GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়

অবদানের ক্ষেত্র: ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন
যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়

যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

১৯০০ সালের একেবারে শুরুর দিকের একটি ঘটনা। হঠাৎ একদিন কুষ্টিয়ার কয়া গ্রামের পাশের গ্রামে মস্তবড় একটি বাঘ দেখা গেল। গ্রামবাসী বাঘটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। বাঘটির ভয়ে মানুষ দিনের বেলায়ও রাস্তা-ঘাটে একা একা বের হতে ভয় পেত। রাতের বেলায় তো কেউ বেরই হত না। বাঘটি যখন গ্রামের গরু, ছাগল খেতে শুরু করল তখন কয়া গ্রামের মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে শিউরে উঠল।

কয়া গ্রামের ফণিভূষণ বাবু জনগণের কথা ভেবে জীবনবাজী রেখে বন্দুক দিয়ে বাঘটিকে মারার সিদ্ধান্ত নিলেন। ওই সময় কৃষ্ণনগর থেকে ২০/২১ বছরের তরুণ যতীন্দ্রনাথ মামাবাড়ি কয়া গ্রামে আসেন। মামাত ভাই ফণিবাবু বাঘ মারতে যাবেন শুনে যতীন্দ্রনাথ তাঁর সাথে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেন। মামাবাড়ির সবাই যতীন্দ্রনাথকে যেতে নিষেধ করেন। কারণ একটি বন্দুক, তা ফণিবাবু সাথে নিয়ে যাচ্ছেন। খালি হাতে যতীন্দ্রনাথ যাবেন কি করে, বাঘ যদি তাকে আক্রমণ করে? কিন্তু যতীন্দ্রনাথ কারও কথা শুনলেন না। খালি হাতে যাওয়া ঠিক হবে না ভেবে তিনি একটি ভোজালি নিয়ে দুপুরের পর ভাই ফণিভূষণের সাথে বাঘ মারতে রওনা হলেন।

বাঘ মারতে যাওয়ার কথা শুনে গ্রামের মানুষ তাদের পিছু পিছু হাঁটতে শুরু করল। অনেকক্ষণ ধরে বাঘটি খোঁজা হলো, কিন্তু পাওয়া গেল না। অবশেষে ফণিবাবু ও যতীন্দ্রনাথ গ্রামের পাশের জঙ্গলের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন। ওই জঙ্গলের মধ্যে একটি বড় মাঠ ছিল। যতীন্দ্রনাথ সেই মাঠে দাঁড়িয়ে চারদিক দেখছিলেন। আর ফণিভূষণ মাঠের এক প্রান্তে বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে আছেন। গ্রামের মানুষ জঙ্গলের পাশে দাঁড়িয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নৃত্য করছেন। এভাবে কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর যতীন্দ্রনাথ যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন, সেইদিক দিয়ে বাঘ বেরিয়ে এল। বাঘ দেখে গ্রামের মানুষ ভয়ে পালাতে শুরু করল। ফণিভূষণ বাঘটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ল। গুলি বাঘের মাথা স্পর্শ করে চলে গেল। বাঘ আহত না হয়ে বরং আরো উত্তেজিত হয়ে যতীন্দ্রনাথের উপর আক্রমণ করল। যতীন্দ্রনাথ সাহস করে বাঘটিকে বাম বগলের মধ্যে চেপে ধরে বাঘের মাথার উপর সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে ভোজালি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করল। বাঘও যতীন্দ্রনাথকে কামড়াবার আপ্রাণ চেষ্টা করছিল। চলতে থাকে বাঘে-মানুষে লড়াই। বাঘ নখ দিয়ে যতীন্দ্রনাথের সমস্ত শরীর ক্ষত-বিক্ষত করে। তাঁর হাঁটুতে একটা কামড়ও বসিয়ে দেয়। কিন্তু যতীন্দ্রনাথ জানতেন বাঘটিকে আঘাতে আঘাতে না মারতে পারলে তাঁর রক্ষা নেই। তাই জীবন বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যান তিনি।

অন্যদিকে বাঘটিকে গুলি করার জন্য ফণিভূষণ বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। কারণ বাঘের সাথে যতীন্দ্রনাথ যেভাবে গড়াগড়ি করছিলেন, তাতে গুলি ছুড়লে সেটি যতীন্দ্রনাথের শরীরে লেগে যেতে পারে। এভাবে প্রায় ১০ মিনিট লড়াই করার পর যতীন্দ্রনাথ বাঘটিকে মেরে ফেললেন এবং নিজে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন।

লোকজনের সহায়তায় যতীন্দ্রনাথকে ও মৃত বাঘটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হল। গ্রাম্য ডাক্তার দেখানোর পর যতীন্দ্রনাথ একটু সুস্থ হলেন। কিন্তু তার শরীরের প্রায় ৩০০ স্থানে ক্ষত দেখা গেল। ডাক্তার তাঁর অবস্থা দেখে তাড়াতড়ি কলকাতায় নিয়ে যেতে বললেন। যতীন্দ্রনাথের মেজ মামা হেমন্তকুমার তখন কলকাতায় ডাক্তারি করতেন। মামার কাছে তাঁকে পাঠানো হল। হেমন্তকুমার ভাগ্নের অবস্থা আশংকাজনক দেখে কলকাতার বিখ্যাত ডাক্তার, সর্বশ্রেষ্ট সার্জন সুরেশপ্রসাদের উপর চিকিৎসার ভার দিলেন। এই নামকরা ডাক্তারও যতীন্দ্রনাথকে বাঁচানোর ও পুরাপুরি সুস্থ করার আশা প্রায় ছেড়ে দিলেন। মাসখানেক পর তিনি একটু সুস্থ হলেন কিন্তু তাঁর পায়ে পচন ধরল। ডাক্তার তাঁর পা কেটে ফেলার কথা বললেন। কিন্তু যতীনের মামাদের আপ্রাণ চেষ্টা ও ডাক্তারদের সুচিকিৎসার জন্য শেষ পর্যন্ত তাঁর পা দুটি কাটতে হয়নি। ডাক্তার সুরেশ প্রসাদ তাঁকে দেখে, তাঁর বীরত্বের কথা শুনে রীতিমতো অবাক হলেন এবং যতীন্দ্রনাথের এই কীর্তিকে সম্মান জানিয়ে তিনি তাঁকে ‘বাঘা যতীন’ নাম উপাধি দিলেন। বাঘ মারার পর গ্র্রামের সাধারণ মানুষও তাঁকে ভালোবেসে ‘বাঘা যতীন’ নামে ডাকতে শুরু করেন।

পরবর্তীতে এই বাঘা যতীন সমগ্র ভারতবর্ষে ‘বিপ্লবী বাঘা যতীন’ নমে পরিচিতি লাভ করেন। ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লববাদী আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্বের সর্বাধিনায়ক তিনি। বাংলার সশস্ত্র বিপ্লববাদী দল ‘যুগান্তর’-এবং পরে সকল বিপ্লববাদী দলের প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। জার্মানদের সহায়তায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর পরিকল্পনার উদ্যোক্তা তিনি।

বাঘা যতীন জন্মেছিলেন ১৮৭৯ সালের ৭ ডিসেম্বর। তৎকালীন নদীয়া জেলার কুষ্টিয়া মহাকুমার কয়া গ্রামে, মাতুলালয়ে। জন্মের পর পারিবারিকভাবে তাঁর নাম রাখা হয় যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। বাবা উমেশচন্দ মুখোপাধ্যায়। মা শরৎশশী দেবী। তাঁদের আদিনিবাস ছিল যশোর জেলার ঝিনাইদাহ মহকুমার রিশখালী গ্রামে। বাঘা যতীনের ৫ বছর বয়সে তাঁর বাবা মারা যান। এরপর মা ও বড়বোন বিনোদবালার সাথে তিনি মাতামহের বাড়ি কয়া গ্রামে চলে আসেন। মায়ের আদর-স্নেহে মাতুলালয়েই তিনি বড় হতে থাকেন। এখানেই কেটেছে তাঁর শৈশব-কৈশোর। মা শরৎশশী দেবী ছিলেন স্বভাবকবি।

যতীনের পড়াশুনার হাতেখড়ি পরিবারে। প্রাথমিক লেখাপড়া শেষে বড় মামা বসন্ত কুমার যতীনকে কৃষ্ণনগরের অ্যাংলো ভার্ণাকুলার হাইস্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। ছোটবেলা থেকে যতীন ছিলেন দুরন্ত স্বভাবের। মা শরৎশশী দেবী ছেলেকে চোখে চোখে রাখতেন। ছোটবেলা থেকেই ছেলেকে আদর্শবান ও স্পষ্টভাষী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।

স্কুলের পড়াশুনা আর খেলাধূলার পাশাপাশি ঘোড়ায় চড়া, শিকার করা, মাছ ধরা, গাছে চড়া, দৌড়-ঝাঁপসহ নানা দুরন্তপনায় মেতে থাকতেন যতীন। পড়াশুনায় ভাল, দুষ্টমিতে সেরা ও স্পষ্টভাষী, এসব গুণের কারণে যতীন তাঁর সহপাঠী ও শিক্ষক মহলে প্রিয় হয়ে উঠেন। পাড়া-মহল্লা ও স্কুলে নাটকে অভিনয়ও করতেন তিনি। মামারা খুব ভালবাসতেন ভাগ্নেকে। বড় মামা যতীনকে সাথে নিয়ে কুস্তি খেলা দেখতে যেতেন।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বড়বোন যতীনকে বিনোদবালা রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণের গল্প, রানাপ্রতাপ, শিবাজী, সীতারাম রায়ের কাহিনী শুনাতেন। এসব ইতিহাস শুনে যতীন বড়বোনকে প্রায়ই বলতেন, “আমি বড় হয়ে ইংরেজদের অত্যাচারের প্রতিশোধ নিব”।

অ্যাংলো ভার্ণাকুলার হাইস্কুল থেকে তিনি ১৮৯৮ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পাস করেন। এরপর কলেজে ফার্স্ট-আর্টস (এফ.এ.) পড়ার জন্য মেজমামার কাছে চলে যান। তাঁর মামা কলকাতার শোভাবাজারের বাস করতেন। মেজমামা যতীনকে কলকাতা সেন্ট্রাল কলেজে এফ.এ. ভর্তি করিয়ে দেন। মামারা তাঁকে খুব ভালবাসা সত্বেও মামাদের উপর একেবারে সম্পূর্ণ নির্ভর না করে নিজে কিছু উপার্জন করার জন্য বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে তিনি সর্টহ্যান্ড ও টাইপরাইটিং শিখতে শুরু করেন।

ওই সময়ে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। যতীনেরও স্বাস্থ্য খুব খারাপ হয়ে পড়ে। তাঁর ছোট মামা ললিতকুমার ভাগ্নের শরীরের খারাপ অবস্থা দেখে তাঁকে শরীরচর্চার জন্য অম্বুগুহের কুস্তির আখড়ায় ভর্তি করে দেন। সেখানে যতীন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ পান। এসমস্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যতীনের চেতনায় দেশপ্রেমের মন্ত্র ঢুকে যায়। মনে মনে দেশের জন্য কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। কুস্তির আখড়ার অম্বুগুহের আহবানে যতীন তাঁর বন্ধুদের নিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবা ও সমাজ সেবামূলক কাজ করেন।

টাইপরাইটিং শেখা শেষে তিনি কলকাতার আমহুটি এন্ড কোম্পানী নামক একটি ইউরোপীয় সওদাগরী অফিসে মাসে ৫০ টাকা বেতনে চাকুরী নেন। এখানে বেশ কিছুদিন চাকুরী করার পর তিনি ১৮৯৯ সালে মোজফফরপুরে ব্যারিষ্টার মি. কেনেডির স্টনোগ্রাফার হিসেবে ৫০ টাকা বেতনে নিযুক্ত হন। এখানে তিনি অচিরেই একজন আন্তরিক, সৎ, দক্ষ কর্মচারী হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে সক্ষম হন। চাকুরী করার কারণে তাঁর আর এফ.এ. ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়া হলো না। ব্যারিস্টার কেনেডী যতীনকে তাঁর সততার জন্য পছন্দ করতেন, ভালবাসতেন। কেনেডির উৎসাহে মোজফফরপুরের তরুণদের জন্য যতীন ফুটবল ও অ্যাথলেটিক ক্লাব গড়ে তোলেন।

১৯০০ সালে যতীন বেঙ্গল গভর্নমেন্টের অধীনে ১২০ টাকা বেতনের একটি চাকুরী পেয়ে কলকাতায় চলে আসেন। ওই বছর তিনি ইন্দুবালাকে বিয়ে করেন। তাঁদের পরিবারে ৪টি সন্তানের জন্ম হয় – অতীন্দ্র, আশালতা, তেজেন্দ্র, ও বীরেন্দ্র।

১৯০২ সালে অরবিন্দ ঘোষ বারোদায় ৭০০ টাকা বেতনের চাকুরী ছেড়ে কলকাতায় চলে এসে শ্যামপুকুর স্ট্রীটে পন্ডিত যোগেন্দ্রনাথের বাড়ীতে অবস্থান নেন। এখানে অবস্থান করে তিনি কলকাতার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে গোপনে গোপনে ইংরেজ শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বিপ্লবের বাণী প্রচার করেন। ১৯০৩ সালে অরবিন্দের সাথে পরিচিত হয়ে যতীন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। অরবিন্দ ঘোষের সংস্পর্শে এসে যতীন শরীর গঠন, সাঁতার কাটা ও বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। চাকুরীরত অবস্থায় তিনি শুরু করেন গোপন বিপ্লবী কর্মকান্ড। ‘যুগান্তর’ দলে কাজ করার সময় এম.এন রায়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। যতীন বুঝতে পেরেছিলেন, সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশকে তাড়ানো সম্ভব নয়। সে কারণে তিনি ব্রিটিশের কবল থেকে দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করার জন্য সশস্ত্র বিপ্লবী পথ বেছে নেন। বাঘা যতীন সরকারি চাকরিরত অবস্থায় অত্যন্ত সুকৌশলে ও গোপনে বিপ্লবী সংগঠনের নেতৃত্ব দেন। ১৯০৩ সালে অরবিন্দ, যতীন এবং প্রমথনাথ ১০২ নং আপার সার্কুলার রোডে একটি বিপ্লবী আখড়া প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯০৮ সাল। হঠাৎ একদিন কলকাতার মানিকতলায় বিপ্লবীদের গোপন বোমার কারখানার বিপ্লবীরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পুলিশ জানতে পারে, এই বিপ্লবীদের মধ্যে একজন সরকারি লোক রয়েছেন। তাঁর নাম বাঘা যতীন। তিনি ওই দলের নেতা। অথচ তিনি তখন বাংলায় গভর্নরের পার্সোনাল সেক্রেটারি। তাঁর ‘বিপ্লবী’ পরিচয় পেয়ে সরকারি মহল ও পুলিশ প্রশাসন স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। তাঁর উপর কঠোর নজরদারি রাখা হলো।

ওই সময় থেকে যতীন সতর্ক হয়ে যান। এরপর তাঁর নেতৃত্বে ১৯০৯-১০ সাল পর্যন্ত যত বিপ্লবী কর্মকান্ড সংগঠিত হয়েছে, তা খুব সর্তকতার সাথে সম্পাদন করেছেন তিনি। সারাভারতে বিপ্লবী কর্মকান্ড ছড়িয়ে দিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন অসংখ্য সশস্ত্র বিপ্লবী।

১৯০৯ সালের ৩০ নভেম্বর ব্রিটিশ সরকার ম্যাজিস্ট্রেট সামসুল আলমকে স্পেশাল ক্ষমতা দেন, সে ক্ষমতাবলে তিনি যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবেন। ব্রিটিশ সরকারের দেয়া এই ক্ষমতাবলে ম্যাজিস্ট্রেট সামসুল আলম বিপ্লবীদের উপর চড়াও হয়ে একের পর এক বিপ্লবীকে গ্রেফতার করতে শুরু করেন। বিপ্লবী যতীন তখন সামসুল আলমকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ২৪ জানুয়ারী সামসুল আলম যখন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সিড়ি বেঁয়ে নামছিলেন, তখন ১৮ বছরের বিপ্লবী বীরেন্দ্রনাথ দপ্তগুপ্ত যতীনের নির্দেশে তাকে গুলি করে হত্যা করেন।

যতীনের নির্দেশে সামসুল আলম হত্যাকান্ডের পর ব্রিটিশ সরকার যতীনের উপর গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে। টেগার্টকে পাঠানো হলো যতীনকে গ্রেফতার করার জন্য। যতীন তখন কয়েকজন সহযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে কলকাতার ২৭৫ নং আপার চিৎপুর রোড়ের বাড়িতে তাঁর এক অসুস্থ মামার সেবাযত্ন করছিলেন। সেই বাড়ি থেকে যতীনকে টেগার্ট গ্রেফতার করে। এরপর যতীনকে আটক রেখে চালানো হয় অত্যাচারের স্টিম রোলার। কিন্তু একটি তথ্যও বের করতে পারেনি। তাঁকে বিভিন্ন ধরনের লোভ ও প্রলোভন দেখানো হয়। এতেও কোনো কাজ হয়নি। হতাশ হয়ে সরকারি মহল তাঁকে প্রথমে প্রেসিডেন্সি জেলে, পরে আলীপুর সেন্ট্রাল জেলে পাঠায়। তাঁর নামে দেয়া হয় বিখ্যাত ‘হাওড়া ষড়যন্ত্র মামলা’। এ মামলা চলে এক বছরেরও বেশী সময় ধরে। এই মামলায় যতীনসহ কয়েকজন বিপ্লবীকে জড়ানো হয়। এ সময় ‘অনুশীলন সমিতি’কে বেআইনি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশদের নির্মম অত্যাচারের ফলে কয়েকজন বিপ্লবী মারা যান এবং কয়েকজন পাগল হয়ে যান। যথাযথ প্রমাণের অভাবে যতীনকে দোষী প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় ব্রিটিশ সরকার। ১৯১১ সালের একুশ ফেব্রুয়ারী যতীন এ মামলা থেকে মুক্তি পান।

জেল থেকে মুক্তি লাভের পর যতীন তাঁর দিদি বিনোদবালা, স্ত্রী ইন্দুবালা, কন্যা আশালতা আর দু’বছরের ছেলে তেজেন্দ্রনাথকে নিয়ে যশোরের ঝিনাইদাতে বসবাস শুরু করেন। এসময় তিনি ঠিকাদারী ব্যবসা শুরু করে ব্রিটিশ সরকারকে পুরোপুরী সংসারী হওয়ার চিত্র দেখান। যশোর শহরে আর মাগুরাতে দুটি শাখা অফিস করেন। ব্যবসার আড়ালে গোপনে গোপনে বিপ্লবী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি নরেন সন্ন্যাসী নামে পুরো ভারত চষে বেড়ান এবং বিভিন্ন স্থানে বিপ্লবীদের একত্র করার কাজ চালিয়ে যান।

১৯১৩ সালের ভীষণ বন্যা ও মহামারীর সময় যতীন তাঁর দলবল নিয়ে বর্ধমান ও কাশীতে বন্যার্তদের সেবা-যত্ন শুরু করেন। এসময় তিনি সমস্ত জেলার বিপ্লবী নেতা-কর্মীদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবার জন্য সেখানে চলে আসতে বলেন। সকল জেলার নেতৃবৃন্দ সেখানে চলে আসেন। বন্যার্তদের মাঝে কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে যতীন গোপন বৈঠকে বিপ্লবের মাধ্যমে ইংরেজকে হঠানোর পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করে নিলেন। এসময় নিষিদ্ধ সশস্ত্র বিপ্লবী দলগুলো যতীনকেই তাঁদের সর্বাধিনায়ক নির্বাচিত করেন। এরপর থেকে তাঁর কমান্ডেই সকল বিপ্লবী কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। ওই বছর শেষের দিকে উত্তর ভারত থেকে রাসবিহারী বসু এসে সর্বাধিনায়ক যতীনকে সংগঠনের কাজ সম্পর্কে বললেন। শচীন স্যানালও যুক্ত হলেন এই বিপ্লবী পরিকল্পনার সাথে।

১৯১৪ সালের ৪ আগস্ট ইংরেজ-জার্মান যুদ্ধ বাধে। এ যুদ্ধ বাধার ২২ দিন পর সর্বাধিনায়ক যতীনের নেতৃত্বে সারা কলকাতায় বিপ্লবীদের কর্মকাণ্ড ব্যাপক আকারে সংগঠিত হতে থাকে। নভেম্বর মাসে আমেরিকা থেকে সত্যেন্দ্রনাথ বসু ভারতে এসে যতীনকে জানালেন, গদার পার্টির চার হাজার সদস্য আমেরিকা থেকে বিদ্রোহের জন্য ভারতে এসেছেন। বিদ্রোহ শুরু হলে আরো ২০ হাজার সদস্য ভারতে আসবেন। তারপর সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও বিষ্ণুগনেশ পিঙ্গলু যতীনের কাছে পরিচয় পত্র নিয়ে কাশীতে রাসবিহারী বসুর সঙ্গে দেখা করে সমস্ত ঘটনা বলেন এবং বিপ্লবী সংগঠনের কাজে যুক্ত হন।

১৯১৪ সালে যুদ্ধসংক্রান্ত ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সৈন্যবাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র বিদ্রোহের জাগরণ সৃষ্টি করতে অবিরত কাজ করেন সর্বাধিনায়ক যতীন। গোপনে গোপনে বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। দেশ-বিদেশ থেকে বিপ্লবী গদার পার্টির হাজার হাজার সশস্ত্র সদস্যের অংশগ্রহণও নিশ্চিত হয়। সংগ্রহ করা হয় বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ।

১৯১৫ সালে সর্বাধিনায়ক যতীন সমগ্র্র ভারত নিয়ে একটি বিপ্লবের চিন্তা করেন। তিনি রাসবিহারী বসু ও শচীন্দ্রনাথ স্যানালের সহযোগিতায় বেনারস, দানাপুর, সিকোল, এলাহাবাদ, জব্বলপুর, মীরাট, দিল্লি, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, আম্বালা, পাঞ্জাব প্রভৃতি স্থানের সৈন্যদের ‘জাতীয় অভ্যূত্থানের’ জন্য অনুপ্রাণিত করে তাঁদেরকে প্রস্তুতি নিতে বলেন।

১৯১৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। বিদ্রোহ ঘটানোর দিন ধার্য করা হয় ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত। কিন্তু পরে ২১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তন করে ১৯ ফেব্রুয়ারি করা হয়। প্রধান লক্ষ্যস্থল পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর। সেইসঙ্গে বারাণসী ও জব্বলপুর সেনা ঘাঁটিও প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করে অধীরভাবে। রাসবিহারী বসু, শচীন স্যানাল ও হেরাম্বলালগুপ্ত এই সশস্ত্র বিপ্লবী বাহিনীর প্রধান গুপ্ত দপ্তর স্থাপন করেন লাহোর শহরের ৪টি গুপ্তস্থানে।

অবাঙালী বিপ্লবী রামশরণ দাসের বাড়িতে বিদ্রোহের আদেশ প্রদানের সময়টুকুর প্রতীক্ষায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিদ্রোহের ঠিক ৪ দিন পূর্বে এই ষড়যন্ত্রের খবর ফাঁস করে দেয় রামশরণ দাস। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সৈন্য পাঠিয়ে যেখানে যেখানে সম্ভব দেশীয় সৈন্যদেরকে অস্ত্রহীন করে এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি ৪ প্রধান দপ্তরের একটিতে অকস্মাৎ হামলা চালায়। বিপ্লবীদের একটি দল ১৯ তারিখ সন্ধ্যেবেলায় লাহোরে নিযুক্ত ব্রিটিশ সেনানিবাসে হামলা চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এই সশস্ত্র হামলায় দুপক্ষের অনেক লোক মারা যায়। দ্রুত সমস্ত লাহোরব্যাপী এই ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসন সমস্ত শক্তি দিয়ে এই সশস্ত্র বিদ্রোহের ষড়যন্ত্র দমন করতে সক্ষম হয়। এটাই ঐতিহাসিক ‘লাহোর ষড়যন্ত্র’ নামে পরিচিত।

এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর যতীন বিপ্লবীদের নিয়ে একটা বৈঠক করেন এবং এক এক জনকে তাঁর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। সকলে ভারতের স্বাধীনতার জন্য নতুন আঙ্গিকে কাজ শুরু করেন। নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে সবাই বিপ্লব করার জন্য লড়ে যান। এসময় বিপ্লবীদেরকে সুরেশ নামক এক পুলিশ অফিসার প্রায়ই জ্বালাতন করতেন এবং বিনা কারণে ধরে নিয়ে যেতেন। বিপ্লবীরা একদিন সুরেশকে সুযোগ বুঝে মেরে ফেলেন। মৃত্যুর আগে লিখিত বক্তব্যে সুরেশ বলেন, যতীনের সঙ্গীরা তাকে মেরেছে । তাই ব্রিটিশ সরকার যতীনের উপর আবার গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে এবং তাঁকে জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা ঘোষণা করে।

১৯১৫ সালের মার্চ মাসে লর্ড হার্ডিঞ্জ ভারত রক্ষা আইন চালু করে দেশপ্রেমিক বিপ্লবীদের একের পর এক গ্রেফতার করে বিনা বিচারে বন্দী রাখার ব্যবস্থা করে। আগস্ট মাসের প্রথম দিকে গুপ্ত সমিতির পররাষ্ট্র বিভাগের দপ্তর-এ পুলিশ হানা দিয়ে ওই দপ্তরে নিয়োজিত বিপ্লবীদের গ্রেফতার করে। এরপর থেকে বিপ্লবীদের আস্তানাগুলোতে পুলিশ একের পর এক হানা দিতে থাকে। ইতিমধ্যে সর্বাধিনায়ক যতীন জার্মান সরকারের সহায়তায় ভারত থেকে ইংরেজকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করেন। জার্মানির সাহায্য কামনা করলে জার্মান সরকার সম্মত হয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, জার্মান জাহাজ মাভেরিক থেকে অস্ত্র নিয়ে বালেশ্বর রেললাইন অধিকার করে ইংরেজ সৈন্যদের মাদ্রাজ থেকে কলকাতা যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী চারজন সহযোদ্ধাকে নিয়ে বুড়িবালাম নদীর তীরে অপেক্ষা করতে থাকেন যতীন্দ্রনাথ।

কিন্তু ব্রিটিশ গোয়েন্দারা লোভী গ্রামবাসীর মাধ্যমে তাঁদের আত্মগোপন করার কথা জানতে পারে। ওই গ্রামবাসীরা এই বিপ্লবী দলকে পালানোর সুযোগ দেয়নি। তারা বিপ্লবীদের পিছু নিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ১৯১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এই বিপ্লবী দলকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘিরে ফেলে। তবে যতীন তাঁর চার সহযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে ইংরেজ পুলিশের বিরুদ্ধে লড়ে যান। লড়াইয়ের একপর্যয়ে যতীন গুরুতর আহত হন এবং পরদিন বালেশ্বর হাসপাতালে মারা যান।

বিপ্লবী বাঘা যতীন বেঁচে ছিলেন মাত্র ৩৬ বছর। এই ছোট জীবনে তিনি তাঁর জীবন-সংগ্রাম দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখে গেছেন। মানুষের স্বাধীনতা, অধিকার ও শোষণমুক্তির আন্দোলন যতদিন চলবে ততদিন তিনি বেঁচে থাকবেন মানুষের মাঝে। বেঁচে থাকবেন যুগ-যুগান্তরের ইতিহাসে। মানুষের চেতনায় ও কর্মে।

তথ্য ও ছবিসূত্র:
১। বাংলার পাঁচ স্মরণীয় বিপ্লবী: সম্পাদনা-দেবপ্রসাদ জানা, দীপ প্রকাশন-কলকাতা। প্রকাশকাল ৫ জানুয়ার ২০০৮ সাল।
২। বাঘা যতীন: পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। দে’জ পাবলিকেশন-কলকাতা। প্রকাশকাল নভেম্বর ২০০৩।
৩। স্বাধীনতা সংগ্রামে সশস্ত্র বিপ্লবীদের ভূমিকা: সুধাংশু দাশগুপ্ত, ন্যাশনাল বুকস এজেন্সি কলকাতা। প্রকাশকাল ২০০৯ সাল।
৪। বাংলার মুক্তি সন্ধানী: সব্যসাচী চট্টপাধ্যায়/ রাখী চট্টপাধ্যায়, কলকাতা। প্রকাশকাল মে ২০০৫ সাল।

লেখক : রফিকুল ইসলাম (শেখ রফিক)

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.