GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

আলতাফ মাহমুদ

অবদানের ক্ষেত্র: শহীদ বুদ্ধিজীবী
আলতাফ মাহমুদ

ক্যাটাগরি- শহীদ বুদ্ধীজীবি

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

ঝিলু যখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র তখন উঠোনের কাঁঠাল গাছে খোদাই করে লিখে রাখে ‘ঝিলু দি গ্রেট’। গানের প্রতি ছিল ঝিলুর প্রচন্ড ঝোঁক। ছেলেবেলা থেকেই তার কণ্ঠ ছিল সুরেলা। পড়ালেখায় মন নেই ঝিলুর, সারাক্ষণ গুনগুন করে গেয়ে চলে গান। গানের প্রতি তাঁর এই আগ্রহ দেখে পরিবারের সদস্যরা তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা ছেড়ে দিয়েছে। ঝিলুর বাবা নাজেম আলী পুত্রের স্বভাবে পরিবর্তন আনতে না পেরে সবসময় বিচলিত থাকেন। তাঁর বড় শখ হলো ছেলে বড় হয়ে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার হবে। সেজন্য একদিন বললেন- ‘বেডার কাণ্ড দেহো। ওরে আবাইগ্যা, গাছডার গায়েতো লেইখা রাখছোস- ‘ঝিলু দি গ্রেট’। গান গাইয়া কি আর গ্রেট হইতে পারবি?’ কিন্তু ঝিলু বলল, ‘দেখ একদিন ঠিকই আমি ‘ঝিলু দি গ্রেট’ হবো।’

‘ঝিলু দি গ্রেট’ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এই ছেলেটি পঞ্চাশের দশকে কণ্ঠের গান আর প্রিয়সঙ্গী বেহালাকে সম্বল করে বরিশাল থেকে তত্‍কালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় এলেন এবং জড়িয়ে পড়লেন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নানা কর্মকাণ্ডে। আর বরিশালের সেই ঝিলু ঢাকার সংস্কৃতিকর্মীদের কাছে হয়ে গেলেন প্রিয় আলতাফ মাহমুদ ৷ আলতাফ মাহমুদ গান বাঁধেন, সুরারোপ করেন এবং গেয়ে শোনান ৷ এরই মধ্যে শুরু হল ভাষার অধিকার আদায়ের লড়াই ৷ এ লড়াইয়ের এক পর্যায়ে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হলো ঢাকার রাজপথ ৷ এর প্রতিক্রিয়ায় আবদুল গাফফার চৌধুরী লিখলেন অসামান্য কবিতা – ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। আর ওই কবিতায় সুর বসালেন আলতাফ মাহমুদ এবং এদেশের কোটি জনতা একবাক্যে স্বীকার করলেন, ‘আলতাফ মাহমুদ দি গ্রেট’।

আলতাফ মাহমুদ ১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার মুলাদী থানার অন্তর্গত পাতারচর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আলতাফ মাহমুদের বাবার নাম নাজেম আলী হাওলাদার এবং মা কদ বানুর একমাত্র পুত্র সন্তান আলতাফ মাহমুদ। আলতাফ মাহমুদের বাবা প্রথমে আদালতের পেশকার এবং পরবতীর্তে জেলা বোর্ডের সেক্রেটারি ছিলেন।

আলতাফ মাহমুদ ছিলেন বরিশাল জেলা স্কুলের ছাত্র। ছেলেবেলায় গান গাওয়ার পাশাপাশি ছবি আঁকার প্রতিও আলতাফ মাহমুদের ঝোঁক ছিল। গান গাওয়া এবং ছবি আঁকায় তিনি ছিলেন স্কুলের সেরা। মেধাবী এবং বুদ্ধিমান হিসেবে শিক্ষকদের কাছে তাঁর সুনাম ছিল। যতটা আগ্রহ তাঁর ছবি আঁকা আর গান গাওয়ার প্রতি ততটা পড়াশুনার প্রতি ছিল না বলে শিক্ষকরা দুঃখ করতেন। ১৯৪৮ সালে কলকাতা বোর্ডের অধীনে আলতাফ মাহমুদ ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৮ সাল থেকে তিনি দেশের রাজনৈতিক আন্দোলন সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন, কিন্তু বেশি দিন পড়াশোনা করেননি। কলকাতা আর্ট কলেজে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। কিন্তু এখানেও তিনি কোর্স শেষ করেননি।

বরিশাল জেলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীনই সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৫-৪৬ সালে ‘তরুণ মহফিল’-এর একজন উৎসাহী কর্মী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তখন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহের প্রয়োজনে অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো। সে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তুলতেন আলতাফ মাহমুদ। পাঠাগার প্রতিষ্ঠায় যেমন উদ্যোগী ছিলেন তেমনই পাঠক হিসেবেও ছিলেন মনোযোগী। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পকিস্তান প্রতিষ্ঠার দিনটিতে বরিশাল শহরে যেসব বিজয় তোরণ নির্মিত হয়েছিল তার বেশ ক’টির শিল্পনির্দেশক ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ সালের ১৩ আগস্ট দিবাগত রাত বারোটা এক মিনিটে ‘তরুণ মাহফিলের’ পক্ষ থেকে স্বাধীনতা বরণের জন্য যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তার প্রথম গানের কণ্ঠশিল্পী ছিলেন আলতাফ মাহমুদ।

১৯৪৮ সাল থেকে তিনি গণসঙ্গীতের দিকে ঝুঁকে পড়েন। বরিশালের এক জনসভায় ‘ম্যায় ভূখা হু’ গানটি গেয়ে আলতাফ মাহমুদ রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। নিজামুল হকের সাহচর্যে আলতাফ মাহমুদ সত্যিকারের পথ খুঁজে পান গণসঙ্গীতের। সারা বাংলায় কীভাবে সঙ্গীতের মাধ্যমে জনগণকে অধিকার সচেতন করে তোলা যায়, তাদের স্বাধিকারের বাণী শোনানো যায়, সে চিন্তায় মগ্ন থাকতেন নিজামুল হক ও আলতাফ মাহমুদ।

বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ গণসঙ্গীত শিল্পী আবদুল লতিফ বলেন, ‘আলতাফ মাহমুদের কণ্ঠ ছিল অদ্ভুত সুন্দর। যত না সুরকার হিসেবে নাম, তার চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর কণ্ঠশিল্পী হিসেবে। ওর ছেলেবেলার কণ্ঠ শুনেই বুঝতে পেরেছিলাম ছেলেটা বিখ্যাত হবে। আমার ওই গানটি… ‘ওরা আমার মুখের কথা কাইড়া নিতে চায়/কথায় কথায় তারা আমায় হাতকড়া লাগায়’, আলতাফের মতো করে আর কেউ গাইতে পারেনি কোনোদিন, এমনকি আমি নিজেও না। তার সুরে যে আবেগ এবং অর্থ প্রকাশ পেত, তা না শুনলে বোঝানো যাবে না।’

১৯৫০ সালে ধূমকেতু শিল্পী সংঘ – সংগঠনের সাথে যুক্ত হন তিনি। পরবর্তীতে তিনি পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগ-এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। যুবলীগের সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের শিল্পী হিসেবে তিনি প্রথমদিকে যুক্ত ছিলেন। ‘৫২-র রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে আলতাফ মাহমুদ ছিলেন একজন সক্রিয় কর্মী। ১৯৬৭ সালের ফেব্রুয়ারির ২১, ২২ ও ২৩ তারিখ-এই তিনদিন পল্টন ময়দানে তাঁদের উদ্যোগে লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতিতে ‘জ্বলছে আগুন ক্ষেতেখামারে’ শীর্ষক যে গীতিনৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ হয় তা অসীম উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল সেদিন জনমনে। এই গীতিনৃত্যনাট্যের সঙ্গীত পরিচালনা করেন আলতাফ মাহমুদ। অভিনয়ও করেন। আলতাফ মাহমুদের সহশিল্পী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহমদ অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে আলতাফ মাহমুদ তাঁর দরদি গলায় উদাত্ত কণ্ঠে গেয়েছিলেন, ‘ও বাঙালী, ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি…।’

১৯৫৪ সালের নির্বাচনের সময় বাবা নাজেম আলী মুলাদীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। নির্বাচন প্রচারণায় তিনি এতই আন্তরিক ছিলেন যে, পিতার পক্ষেও কোনো মঞ্চে ওঠেননি, বরং পিতার বিরোধিতাই করেছেন। নির্বাচন শেষে ১৯৫৪ সালের ৩০ মে ৯২/ক ধারা জারি করে পাকিস্তান শাসকচক্র অনেককেই গ্রেফতার করে। পুলিশের হুলিয়া মাথায় নিয়ে নিজামুল হক ও আলতাফ মাহমুদ বরিশালে গিয়ে আত্মগোপন করেন। ১৯৫৫ সালের ৬ জুন ৯২/ক ধারা প্রত্যাহার করা হলে শিল্পীরা আবার প্রাকাশ্যে আসেন। এরই মধ্যে আত্মগোপন অবস্থায় আলতাফ মাহমুদ একটি জনপ্রিয় গান রচনা করেন, ‘মেঘনার কূলে ছিল আমার ঘর/হঠাৎ একটা তুফান আইয়া/ভাইসা নিল তারে রে’। এই গানটি ভৈরবের এক জনসভায় আলতাফ মাহমুদকে ৭ বার, ১১ বার মতান্তরে ১৯ বার গেয়ে শোনাতে হয়।

আলতাফ মাহমুদ যতগুলি গান গেয়েছেন তার সবগুলিই দেশ, মা ও মাটিপ্রেম মেশানো। সময়টা ছিল স্বাধিকারের জন্য জাতিকে উজ্জীবিত করার। যার ফলে আলতাফ মাহমুদ সুরে সুরেই জাতির হৃদয়ে স্পন্দন তুলতে পেরেছিলেন। ১৯৬৬ সালের মধ্যেই শিল্পী আলতাফ মাহমুদ সুরারোপ, কণ্ঠদান এবং সঙ্গীত পরিচালনায় পূর্ণ প্রতিষ্ঠালাভ করেন।

১৯৬৬ সালের ১৬ অক্টোবর বিল্লাহ পরিবারের বড় মেয়ে সারা আরা, ডাকনাম ঝিনুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আলতাফ মাহমুদ। বিল্লাহ পরিবারের সব সদস্যই সংস্কৃতিমনা। আলতাফ মাহমুদের সাথে বিয়ের পর বিল্লাহ পরিবারের সারা আরা হয়ে যান সারা আরা মাহমুদ। আলতাফ মাহমুদের সাথে সারা আরার বয়সের ব্যবধান অনেক। তাঁদের যখন বিয়ে হয় সারা তখন দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আলতাফ মাহমুদের বয়স তখন ৩৫-৩৬ বছর। বিয়ের প্রস্তাব এলে সারার পরিবারের সদস্যরা বয়সের বিশাল দূরত্বের জন্য প্রথমে অসম্মতি জানান । কিন্তু বেগম সুফিয়া কামালের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর দু’জনের দাম্পত্যজীবনের পরিধি ছিল মাত্র পাঁচ বছর। বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও তাঁদের দাম্পত্য জীবন ছিল সুখের। পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় একমাত্র মেয়ে শাওন।

১৯৫৫-৫৬ সালের কথা। ভিয়েনায় আয়োজন করা হয় বিশ্ব শান্তি সম্মেলন। সেখানে অংশ নেয়ার জন্য পূর্ব পাকিস্তান থেকে কতক নেতা-কর্মী আমন্ত্রিত হয়। আলতাফ মাহমুদ পাকিস্তান সাংস্কৃতিক দলে ভিয়েনা শান্তি সম্মেলনে যাওয়ার জন্য মনোনীত হন। কর্তৃপক্ষ টিকিটেরও ব্যবস্থা করেন। করাচি হয়ে যেতে হবে ভিয়েনা। যথারীতি করাচি গেলেন তিনি। কিন্তু করাচি গিয়ে দেখা গেল এক ভিন্ন চিত্র। আলতাফ মাহমুদকে ভিয়েনা যেতে দেয়া হলো না। তাঁর পাসপোর্ট আটক করা হলো। কারণ হিসেবে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করেনি। প্রতিনিধি দলের সবাই ভিয়েনা চলে যান। তিনি করাচিতেই থেকে যান। ঢাকায় ফিরে আসার মতো আর্থিক সঙ্গতিও তাঁর ছিল না।

মনের দুঃখকে চাপা দিয়ে কোনো এক অজানা সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার জন্য মনে মনে তৈরি হতে থাকলেন আলতাফ মাহমুদ। সংকল্প নিলেন করাচিতেই তিনি ভাগ্য গড়বেন। সে কারণে করাচিতে ভাগ্যান্বেষণ শুরু করেন। রেডিও পাকিস্তানের সংবাদ পাঠক আফতাব আহমদের মাধ্যমে প্রথমেই দেবু ভট্টাচার্যের সাথে পরিচয় হয়। এখানে তিনি পেয়ে যান বিখ্যাত সুরস্রষ্টা তিমিরবরণ সরোদিয়াকে (১৯০৪-১৯৮৭), সঙ্গীতসম্রাট আলাউদ্দিন খানের হাতেগড়া ছাত্র, যিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন যন্ত্রশিল্পী। এ শিল্পী তখন করাচিতে ছিলেন। তাঁরই শিষ্য সঙ্গীত পরিচালক দেবু ভট্টাচার্য।

এছাড়া সে সময় করাচিতে বাংলার বিশিষ্ট শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন শেখ লুতফর রহমান, মাহমুদুন্নবী, সঙ্গীত পরিচালক আলী হোসেন, নৃত্যশিল্পী আমানুল হক, আলতামাস প্রমুখ। অল্প সময়ের মধ্যে সবাইকে নিয়ে এবং সবার সম্পৃক্ততায় করাচিতে গড়ে ওঠে এক শিল্পীগোষ্ঠী ‘ইস্ট পাকিস্তান এসোসিয়েশন’ । করাচি প্রবাসী বাঙালিদের চেষ্টাতে প্রতিষ্ঠিত হয় করাচির ‘নজরুল একাডেমি’। এসব সংস্থার উদ্যোগে যত অনুষ্ঠান হয় তার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা হলেন আলতাফ মাহমুদ।

করাচিতেই প্রথম চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার দিকে হাত বাড়ান আলতাফ মাহমুদ। ওস্তাদ আবদুল কাদের খাঁ, প্রখ্যাত খেয়াল গায়ক ওস্তাদ রমজান আলী খাঁ ও তাঁর ভাগ্নে ওস্তাদ ওমরাও বুন্দু খাঁ, বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লাদিত্তা খাঁ, ওস্তাদ জিরে খাঁ, বিশিষ্ট সেতারী ওস্তাদ কবীর খাঁ, বিশিষ্ট বীণকার ওস্তাদ হাবিব আলী খাঁ- ভারত উপমহাদেশের সঙ্গীত জগতের এসব দিকপাল ব্যক্তিগতভাবে আলতাফ মাহমুদকে স্নেহ করতেন। এঁদের সান্নিধ্যে আলতাফ মাহমুদ সঙ্গীত জগতের বিভিন্ন শিক্ষা নেন এবং সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে আসন অর্জন করেন।

১৯৫৬ সালে আলতাফ মাহমুদ করাচি বেতারে প্রথম সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পরবর্তীকালে এই বেতার থেকে ‘ইত্তেহাদে ম্যুসিকি’ নামে দশ মিনিটের একটি অনুষ্ঠান প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন। আর এই অনুষ্ঠানের জন্য সঙ্গীত লেখা, গ্রন্থনা, সুরারোপ, সঙ্গীত পরিচালনা সবকিছু করেছেন আলতাফ মাহমুদ। এভাবেই তিনি বেতার সঙ্গীতে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।

১৯৬৪ সালে ঢাকায় ফিরে আসার আগে তিনি ছায়াছবির গানে কণ্ঠদানসহ সহকারী সঙ্গীত পরিচালকের আসনে পৌঁছতে সক্ষম হন। এছাড়াও তিনি মিনি কলের গানের রেকর্ড করেছিলেন ৩০টি। আর সে সব ছিল পল্লী উন্নয়নের জন্য সরকারি প্রচারণামূলক সঙ্গীত। ছায়াছবির গানে সুরারোপ, কণ্ঠদান এবং সঙ্গীত পরিচালনায় অসামান্য মেধার ছাপ দেখিয়ে ছায়াছবির জগতে আলতাফ মাহমুদ পূর্ণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। ছায়াছবিতে প্রথম কণ্ঠ দেন এ.জে. কারদারের ‘জাগো হুয়া সাভেরা’তে। গানের বাণী- ‘হাম হর নদীকা রাজা।’ প্রথম গানেই চলচ্চিত্রাঙ্গনে আলতাফ মাহমুদের জয়জয়কার পড়ে যায়। করাচিতে অবস্থানকালে ‘নীলা পর্বত’ ছবিতেও কণ্ঠদান করেন।

‘তানহা’ ছায়াছবিতে আলতাফ মাহমুদ প্রথম এককভাবে সঙ্গীত পরিচালক হয়ে কাজ করেন। ‘তানহা’ ছাড়া ‘আঁকাবাঁকা’, ‘ক খ গ ঘ’, ‘কুঁচবরণ কন্যা’, ‘সুয়োরাণী দুয়োরাণী’-তে কণ্ঠদান করেন এবং প্রথম দুটোতে অভিনয়ও করেন আলতাফ মাহমুদ। ‘বাঁশরী’ ছবিতেও অতুলপ্রসাদের ‘পাগলা মনটারে তুই বাঁধ’ গানেও কণ্ঠদান করেন। ছায়াছবির সুরকার সত্য সাহা।

১৯৬৪ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় ফিরে এসে যথারীতি গান নিয়ে মেতে ওঠেন এবং পূর্ব পাকিস্তানের ছায়াছবির গানে প্রবেশ করেন। কণ্ঠদানের পাশাপাশি একজন খ্যাতিমান সঙ্গীত পরিচালক হয়ে ওঠেন। ১৯৭১ সালে বেহালা, তবলা, হারমোনিয়মের সাথে আলতাফ মাহমুদের হাতে উঠে আসে রাইফেল । শহরের যেখানেই মিছিল আর আলোচনা অনুষ্ঠান হয় সেখানেই আলতাফ মাহমুদ উপস্থিত থাকেন। শহীদ মিনারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিচালনা ও কণ্ঠদান করেন তিনি। সেই সময় রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ঠিক বিপরীত দিকে ৩৭০ নম্বর আউটার সার্কুলার রোডের বাসায় থাকতেন আলতাফ মাহমুদ। ২৫ মার্চ হানাদার বাহিনী তাদের মারণাস্ত্র দিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের টিনসেডগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

২৬ তারিখ সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। ২৭ মার্চ কয়েক ঘণ্টার জন্য কার্ফ্যু শিথিল হলে আলতাফ মাহমুদ সবাইকে নিয়ে কমলাপুরের বৌদ্ধবিহারে আশ্রয় নেন। সেখানে ১৮ দিন থাকার পর আবার চলে আসেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনের আউটার সার্কুলার রোডের বাসায়। এখানে ফিরে এসে তিনি বিচলিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েন। দেশ, আত্মীয়-স্বজন এবং জনগণের দুরবস্থার কথা ভেবে অস্থিরতায় কাটে তাঁর সারাটি সময় এবং এ সময়ই তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন এবং ঢাকা শহরে কতগুলো অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফের নির্দেশে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি অপারেশন হয় আলতাফ মাহমুদের অংশগ্রহণে।

আলতাফ মাহমুদ, হাফিজ সাহেব এবং সামাদ সাহেব মিলে সিদ্ধান্ত নেন, বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের ঢাকায় অবস্থানকালে হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাবেন তাঁরা। ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম সদস্য সামাদ সাহেব নিয়ন সাইনের ব্যবসা করেন। ঘটনাচক্রে ঐ সময় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ন সাইনের একটা কন্ট্রাক্ট চলে আসে। নিয়ন বাল্বের ভেতরে বিস্ফোরক ভরে হোটেলের ভেতরে পাচার করে দেয়া হয়। তবে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল তখন হোটেলে আসেনি, তারপরও বিদেশি সাংবাদিকদের জানানোর জন্য হোটেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ফলও হয়। হোটেলে বহু বিদেশি সাংবাদিক ছিলেন। তাঁদের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণের খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে থাকে। তাঁদের কাছে প্রচুর বিস্ফোরক থাকায় সেগুলো নিরাপদে রাখার স্থান পাওয়া নিয়ে দেখা দেয় সমস্যা। কিন্তু সাহসী মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ সব গোলাবারুদ তাঁর বাসায় কাঁঠাল গাছের নিচে একটা হাউজে রেখে ইট, পাথর, কাঠের টুকরো দিয়ে ঢেকে রাখেন। এপ্রিলের শেষের দিক থেকে আলতাফ মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধের জন্য সঙ্গীত রচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। গান রচনা, সুরারোপ করা, কণ্ঠ দেয়া, রেকর্ড করে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রে পাঠানো সব কাজ বিশেষ গোপনীয়তার সাথে করতে থাকেন।

আগস্টের শেষ সপ্তাহে স্থির করেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন; চলে যাবেন পশ্চিমবঙ্গে এবং সেখান থেকে কাজ করবেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। কিন্তু তিনি যেতে পারেননি। কারণ তার আগেই বন্দি হন হানাদারদের হাতে। তাঁদের প্ল্যাটুনের একজন গেরিলা ধরা পড়েন। পাঞ্জাবি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে মার খেয়ে তিনি আলতাফ মাহমুদের বাসার কাঁঠাল গাছের নিচে লুকিয়ে রাখা গোলাবারুদের কথা বলে দেন। ৩০ আগস্ট ভোরবেলা আর্মিরা প্রথমে আলতাফ মাহমুদের পুরো বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এরপর কয়েকজন ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেস করে, ‘আলতাফ মাহমুদ কৌন হ্যায়?’ আলতাফ মাহমুদ জবাব দিলেন, ‘আমি’। এরপর আর্মিরা তাঁকে দিয়ে মাটি খুঁড়ে কাঁঠাল গাছের নিচে লুকিয়ে রাখা গোলাবারুদের ট্রাঙ্ক দুটি বের করে নেওয়ার পর তাঁকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেল। তিনি যাওয়ার সময় তাঁর শ্যালকের কাছে তাঁর হাতে পরা একটা আংটি খুলে দিয়ে বললেন, ‘এটা ঝিনু এবং শাওনকে দিও। ওদের জন্য তো কিছু রেখে যেতে পারলাম না। দেশের মানুষ আছে ওদের জন্য।’

প্রথমে তাঁকে ধরে নিয়ে যেয়ে রাখা হয় রমনা থানায়। সেই সময় রমনা থানা থেকে ফিরে আসা একজন বন্দীর কাছ থেকে জানা যায় তাঁকে বন্দী অবস্থায় প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয় এবং ৩ সেপ্টেম্বর চোখ বেঁধে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তিনি জানেন না কোথায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং পরিবারের সদস্যসহ কেউ আর তাঁর খোঁজ পাননি।

দিনটি ছিল ১৯৮৬ সালের ২৪ অক্টোবর। এদিন সারা আরা মাহমুদের মা মারা গেলেন। বনানী গোরস্তানে দাফন সেরে মোনাজাত করে সবাই যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন হঠাৎ ১৮ বছরের শাওন চিৎকার করে তাঁর মামার উদ্দেশ্য বলে ওঠে, ‘তোমার মার একটা কবর আছে, জায়গা আছে- আমার বাবার কবর কোথায়?’
সেদিন কেউ তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। আজ এত বছর পরও এদেশের মানুষ কী শাওনের এই কথার উত্তর দিতে পারবে?

সংক্ষিপ্ত জীবনী:

জন্ম : আলতাফ মাহমুদ ১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার মুলাদী থানার অন্তর্গত পাতারচর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

বাবা-মা : আলতাফ মাহমুদের বাবার নাম নাজেম আলী হাওলাদার এবং মা কদ বানুর একমাত্র পুত্র সন্তান আলতাফ মাহমুদ।

পড়াশুনা : আলতাফ মাহমুদ ছিলেন বরিশাল জেলা স্কুলের ছাত্র। ছেলেবেলায় গান গাওয়ার পাশাপাশি ছবি আঁকার প্রতিও আলতাফ মাহমুদের ঝোঁক ছিল। গান গাওয়া এবং ছবি আঁকায় তিনি ছিলেন স্কুলের সেরা। মেধাবী এবং বুদ্ধিমান হিসেবে শিক্ষকদের কাছে তাঁর সুনাম ছিল। যতটা আগ্রহ তাঁর ছবি আঁকা আর গান গাওয়ার প্রতি ততটা পড়াশুনার প্রতি ছিল না বলে শিক্ষকরা দুঃখ করতেন। ১৯৪৮ সালে কলকাতা বোর্ডের অধীনে আলতাফ মাহমুদ ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৮ সাল থেকে তিনি দেশের রাজনৈতিক আন্দোলন সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন, কিন্তু বেশি দিন পড়াশুনা করেননি। কলকাতা আর্ট কলেজে কিছুদিন পড়াশুনা করেন। কিন্তু এখানেও তিনি কোর্স শেষ করেননি।

সংসার জীবন : ১৯৬৬ সালের ১৬ অক্টোবর বিল্লাহ পরিবারের বড় মেয়ে সারা আরা, ডাকনাম ঝিনুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আলতাফ মাহমুদ। বিল্লাহ পরিবারের সব সদস্যই সংস্কৃতিমনা। আলতাফ মাহমুদের সাথে বিয়ের পর বিল্লাহ পরিবারের সারা আরা হয়ে যান সারা আরা মাহমুদ। আলতাফ মাহমুদের সাথে সারা আরার বয়সের ব্যবধান অনেক। তাঁদের যখন বিয়ে হয় সারা তখন দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আলতাফ মাহমুদের বয়স তখন ৩৫-৩৬ বছর। বিয়ের প্রস্তাব এলে সারার পরিবারের সদস্যরা বয়সের বিশাল দূরত্বের জন্য প্রথমে অসম্মতি জানান। কিন্তু বেগম সুফিয়া কামালের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর দু’জনের দাম্পত্যজীবনের পরিধি ছিল মাত্র পাঁচ বছর। বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও তাঁদের দাম্পত্য জীবন ছিল সুখের। পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় একমাত্র মেয়ে শাওন।

মৃত্যু : ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট ভোরবেলা আর্মিরা প্রথমে আলতাফ মাহমুদের পুরো বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এরপর কয়েকজন ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেস করে, ‘আলতাফ মাহমুদ কৌন হ্যায়?’ আলতাফ মাহমুদ জবাব দিলেন, ‘আমি’। এরপর আর্মিরা তাঁকে দিয়ে মাটি খুঁড়ে কাঁঠাল গাছের নিচে লুকিয়ে রাখা গোলাবারুদের ট্রাঙ্ক দুটি বের করে নেওয়ার পর তাঁকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেল।
প্রথমে তাঁকে ধরে নিয়ে যেয়ে রাখা হয় রমনা থানায়। সেইসময় রমনা থানা থেকে ফিরে আসা একজন বন্দীর কাছ থেকে জানা যায় তাঁকে বন্দী অবস্থায় প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয় এবং ৩ সেপ্টেম্বর চোখ বেঁধে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তিনি জানেন না কোথায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং পরিবারের সদস্যসহ কেউ আর তাঁর খোঁজ পাননি।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার : সারা আরা মাহমুদ

লেখক : আশরাফী বিথী

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.