‘যখন মতিউর করাচির খাঁচা ছিঁড়ে ছুটে গেল মহাশূন্যে T-৩৩ বিমানের দুর্দম পাখায় তার স্বপ্নের স্বাধীন স্বদেশ মনে করে ফেলে তার মাহিন, তুহিন, মিলি সর্বস্ব সম্পদ।’
তিনি উড়েছিলেন আকাশে, কোটি মানুষের মতো তাঁর চোখেও ছিল স্বপ্নের স্বাধীন দেশ স্থাপনের প্রত্যাশা। কিন্তু তিনি তা দেখে যেতে পারেননি। তাঁর ছোট্ট বিমান ব্লু বার্ড ভূপতিত হলেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাঁর স্বপ্ন। আর মৃত্যুর পূর্বে বাঙালীদের স্বাধীনতা লাভের স্পৃহার সর্বোচ্চ পরিমাণটি দেখিয়ে, কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছেন পাকিস্তানীদের মনে। আজ স্বাধীন এদেশের মানুষ তাই তাঁকে ধারণ করে হৃদয়ের উচ্চাসনে, স্মরণ করে শ্রদ্ধায়।
তিনি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে শহীদ হওয়া এবং যুদ্ধে সর্বোচ্চ বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব পাওয়া, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ আর দীর্ঘ নয় মাসে তিরিশ লক্ষ বাঙালীর প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, বাঙালী হিসেবে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জনকে আমরা ধারণ করি সর্বোচ্চ সম্মানে। যাঁরা এ অর্জনের পথ সুগম করার জন্য জীবন বাজি রেখেছেন, যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মতিউর রহমান এঁদেরই একজন।
১৯৩৯ সাল। সারা পৃথিবী জুড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল। ইংরেজদের অধীনে এই ভারত উপমহাদেশের ঢাকা নামের ভূখন্ডের মানুষগুলোও তখন যুদ্ধের আতঙ্কে আতঙ্কিত। এমনি যুদ্ধের মাঝে ১৯৪১ সালে ঢাকা শহরের আগা সাদেক রোডের ১০৯ নম্বর বাড়িতে জন্ম নেন মতিউর রহমান। তারিখ ২৯ অক্টোবর, বুধবার, মধ্যরাত্রি। মা সৈয়দা মোবারুকুন্নেসা। বাবা মৌলবি আব্দুস সামাদ। তিনি পেশায় ছিলেন ঢাকা কালেক্টর অফিসের সুপার। নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রামে ছিল তাঁদের পৈত্রিক নিবাস। নয় ছেলে দুই মেয়ের পরিবারে জন্ম নেয়া মতিউর ছিলেন অষ্টম। ছেলেবেলা থেকেই তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, দুরন্ত, ডানপিটে। ১৯৫২ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ছেলেবেলা থেকেই তাঁর মাঝে ছিল প্রতিভার দ্যুতি।
বাংলা ভাষাকে তথা বাঙালীর মুখের ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যাঁরা বুকের রক্ত ঢেলে ঢাকার পিচঢালা রাজপথ রাঙিয়েছিলেন, তাঁদের গৌরবময় ইতিহাস ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি। ব্রিটিশদের কবল থেকে বেরিয়ে আমাদের স্বাধীনতার দিকে এগোবার প্রথম সোপান ছিল এটি। বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে উত্তাল সেই দিনগুলোতে মতিউরের বয়স মাত্র এগারো বছর। সে সময়েই ভাষার জন্য এ আন্দোলন দাগ কাটে তাঁর মনে। নিজের ভাষা নয় এবং চাপিয়ে দেয়া ভাষা হওয়ায় মতিউর এসময়ে তাঁর পাঠের অন্তর্গত উর্দু পড়তে চাইতেন না। সরাসরি বলতেন, ‘উর্দু কেন পড়ব? আমাদের ভাষা তো বাংলা।’
মতিউরের বাবা মৌলবি আব্দুস সামাদ ছিলেন ছেলের উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সচেতন। তিনি তাঁকে পশ্চিম পাকিস্তানের সারগোদা পি. এ. এফ স্কুলে ভর্তি করাতে চাইলেন। পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্যের কারণে বাঙালীদের সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীতে ভর্তি হওয়া ছিল খুবই কঠিন। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বাছাই করা স্কুলের বাছাই করা ছাত্রদের মাঝে পরীক্ষা হলো ইংরেজি মাধ্যমে। ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে মেধাবী মতিউর ১৯৫৬ সালে সারগোদা পি. এ. এফ একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। দিনটি ছিল ৫ই এপ্রিল। মতিউর থাকতে শুরু করলেন টেমপেস্ট হলে। নতুন জায়গায়, অচেনা পরিবেশে পাকিস্তানী সহপাঠীদের অসহযোগিতার মাঝে মতিউরের সময় কাটতে লাগল। তিনি কখনোই উর্দু ব্যবহার করতেন না। ডাইনিং হলে খাবার খাওয়া নিয়েও অনেক ব্যঙ্গ বিদ্রূপ সহ্য করতে হতো তাঁকে। কিন্তু তিনি তাঁর মেধা দিয়ে, সীমাহীন সহ্যশক্তি আর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার দুর্বার আকাঙ্ক্ষা দিয়ে সকল প্রতিকূলতা জয় করার চেষ্টা করেন। প্রথম পরীক্ষাতেই সবার জবাব দিয়ে দিলেন তিনি। খেলাধুলায় প্রথম স্থান অধিকার করলেন। ফুটবল, হকি, বাস্কেটবল ও সাঁতারে সবাইকে অবাক করে দিলেন তাঁর ক্রীড়ানৈপুণ্যে।
১৯৬০ সালের মে মাসে মতিউর কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে মেট্রিক পাস করলেন ডিস্টিংশনসহ। এরপর দিলেন ISSB exam. এরপর ১৯৬১ সালের আগস্টের ১৫ তারিখে তিনি রিসালপুরে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর একাডেমিতে ফ্লাইট ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন জিডি পাইলট কোর্সে। পাকিস্তানীরা সবসময়ই তাঁকে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছে। বিমান নিয়ে পাকিস্তানী পাইলটের সাথে ডগ ফাইট করতে গিয়ে সাজাও ভোগ করেছেন মতিউর। কিন্তু তবুও মতিউর ছিলেন একজন চৌকস ক্যাডেট। তাঁর একাগ্রতা, ইচ্ছা আর মেধার কাছে প্রতিহত হলো সকল বিপত্তি। এগিয়ে গেলেন তিনি।
১৯৬৭ সালে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হয়ে পদোন্নতি হয় মতিউর রহমানের। ১৯৬৮ সালের ১৯ এপ্রিল বিয়ে করেন এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে মিলি খানকে। বিয়ের কয়েকদিন পরেই মতিউর চলে যান পাকিস্তানের চাকলালা বিমান ঘাঁটিতে। ১৯৬৯ সালের ২৩ এপ্রিল জন্ম হয় এ দম্পতির প্রথম কন্যা মাহিনের। পরের বছর ১৪ ডিসেম্বর জন্ম হয় দ্বিতীয় সস্তান তুহিনের।
১৯৪৭ সালে প্রায় ২০০ বছরের ইংরেজ শোষণের অবসানের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম। পাকিস্তান গঠিত হয় পরষ্পর বিচ্ছিন্ন দুটি ভূখন্ড নিয়ে। পরষ্পর বিচ্ছিন্ন অবস্থান, ভাষা আর সংস্কৃতি নিয়ে। অবস্থানের সাথে সাদৃশ্য রেখে দেশের নামের শুরুতে পূর্ব ও পশ্চিম বসিয়ে এ দুই ভূখন্ডের পৃথক নামকরণের সাথে সাথে দেশটির নয়া শাসকগোষ্ঠী শুরু করে দুটি অংশের প্রতি দুই ধরনের ব্যবহার এবং শোষণের নতুন অধ্যায়। নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বৈষম্যের শিকার হতে থাকে।
আবারও প্রতিবাদমুখর বাঙালীরা – বায়ান্ন দিয়ে যার শুরু। ধারাবাহিকতায় আসে একাত্তর। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়েও সরকার গঠনের অধিকার না পাওয়ায় এবার ফুঁসে ওঠে বাঙালী। শুরু হয় অসহযোগ। আর বাঙালীদের সকল অধিকার আদায়ের দাবিকে গুঁড়িয়ে দিতে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী চালিয়েছিল ২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞ। শুরু হয় বাঙালীদের প্রতিরোধ এবং মুক্তির জন্য সংগ্রাম। রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা আদায়ের যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ।
১৯৭১ সালের শুরুতে সারাদেশ যখন উত্তাল, তখন জানুয়ারীর শেষ সপ্তাহে মতিউর সপরিবারে দুই মাসের ছুটিতে আসেন ঢাকা। ২৫ মার্চের কালরাতে মতিউর ছিলেন রায়পুরের রামনগর গ্রামে। তিনি আর স্থির থাকতে পারলেন না। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একজন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হয়েও অসীম ঝুঁকি ও সাহসিকতার সাথে ভৈরবে একটি ট্রেনিং ক্যাম্প খুললেন। যুদ্ধ করতে আসা বাঙালী যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে থাকলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা অস্ত্র দিয়ে গড়ে তুললেন একটি প্রতিরোধ বাহিনী।
১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানী বিমান বাহিনী ‘সেভর জেড’ বিমান থেকে তাঁদের ঘাঁটির উপর বোমাবর্ষণ করে। মতিউর রহমান পূর্বেই এটি আশঙ্কা করেছিলেন। তাই ঘাঁটি পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পান তিনি ও তাঁর বাহিনী। বিমান আক্রমণ শেষে মতিউর সবার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘বিমান থেকে ভৈরবে বোমাবর্ষণ হয়েছে। পাইলটদের মাঝে এমনও হতে পারে কেউ আমার ছাত্র। আমারই ছাত্র আজ আমার মাথায় বোমা ফেলছে। আমার দেশকে রক্তাক্ত করছে।’ মতিউর মাটি হাতে নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার নিজের মাটির মর্যাদা আমি রাখবোই। আমি পাইলট। আমার চাই যুদ্ধবিমান। একটা বিমান পেলে তাদের দেখিয়ে দিতাম। কারণ বিমান প্রতিহত করতে চাই বিমান বা বিমান বিধ্বংসী কামান।’
এরপর মতিউর ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকা আসেন ও ৯ মে সপরিবারে করাচি ফিরে যান। যদিও দুই মাসের ছুটিতে এসে চারমাস পেরিয়ে গেছে ততদিনে। করাচি পৌঁছে মতিউর লক্ষ্য করেন বাঙালী অফিসারদের সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। তাঁকেও তাঁর নিজের দায়িত্ব না দিয়ে দেয়া হলো ফ্লাইট সেফটি অফিসারের দায়িত্ব। মতিউরের চিন্তা তখন কেবল একটি বিমানের। তিনি পরিকল্পনা শুরু করেন। সহকর্মীদের সাথে স্বাভাবিক ব্যবহার করছেন আর খুঁজছেন সুযোগ। পি. আই. এ-এর একটি বিমান হাইজ্যাকের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর বাঙালী অফিসারদের উপর কড়া নজর রাখা শুরু হয়। বাঙালী পাইলটদের আকাশে উড্ডয়নের অনুমতি বাতিল করা হয়। মতিউর তখন করাচির মশরুর বিমান ঘাঁটির বেস ফ্লাইট সেফটি অফিসার। এর আগে মতিউর ছিলেন ফ্লাইট ইন্সট্রাকটর। ছাত্রদের বিমান চালনার প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। তাঁর অনেক পাকিস্তানী ছাত্রের একজন রশিদ মিনহাজ। সে পুরাতন ছাত্র। মতিউর জানতেন, সে একা আকাশে উড্ডয়নের অনুমতি পাবে। তাই তিনি তাকে টার্গেট করেন।
১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট শুক্রবার। ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী মিনহাজের উড্ডয়ন আজ। মতিউর পূর্ব পরিকল্পনা মতো অফিসে এসে শিডিউল টাইমে গাড়ি নিয়ে চলে যান রানওয়ের পূর্ব পাশে। সামনে পিছনে দুই সিটের প্রশিক্ষণ বিমান T-৩৩। রশিদ মিনহাজ বিমানের সামনের সিটে বসে স্টার্ট দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আসছে। এবার মতিউরের পালা। মতিউর হাত তুলে বিমান থামালেন। হাতের ইশারায় বোঝানোর চেষ্টা করলেন, বিমানের পাখায় সমস্যা। রশিদ মিনহাজ বিমানের ‘ক্যানোপি’ খুলতেই মতিউর তাকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে বিমানের পেছনের সিটে লাফিয়ে উঠে বসলেন। কিন্তু জ্ঞান হারাবার আগে মিনহাজ বলে ফেললেন, ‘আই হ্যাভ বিন হাইজ্যাক্ড।’ ছোট পাহাড়ের আড়ালে থাকায় কেউ দেখতে না পেলেও কন্ট্রোল টাওয়ার শুনতে পেল তা। বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মতিউর বিমান নিয়ে ছুটে চললেন। রাডারকে ফাঁকি দেবার জন্য নির্ধারিত উচ্চতার চেয়ে অনেক নিচ দিয়ে বিমান চালাচ্ছিলেন তিনি। যদিও ততক্ষণে এফ ৮৬ ও একটি হেলিকপ্টার তাঁকে ধাওয়া করা শুরু করে কন্ট্রোল টাওয়ারের নির্দেশে। বিমানটি যখন ভারতীয় সীমান্তের দিকে যাচ্ছে তখন মিনহাজের জ্ঞান ফিরে আসে এবং সে বাধা দিতে চেষ্টা করে। সীমান্ত থেকে মাত্র দুই মিনিট দূরত্বে সিন্ধু প্রদেশের জিন্দা গ্রামে বালির ঢিবির উপর আছড়ে পড়ে ব্লু বার্ড ১৬৬। হারিয়ে যান মতিউর চিরদিনের জন্য। মতিউরের বিমান হাইজ্যাকের স্বপ্ন সফল হলো না। এরপর মতিউর ও মিনহাজের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এবং কোন প্রকার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া মসরুর বিমান ঘাঁটিতে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে মতিউরের মৃতদেহ দাফন করা হয়। তাঁর কবরে লেখা হয় গাদ্দার বা বিশ্বাসঘাতক।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ২০০৬ সালের ২৫ জুন তাঁর দেহাবশেষ বাংলাদেশে আনা হয়। ২৬ জুন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। দীর্ঘ ৩৫ বছর অবহেলায় থাকলেও মতিউর ফিরে আসেন তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন দেশে। ঠাঁই পান এদেশের মাটিতে। তিনি আমাদের দৃঢ়তা, বীরত্ব ও স্বাধীন চেতনার প্রতীক হয়ে থাকবেন, বাংলাদেশের সমান্তরালে।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
নাম : মতিউর রহমান
জন্ম : ১৯৪১ সালে ঢাকা শহরের আগা সাদেক রোডের ১০৯ নম্বর বাড়িতে জন্ম নেন মতিউর রহমান। তারিখ ২৯ অক্টোবর, বুধবার, মধ্যরাত্রি।
মা : সৈয়দা মোবারুকুন্নেসা।
বাবা : মৌলবি আব্দুস সামাদ।
শিক্ষা ও কর্মজীবন : ১৯৫২ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর ১৯৫৬ সালের ৫ই এপ্রিল সারগোদা পি. এ. এফ একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৬০ সালের মে মাসে মতিউর কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে মেট্রিক পাস করলেন ডিস্টিংশনসহ। এর পর দিলেন ISSB exam। এরপর ১৯৬১ সালের আগস্টের ১৫ তারিখে তিনি রিসালপুরে পাকিস্তানী বিমান বাহিনীর একাডেমিতে ফ্লাইট ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন জিডি পাইলট কোর্সে। পাকিস্তানীরা সবসময়ই তাঁকে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছে।
মৃত্যু : ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট।
সমাধিস্থল : মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
লেখক : রাজিত আলম পুলক