GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

জ্ঞান চক্রবর্তী

অবদানের ক্ষেত্র: ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন
জ্ঞান চক্রবর্তী

জ্ঞান চক্রবর্তী

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

১৯৩৮ সাল। দীর্ঘ সাত বছর পর জেল থেকে মুক্তি পেলেন কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী। সশস্ত্র বিপ্লববাদী দলের সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ বা অভিযোগ দাঁড় করাতে না পারলেও জেলে বন্দি অবস্থায় দীর্ঘ সাত বছর তাঁকে দুর্বিসহ জীবন কাটাতে হয়।

তিনি বকসা বন্দিশিবির থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সরাসরি চলে আসেন কমিউনিষ্ট পার্টির ঢাকা কমিটির কার্যালয়ে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আর পরিবারে ফেরেননি। জেলে বন্দী অবস্থায় তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, জেল থেকে মুক্তি লাভের পর তিনি আর জীবন-সংসারে ফিরবেন না। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ। বাবার অঢেল ধন-সম্পদ, জীবন- যৌবনের মোহ, আত্ম-সুখের মরীচিকা সবকিছু বাদ দিয়ে ৩৩ বছরের যুবকটি মেহনতি মানুষের সার্বিক মুক্তির সংগ্রামে ফিরে আসেন। যুক্ত হন কমিউনিস্ট পার্টিতে। তবে সময় পেলে আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নিতেন।

পার্টি কমরেড ও আত্মীয়-স্বজন তাঁকে বহুবার বিয়ের পিঁড়িতে বসানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি কখনো বিয়েতে রাজী হন নি। কারণ তিনি ভাল করেই জানতেন পার্টি করার কারণে যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন। হয়তো যে কোনো সময়ে আত্মগোপনে চলে যেতে হতে পারে। বা সোমেন চন্দের মতো ‘বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক পার্টি’র (আর.আস.পি.) গুণ্ডারা তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারে। এসব ভেবে তিনি বিয়ে করেননি।

ইতোমধ্যে ঢাকায় কমিউনিষ্ট পার্টির সংগঠন গড়ে উঠেছে। ওই সময় ঢাকা জেলায় কমরেড নেপাল নাগ ও কমরেড অনিল মুখার্জী শ্রমিক আন্দোলনের দায়িত্বে ছিলেন। কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী কমিউনিষ্ট পার্টি সংগঠন ও কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্ব নিলেন। রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তোলেন পার্টি সংগঠন। কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ঢাকার বাইরে গিয়ে কৃষকদের সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করার কাজ অব্যাহত রাখলেন।

মেহনতী মানুষের শোষণমুক্তির কান্ডারী কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের শোষণ মুক্তির আন্দোলনে যে সকল মানুষ আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন, তাঁদের মধ্য কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী অন্যতম। বিত্ত-বৈভবের মোহ তাঁকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি বাবার অঢেল ধন-সম্পদ ও যশ-খ্যাতি ত্যাগ করে মেহনতি মানুষের কাতারে এসে তাদেরই একজন হয়ে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। গড়ে তুলেছেন শোষণমুক্তির জোরালো লড়াই-সংগ্রাম।

ঢাকা জেলা কমিউনিস্ট আন্দোলনের কথা তাঁকে ছাড়া চিন্তাও করা যায় না। শুধু কমিউনিস্ট আন্দোলনই নয়, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেও তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি গরীব-দুঃখী, কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য ব্যয় করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অগ্রনায়ক ছিলেন তিনি।

কমরডে জ্ঞান চক্রবর্তী জন্মেছিলেন ১৯০৫ সালের জুলাই মাসে। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের গোবিন্দ দাস লেনে। তাঁদের আদিনিবাস ছিল ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে। ঢাকা শহরের পাতলা খান লেনে এবং গেন্ডারিয়াতেও তাঁদের বাড়ি ছিল। জ্ঞান চক্রবর্তীর পিতার নাম যামিনী চক্রবর্তী। তিনি ঢাকা শহরের একজন নাম করা আইনজীবী ছিলেন। মা ছিলেন গৃহিনী। তাঁদের পরিবারে ৩ টি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। জ্ঞান চক্রবর্তী ছিলেন ৩ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট।

পড়াশুনার হাতেখড়ি পরিবারে। বিশেষ করে বাবার কাছে। তারপর প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হন। প্রাইমারী স্কুলের পড়াশুনা শেষে তাঁর বাবা যামিনী চক্রবর্তী তাঁকে জগন্নাথ স্কুল এণ্ড কলেজে ভর্তি করিয়ে দেন। ১৯২৬ সালে তিনি এস.এস.সি. ও ১৯২৮ সালে জগন্নাথ স্কুল এণ্ড কলেজ থেকে আই.এস.সি. পাশ করেন। আই.এস.সি. পাশ করার পর তিনি বি.এস.সি.-তে পড়াশুনার জন্য ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৩০ সালে বি.এস.সি. পাশ করার পর তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এস.সি.-তে ভর্তি হয়েছিলেন।

১৯০৬-০৭ সালে ঢাকায় পুলিনবিহারী দাসের নেতৃত্বে অনুশীলন সমিতি প্রতিষ্ঠা হয়। ঢাকার অনুশীলন সমিতি ছিল ভারতবর্ষের প্রথম সশস্ত্র বিপ্লবী প্রতিষ্ঠান। এই সমিতির সভ্য হতে হলে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার জন্য জীবন উৎসর্গ করার মন্ত্র পাঠ করতে হতো। ঢাকা ‘অনুশীলন সমিতি’র আদর্শ ছিল সশস্ত্র বিপ্লব। মূল উদ্যোগ ছিল ইংরেজকে ভারতবর্ষ থেকে তাড়ানো। সশস্ত্র আন্দোলনকারীরা ইংরেজ আমলা নিধনের ব্রত গ্রহণ করেছিলেন আগ্নেয়াস্ত্র বা অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে। ‘দেশের মুক্তি কোন পথে’ ও ‘বর্তমান রণনীতি’ বই দুটি প্রকাশ করা হয়েছিল সশস্ত্র বিপ্লবীদের জন্যে। সেই সময় বইদুটির দাম রাখা হয়েছিল মাত্র বারো আনা।

আর যাদেরকে জীবন উৎসর্গ করার মন্ত্র পাঠে অযোগ্য মনে হতো তাদেরকে জাতীয় কংগ্রেসের নরমপন্থী আন্দোলনের (অহিংস বা স্বদেশী আন্দোলন) সাথে যুক্ত করে দেয়া হতো। তখন ‘স্বদেশবাসীরা’ বাজারে বাজারে পিকেটিং করছিলেন বিদেশী দ্রব্য বর্জন করার জন্য।

১৯০৭ সালের ১০ আগস্ট। পুলিশ ঢাকার ‘অনুশীলন সমিতি’র বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। এ সময় ‘অনুশীলন সমিতি’র বাড়ি থেকে পুলিশ সন্দেহজনক নথিপত্র, ইস্তেহার এবং নানা ধরনের বিপ্লবী পুস্তিকা নিয়ে যায়। এরপর ‘অনুশীলন সমিতি’কে ব্রিটিশ সরকার বেআইনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। তারপর থেকে সমিতির কার্যক্রম চলছিল খুবই সতর্কতার সাথে এবং গুপ্তভাবে। ঢাকার ‘অনুশীলন সমিতি’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর ‘বাণী সংঘে’র মাধ্যমে এই সমিতির কার্যক্রম চলত।

১৯১৭ সাল। সমগ্র ভারত জুড়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। সশস্ত্র বিপ্লববাদী দলগুলো ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীকে নিখিল ভারত থেকে স্ব-মূলে উৎখাত করার জন্য নানা রকম কার্যক্রমের পরিকল্পনা করে। ঠিক এই সময় মাত্র ১২ বছর বয়সে জ্ঞান চক্রবর্তী সশস্ত্র বিপ্লববাদী সংগঠন ‘অনুশীলন সমিতি’র শাখা সংগঠন ‘বাণী সংঘে’র সাথে যুক্ত হন। তখন তিনি স্কুলে পড়তেন। স্কুলের পাঠ্য বইয়ের সাথে ‘বাণী সংঘে’র রাজনৈতিক বই-পুস্তক পড়াশুনা শুরু করলেন। এভাবে ধীরে ধীরে তিনি একজন তরুণ দেশপ্রেমিক বিপ্লবী হিসেবে গড়ে উঠলেন। তারপর শুরু করেন ব্রিটিশকে উচ্ছেদের বিপ্লবী কর্মকাণ্ড। অনেক বছর পর ‘বাণী সংঘে’র গোপন কার্যকলাপ ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগের চোখে পড়ে।

১৯৩০ সালে জ্ঞান চক্রবর্তীর মা মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় ‘বাণী সংঘে’র উপর ব্রিটিশ পুলিশের নজরদারি বহুগুণে বেড়ে যায়। যে কারণে তিনি তাঁদের ৯ নম্বর গোবিন্দদাস লেনের বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে চলে যাওয়ার মাস ছয়েক পর ওই বছর ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আত্মগোপনে থাকাবস্থায় তিনি সকল কার্যক্রম এমন সর্তকভাবে চালাতেন, যেন পুলিশ তার কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ না পায়। তাই তাঁকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ বা অভিযোগ দাঁড় করাতে পারেনি। যে কারণে তাঁকে বিনা বিচারে আটক করে রাজ বন্দী হিসেবে কোলকাতা প্রসিডেন্সী জেলে রাখা হয়। কিছুদিন পর তাঁকে বকসা বন্দী শিবিরে পাঠানো হয়। এই বন্দী শিবিরটি ছিল পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে, ভুটান সীমান্তে, কুচবিহার জেলার আলীপুর দুয়ারের কাছে পাহাড়ের উপরে। সেখান থেকে পরে তাঁকে সুদূর রাজপুতনার মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত দেউলী বন্দী শিবিরে পাঠানো হয়। এসব বন্দী শিবির তখন ব্রিটিশ সরকার নির্মাণ করেছিল স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীদের আটক রাখার জন্য।

এখানে তিনি বন্দি অবস্থায় ৭ বছর ছিলেন। এই বন্দি শিবিরে তখন অসংখ্য বিপ্লবী বন্দি ছিলো। বকসা বন্দি শিবিরের ভিতরেও তখন’অনুশীলন’ ও ‘যুগান্তর’ এই দুই দলে বন্দিরা বিভক্ত ছিল। তাঁদের খাবার প্রস্তুত করার রন্ধনশালাও ছিল পৃথক পৃথক। এর বাইরে আরেকটি তৃতীয় রন্ধনশালা ছিল। এটি ছিল কমিউনিষ্ট বিপ্লবীদের। আর ‘অনুশীলন” ও ‘যুগান্তর’-এর উভয় দল থেকে কিছু কর্মীরা এসে যুক্ত হয়েছিল কমিউনিষ্ট বিপ্লবীদের সাথে। জ্ঞান চক্রবর্তী কমিউনিস্ট দলে নিজেকে অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন।

এ সময় তিনি যে সমস্ত কমিউনিষ্ট বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিম বঙ্গের কৃষক নেতা আব্দুল রাজ্জাক, মণি সিংহ, সিন্দুর জামাল উদ্দিন বোখারী, হুগলী জেলার কালী সেন, ঢাকার নলীন্দ্র সেনগুপ্ত প্রমুখ। এঁদের সান্নিধ্যে এসে তিনি সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদের মন্ত্রে দীক্ষিত হন। কমিউনিজম ও রুশ বিপ্লব সম্পর্কে সামান্য কিছু বই-পত্র বকসা বন্দি শিবিরে আসতো। এই বই জ্ঞান চক্রবর্তীসহ অন্যান্য তরুণরা খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়তেন। এই বন্দি শিবিরে বসেই তাঁর রাজনৈতিক চেতনার পরিবর্তন আসে। তিনি বুঝতে পারেন যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে একমাত্র শোষিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সম্ভব। এটিই শোষণ-বৈষম্য অবসানের একমাত্র বিজ্ঞানসম্মত পথ। মার্কসবাদের শিক্ষা থেকে তিনি উপলব্ধি করতে পারলেন যে জনগণকে জাগ্রত ও সংগঠিত করে গণবিপ্লবের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে। তাই তিনি সশস্ত্র বিপ্লবী থেকে কমিউনিষ্ট বিপ্লবীতে রূপান্তরিত হলেন।

১৯৩৭ সালে জ্ঞান চক্রবর্তীর বাবা মারা যান। বাবার মৃত্যুর কারণে ওই সময় তাঁকে একবার কড়াপ্রহরা দিয়ে বকসা বন্দি শিবির থেকে ঢাকাতে আনা হয়েছিল।

১৯৩৮ সালে তিনি বকসা বন্দি শিবির থেকে মুক্তি পান। মুক্তি লাভের পর তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত হন। ইতোমধ্যে ঢাকায় কমিউনিষ্ট পার্টির সংগঠন গড়ে উঠেছে। কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত হওয়ার ৮ মাস পরে তিনি পার্টির সদস্য পদ পান।

১৯৩৮ সালের ডিসেম্বর মাসেই তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন। এই সময় কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তীর অক্লান্ত চেষ্টার ফলে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, অর্থাৎ সমস্ত ঢাকায় পার্টি শাখা-প্রশাখা বিস্তার লাভ করে। সারা ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি তখন বেআইনী ছিল। পার্টি তখন প্রকাশ্য সংগঠনের পথ খুঁজতে থাকে। গোপনে গোপনে পার্টির কাজের ধারাও অব্যাহত থাকে। ১৯৩৬ সালে ‘নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সংঘ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৯ সালে এই লেখক সংঘের শাখা গড়ে উঠে ঢাকায়। পার্টির কাজের পাশাপাশি এতে যুক্ত হন জ্ঞান চক্রবর্তী। ১৯৪০ সালের মাঝামাঝি জ্ঞান চক্রবর্তী ও রণেশ দাশগুপ্তের উদ্যোগে ঢাকার গেণ্ডারিয়া হাইস্কুলে ‘প্রগতি লেখক ও শিল্পী সংঘে’র প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কাজী আবদুল ওদুদ। রণেশ দাশগুপ্ত সংগঠনের সম্পাদক ও সোমেন চন্দ সহসম্পাদক নির্বাচিত হন। জ্ঞান চক্রবর্তী ছিলেন ঢাকার সাহিত্যিক ও শিল্পীদের সমন্বয়কারী। তিনিই মূলত পেছন থেকে লেখক সংঘের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। সত্যেন সেনও এই লেখক সংঘের সাথে যুক্ত ছিলেন। জ্ঞান চক্রবর্তী ও রণেশ দাশগুপ্তের উদ্যোগে ঢাকায় প্রগতি লেখক সংঘ ও গোপন কমিউনিস্ট পার্টির পাঠক্রম গড়ে উঠেছিল। এতে সোমেন চন্দ, কিরণশঙ্কর, অমৃত কুমার দত্তসহ আরো অনেকে যুক্ত হয়েছিলেন। এই পাঠক্রমের প্রশিক্ষক ছিলেন কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী।

১৯৪০ সালের এপ্রিল মাসে জ্ঞান চক্রবর্তী ঢাকায় ‘কংগ্রেস কর্মী সম্মেলন’ আহ্বান করেন। ওই বছর মে মাসে ‘কংগ্রেস কর্মী সম্মেলন’ আহ্বান করার অপরাধে ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। সে সময় তিনি ৮ মাস জেলে ছিলেন। ১৯৪১ সালের মার্চ মাসে তিনি মুক্তি পাওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যান। ওই বছরের শেষের দিকে পুনরায় কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী ও অনিল মুখার্জীকে ব্রিটিশ পুলিশ গ্রেফতার করে। কারণ তাঁদের কাছে ‘সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিষ্ট পার্টির ইতিহাস’ বইটি ছিল। সে সময় কমিউনিষ্ট পার্টি নিষিদ্ধ ছিল। তাই এই বই রাখা এবং প্রচার করা অপরাধ। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করে। তাঁদের ৮ মাস জেল হয়। ১৯৪২ সালের মে মাসে তাঁরা মুক্তি পান।

১৯৩৮-৪২ সাল পর্যন্ত ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, রায়পুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় কমিউনিষ্ট পার্টির বিস্তারলাভের কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তীর অপরিসীম অবদান ছিল। তাঁর অবিরাম চেষ্টা আর শ্রমে গড়ে উঠেছিল রেল শ্রমিকদের সংগঠন রেল শ্রমিক ইউনিয়ন। এই রেল শ্রমিক ইউনিয়নে সোমেন চন্দ শ্রমিকদের সংগঠিতকরণের কাজ করতেন।

১৯৪২ সালের শেষের দিকে ঢাকা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন গোপাল বসাক এবং জ্ঞান চক্রবর্তী এই কমিটির অন্যতম সংগঠক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৪৩ সালে গোপাল বসাক অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতার কারণে তখন তিনি কমিউনিস্ট পার্টির কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছিলেন না। এ সময় ঢাকা কমিটি সর্বসম্মতি নিয়ে জ্ঞান চক্রবর্তীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে।

১৯৪৩ সাল। বাংলা ১৩৫০ সন। এই সনটি ইতিহাসে মন্বন্তরের সন হিসেবে পরিচিত। এই সময় ইংরেজ শাসকদের অবহেলার কারণে সারা বাংলায় দুর্ভিক্ষ ও মহামারী দেখা দেয়। গ্রাম-বাংলার আনাহারী মানুষ খাবারের জন্য ছুটছে কলকাতার দিকে। ওলিতে-গলিতে, রাজপথে-ফুটপথে অগণিত মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রণায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। কাক ও কুকুরের সঙ্গে বুভুক্ষু মানুষ অখাদ্য-কুখাদ্য খুঁজে ফিরছে ডাস্টবিনে- নর্দমায়। এ সময় কমিউনিষ্ট পার্টি সারা দেশব্যাপী লঙ্গরখানা খুলে বুভুক্ষু মানুষকে বাঁচানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করে। এই দুর্ভিক্ষ থেকে মানুষকে বাঁচাতে জ্ঞান চক্রবর্তী অমানুষিক পরিশ্রম করেন। সমস্ত ঢাকায় জনরক্ষা কমিটি করে লঙ্গরখানা চালু করেন।

জ্ঞান চক্রবর্তী ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দেশভাগের পর কমিউনিস্ট পার্টি প্রকাশ্যে চলে আসে। এ সময় ১৫ নম্বর কোর্ট হাউজ স্ট্রীটে পার্টি অফিস ও কারকুনবাড়ি লেনে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে পার্টির কমিউন স্থাপিত হয়। জ্ঞান চক্রবর্তী এই কমিউনে থেকে পার্টির কাজ করতেন। ওই সময় নবাবপুর রোডে পার্টির একটি বইয়ের দোকানও চালু হয়।

১৯৪৬, ১৯৫০ ও ১৯৬৫ সালের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় জীবনবাজী রেখে অসীম সাহসিকতার সাথে তিনি দাঙ্গা মোকাবেলা করেন। পাকিস্তান আমলের পুরাটা সময় কেটেছে তাঁর জেল আর আত্মগোপনে। এ সময়কালে তিনি ৩ বার গ্রেফতারসহ ১৩ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থাকাবস্থায় তিনি বিভিন্ন স্থানে পার্টি গড়ে তোলেন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভাষা আন্দোলনের ছাত্র নেতৃবৃন্দের পিছনে থেকে তাদেরকে এই আন্দোলন সংগঠিতকরণে পথ দেখিয়েছেন। ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন, গাজীউল হকসহ প্রথম সারির নেতৃবৃন্দের কাছে তিনি ছিলেন অভিভাবকের মতো। এছাড়াও তিনি কমিউনিষ্ট পার্টির মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন প্রচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্র ইউনিয়ন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। জ্ঞান চক্রবর্তী ছিলেন প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন। ১৯৫৩ সালে ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে প্রথম যে একুশের সংকলন বের হয়, এই সংকলনের মূল প্রবন্ধ তিনি ছদ্মনামে লেখেন।

১৯৬২ সালে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের মাত্র ২ মাস পর ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করে। এই কমিশন ১৯৫৯ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে একটি শিক্ষা রিপোর্ট প্রণয়ন করে। ২৭ অধ্যায়ে বিভক্ত এই রিপোর্টে আইয়ুব শাহীর ধর্মান্ধ, ধনবাদী, রক্ষণশীল, সাম্রাজ্যবাদী শিক্ষাসংকোচন নীতির পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছিল। আইয়ুব সরকার এই রিপোর্টের সুপারিশ গ্রহণ করে এবং তা ১৯৬২ সাল থেকে বাস্তবায়ন করতে শুরু করে। এই শরীফ কমিশন বিরোধী শিক্ষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে ও ‘৬৯ এর ১১ দফা আন্দোলনে একজন সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে জ্ঞান চক্রবর্তীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তিনি। তরুণ ছাত্র-ছাত্রী, শ্রমিক ও কৃষকদের রিক্রুট, ট্রেনিং, অস্ত্রশস্ত্র ও রসদের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি এবং কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধাদের অন্যতম পরিচালক ও সংগঠকও ছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে নবউদ্যমে আমৃত্যু কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির রক্ত পতাকা হাতে নিয়ে অগ্রসেনানী হিসেবে শোষণ মুক্তির লড়াই-সংগ্রামকে অগ্রসর করতে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাসে কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর বিপ্লবী জীবন থেকে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। কমিউনিস্ট কর্মীরা তো অবশ্যই। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনি আওয়ামীলীগ সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। এই হত্যার প্রতিবাদে প্রথম কমিউনিষ্ট পার্টি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে। জীবনবাজী রেখে এই প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিতকরণেও কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী ভূমিকা রেখেছিলেন।

১৯৭৭ সালের ১৯ আগষ্ট এই বীর বিপ্লবী মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্য ও ছবিসূত্র:
১. কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী স্মরণে-প্রকাশক: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ১৯৭৭
২. সাপ্তাহিক একতা, ১৪ আগস্ট ১৯৮৭
৩. গণমানুষের মুক্তির আন্দোলন-মাহফুজা খানম ও তপন কুমার দে, প্রকাশক: ডা. মাহফুজ শফিক, প্রকাশকাল: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯

লেখক : রফিকুল ইসলাম (শেখ রফিক)

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.