GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

জিতেন ঘোষ

অবদানের ক্ষেত্র: ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন
জিতেন ঘোষ

জিতেন ঘোষ

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

১৯২১ সালে জিতেন ঘোষ অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে কলেজ ত্যাগ করে ওই আন্দোলনে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হন এবং স্কুল-কলেজের শত শত ছাত্রকে এই অসহযোগ আন্দোলনে শামিল করেন। এই আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে ঢাকা জেলহাজতে পাঠায়।

তখন জেলখানাগুলোতে দেশপ্রেমিক কয়েদীদের উপর ব্রিটিশ সরকার সীমাহীন নির্যাতন চালাত। কয়েদীদেরকে ঘানি টানতে বাধ্য করা হতো। দুর্গন্ধযুক্ত, পাথর মেশানো ভাত, জঙ্গলের তরিতরকারী ও ছোবলাসহ ডাল ছিল কয়েদীদের খাবার। আর কথায় কথায় দৈহিক নির্যাতন তো রয়েছেই। কিন্তু এর কোনোকিছুই জিতেন ঘোষকে দুর্বল করতে পারেনি। তিনি জেলের এসব নিয়ম-কানুন পরোয়া করতেন না। এজন্য তাঁকে বহুবার প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। তবু তাঁর এক কথা তিনি ইংরেজ জেলের নিয়ম-কানুন মানবেন না। একদিন তাঁকে ঘানি টানার জন্য নেয়া হল। তিনি প্রথম থেকেই একাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। জেলের কর্মকর্তা তাঁকে প্রচণ্ড মারধর শুরু করেন। জিতেন ঘোষও হাতের কাছে যা পেলেন তা দিয়ে মার প্রতিরোধ করলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ পাগলাঘন্টি বাজায়। তৎক্ষণাৎ লাঠি, বন্দুকধারী সিপাহীরা এসে তাঁকে প্রচণ্ডভাবে মারতে শুরু করে। তাঁর নিজের বিবরণ থেকে বোঝা যায় মারের রূপ কি ভয়াবহ ছিল।

“চলল মার। উঃ কি দারুণ সে মার”। “আমার গা দিয়ে রক্ত বেরুল। নাক দিয়ে রক্ত ছুটল। আমি মাটিতে পড়ে গেলাম। অজ্ঞান অবস্থায় আমাকে নিয়ে ডিক্রীতে বন্ধ করে দেওয়া হল। আমি মেঝেতেই পড়ে রইলাম। বেশ কিছুক্ষণ পরে জেগে দেখি পানির কলসিটাও নেই। সরানো হয়ে গেছে। একটু পানিও খেতে পেলাম না। ডাক্তার আসাতো দূরের কথা, একফোঁটা ঔষধও পেলাম না। পানির অভাবে নাক-মুখের রক্তও ধোয়া গেল না। কম্বলটা বেশ করে বিছিয়ে শুয়ে পরলাম” (জেল থেকে জেলে-পৃষ্ঠা:-১৩)।

এত অত্যাচারের পরও তিনি জেলের নিয়ম-শৃঙ্খলা মানলেন না। এর ফলে সদা সন্ত্রস্ত কয়েদীদের কাছে তিনি হয়ে উঠেন এক অসাধারণ মানুষ। দুর্ধর্ষ কয়েদীরা এসে তাঁকে সালাম দিতে শুরু করে।

জিতেন ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন ১৯০১ সালে। মুন্সিগঞ্জ জেলার কুমারভোগ গ্রামে। বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিক্রমপুরের স্থান ছিল অনন্য। ব্রিটিশসাম্রাজ্যের পূর্বে মোগল সম্রাটদের বিরুদ্ধে বারো ভূঞাদের সংগ্রামের একটা প্রধান কেন্দ্র ছিল এই বিক্রমপুর। এখানে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য দেশপ্রেমিক বিপ্লবী, যারা দেশ-বিদেশে তাঁদের ত্যাগ ও বীরত্বে অপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন।

মা, বাবা, ভাই-বোনের সাধারণ পরিবারে জিতেন ঘোষ ছিলেন কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী। বাল্যকাল সম্পর্কে তিনি লিখেছেন- “রাজনীতিতে তখনও নাম লিখাইনি। কিন্তু মনে মনে এদেশে ইংরেজ রাজত্ব পছন্দ করতাম না। একটু অপমান ও লজ্জা বোধ করতাম ইংরেজদের অধীনে আছি বলে” ( জেল থেকে জেলে-পৃষ্ঠা:-১)। কৈশোরের প্রথম থেকেই তিনি গীতা, চন্ডী পাঠ করে আত্মিকশক্তি ও সংগ্রামী মনোভাবকে উদ্দীপ্ত করেন এবং সাধারণ মানুষকে সেবা করার জন্য সেবাশ্রম ও লাইব্রেরী গড়ে তোলেন। এখান থেকে তিনি দেশপ্রেমের ভাবধারাকে সহপাঠী তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় তাঁকে বিপ্লবীদের একজন মনে করে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। কয়েক দিন আটক রেখে মারধর ও জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেয়। আগুনে ঘৃতাহুতির মতো, একারণে জিতেন ঘোষের মনে স্বাধীনতার আগুন জ্বলে উঠে।

প্রাথমিক পড়াশুনা শেষ করার পর তাঁকে কাজিরপাগলা অভয়কুমার তালুকদার হাই স্কুলে ভর্তি করানো হয়। স্কুলে পড়ার সময় তিনি বিপ্লববাদী দল ‘যুগান্তরে’র সাথে যুক্ত হন। বিক্রমপুরের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রদেরকে নিয়ে বিপ্লবী গ্রুপ গঠন করেন তিনি। ১৯১৭ সালে এই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর আই.এ. ভর্তি হন। এসময়ও তিনি বিপ্লবী দলে কলেজ ছাত্রদেরকে টেনে আনার কাজে যুক্ত থাকেন। ১৯১৯ সালে আই.এ. পাশ করার পর ১৯২০ সালে বি.এ. ভর্তি হন। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হন এবং এই আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

দেড় বছর কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার কারণে ছ’মাস পরেই তিনি মুক্তি পান। কিন্তু দুই মাস যেতে না যেতে দু’বছরের সাজা নিয়ে আবার জেলে যান। এই জেলে তিনি সাক্ষাৎ পান মাদারীপুরের বিপ্লবী নেতা পূর্ণদাসের। জেলের ভিতরে বসে এম.এন. রায় সম্পাদিত কয়েকটি গোপন পত্রিকা পড়ার সুযোগ পান। তাতে তিনি সমাজতন্ত্রের ধারণা পান। তখন থেকে তাঁর মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিতে শুরু করে। ওই বছর শেষের দিকে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। তারপর ঢাকা শহরে কিছুদিন কাটিয়ে কলকাতা যান। তখন গান্ধীজীর নির্দেশে অসহযোগ আন্দোলন বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষের মনে হতাশা চলে আসে। একমাত্র কংগ্রেস নেত্রী হেমপ্রভা কিছু কর্মীকে নিয়ে পিকেটিং চালিয়ে যাচ্ছেন। জীতেন ঘোষ এদলে যুক্ত হওয়ায় তাঁকে ছ’মাসের কারাদন্ড দিয়ে হুগলি জেলে পাঠানো হয়। এখানে তিনি দেখা পেলেন বিপ্লবী যতীন দাসের। যতীন দাস জেলখানার অবিচারের বিরুদ্ধে ৬১ দিন অনশন করে মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর ধারাবাহিকতায় একসময় জিতেন ঘোষ জেলখানার অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। যার ফলে তাঁকে আবারও নির্মম-নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

১৯২৪ সালে তিনি মুক্তি পেয়ে কলকাতায় কিছু দিন থাকার পর ঢাকায় চলে আসেন। এর কিছুদিন পর তিনি গ্রামে চলে যান। গ্রামে গেলেও তাঁর উপর পুলিশের নজরদারি থাকায় তিনি বিপ্লবী তৎপরতা চালাতে পারছিলেন না। তাই তিনি বার্মায় যেয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯২৪ সালের শেষের দিকে বিপ্লবী পার্টির সংগঠক হিসেবে বার্মা যান। সেখানে তিনি রেলওয়ের হিসাব বিভাগে চাকুরী নেন। তখন বার্মার অধিবাসী বাঙ্গালীদের ভিতরে গোপন বিপ্লবী সংগঠন গড়ে উঠে। তিনি সেই বিপ্লবী সংগঠনে যোগ দেন এবং ওই বিপ্লবী গ্রুপটিকে শক্তিশালী বিপ্লবী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলেন। বার্মার কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।

১৯৩০ সালে বার্মায় এক কৃষক বিদ্রোহ শুরু হয়। এই কৃষক বিদ্রোহে জীতেন ঘোষের বিপ্লবী দল সমর্থন জানায়। বার্মা সরকার এসময় অর্ডিনেন্স জারি করে জিতেন ঘোষসহ কয়েকজন বাঙ্গালী যুবককে গ্রেফতার করে ইনসিন জেলে পাঠায়। কিছুদিন পর সেখান থেকে তাঁকে রেঙ্গুনের একটি ডিস্ট্রিক্ট জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ১৯৩১ সালে তিনি মুক্তি পান।

মুক্তির চারমাস পর বিপ্লবী আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ আবার তাঁকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠায়। প্রেসিডেন্সি জেল ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পীঠস্থান। এখানে তাঁকে বিনাবিচারে রাজবন্দী হিসাবে আটক রাখা হয়। এ জেলেই তিনি ‘যুগান্তর’, ‘অনুশীলন’ ও কমিউনিষ্ট মতাদর্শের অসংখ্য বিপ্লবীদের সাক্ষাৎ পান। জিতেন ঘোষ ছিলেন যুগান্তর দলের সদস্য। এই জেলে অবস্থানকালে তিনি পুরোপুরি কমিউনিস্ট মতাদর্শ গ্রহণ করেন। সাত বছর বিনা বিচারে আটক থাকার পর ১৯৩৮ সালে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর ওই বছরই তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত হন। তারপর নিজ গ্রামে কৃষকদের সংগঠিত করার জন্য কৃষকদের মধ্যে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। বিক্রমপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী অনেকেই তখন জিতেন ঘোষের মাধ্যমে কৃষক সংগঠনে যুক্ত হন। তারপর তিনি ঢাকা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকদের সংগঠিত করার জন্য কাজ করেন। এসময় তিনি কৃষকদের সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করেন।

১৯৪০ সালের এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঢাকার কমিউনিস্ট কর্মীরা সারা উপমহাদেশের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকার গেন্ডারিয়ায় কংগ্রেস কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেন। ব্রিটিশ সরকার এই কংগ্রেস কর্মী সম্মেলনের উপর ১৪৪ ধারা জারি করে। সেদিন কমিউনিস্ট নেতা ও কর্মীরা ১৪৪ ধারা অগ্রাহ্য করে সম্মেলন অনুষ্ঠিত করে। কমরেড নেপাল নাগ, নরেশ গুহ, বঙ্গেশ্বর, ফণী গুহ, প্রমথ নন্দী, প্রফুল্ল চক্রবর্তী, জ্ঞান চক্রবর্তী, সুশীল সরকার, জিতেন ঘোষ প্রমুখ এই সম্মেলনের নেতৃত্ব দেন। তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন অগ্নিযুগের বিভিন্ন বিপ্লবী দলের সক্রিয় সদস্য। এসময় ১৭ জন কমিউনিস্ট নেতার সাথে আবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৪১ সালের শেষের দিকে তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পর তিনি মুন্সিগঞ্জ মহকুমায় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৪২ সালে পুনরায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় এক বছর পর মুক্তি লাভ করেন তিনি।

১৯৪৩ সাল ইতিহাসে মন্বন্তরের সাল হিসেবে পরিচিত। এই সময় ইংরেজ শাসকদের অবহেলার কারণে সারা বাংলায় দুর্ভিক্ষ ও মহামারী দেখা দেয়। গ্রাম-বাংলার অনাহারী মানুষ খাবারের জন্য কলকাতার দিকে ছুটতে থাকে। ওলিতে-গলিতে, রাজপথে-ফুটপথে অগণিত মানুষ ক্ষুধার তাড়নায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। কাক ও কুকুরের সঙ্গে বুভুক্ষু মানুষ অখাদ্য-কুখাদ্য খুঁজে ফিরছে ডাস্টবিনে- নর্দমায়। এ সময় কমিউনিষ্ট পার্টি সারা দেশব্যাপী লঙ্গরখানা খুলে বুভুক্ষু মানুষকে বাঁচানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করে। এই দুর্ভিক্ষ থেকে বিক্রমপুরের মানুষকে বাঁচাতে জিতেন ঘোষ অমানুষিক পরিশ্রম করেন। তিনি দুর্ভিক্ষের সময় চাঁদা তুলে বিক্রমপুরে একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। বিক্রমপুর তাঁতি ও জেলেদের মধ্যে কো- অপারেটিভ সোসাইটি গড়ে তোলার ব্যাপারে তাঁর উদ্যোগ ও শ্রম তুলনাহীন।

১৯৪৭ সালে জিতেন ঘোষ ঢাকা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের শেষের দিকে পাক-পুলিশ তাঁকে পুনরায় গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। জেলে নিম্নকর্মচারী ও সহবন্দীদের নিয়ে রাজনীতি বিষয়ে পড়াশুনার স্কুল চালু করেন তিনি। মানুষের মুক্তি কিসে, কিভাবে এবং এক্ষেত্রে কার কি করণীয় এসব বিষয় নিয়ে নিয়মিত পড়াশুনা হত। জেলের সাধারণ কয়েদীরা তাঁর সংস্পর্শে এসে কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শ গ্রহণ করেন এবং তাঁরা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত হন। ১৯৫৩ সালের শেষ ভাগে জিতেন ঘোষ মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এরপর তিনি চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান। সেখানে প্রায় তিন বছর ছিলেন। এখানে তিনি অসুস্থ্ শরীর নিয়ে মাঝে মধ্যে পার্টির কাজে, কৃষকদের কাজে বের হয়ে পড়তেন। ১৯৫৮ সালের জানুয়ারী মাসে পূর্ব পাকিস্তান কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা জেলার শত শত কৃষক প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি এই সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনের পর ঢাকা জেলার কৃষক সমিতি গঠিত হয়। ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় এক কৃষক সমাবেশের আহ্বান জানায় পূর্ব পাকিস্তান কৃষক সমিতি। এই সমাবেশের মাধ্যমে কৃষক সমিতির কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সভাপতি হন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সম্পাদক হন জিতেন ঘোষ। অক্টোবর মাসে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করে গণহারে নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠান। এসময় জিতেন ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। এবার জেলের মধ্যে তিনি বেশ কয়েকবার মারাত্মকভাবে অসুস্থ্ হয়ে পড়েন। কিন্তু পাক-সরকার তাঁকে মুক্তি দেননি। অবশেষে ১৯৬২ সালে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক সংগঠনের কাজে যুক্ত হন। মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর, নারায়নগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া, কাপাসিয়াতে বড় বড় কৃষক সম্মেলন সংগঠিত করেন তিনি। ১৯৬৩ সালে জিতেন ঘোষ ও হাতেম আলী খান একত্রে মিলে ওসমান গনি রোডে কৃষক সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করেন। জিতেন ঘোষ থাকতেন ঢাকা জেলা কৃষক সমিতির অফিসে (১৫৪/এ রেবতী মোহন দাস রোড, সুত্রাপুর)। সন্তোষ গুপ্ত ঢাকায় এলে মাঝে মাঝে জিতেন ঘোষের সাথে থাকতেন।

১৯৬৪ সালে কাশ্মীরের হযরতবাল মসজিদ থেকে ইসলাম ধর্মের স্মৃতিচিহ্ন চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও খুলনাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। যার ফলে ওসমান গনি রোডে কৃষক সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কিছুদিন পর তিনি বিক্রমপুরে চলে যান। সেখানে তিনি কৃষকদের নিয়ে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে দাঙ্গা মোকাবেলা করেন। ১৯৬৫ সালের মধ্যে তিনি ঢাকা জেলায় একটি শক্তিশালী কৃষক সংগঠন গড়ে তোলেন। ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় তাঁকে আবারও গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার কিছু দিন পর আবার তাঁকে জেলে যেতে হয়। কারণ পাকিস্তান সরকার তাঁকে জেলের বাইরে রেখে স্বস্তি পাচ্ছিল না। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যূত্থানের সময় মুক্তি পান। ওই বছর ১৪ এপ্রিল এক প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে ঢাকা ও কুমিল্লা জেলায় শত শত লোক মারা যায় এবং ঘরবাড়ি ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শুধু ডেমরাতে ৮০০ লোক মারা যায়। এসময় জিতেন ঘোষ তাঁর কৃষক কর্মীবাহিনী নিয়ে দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যান এবং দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করেন। অসংখ্য গৃহহীন মানুষকে গৃহ নির্মাণ করে দেন। এতে করে ওই সমস্ত এলাকায় তাঁর বেশ পরিচিতি গড়ে উঠে। যার ধারাবাহিকতায় তিনি ওই এলাকাগুলোতে কৃষক আন্দোলন ও সংগঠন ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। ১৯৭০ সালের প্রথমভাগে অনেকগুলো দাবি নিয়ে সর্বকালের বৃহত্তম শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত করেন তিনি। আড়াই মাইলব্যাপী এই শোভাযাত্রা সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে বস্ত্র, টাকা ও খাদ্য সংগ্রহ করেন। ১৯৭৫ সালে রেকর্ড বর্গার অধীনস্থ আন্দোলন শুরু করেন তিনি। হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে এই আন্দোলনে জয়যুক্ত হলে দেশের ১৫ হাজার কৃষক জমির পূর্ণ মালিকানা লাভ করেন। এ সময় বেশ কিছুদিন তিনি অন্তরীণ জীবন যাপন করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে এই সংগঠনের জাতীয় কৃষক লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত হন। জিতেন ঘোষ ছিলেন চিরকুমার। তিনি সারা জীবন কৃষক ও মেহনতী মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছেন। জেল খেটেছেন যুগের পর যুগ। তিনি বহু গ্রন্থও রচনা করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: গারোদের আড়াল থেকে, অগ্নিদিনের বর্মা, জেল থেকে জেলে। জিতেন ঘোষ ১৯৭৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান।

তথ্য ও ছবিসূত্র:
১। কৃষক নেতা জিতেন ঘোষ: জ্ঞান চক্রবর্তী। প্রকাশক জিতেন ঘোষ কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের পক্ষে কাজী আকরাম হোসেন। প্রকাশকাল: অক্টোবর ১৯৭৭ সাল।
২। জিতেন ঘোষ রচনাসমগ্র: সম্পাদনা আব্দুল হালিম খান ও দিলওয়ার হোসেন। প্রকাশক: রাজন ইসলাম। প্রকাশকাল: ২০১০ সাল।
৩। ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবীদের জীবনকথা: তপন কুমার দে। জাগৃতি প্রকাশনী, আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা। প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারী ২০০৫।
৪। গণমানুষের মুক্তির আন্দোলন- মাহাফুজা খানম ও তপন কুমার দে। প্রকাশক: ডা. মাহফুজ শফিক, প্রকাশকাল: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সাল।
৫। ছবি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

লেখক: রফিকুল ইসলাম (শেখ রফিক)

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.