আলমগীর কবিরের জীবন ছিল বহু বিচিত্র এবং বর্ণাঢ্য। একান্ন বছরের কর্মব্যস্ত জীবনে বৈচিত্র্যময় নানা ধরনের কাজেই জড়িত ছিলেন তিনি। ষাট দশকের শুরুতে বিলেতের মাটিতে রাজনীতির যে ছোঁয়া লেগেছিল, পরে তা-ই একে একে টেনে নিয়ে গেছে তাঁকে সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, মুক্তিযোদ্ধা, সর্বোপরি দেশ-সমাজ সচেতন একজন কর্মনিষ্ঠ ব্যক্তির কাতারে। এক জীবনেই তিনি লিখেছেন পাঁচটি বই, তৈরী করেছেন ৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ডজন খানেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রকাশ করেছেন একটি ইংরেজী সিনে জার্নাল, ছিলেন এদেশের প্রথম চলচ্চিত্র-সংসদের ও চলচ্চিত্র-সংসদ ফেডারেশনের সভাপতি, প্রচলন করেছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক একটি পুরস্কার এবং রাজনীতি-সংস্কৃতি বিষয়ে দেশ-বিদেশের জার্নালগুলোতে লিখে গেছেন অসংখ্য প্রবন্ধ নিবন্ধ, চলচ্চিত্র-সমালোচনা। এই কর্মী পুরুষের সম্পূর্ণ বিচিত্রময় জীবনী বিশদভাবে বর্ণনা করা বেশ কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার। তাই মোটামুটিভাবে ষাট দশক থেকে শুরু করে সত্তর এবং আশির দশকের শেষ দিকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি যেসব কাজে জড়িত ছিলেন আমরা তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকেই ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
১৯৩৮ : পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটিতে আলমগীর কবির জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্ম তারিখ ২৬শে ডিসেম্বর। তাঁর বাবা ছিলেন একজন সরকারী কর্মকর্তা। নাম আবু সাইয়েদ আহমেদ।
১৯৪৬ : হুগলী কলেজিয়েট স্কুলে পড়ার সময় এ বছর তিনি হাজী মুহাম্মদ মহসীন বৃত্তি লাভ করেন।১৯৫২ : এ বছর ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে গণিতে লেটার মার্কসসহ ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।১৯৫৪ : ঢাকা কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে তিনি হায়ার সেকেন্ডারী পরীক্ষা পাশ করেন। তারপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে।১৯৫৮ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যালয় অনার্স পাশ করেন। তবে পরীক্ষা দিয়েই লন্ডন চলে যান এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হন। একই সাথে লাভ করেন ফলিত গণিতে বি.এস.সি. ডিগ্রী।১৯৫৯ : এ বছর প্রবাসে থাকা অবস্থাতেই তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরু হয়। ‘Daily Worker’-নামক একটা বামপন্থী দৈনিকে তিনি রিপোর্টারের কাজ নেন। ১৯৬২-৬৪ : এই তিন বছর সময়ের মধ্যে তিনি বৃটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত চলচ্চিত্র ইতিহাস ও পরিচালনা বিষয়ক কয়েকটি কোর্স সম্পন্ন করেন। এ সময়ই তিনি চলচ্চিত্র সমালোচনাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং ইউরোপের বেশ কয়েকটা দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে যোগদান করেন। বামপন্থী রাজনীতির সাথেও এ সময় থেকে তাঁর যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।১৯৬৫ : এ সময়ে আলমগীর কবির বাম রাজনীতিতে ঘনিষ্টভাবে জড়িয়ে পড়েন এবং বৃটিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করে প্যালেস্টাইনে চলে যান। এ ছাড়া আলজিরিয়ার মুক্তিসংগ্রামেও তিনি কুরিয়ার হিসেবে কাজ করেন। ফলে ফরাসী সরকারের কোপানলে পড়ে তাঁকে কয়েক মাস জেলে থাকতে হয়। ঐ সময়ে লন্ডনের ইষ্ট পাকিস্তান হাউস, ইষ্ট বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্ট ইত্যাদি সংগঠনগুলো থেকে পরিচালিত নানা ধরনের আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিতে দেখা যায় তাঁকে।১৯৬৬ : দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর এ বছরের শুরুতে দেশে ফেরেন আলমগীর কবির।
ঢাকায় এসেই চিত্র সাংবাদিকতার কাজ শুরু করেন এবং অল্প দিনেই বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেন। এ সময়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে আইয়ুব সরকারের অধীনে কয়েক মাস জেলে কাটাতে হয় তাঁকে। এছাড়া এক বছর ঢাকার পৌর এলাকাতেও অন্তরীণ থাকেন।১৯৬৭ : ঐ বছর রবিবাসরীয় সাপ্তাহিক ‘Holiday’ পত্রিকাতে উর্ধ্বতন সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন। ঐ সময়ই তিনি তাঁর ধারালো কলমে ব্যবচ্ছেদ করতে শুরু করেন এ দেশীয় গতানুগতিক চলচ্চিত্রগুলোকে। ফলে স্থানীয় বাণিজ্যিক চিত্রনির্মাতাদের কাছ থেকে নানা হুমকির সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। এ সময়েই পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র চলচ্চিত্র সংসদ ‘পাকিস্তান ফিল্ম সোসাইটি’-এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করতে শুরু করেন। একই সাথে পূর্ব-পাকিস্তানের চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতিরও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আলমগীর কবির।১৯৬৯ : ‘পাকিস্তান ফিল্ম সোসাইটি’ ত্যাগ করে এ বছর নিজের প্রচেষ্টাতে গড়ে তোলেন অপর একটি ফিল্ম সোসাইটি ‘ঢাকা সিনে ক্লাব’। এ বছরেই প্রকাশিত হয় চলচ্চিত্র বিষয়ক তাঁর প্রথম বই ‘Cinema in Pakistan’। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তিনি যে সব চিত্র সমালোচনা লিখেছিলেন তারই একটা সুসংহত রূপ দেখা যায় এই বইটিতে। এখানে তিনি মূলতঃ ইতিহাসের আকারে তৎকালীন পাকিস্তানী চলচ্চিত্র জগতের বাস্তব অবস্থাকে বিশ্লেষণের চেষ্টা করেন। চলচ্চিত্র বিষয়ক জার্নাল ‘Sequence’-ও এ বছর থেকেই প্রকাশ শুরু করেন তিনি।
এ বছর তাঁর আরও একটা প্রধান কাজ ছিল- ‘ঢাকা ফিল্ম ইনষ্টিটিউট’-এর প্রতিষ্ঠা। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন এই সংগঠনটি। যার উদ্দেশ্য ছিল মূলতঃ এ দেশীয় তরুণ-তরুণীদের আধুনিক চলচ্চিত্রের ভাষা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। পরে এটি বিলুপ্ত হয়ে গেলেও আলমগীর কবির বিভিন্নভাবেই এ ধরনের প্রশিক্ষণে জড়িত থেকেছেন।১৯৭০ : প্রত্যক্ষ চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মওলানা ভাসানীর ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্রের কাজ শুরু করেন। এ সময়ে তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনে সরাসরি জড়িয়ে পড়েন।১৯৭১ : এ বছরের শুরুতেই আলমগীর কবির, জহির রায়হান, শফিক রেহমান এবং গাজী শাহাবুদ্দিন মিলে প্রকাশ করলেন ‘Express’ নামক একটি পত্রিকা। ত্রৈমাসিক এই পত্রিকাতে তাঁর ক্ষুরধার লেখনী আর দক্ষ সম্পাদনার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি। এই জার্নালটি স্বাধীনতার পরও প্রকাশিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার পরপরই তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। তাঁর মূল কাজ ছিল ইংরেজি বিভাগের জন্য প্রতিবেদন তৈরী করা। এ ছাড়া বহিঃবিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে আরও নানা ধরণের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। বিদেশী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, কূটনীতিবিদ, রাজনীতিবিদদের বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হতো স্বাধীন বাংলা বেতারে। এ সব কিছুই হতো তাঁর পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণে।এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের এ পর্যায়ে তিনি ‘From the War Front’ নামক একটা অনুষ্ঠানও শুরু করেন।
একই সাথে সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করতেন ইংরেজী সাপ্তাহিক ‘People’-এ। এ সময়ে তাঁর সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরগুলোতে ঘুরে ঘুরে জহির রায়হানের সাথে ‘Stop Genocide’-এর নির্মাণে অংশগ্রহণ। এ ছবির চিত্রনাট্য এবং ধারাভাষ্য ছিল তাঁরই। এ ছাড়াও তিনি জহির রায়হানের ‘A State is Born’ এবং বাবুল চৌধুরীর ‘Innocent Millions’-এর নির্মাণেও অংশ নেন। সর্বোপরি মুক্তিযোদ্ধাদের কথা তুলে ধরে নিজেই নির্মাণ করেন ‘Liberation Fighters’ নামক একটা প্রামাণ্যচিত্র।১৯৭২: তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘ধীরে বহে মেঘনা’-এর নির্মাণ এ বছরই শুরু করেন।১৯৭৩ : ‘ধীরে বহে মেঘনা’-র মুক্তি লাভ। এ ছবির জন্য তাঁকে বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হয়।১৯৭৪ : এ বছর দেশের চলচ্চিত্র সংসদগুলো একত্রিত হয়ে গঠন করে ‘বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ’ এবং আলমগীর কবির এই সংগঠনের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন।১৯৭৬ : তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘সূর্যকন্যা’ মুক্তিলাভ করে। এ ছবির জন্যে তিনি সাচসাস, উত্তরণ, বাংলাদেশ চলচিত্রকার সংসদ কর্তৃক একাধিক পুরস্কার লাভ করেন।১৯৭৭ : ‘সীমানা পেরিয়ে’ মুক্তিলাভ করে। এ ছবির জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হয় তাঁকে। বাচসাস এবং উত্তরণ প্রভৃতি সংগঠন কর্তৃকও এ ছবিটা বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করে।স্থানীয় চলচ্চিত্রে নকলের ব্যাপক প্রবণতা দেখা দিলে সমমনাদের নিয়ে এ বছরই তিনি গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্রকার সংসদ’ যা নকলের বিরুদ্ধে বিশেষ আন্দোলন গড়ে তোলে।১৯৭৮ : বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ও ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ নেয়া হয় তাতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
এই সময়ে ব্যক্তিগত উদ্যাগে গড়ে তোলেন ‘ভিন্টেজ পাবলিকেশন্স’ নামক একটি প্রকাশনা সংস্থা।১৯৭৯ : এ বছর তাঁর আরেকটি ছবি ‘রূপালী সৈকতে’ মুক্তিলাভ করে। বাচসাস কর্তৃক এ ছবিটিও পুরস্কৃত হয়। ঐ বছর তাঁর দু�টি বইও প্রকাশিত হয়। বাংলা একাডেমী প্রকাশ করে ‘Film in Bangladesh’ এবং শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম তিনটি ছবির চিত্রনাট্যের বই ‘চিত্রনাট্য’। এ দেশে চিত্রনাট্যের ওপর এইটিই ছিল প্রথম বই।১৯৭৯ : সাল সমালোচনা ও সাংবাদিকতার জন্য তাকে বিশেষভাবে সৈয়দ মোহাম্মদ পারভেজ স্মৃতি পুরস্কার-এ ভূষিত করা হয়।১৯৮১ : বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ও ইনষ্টিটিউটে চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রশিক্ষণ কাজ শুরু হলে তিনি সেই কোর্সের সমন্বয়কারী নিযুক্ত হন এবং প্রশিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন। সেই বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এর স্মরণিকাও প্রকাশ করেন তিনি।১৯৮২ : আরেকটি ছবি ‘মোহনা’-র নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এ ছবির চিত্রনাট্যকার হিসেবে তাঁকে আবারও জাতীয় পুরস্কার দেয়া হয়।১৯৮৪ : ‘ভিন্টেজ প্রকাশনী’ থেকে বই আকারে ‘মোহনা’-র চিত্রনাট্য প্রকাশিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঘটনাবলী নিয়ে বাংলা একাডেমী প্রকাশ করে তাঁর আরেকটি বই- ‘This was Radio Bangladesh 1971’.১৯৮৬ : সেলিনা হোসেনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘রূপসী মা’ ছবির চিত্রায়ন শুরু করেন। তবে এক পর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার্থে লন্ডন যেতে হয় তাঁকে। বছরের শেষ দিকে ফিরে আসেন দেশে।১৯৮৮ : এ বছর জানুয়ারীতে জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট (NIMCO)-এর সহযোগিতায়, তাঁর তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয় ‘চোরাস্রোত’ ছবিটি। একই সাথে সমকালীন সময় ও রাজনীতি বিষয়ক ‘মনিকাঞ্চন’ নামক স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। ‘আলতামিনির কচড়া’ নামক একটা মুক্তদৈর্ঘ্যের ছবির চিত্রগ্রহণ প্রায় সম্পন্ন করেন; সেই মাসের মাঝামাঝি বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তাসখন্দ চলচ্চিত্র উৎসব-এ যোগ দেন। বছরের একেবারে শেষ দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সম্পূর্ণ বেসরকারী উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই উৎসবের মাধ্যমে তিনি তাঁর তরুণ সহযোগীদের মাধ্যমে বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনার সূত্রপাত করেন।১৯৮৯ : বগুড়া চলচ্চিত্র সংসদ-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর ঢাকায় ফেরার পথে ২০শে জানুয়ারী নগরবাড়ী ফেরীঘাটে তিনি এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
আলমগীর কবিরের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রপঞ্জী:
ধীরে বহে মেঘনা, ১৯৭৩
সূর্যকন্যা, ১৯৭৬
সীমানা পেরিয়ে, ১৯৭৭
রূপালী সৈকতে, ১৯৭৯
মোহনা, ১৯৮২
পরিণীত, ১৯৮৪
মহানায়ক, ১৯৮৬
স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র:
১. Liberation Fighter;
২. Pogrom in Bangladesh;
৩. মওলানা ভাসানী (অসমাপ্ত);
৪. জয়নুল আবেদিন;
৫. পটুয়া (অসমাপ্ত) – কামরুল হাসানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র;
৬. Culture in Bangladesh (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের জন্য নির্মিত);
৭. সুফিয়া (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের জন্য নির্মিত);
৮. অমূল্যধন (World View International Foundation-এর জন্য নির্মিত);
৯. ভোর হলো দোর খোল (World View International Foundation -এর জন্য নির্মিত);
১০. আমরা দুজন (World View International Foundation -এর জন্য নির্মিত);
১১. এক সাগর রক্তের বিনিময়ে;
১২. মণিকাঞ্চন;
১৩. চোরাস্রোত (জাতীয় গণমাধ্যম ইনষ্টিটিউট আয়োজিত ওয়ার্কশপের চলচ্চিত্র)।আলমগীর কবির রচিত বই পরিচিতিচিত্রনাট্য : ধীরে বহে মেঘনা, সূর্যকন্যা, সীমানা পেরিয়ে
প্রকাশক : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী
প্রকাশকাল : জুন, ১৯৭৯Film in Bangladesh
প্রকাশক :
প্রথম প্রকাশনা : জুন, ১৯৭৯
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে বাংলা একাডেমী ১৯৬৯ সনে আলমগীর কবির রচিত ‘Cinema in Pakistan’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছিল। ‘Film in Bangladesh’ ঐ বইটির পরিবর্ধিত রূপ।মোহনা : চিত্রনাট্য
প্রকাশক : ভিন্টেজ প্রকাশনী
প্রকাশকাল : মে, ১৯৮৪This was Radil Bangladesh 1971
প্রকাশক : বাংলা একাডেমী
প্রকাশকাল : ১৯৮৪তথ্যসূত্র : আলমগীর কবিরের ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা, ২০ জানুয়ারী, ২০১৪।
ছবি : সংগৃহীত। ছবিগুলোর জন্য মুনিরা মোরশেদ মুন্নী ও মীর শামসুল অালম বাবুকে ধন্যবাদ।