GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

মোহাম্মদ রুহুল আমিন

অবদানের ক্ষেত্র: বীর শ্রেষ্ঠ
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন

বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

মোহাম্মদ রুহুল আমিন। সমুদ্র পাড়ের জেলা নোয়াখালীর এক গৃহস্থ পরিবারের সন্তান। পাখির মতো আয়তাকার চোখ ছিল তাঁর। ছিলেন সুঠাম দেহের অধিকারী। ভালোবাসতেন দেশ, দেশের মাটি আর দিগন্তবিস্তারী সমুদ্র। সমুদ্র খুব প্রিয় ছিল তাঁর। তাঁর প্রিয় খেলার মধ্যে ছিল নদীতে ডুব সাঁতার কাটা। নদীতে ডুব সাঁতার খেলতে খেলতেই বড় হন তিনি। পানিতে যখন খেলা করেন তখন তা নিতান্তই স্বাভাবিক মনে হয়। মনে হয় জলের দেবতা বুঝি পানিতে অদ্ভুত আলোড়ন তুলছেন। আর তিনি যখন ডাঙায় উঠে আসেন তখন মনে হয় ভুল করে কোন জলদেবতা ডাঙায় উঠে এসেছেন। এই জলদেবতাই একদিন বাংলাদেশের জন্মলগ্নের এক সন্ধিক্ষণে বাংলার জলপথকে শত্রুমুক্ত করতে গিয়ে অসীম সাহসে ঢেলে দিয়েছিলেন বুকের তাজা রক্ত।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীতে নৌবাহিনীর জাহাজ পলাশ নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাথে এক ‘ভুল বোঝাবুঝির যুদ্ধে’ গোলার আঘাতে শহীদ হন আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। যুদ্ধে তাঁর অসামান্য বীরত্বের জন্য তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

মোহাম্মদ রুহুল আমিন জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার বাগপাদুরা গ্রামে। রুহুল আমিনের বাবা আজহার পাটোয়ারী। মায়ের নাম জোলেখা খাতুন। তাঁদের পরিবারটি ছিল সচ্ছল গৃহস্থ পরিবার। রুহুল আমিন তাঁদের প্রথম সন্তান। সাত ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সকলের কাছেই তিনি ছিলেন প্রিয়পাত্র। দীর্ঘদেহী, সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকার হওয়ার ফলে অনেকের মধ্য থেকে তাঁকে চেনা যেত।

পড়ালেখার শুরু নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে। হাইস্কুলে পড়তে হয় পার্শবর্তী থানার আমিষাপাড়ায়। প্রথম দিকে তাঁদের সংসারে অভাব-অনটনের ছোঁয়া না লাগলেও ছেলেমেয়ে বড় হতে হতে পরিবারে দেখা দেয় অসচ্ছলতা। তাই হাইস্কুল পাস করার পরই রুহুল আমিনকে জীবিকার সন্ধানে বের হতে হয়।

পরিবারে পিতাকে সাহায্য করার মানসে ১৯৫৩ সালে তিনি যোগ দেন জুনিয়র মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তত্‍কালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে। চাকরি হবার পরই শুরু হয় প্রশিক্ষণ। প্রথমেই তাঁকে যেতে হয় করাচির অদূরে আরব সাগরের মধ্যে অবস্থিত মনোরা দ্বীপে পিএমএস বাহাদুর-এ। প্রাথমিক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হলে তিনি যোন দেন পিএনএস কারসাজে অর্থাত্‍ নৌবাহিনীর কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯৫৮ সালে শেষ হয় তাঁর পেশাগত প্রশিক্ষণ। ১৯৬৫ সালে তিনি নির্বাচিত হন মেকানিশিয়ান কোর্সের জন্য এবং পিএনএস কোর্স সমাপ্তির পর আর্টিফিসার পদে নিযুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে তিনি বদলি হন চট্টগ্রাম পিএনএস বখতিয়ার নৌঘাঁটিতে।

১৯৭১ সালের মার্চে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত বর্বরতম ঘটনার সময় রুহুল আমিন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। নৌঘাঁটিতে বসে বসে শুনেছেন নির্দয়ভাবে তাঁর স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের হত্যার খবর। শুনেছেন আর ফুঁসে ওঠেছেন। মনে মনে নিজেকে তৈরি করেছেন প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। দেশকে মুক্ত করার সংগ্রামে কিভাবে নিজেকে যুক্ত করা যায় সে পথ খুঁজছেন। কিন্তু নৌঘাঁটিতে বসে তা সম্ভব নয়। সুতরাং সবার আগে এখান থেকে বের হতে হবে। বাঙালী সৈনিকরা তখন পাকিস্তানী সেনাদের চব্বিশ ঘন্টা নজরদারীর মধ্যে। এখান থেকে বের হওয়াও তো চাট্টিখানি কথা নয়। তিনি মনে মনে পালানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এবং একদিন সবার অলক্ষ্যে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে পড়েন নৌঘাঁটি থেকে। পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে তিনি চলে যান ত্রিপুরা। যোগ দেন ২ নং সেক্টরে। মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বে ২ নং সেক্টরে তিনি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং স্থলযুদ্ধের বিভিন্ন অপারেশনে যোগ দেন।

১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ উদ্দেশ্যে নৌবাহিনীর সদস্যদের যাঁরা বিভিন্ন সেক্টর ও সাব-সেক্টরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করছিলেন তাঁদেরকে সেপ্টেম্বর মাসে একত্রিত করা হয় আগরতলায় এবং গঠন করা হয় ১০ নং সেক্টর। ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আগরতলায় একত্রিত হয়ে কলকাতায় আসেন এবং যোগ দেন ১০ নং নৌ সেক্টরে।

ভারত সরকার কলকাতা বন্দরে কর্তব্যরত দুটি টাগ বোট বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠনের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে উপহার দেয়। টাগ বোট দুটিকে কলকাতার গার্ডেন রিচ নৌ-ওয়ার্কশপে আনা হয় এবং প্রতিটি টাগ বোট কানাডীয় ধরনের দুটি বাফার গান লাগিয়ে এবং ব্রিটিশ ধরনের ৫০০ পাউন্ড ওজনের চারটি মার্ক মাইন বহন করার উপযোগী করে গানবোটে রূপান্তরিত করা হয়। একাত্তর সালের ১২ অক্টোবর কলকাতার মেয়র প্রফুল্ল কুমার ঘোষ গার্ডেন রিচ জেটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে গানবোট দুটি পানিতে ভাসান। এ গানবোট দুটির নামকরণ করা হয় ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্নেল আতাউল গনি ওসমানীর নির্দেশক্রমে রুহুল আমিন যোগ দেন ‘পলাশ’ গানবোটের আর্টিফিসার পদে।

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা অসম বিক্রমে দখল করে নেন যশোর সেনানিবাস। এর পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে ধরা হলো মংলা বন্দরকে হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত করা। মংলা বন্দরে পাকিস্তান বাহিনীর দখলকৃত নৌঘাঁটি পিএনএস তিতুমীর দখল তাঁদের পরবর্তী উদ্দেশ্য। মূলত এই উদ্দেশ্যেই ‘পদ্মা’, ‘পলাশ’ এবং মিত্রবাহিনীর গানবোট ‘পানভেল’ হলদিয়া ঘাঁটি থেকে যাত্রা করে বাংলাদেশ অভিমুখে। সুন্দরবনের আড়াই বানকিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পেট্রোলক্রাস্ট ‘চিত্রাঙ্গদা’ ৮ ডিসেম্বর ‘পদ্মা’, ‘পলাশ’ ও ‘পানভেল’-এর সঙ্গে যোগ দেয়। বাংলাদেশী কোনো অভিজ্ঞ উচ্চ পর্যায়ের নৌযোদ্ধা না থাকার কারণে এই নৌ-অভিযানের অফিসার ইন টেকনিক্যাল কমান্ডের দায়িত্ব নেন ভারতীয় ক্যাপ্টেন মনেন্দ্রনাথ সামন্ত।

৯ ডিসেম্বর, রাত। বাধাহীনভাবেই গানবোটগুলো সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টে অবস্থান করে। সেখানে রাতযাপনের পর ১০ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে যাত্রা করে মংলা বন্দরের দিকে। কোনোরকম প্রতিরোধ ব্যতীতই তিনটি রণতরী পৌঁছে গেল মংলা বন্দরে। সকাল তখন সাড়ে সাতটা। মংলা বন্দরেই থেকে গেল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী পেট্রলক্রাস্ট ‘চিত্রাঙ্গদা’।

শুরু হলো মূল অভিযান। মংলা বন্দর পার হয়ে গানবোটগুলো আরও ভেতরে খুলনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একসময় গানবোটগুলো খুলনা শিপইয়ার্ড ছেড়ে পৌঁছায় রূপসা ফেরিঘাটের কাছে। তখন দুপুর ১২টার কাছাকাছি। ঠিক এমনি সময় আকাশের অনেক উঁচুতে দেখা গেল তিনটি জঙ্গি বিমান। পাকিস্তানীদের বিমান অনুমান করে ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’ থেকে চাওয়া হলো বিমানগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে গুলি ছোড়ার অনুমতি। কিন্তু মিত্রবাহিনীর ক্যাপ্টের মনেন্দ্রনাথ সামন্ত জানালেন, বিমানগুলো ভারতীয়র ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের এয়ারফিল্ড থেকে এসেছে এগুলো। সুতরাং উদ্বিগ্ন হবার মতো কোনো কারণ নেই। শুনে সবাই আক্রমণের প্রস্তুতি থেকে বিরত থাকল। কারণ ভারতীয় বিমান বাহিনীকে জানানো হয়েছিল এই এলাকায় যাতে কোনো ভাবেই বোম্বিং না করা হয়। আর তাছাড়া গানবোটগুলোর উপরিভাগ হলুদ রঙেও রাঙানো হয়েছিল এবং মিত্রবাহিনীকে জানানো হয়েছিল হলুদ রং করা গানবোটগুলো আমাদের, অর্থা‍ৎ ‍এই গানবোটগুলোতে আক্রমণ করা যাবে না।

কিন্তু হঠাত্‍ শুরু হলো পটপরিবর্তন। ভারতীয় বিমানবাহিনীর অতি উত্‍সাহী কয়েকজন বিমান সেনার খামখেয়ালির কারণে সদ্য গঠিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দিতে হয়েছিল বিপুল খেসারত। এক প্রকার অবাক করে দিয়ে বিমানগুলো নীচে নেমে এল। দক্ষিণ-পশ্চিমে উড়ে গেল খুব নিচু দিয়ে। তারপর পাক দিয়ে এসেই হঠাত্‍ বোমা ফেলল। একটা বোমা গিয়ে পড়ল ‘পদ্মা’-র ইঞ্জিনরুমে। ইঞ্জিনরুম হলো একেবারে বিধ্বস্ত স্প্লিন্টারের আঘাতে হতাহত হলো বহু নাবিক। পুরোপুরি অচল হয়ে গেল পদ্মা।

আবারও ফিরে এল বিমানগুলো। এবারের বোমাগুলো থেকে কোনোরকমে রক্ষা পেল ‘পলাশ’ ও ‘পানভেল’। কিন্তু সকলে ভয় পেয়ে গেল। কে কী করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। ঠিক তখন পলাশের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রায় চৌধুরী সকলকে জাহাজ ত্যাগ করার জন্য আদেশ দেন। এমন আদেশ শুনে বেশ ক্ষুব্ধ হলেন রুহুল আমিন। যুদ্ধ না করে তিনি ভীরুর মতো জাহাজ ছেড়ে যাবেন না। তিনি সকলকে আহবান করলেন জাহাজ ত্যাগ না করার জন্য। তিনি হানাদার বাহিনীর বিমানগুলোতে গুলি চালাতে অনুরোধ জানালেন ক্রুদের। নিজে চলে গেলেন ইঞ্জিনরুমে দায়িত্ব পালন করার জন্য। যে করেই হোক বিমান হামলা থেকে গানবোটকে বাঁচাতে হবে। কিন্তু কেউই অধিনায়কের আদেশ অমান্য করে ঝুঁকি নিতে রাজি হলো না। আর তাই বিমানগুলোকেও আর চ্যালেঞ্জ করে আক্রমণ করা হলো না।

এবার বিমানগুলো পেছন দিক থেকে উড়ে এল। কোনোরকম বাধা ছাড়াই চালাল বোমাবর্ষণ। একটা বোমা এসে পড়ল ‘পলাশ’-এর ওপর। ধ্বংস হলো ইঞ্জিনরুম। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলো না। বরং জাহাজে রাখা গোলাবারুদ ফুটতে শুরু করল। এই অসম্ভব বিস্ফোরণে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হলে গেল রুহুল আমিনের দেহ।

এই অসম সাহসী বীরের শবদেহ সমাহিত করা হয় খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর তীরে। তাঁর কবরটি আজও তাঁর বীরত্বের শক্তি ও শোককে বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রূপসা ফেরিঘাটের লুকপুরে।

বীরশ্রেষ্ঠ আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিনের জন্মস্থান নোয়াখালীর বাগপাদুরা গ্রামের নাম পরিবর্তন করে এখন রাখা হয়েছে তাঁর নামে আমিননগর। বাড়ির সম্মুখে বীরশ্রেষ্ঠর পরিবারের দেয়া ২০ শতাংশ জমিতেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নোয়াখালী জেলা পরিষদ ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার।

দেশকে মুক্ত করার জন্য দায়িত্বকে যিনি সবচেয়ে পবিত্রতম মনে করেছেন তিনি অর্টিফিসার রুহুল আমিন। অন্য সব নাবিকের মতো অধিনায়কের নির্দেশে অনায়াসেই জাহাজ ত্যাগ করে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। নিজের প্রাণের চেয়েও মূল্যবান ভেবেছেন নিজের রণতরীকে। তিনি করে গেছেন জীবন দিয়ে যুদ্ধ। তাই তিনি শহীদ, পরম গৌরব, বীরশ্রেষ্ঠ এবং বাংলার পতাকার রক্তিম পলাশ।

সংক্ষিপ্ত জীবনী :

মোহাম্মদ রুহুল আমিন
জন্ম : ১৯৩৪ সাল
জন্মস্থান : নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার বাগপাদুরা গ্রামে।
পিতা : মোঃ আজহার পাটোয়ারী।
মা : মোছাঃ জুলেখা খাতুন।
কর্মস্থল : নৌবাহিনী।
পদবী : স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার।
মুক্তিযুদ্ধে অংশরত সেক্টর : ১০নং সেক্টর।
মৃত্যু : ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সাল।
সমাধিস্থল : রূপসা ফেরিঘাটের লুকপুরে।

সূত্র : উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া
বীরশ্রেষ্ঠ; রচনা: চন্দন চৌধুরী।

লেখক : এহসান হাবীব

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.