের সাথে আত্মার-আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, ধর্ম ও সমাজের উর্ধে গিয়ে সম্পর্ক হয়েছিল, যার সুবাদে তিনি বাংলা বইয়ের সংস্পর্শে আসেন, তখনই মূলত পড়ুয়ার অভ্যাসটি তৈরী হয়েছিল, পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ভাল কিছু বই। কিছু দিন পরই কোচবিহার কলেজে আইএ পড়ার সময় ঝোঁকের মাথায় পুলিশের দারোগার চাকুরী পেয়ে খুব খুশি হলেও নিজের বাবা এবং সেই পালক বাবার হস্তক্ষেপে চাকুরীটা আর করা হয়নি। সতের বছর বয়সে আব্বাসের জীবনে প্রথম প্রেম নীরব চরণ ফেলে এসেছিল এক অনিন্দ্যসুন্দর কিশোরীর জন্য। তুফানগঞ্জের কালজানি নদীর তীরে হাঁটতে হাঁটতে গলা ছেড়ে গানের অনুশীলন করতে গিয়ে দেখা হয়েছিল। নদীর তীরে বসে অফুরন্ত সময়ের জন্য গল্প করা, পূর্নিমার চাঁদের আলোয় ফুল আদান-প্রদান হয়েছিল।

ভদ্র ও শিক্ষিত আব্বাস সেই বাড়ির সাথে যোগাযোগ স্থাপনও করেছিল, পরে বাবা-মা জানতে পেরে তাঁর প্রথম প্রেমে শুভ পরিণয় ঘটার পরিকল্পনা করলেও তাঁর মানস্প্রতিমা, জীবনের প্রথম প্রেমের কল্পতরুকে স্বর্গ থেকে ধরার ধূলোয় নামিয়ে আনতে সাহস করেননি। ফলে সেই অধরা প্রেম অধরাই রয়ে যায়, সেই প্রেম আব্বাসের মনে স্মৃতির ধ্রুবতারা হয়েছিল সারাজীবন। আইএ পাশ করার পর লখনৌ মরিস মিউজিক কলেজে পড়তে যাবার ইচ্ছা বাড়ীতে ব্যক্ত করলেও অনুমতি মেলেনি, ফলে গিয়েছিলেন রংপুর কলেজে, কিছুদিন পড়বার পর সেখানে মন টেকেনি, চলে গিয়েছিলেন রাজশাহী কলেজে, আবহাওয়া সয়নি, দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়লেন, তবে বি.এ. ফাইনাল পরীক্ষাটা সেখান থেকেই দেন। পরীক্ষার ছুটিতে বেড়াতে গেলেন রংপুরের বড়খাতায় বন্ধুর বাড়ি, কিন্তু সেসময়ে হঠাৎ করে খবর এল বাবা মৃত্যুশয্যায়। পড়িমড়ি ঘরে ফিরে দেখতে পান বাড়ির সবাই বাবার শেষ শয্যা পাশে কান্নাকাটি করছে। বাড়ির সবাইকে ভেঙ্গে পড়তে দেখেও সেদিনে সদ্য যুবা আব্বাস জায়নামাজে বসে পরম করুণাময়ের কাছে এক আশ্চর্য মনোবল নিয়ে নিজের বি.এ. পাশের বিনিময়ে বাবার প্রাণ ভিক্ষা চাইবার প্রার্থনা করলেন, বাবার চোখ না খোলা পর্যন্ত পড়েছিলেন সিজদায়।

বাবা ১১৫ বছর সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন কাটিয়েছিলেন, তবে সেই ঘটনার পর কলেজের সবচে’ নামকরা ছাত্র আব্বাসউদ্দীনের নাম বি.এ. পরীক্ষায় ফলাফলে কলেজ গেজেটে উঠলো না। বাবা অনেক বোঝানোর পর আবার বি.এ.’র দরজায় গিয়েছিলেন, কিন্তু এর আগের তিনমাস কাটিয়েছিলেন বাড়িতে। পারিবারিক হাটের নিয়মিত ইজারা সংগ্রহ করার জন্য প্রতিদিন ৫ মাইল যাওয়া আসা করতে ধনীর ছেলে আব্বাস অমানুষিক পরিশ্রম করতে লাগলেন। বর্ষায় দু’কূল হারানো কালজানি নদীর পাড়ে খেয়া পারাপারের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতেন আর গলা ছেড়ে গান গাইতেন, মনের দুঃখ আর বিষন্নতা সবই ধরা পড়ত সেই গানে। সেখানে একদিন এক বৃদ্ধ মাড়োয়ারি আব্বাসকে বললেন, ‘এমন মিষ্টি গলায় গান গাও তুমি কলকাতায় গিয়ে কলের গানে গান দাও, জীবনে প্রতিষ্ঠা পাবে।’ কালজানি নদীতে নৌকায় চড়ে আব্বাস গান গাইতেন। নদীর ঢেউ-এর ওপর দিয়ে তাঁর গানের সুরের কাঁদন কাঁপতে কাঁপতে দূরে মিলিয়ে যেত। বাড়ি থেকে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত কলকাতার পানে চেয়ে থাকতেন যুবক আব্বাস।

কলকাতা শহরে শিল্পীর আসনে প্রতিষ্ঠালাভ
আর তাই কলকাতা থেকেই শৈলেন রায় ও ধীরেন দাসের লেখায় নিজের সুর সংযোগে আব্বাসের জীবনের প্রথম দুটি গানের রেকর্ড হয়েছিল। এসময় গ্রামোফোন কোম্পানির সুরকার, গীতিকার ও ম্যানেজারসহ বেশকিছু লোকজনের সাথে পরিচয় ঘটে। প্রথম গানের রেকর্ডের কথা আব্বাসের বন্ধু মহলে প্রায় সবাই জেনে গিয়েছিল কিছুদিনের মধ্যেই।প্রথম গানের রেকর্ড হবার পর পরই আব্বাসকে যেন কলকাতা বৃহত্তর জীবনের অনাগত দিনসব হাতছানি দিয়ে ডাকা শুরু করল। এ আহবানে সাড়া দেবার তাগিদে তিনি বি.এ. পাশ দেবার কথা তুচ্ছ ভাবতে লাগলেন। এভাবে একদিন আব্বাস তাঁর অভিভাবকের বিনা অনুমতিতে নিজের সিদ্ধান্তে একরকম পালিয়ে চলে এলেন কলকাতায়। সেখানে কিছুদিনের মধ্যে ছোটখাট একটি চাকুরী যোগাড় ও মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেন। এসময় পরিচয় হয়েছিল ছদ্মবেশে থাকা ভারতের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ওস্তাদ শ্রীতারাপদ চক্রবর্তীর সাথে। এত বড় শহরে এসে যুবক আব্বাস তখন পথে পথে ঘুরতেন আর ভাবতেন কিভাবে এখানে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায়। তাঁর মনের এ সুক্ষ্ম অভিলাষ বিধাতা মঞ্জুর করেছিলেন। আর তাই জীবনের প্রথম স্টেজশোতে গান গাইবার সুযোগ এসে গেল কিছুদিনের মধ্যে, কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রদের রি-ইউনিয়ন উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে মিলনায়তনের বিশাল মঞ্চে সেসময়কার বিশিষ্ট কিছু শিল্পী কৃষ্ণ চন্দ্র দে, পঙ্কজ মল্লিক ছিলেন তাঁর সহশিল্পী। কম্পমান হৃদয় আর শিহরিত শরীরে জীবনের প্রথম স্টেজে গান গাওয়া হলেও সেদিন বাহবা পেয়েছিলেন প্রচুর, একে একে অনেকগুলো গান গাইতে হয়েছিল সেদিন। এরপর অবশ্য আব্বাসউদ্দীনকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক স্টেজশো’র আমন্ত্রণ আসতে থাকে। উদীয়মান শিল্পী আব্বাস এভাবে কলকাতায় মেসে কাটালেন প্রায় দু’বছর।

ইসালামী গান, কাজী নজরুল ও আব্বাসউদ্দীন
আব্বাসউদ্দীন ও কাজী নজরুল ইসলামের সম্মিলিত সৃষ্টি বাংলা গানের জগতে তৈরী করেছিল একটি ভিন্ন অধ্যায়। তৎকালে বাঙ্গালী গোঁড়া মুসলমানদের ইসলামী গান উপহার দিয়ে গান তথা আধুনিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের দিকে উৎসাহিত করে তুলেছিলেন তাঁরা দুজনে মিলে। আব্বাসউদ্দীনের উৎসাহে কাজী নজরুল কাওয়ালী ও সুফি ঘরানার বাংলা গানের বিশাল ভান্ডার তৈরী করেন। আব্বাসউদ্দীনের গলায় সেগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তাও কুড়িয়েছিল। তাঁদের প্রথম জনপ্রিয় গান ছিল ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’। এই দু’জন কীর্তিমানের প্রচেষ্টায় সেসময় অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে গানের রেকর্ড সাধারণ মানুষের হাতের কাছে পৌঁছেছিল। যার ফলে তখন প্রায় সকল সামর্থবান বাঙ্গালী মুসলমান ঘরে পৌছে গিয়েছিল গানের রেকর্ড ও বাংলা বই। ভাটিয়ালি গানের ক্ষেত্রে কাজী নজরুলের রচনা ও গ্রাম্য সুরে আব্বাস প্রথম নাম পেতে শুরু করেন। গ্রাম্য সুরের ওপর করা নজরুলের লেখা ও সুর করা গান – ‘নদীর নাম সই অঞ্জনা নাচে তীরে খঞ্জনা’ তখন খুব বিখ্যাত হয়েছিল।

পল্লীগীতি, আব্বাসউদ্দীন ও কবি জসীম উদ্দীন
এ সময় আব্বাসউদ্দীনের নাম ডাক চারদিকে বেশ ছড়িয়ে পড়েছিল। সৃষ্টি হল সাড়া জাগানো গান ‘আমি গহীন গাঙের নাইয়া’ ও ‘ও আমার দরদী আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় চড়তাম না’।এরপর আব্বাস আর জসীম তখন পল্লীগীতিকে জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেন অভিযানে নেমে পড়লেন। বিভিন্ন কলেজে গিয়ে গিয়ে আব্বাস-জসীম ডুয়ো পল্লীগীতি’র আসর করতে লাগলেন। প্রথম প্রথম তেমন সাড়া না মিললেও তাঁদের দলে যোগ দিলেন খগেন মিত্তির, রায়বাহাদুর দীনেশ সেন, গুরুসদয় দত্ত।তখন কলকাতায় বসবাসরত প্রায় আশি ভাগ মানুষের মূল শিকড় বাঁধা ছিল গ্রামাঞ্চলে। তখন তারা কলকাতায় বসতি গেড়েছিল রুজি- রোজগারের আশায় তবে তাদের মন পড়ে থাকত শিকড়ের কাছে। যখন রেকর্ড আর রেডিওর মাধ্যমে আব্বাসের কন্ঠে ধ্বনিত হল পল্লীর সেই মেঠো সুর তখন যেন নগর জীবনে ক্লান্ত পথচারী থমকে দাঁড়াল! এই সুরের সঙ্গে খুঁজে পেল নাড়ির টান ও প্রাণের যোগাযোগ। এভাবে শিল্পী আব্বাসউদ্দীনের গানের সুরের মাধ্যমে বাংলার আকাশ-বাতাস পল্লীগীতির সুরশ্রীসমৃদ্ধ হল। অভিজাত মহল, পেশাজীবি সমাজ, খেটে খাওয়া শ্রেণী তথা পুরো সমাজে বাংলাদেশের পল্লীগীতি বিশেষভাবে সমাদৃত হল।ভাটয়ালী গানের জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠা পাবার পর আব্বাসের মনে নতুন উন্মাদনা জেগে উঠল তাঁরই শিকড়ের সুর ভাওয়াইয়া। কোচবিহারের তোরষা নদীর তীর ধরে গান গেয়ে চলেছে, মোষের পিঠে করে দোতারা বাজিয়ে মেষপালক মৈষালের দল। তাদের কন্ঠের সুর আব্বাসের কন্ঠে বেঁধে গিয়েছিল ছেলেবেলায়। তাদের মুখের ভাষাই ছিল আব্বাসের মাতৃভাষা।

কোচবিহারের স্থানীয় ভাষাস্বত্বেও সর্বজনীন আবেদনসমৃদ্ধ এ ভাষায় আব্বাস প্রথম গাইলেন ‘ও কি ও গাড়িয়াল ভাই কত রব আমি পন্থের দিকে চায়া রে’ ও ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে’। এসব গান শুধু উত্তরবঙ্গে নয় সারা বাংলায় জাগিয়েছিল বিপুল আলোড়ন। শুধু গানই নয় উত্তরবঙ্গের ভাষায় এসময় আব্বাসউদ্দীন রেকর্ড করলেন মধুবালা, চারুমতি কন্যা, রুপধন কন্যা, হলদী-শানাই, মহুয়া সুন্দরী ইত্যাদি কয়েকটি নাটক। পল্লী সাহিত্য ও পল্লীগীতির ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও কাটতি দেখে রেকর্ড কোম্পনীর লোকেরা প্রতিমাসে নতুন নতুন রেকর্ড বাজারে আনতে লাগল। ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে এসময় আব্বাস শুধু নিজেই নন, কোচবিহার থেকে নিজের পরিচিত বন্ধু, অগ্রজ ও অনুজদের নিয়ে এসে গান রেকর্ড করাতে লাগলেন। এ সময় অনেক গানের রচয়িতা ছিলেন তাঁর বন্ধু প্রতীম কবি আব্দুল করিম।এভাবে শিল্পী আব্বাসউদ্দীন কাজী নজরুলের ইসলামী গান গেয়ে পরিচিতি পেলেন বাংলার মুসলমান সমাজে আর বাংলার আপামর জনসাধারণের কাছে পরিচিতি পেলেন পল্লীবাংলার ভাটিয়ালি, জারি, সারি, মুর্শিদি, দেহতত্ত্ব, বিচ্ছেদি, ভাওয়াইয়া, চটকা ও ক্ষীরোল গান গেয়ে। পূর্ববাংলার হাটে মাঠে ঘাটে এই পল্লীগীতি ছড়িয়ে ছিল, লুকিয়ে ছিল, অনাদৃত হয়ে পড়ে ছিল। এসময় শ্রীকানাইলাল শীল স্বার্থহীন সহায়তায় শিল্পী আব্বাসউদ্দীন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এই হারানো মানিক উদ্ধারের কাজ করেছিলেন সব ধরণের পল্লীগীতির সংগ্রহ ও সেগুলোর রেকর্ডের মাধ্যমে।তবে লোকসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে শুধু নিজ দেশে নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান কম নয়। বিশ্ব লোকসঙ্গীত সম্মেলনে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে বাংলাদেশের লোকসঙ্গীতকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং সেটাকে বিশ্ব শিল্প-সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আব্বাসউদ্দীনের অবদান ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

ধ্রুপদীসঙ্গীত ও আব্বাসউদ্দীন
এর মাঝে কিছু সময়ের জন্য আব্বাসউদ্দীন কাজী নজরুল ইসলামের প্রেরণায় ঠুমরীর বাদশাহ ওস্তাদ জমীর উদ্দীন খাঁ’র কাছে ধ্রুপদীসঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করেছিলেন। এসময় আব্বাসের কন্ঠে রেকর্ড করা কবি গোলাম মোস্তফা’র লেখা ও জমীর খাঁ সাহেবের দেয়া অপূর্ব সুর মহিমায় সৃষ্ট দু’টি বাংলা ভাষার ধ্রুপদীসুর ভিত্তিক গান – ‘ফিরে চাও বারেক ফিরে চাও, হে নিঠুর প্রিয়া’ ও ‘সে তো মোর পানে কভু ফিরে চাহে হায়’ অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

কলকাতার রেডিও
কলকাতার রেডিওতে ইসলাম ধর্মের গৌরবময় ইতিহাস ও বীরত্বগাঁথা নিয়ে জীবন্তিকা পরিচালনা ও প্রচারের মাধ্যমে সে সময়কার পশ্চাদপদ নিরস মুসলমান সমাজকে জাগ্রত করতে আব্বাসউদ্দীনের অবদান ছিল অপরিসীম।

নাটক ও সিনেমাতেও আব্বাসউদ্দীন
আব্বাসউদ্দীন বাংলার নটসূর্য শিশির ভাদুড়ীর বেশ কিছু নাটকে গাইয়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তুলসী লাহিড়ীর ‘ঠিকাদার’ ছবিতে অবতীর্ণ কুলির ভূমিকায়। অংশ নিয়েছিলেন ‘বিষ্ণুমায়া’, ‘মহানিশা’, ‘একটি কথা’র মত আরও কিছু সিনেমাতেও।

পূর্ব বাংলায় নবজাগরণের ছোঁয়া
কাজী নজরুল ও আব্বাসউদ্দীনের প্রচেষ্টা ও অভিযানে তৎকালের সারা পূর্ব বাংলা অর্থাৎ এখনকার বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে শিল্প-সাংস্কৃতিক চর্চা শুরু হয়েছিল। সেসময়কার মুসলমান সমাজ শিক্ষিত হয়েও ধর্মীয় গোঁড়ামীভিত্তিক চিন্তা-ভাবনার বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল যা কিনা তাদেরকে আধুনিক ও উদার চিন্তা-চেতনা থেকে অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছিল। নজরুল ও আব্বাসের সম্মিলিত প্রয়াসে সৃষ্ট গান ও সুর বাংলাদেশের মুসলমান সমাজকে জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পেতে সাহায্য করেছিল। গান রেকর্ডের পাশাপাশি মুসলমানদের নবজাগরণের লক্ষ্যে বাংলার পথে পথে জেলায় জেলায় ঘুরে ঘুরে তাঁরা দু’জন যুব সভা ও সম্মেলনের আয়োজন করতে লাগলেন যেখানে কবি নজরুল নওযোয়ানদের উদ্দ্যেশে শিক্ষার বিস্তারের প্রয়োজনীয়তা, অন্ধ-বিশ্বাস দূর করে উদার বিশ্বাস বিস্তারের প্রয়োজনীয়তা, মানসম্মত বিনোদন ও শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা তথা একটি নতুন জাতীয়তাবোধ জাগ্রতমূলক বক্তব্য প্রদান করতেন ও শিল্পী আব্বাস সভা গায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এ ধরণের অনুষ্ঠানে ব্যপক সারা এসেছিল।

ছাত্রদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ঈদ বা পূজা উপলক্ষ্যে জলসা, দাতব্য অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে নজরুল-আব্বাসের নামে কিশোর-যুবা-বৃদ্ধ সকল শ্রেণীর মানুষের ঢল নামত।বাংলাদেশের কীর্তিমান সন্তান আব্বাসউদ্দীন তাঁর জীবনে বহু পুরষ্কার ও সম্মানে ভূষিত হলেও সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ পান ১৯৮১ সালে তাঁর প্রয়াণের প্রায় বিশ বছর পর, মৃত্যুবরণ করেন ১৯৫৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে আব্বাসের শরীর মিশে গেছে বাংলাদেশের মাটির সাথে কিন্তু আব্বাস বেঁচে আছেন তাঁর মহিমাময় কীর্তির মাধ্যমে, বাংলাদেশের লোকসুরের মাধ্যমে। তাঁর তুলে ধরা লোকসুর বাংলাদেশের মানুষকে সবসময় নিয়ে যায় মাটির কাছে, প্রাণের কাছে, বহু বছর পরও নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেয় তাঁদের মূল শিকড়ের সাথে।তথ্যসূত্র : ‘দিনলিপি ও আমার শিল্পীজীবনের কথা’- আব্বাসউদ্দীন আহমদ, সম্পাদনা – মুস্তাফা জামান আব্বাসী, প্রকাশক – প্রথমা প্রকাশন।

লেখক : শামসুন নাহার রূপা

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.