জামালপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। ঐ কলেজেই কেটেছে আট আটটি বছর। আর স্কুলের গা লাগোয়া বয়ে যাওয়া অপূর্ব সেই ব্রক্ষপুত্র নদ। কতনা অম্ল মধুর স্মৃতির গহীন শেকর বিছানো ঐ বিদ্যাপীঠে। কী অপরূপ প্রকৃতি! নদের পাড় ঘেষে প্রাচীন বট গাছ। তার দৃষ্টিনন্দন অসংখ্য গুড়ি। টিফিন পিরিয়ডের ঘন্টা বাজল কি বাজল না অমনি ঐ নদের গুড়িতে যেয়ে বসে নিচ দিয়ে তির তির করে বয়ে চলা পানির স্রোত দেখতেন আবদুল্লাহ আল মামুন। স্কুল পড়ুয়া চঞ্চলমতি বালক হলে কী হয় ঐ ব্রক্ষপুত্র নদই যেন তাঁর অনন্তের গহীনে অলীক বাঁশি বাজালো। পরবর্তী জীবনের চিত্রনাট্যটি যেন বা রচিত হয়ে গেল সৃষ্টিকর্তার হাতে। বাবা অধ্যক্ষ সাহেব ছেলেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সি এস সি অফিসার বানাতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু গোড়ায় গলদ। মামুনের মনযোগী পরিশ্রমী ছাত্র হবার কোন আগ্রহই নেই যে। তাঁর মনোযোগ নানা বিষয়ে। তিনি সাহিত্যে তুখোড় কিন্তু অংকে যেন জলাতঙ্ক। যাই হোক প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন ম্যাট্রিক পরীক্ষায় কিশোরগঞ্জ থেকে। কেননা বাবা সে বছর জামালপুর কলেজের চাকরির ইতি টেনে কিশোরগঞ্জ জামেয়া ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল পদে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি ভালো ছাত্র হবার চেষ্টা না করে খেলাধুলায় মন দিলেন। একজন ভালো ফুটবলার এবং হাইজাম্পার হিসেবে বেশ খানিকটা খ্যাতি হলো।
এরপর একেক পর এক ঘটতে থাকল নানা ঘটনা। ক্লাস নাইনে পড়ার সময় চোখে উঠল চশমা। চশমা পড়ে ক্রিকেট খেলার সময় একট বল এসে সজোরে ছিটকে লাগল তাঁর চশমার উপর আর আর সেই থেকে তীব্র ভীতি তাঁকে খেলাধুলার অঙ্গন থেকে ছাটাই করে দিল। অতঃপর অবশিষ্ট রইল সংস্কৃতি অঙ্গন। এবারে আদাজল খেয়ে সঙ্গীত সাধনা। রবীন্দ্র, সুকান্তের কবিতার জগতে হাবুডুবু খাওয়া। এই পর্যায়ে কণ্ঠে তুলে নিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত। শুরু হলো প্রাণেশ কুমার মন্ডল স্যারের বাসায় গিয়ে লাগাতার সঙ্গীতসাধনা। সেই সময় মুসলমান সমাজে গানবাজনা নৃত্য অভিনয় আদৃত হয়নি। এ জাতীয় সংস্কৃতির চর্চাকে মুসলমানেরা বাঁকা চোখে দেখতো। এই সময় দেখা দিলো আরেক অশনিসংকেত। ব্যাটারী চালিত ফিলিপস রেডিও সেটটির উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারী হলো। শুধু তিনবেলা খরব শোনা চলতে পারে। এই সময় প্রচুর সিনেমা দেখতেন তিনি। বিছানায় কোলবালিশ চাদর দিয়ে ঢেকে রেখে বেরিয়ে পড়তেন সেকেন্ড শো সিনেমা দেখতে।
এরপর পিতার কাছে একটা মর্মস্পর্শী কাহিনী শুনে আবদুল্লাহ্ আল মামুন লিখে ফেললেন আস্ত একটি নাটক। ‘নিয়তির পরিহাস’। বন্ধুরা মিলে এই নাটকটি স্কুলের মঞ্চে মঞ্চস্থ করেছিলেন। এই নাটকটিই তাঁর জীবনে প্রথম নাট্য পরিচালনা ও নির্দেশনা। তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্রে সফল অভিনয় করেছিলেন। এই নাটকটি দেখে অনেক দর্শকই কেঁদেছিলেন। এই নাটকই তাঁর পরবর্তী জীবনের ‘পাটাতন’ রচনার উপাদান জুগিয়েছে।
নানা বাড়িতে গ্রামোফোন রেকর্ডে গান বাজাতো। রাত গভীর হলে খালারা নিয়ম করে গান শুনতেন। ‘এই কি গো শেষ দান, বিরহ দিয়ে গেলে’…………ইত্যাদি। আবদুল্লাহ আল মামুন প্রচুর গল্পের বই পড়তেন। অতঃপর তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। এখানে শওকত ওসমান স্যারের সাথে তাঁর সখ্যতা হয়। তাঁর ‘ক্রীতদাসের হাসি’ নাটকে ক্রীতদাসের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রখ্যাত সাহিত্যিক শওকত ওসমানের প্রাণঢালা অভিনন্দনে সিক্ত হন মামুন।এরপর কলেজের পাট চুকিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। ইতিহাস বিভাগে। এই সময়ে দারুণ অর্থ সংকটে পড়তে হয় তাঁকে। পার্ট টাইম কাজও করেন তিনি। বাবা অধ্যক্ষ আবদুল কুদ্দুস ছিলেন জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজের প্রিন্সিপাল, এরপর তিনি কিশোরগঞ্জ জামেয়া ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন। মা ফাতেমা খাতুন সুগৃহিণী ছিলেন। তিনি প্রায়ই গর্ব করে বলতেন, মামুন যেদিন পৃথিবীর আলোর মুখ দেখেন সেদিন বিখ্যাত সিনেমা ‘সোলে’-র গাব্বার সিংয়ের মতো অত্যাচারী অতি নিষ্ঠুর ভয়ঙ্কর ডাকাত মারা যান। মামুনের মাতুতালয় ছিল জামালপুরের চরাঞ্চলে। যেখানে সেই যমদূতের আতঙ্কে গৃহস্থের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল।
সুতরাং নালা ময়েজউদ্দিন মাস্টার সাহেবের ঘর আলো করে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে ঘোর আষাঢ়ের শেষে সেই শিশুটি অবশ্যই পয়মন্ত।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন ১৯৬৪ সালে। আবদুল্লাহ আল মামুন ক্রমেই বাংলাদেশের নাট্যজগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠলেন। কিন্তু শিল্পের নানা শাখায় তাঁর অনায়াস দখল ছিল। স্কুল জীবন থেকেই নাট্যকার হিসেবে হাত পাকাচ্ছিলেন। পরবর্তী সময়ে নাট্যকার হিসেবে এক অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেন তিনি। তারপর আছে নাটক নির্দেশনা। এরপর অপ্রতিদ্বন্দী অভিনেতা। মঞ্চ যেন ঝলমল করে উঠত তাঁর উপস্থিতিতে। বহুমাত্রিক প্রতিভার এই মানুষটি স্পল্প পরমায়ু নিয়ে বহু অবিশ্বস্য কর্ম করে গেছেন।১৯৬৬ সালে টিভির চাকুরীতে ঢুকলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। ১৯৯১ পর্যন্ত সেখানেই একনিষ্ঠ কর্মপ্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেলেন। প্রযোজক থেকে উপ-মহাপরিচালকের পদে উন্নীত হয়েছিলেন। এরপর জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।আবদুল্লাহ আল মামুন যখন টেলিভশনে নাটক শুরু করেন তখন টিভি নাটক কেমন হবে তার স্বচ্ছ ধারণা তাঁর সামনে ছিল না। এমনকি রেকর্ডিং- এর ব্যবস্থাও চালু হয়নি। ষ্টুডিওর অপরিসর অঙ্গনে নাটক লাইভ প্রচারিত হতো। দক্ষ নাট্যকারের বড় অভাব ছিল। তাই তিনি নিজে অসংখ্য নাটক লিখেছেন।
আর নাটক প্রযোজনায় তাঁর ভূমিকাটি ছিল অগ্রপথিকের । টিভিতে তাঁর অসাধারণ ধারাবাহিক প্রযোজনা ‘সংশপ্তক’ -২৬ পর্বে সমাপ্ত। ‘জোয়ার ভাটা’-২০০ পর্বে প্রচারিত। ‘এক জনমে’ ২৮৭ পর্বে প্রচারিত। আজকের খ্যাতনামা অনেক নাট্যপ্রযোজকদের হাতেখড়ি তাঁর হাতে হয়েছিল। তিনি আনন্দিত চিত্তে নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের হাতে-কলমে কাজ শিখিয়েছেন। তাঁর অনুপ্রেরণা ও শিক্ষায় বহু গুণী শিল্পী আত্মপ্রকাশ করেছেন। তিনি নিজে একজন সুদক্ষ অভিনেতা হওয়ার কারণে অভিনয় শিল্পীদের কাছ থেকে ভালো কাজ করিয়ে নিতে মোটেই বেগ পেতেন না। আবদুল্লাহ্ আল মামুন ঢাকা হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। এ সময়ে ডাকসু ও হলের নাটক ‘লবণাক্ত’, ‘যদি এমন হতো’, ‘মা’, ‘প্রচ্ছদপট’ ইত্যাদি নাটকে অভিনয় করে প্রভূত প্রশংসা অর্জন করেন।তাঁর নাটকের অমিত প্রতিভা বিকশিত হয় বাংলাদেশের জন্মের পর। মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটক ছিল ‘থিয়েটার’-এর প্রথম নাটক, যা মঞ্চস্থ হয় ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে। এ নাটকে নেতার ভূমিকায় সার্থক অভিনয় করেছিলেন মামুন। ‘থিয়েটার’-এর নিয়মিত অভিনয়ের যাত্রা শুরু মামুনের ‘সুবচন নির্বাসন’ দিয়ে ঐ বছরই। ‘থিয়েটার’-এ মামুনের বিশেষ উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘এখন দুঃসময়’, ‘সেনাপতি’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘কোকিলারা’, ‘দ্যাশের মানুষ’, ‘স্পর্ধা’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’, ‘তাহারা তখন’, ‘মেহেরজান’, ‘আরেকবার’, ‘গোলাপবাগান’ ও ‘জন্মদিন’। তিনি দ্রুত টিভি নাটক লিখতে লিখতে মঞ্চের জন্য নাটকও দ্রুত লিখে ফেলতে সক্ষম ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও তারুণ্য তাঁর নাটকে বার বার বিষয়বস্তু হয়েছে। ‘কোকিলারা’ আমাদের দেশের নারী সমাজের প্রকৃত অবস্থান নিয়ে রচিত।বাংলাদেশের নাট্যরচনা ও প্রযোজনার ইতিহাসে এ নাটকটি প্রকৃতই মাইলফলক হয়ে আছে। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নির্দেশক হিসেবে তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য কাজ। কাব্যনাটককে মঞ্চে অভিনয় উপযোগী করার দক্ষতা তিনি দেখিয়েছেন সৈয়দ শামসুল হকের এই কাব্যনাটকে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এটি একটি অসাধারণ নাট্যকর্ম। তিনি দুটি পথনাটকও রচনা করেছিলেন- ‘কুরসি’, ‘বিবিসাব’। তিনি সবসময় প্রযোজনার নান্দনিক দিক নিয়ে ভাবতেন। আজ মঞ্চনাটকের যে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা তার অন্যতম পথিকৃৎ আবদুল্লাহ আল মামুন।সংলাপ নাটকের প্রাণরস। তিনি সংলাপ রচনায় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তিনি নাটকের সমাপ্তিতে একটি অর্থবহ ম্যাসেজ রেখে যেতেন। যা বোদ্ধা দর্শকদের প্রভাবিত করতো।
আবদুল্লাহ আল মামুন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন। তার মধ্যে অন্যতম আলোড়ন সৃষ্টিকারী চলচ্চিত্র ‘সারেং বৌ’। অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো ‘সখী তুমি কার’, ‘এখনই সময়’, ‘দুই জীবন’, ‘দমকা’, ‘জনমদুখী’, ‘বিহঙ্গ’, ‘ফেরদৌসী মজুমদার-জীবন ও অভিনয়’।তিনি কিছুটা নিভৃতিচারী ছিলেন। সভা-সমিতি, সমাবেশ ইত্যাদি থেকে আড়ালে থাকতে চাইতেন। তিনি জীবনে অনেক দক্ষ শিল্পী তৈরী করেছেন কিন্তু পরবর্তীতে অনেকেই তাঁকে সেই কৃতজ্ঞতাটুকু দেখায়নি। বিষয়টি তাঁকে মর্মাহত করত। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অসুস্থতার কারণে অনেকটাই সেন্টিমেন্টাল হয়ে পড়েছিলেন।তিনি পেশাগত প্রশিক্ষণ নেন ডেস্ক জার্নালিজম সার্টিফিকেট কোর্স, ঢাকা প্রেস ক্লাব; নেদারল্যান্ড টিভি প্রোগ্রামে এপ্রিসিয়েশন কোর্স ও কুয়ালালামপুর সিনিয়র ব্রডকাস্টিং ম্যানেজমেন্ট কোর্স।কর্মজীবনে সবশেষে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে (মার্চ-অক্টোবর ২০০১) দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিভাদীপ্ত আবদুল্লাহ আল মামুন স্বল্পায়ু জীবনে তাঁর অনন্য কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
১। প্রথম জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার (১৯৭৮)
২। বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৯)
৩। অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২)
৪। পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (দুইবার)
৫। চিত্রনাট্যকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (দুইবার)
৬। ‘থিয়েটার’ প্রবর্তিত মুনীর চৌধুরী সম্মাননা (১৯৯১)
৭। চিত্রনাট্যকার ও কাহিনীকার হিসেবে বাংলাদেশ ফিল্ম জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন পুরস্কার
৮। তারকালোক পদক
৯। অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার
১০। একুশে পদক (২০০০)তিনি বিভিন্ন সময়ে বিদেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন : ১। ১১তম আন্তর্জাতিক জাপান পুরস্কার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধি।
২। ভারতে সাউথ এশিয়ান ফেস্টিভ্যাল অব কালচারে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা (১৯৭৯)।
৩। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রতিনিধিদলের নেতা (১৯৮০)।
৪। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণে ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটার্স প্রোগ্রামের আওতায় একমাস যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ (১৯৮০)।
৫। পশ্চিম জার্মানির বার্লিনে জুরি বোর্ডের সদস্য (১৯৮৩)।
৬। বেজিং-এ এশিয়ান ব্রডকাষ্টিং ইউনিয়নের ২৬তম সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রতিনিধি (১৯৮৯)।
৭। সিঙ্গাপুরে রেডিও ব্রডকাষ্টিং ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সেমিনার ও ওয়ার্কশপে যোগদান (১৯৯৩)।
৮। ১১তম ব্যাবিলন আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি উৎসবে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য (১৯৯৯)।
আবদুল্লাহ আল মামুনের প্রকাশনা ২৫টি নাট্যগ্রন্থ, ৭টি উপন্যাস, আত্মচরিত্র ‘আমার আমি’, ভ্রমণ কাহিনী ‘ম্যানহাটনে অভিনয় ১ম খন্ড’।তাঁর পারিবারিক বন্ধন ছিল সুদূর সুখময়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তাঁর স্ত্রী ফরিদা খাতুন সংসারের সকল বন্ধন ছিঁড়ে অকালে পাড়ি জমান পরলোকে ১৯৮৪ সালে। তাঁদের এক পুত্র তন্ময় ও তিন কন্যা- দীনা, মনা, দীবা।অসাধারণ এই পরিশ্রমী নাট্যব্যক্তিত্ব, চলচ্চিকার, লেখক মানুষটির জীবনের পরমায়ু ছিল স্বল্প। জন্ম ১৩ জুলাই ১৯৪২ আর প্রয়াত হন ২১ আগষ্ট ২০০৮ সালে। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে। এই মহান শিল্পীর সমাধি বনানী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে।তথ্যসূত্র: ‘আমার আমি’-আবদুল্লাহ আল মামুন; স্মারকগ্রন্থ -আবদুল্লাহ আল মামুন: সৃজনে ও মননে।
লেখক : দিলারা মেসবাহ