GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির

অবদানের ক্ষেত্র: শহীদ বুদ্ধিজীবী
মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির

মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে বরাবরই বাঙালী সেনা কর্মকর্তা হিসেবে গর্বিত ছিলেন তিনি। অনেকটাই খোলামেলা ভাবে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন তথা ছয় দফা দাবীর বিষয়ে কথা বলতেন তিনি। এ জন্য পাক-সেনারা তাঁকে ‘ভাসানী’ বলে ডাকতো। এমনও হয়েছে, একবার তাঁকে এক পাঞ্জাবি সেনা কর্মকর্তা ‘এই বাঙালী, ইধারমে আও’ বলে ডেকেছে, আর সাথে সাথেই তিনি গিয়ে সেই কর্মকর্তাকে একটা চড় মেরে বলেছেন, ‘আমার অস্তিত্বকে তিরস্কার করো না, আমার একটি নাম আছে।’ পরবর্তীতে এ জন্য তাঁকে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি পর্যন্ত হতে হয়, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে যৌক্তিক অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। ১৯৭১ সালে এই অকুতোভয়, নির্ভীক, বীর সেনানী নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন এ মাটির জন্য, আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশের জন্য, তিনি শহীদ লে. কর্ণেল মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির।

মোহাম্মাদ আব্দুল কাদিরের জন্ম ১৯২৯ সালের ২ জানুয়ারী রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলমান পরিবারে। বাবা মোহাম্মাদ আব্দুল হোসেন, একজন অবস্থাপন্ন গৃহস্ত এবং মাতা বেগম আসতুন্নেছা একজন গৃহিণী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আব্দুল কাদির ছিলেন দ্বিতীয়।

ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন আব্দুল কাদির। রংপুর জিলা স্কুল থেকে প্রথমে ম্যাট্রিক এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন তিনি। পরবর্তীতে গ্রাজুয়েশন শেষ করে বুয়েট (বর্তমান) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউওটিসি’র একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তৎকালীন ইউওটিসি’র অধিনায়কের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৪৭ সালের পর পরই তিনি তৎকালীন পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমীর ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেনেন্ট হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমিশন লাভ করেন এবং ১৯৬২ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে ইঞ্জিনিয়ার অফিসারস ক্যারিয়ার কোর্স-৩ সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন এবং ১৯৬৬ সালে লেফটেনেন্ট কর্ণেল পদে পদোন্নতি পান। লে. কর্ণেল হিসেবে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেনা সদর ইঞ্জিনিয়ার পরিদপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার-১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে তৎকালীন অয়েল এন্ড গ্যাস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান হিসেবে চট্টগ্রামে বদলী হয়ে আসেন।

লে. কর্ণেল আব্দুল কাদির ১৯৫৫ সালের ১২ জুলাই বিয়ে করেন রংপুরের হাসনা হেনা কাদিরকে। এক মেয়ে ও দুই ছেলের পিতা আব্দুল কাদির তাঁর সবচেয়ে ছোট ছেলেটিকে দেখে যেতে পারেননি। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর সামনে থেকেই পাক সেনারা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।

৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যেদিন রেডিওতে প্রচার হয়, সেদিন তিনি ভীষণ খুশী হয়েছিলেন এবং বার বার তাঁর পরিবারকে বলছিলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এবার আমরা স্বাধীন হবো।’ এরপর একদিন, তিনি তাঁর সন্তানদের জন্য স্বাধীন বাংলার একটি বড় পতাকা কিনে আনেন এবং সেটি বাঁশ পুঁতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের কোয়ার্টারে লাগিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, নিজের গাড়িতেও লাগাতে শুরু করেছিলেন স্বাধীন বাংলার ছোট একটি পতাকা। এছাড়া, তাঁর অফিসেও তিনি নুরুল ইসলামসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান। তখন অনেকে তাঁকে বলেছেন, ‘কর্ণেল সাহেব, আপনি যে এসব করছেন, দেখবেন শিগগিরই হয়তো আপনার বিপদ হবে।’ কিন্তু তিনি এ সবের তোয়াক্কা করেননি একটুও। আব্দুল কাদির ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক বাঙালী। চট্টগ্রামে আসার পরে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত সামরিক বেসামরিক অফিসারদের সাথে গোপনে সম্পর্ক স্থাপন করেন। সে সময় পূর্ব পাকিস্তান তেল-গ্যাস উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নিয়ন্ত্রক (অপারেশন) পদে থাকাকালীন কাদির শহীদ জাতীয় নেতা কামরুজ্জামানকে একটি চিঠি লিখেছিলেন, যেখানে পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান কীভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে অসহযোগিতা করছে, তা তিনি বিস্তারিত জানিয়েছিলেন। আর তেল-গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধানের জন্য যে সব বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়, প্রচুর পরিমাণে এ সব বিস্ফোরক গোপনে সরবরাহ করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযোদ্ধারা শোভাপুর ব্রিজ উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে।

২৭ মার্চ পুরো চট্টগ্রামের দখল নেয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। সারারাত ভয়াবহ গোলাগুলির শব্দ চারদিকে। ৭-৮ এপ্রিলের দিকে আব্দুল কাদির বাসা থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যান। পরে ১৪ এপ্রিল বাসায় ফিরে তিনি স্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘নাহ, বের হয়ে যেতে পারলাম না। সব রাস্তায় ওরা পাহারা বসিয়েছে। আমি কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে ফিরেছি।’ পরে জানা যায়, বাঙালী সেনা কর্মকর্তা মেজর রফিক, এমআর সিদ্দিকীসহ আরো কয়েকজনের সঙ্গে আব্দুল কাদির পরিকল্পনা করেছিলেন, প্রত্যেকের বাড়িতে দুটি করে গাড়ি পাঠানো হবে। একটিতে করে সব বিদ্রোহী অফিসারসহ অন্য বাঙালী সেনা কর্মকর্তারা সরে পরে কোনো একটি গোপন স্থানে জড়ো হবেন এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করবেন। আর অন্যটিতে করে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কোনো কারণে এই গাড়িগুলো আর আসেনি।

এরপর কাদির পরিবারের সামনে আসে সেই ভয়াল দিন। সেই দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লে. কর্ণেল আব্দুল কাদিরের বড় ছেলে বিশিষ্ট সাংবাদিক নাদীম কাদির বলেন, “১৭ এপ্রিল সকালে পাঁচলাইশের দোতলা বাসায় বাবা নাস্তা সেরে নিজের শোবার ঘরে বসে আছেন। আমি, মা আর আমার বড় বোন নাস্তা খাচ্ছি। এমন সময় বাসার দরজায় জোরে জোরে ধুম-ধাম ঘা পড়তে লাগলো। আমাদের দুজন স্টাফ জানালা দিয়ে উঁকি দিয়েই মাকে জানালো, আর্মি এসেছে। আমি গিয়ে বাবাকে বললাম, ‘আমি কি দরজা খুলে দেবো?’ বাবা বললেন, ‘হ্যাঁ, খুলে দাও।’ দরজা খুলে দিতেই একজন পাকিস্তানী ক্যাপ্টেন ও কয়েকজন সৈনিক বন্দুক উঁচিয়ে ঘরে ঘরে ঢুকে পড়লো। তারা সরাসরি শোবার ঘরে ঢুকে বললো, ‘ইউ আর আন্ডার এরেস্ট!’ বাবা তাঁর প্রিয় শার্ট-প্যান্ট পড়ে তৈরি হয়ে নিলেন। ঘড়িটি হাতে নিলেন, মানিব্যাগ পকেটে পুরলেন। চলে যাওয়ার সময় মাকে বললেন, ‘নিজের ও বাচ্চাদের দিকে খেয়াল রেখো।’ আমার ছোট ভাইটি তখন মার পেটে।”

নাদীম কাদির আরও বলে চলেন, ‘পাক সেনারা যখন বাবাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তখন আমি পিছু পিছু সিঁড়ি পর্যন্ত ছুটে যাই। সিঁড়ি বারান্দার জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখি, বাবাকে বন্দুকের মুখে সেনাবাহিনীর জিপে তোলা হচ্ছে। গাড়িতে ওঠার আগে বাবা একবার মাথা উঁচিয়ে তাকালেন, আমাদের বাসার দিকে। তিনি আমাকে দেখলেনও। আমি তাঁকে দেখে হাত নাড়লাম। জবাবে তিনিও একবার হাত নাড়লেন। সেটাই আমার বাবাকে শেষ দেখা।’

তিনি স্মৃতিচারণ করে আরও বলেন, “১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল সকালে আমাদের চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের বাসা থেকে পাকিস্তানী সেনারা ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আমরা সেনানিবাসে তাঁর খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁর কোনো খবরই পাওয়া যাচ্ছিলো না। এর কয়েক ঘন্টা পর পাকসেনার এক ক্যাপ্টেন কয়েকজন সৈনিকসহ বন্দুক উঁচিয়ে আমাদের বাসায় আসে। তারা মা’র (হাসনা হেনা কাদির) কাছে জানতে চায়, আমার বাবার বন্দুকটি কোথায়? তিনি তাঁকে বন্দুকটি এনে দেন। এর পর সেই ক্যাপ্টেন বার বার মাকে বলেন, ‘কর্ণেল সাহেবের পিস্তল কোথায়? সেটি আপনি কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন?’ মা বরাবরই অস্বীকার করেন, বাবার কোনো সার্ভিস-পিস্তল ছিলো না। কিন্তু ক্যাপ্টেন এ কথা বিশ্বাস করে না। সে মাকে বলে, জিজ্ঞাসাবাদে বাবা নাকি তাদের জানিয়েছে, তাঁর একটি পিস্তলও আছে।

বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ক্যাপ্টেনের আদেশে মা, আমার চেয়ে সামান্য বড় বোন ও আমাকে লাইন-আপ করা হলো। সৈনিকরা আমাদের দিকে বন্দুক তাক করে দাঁড়ালো। ক্যাপ্টেনটি হুমকি দিয়ে মাকে বললো, ‘জলদি বলুন, পিস্তল কোথায়? নইলে সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলবো।’ আমার মা একটুও ভয় না পেয়ে তাদের বললেন, ‘মারতে হয় আমাকে মারো। কিন্তু খবরদার! বাচ্চাদের গায়ে কেউ হাত দেবে না!’

ক্যাপ্টেনটি একটু চুপ করে থেকে বলল, ‘নাহ। আপনাকে খুন করা ঠিক হবে না। কারণ আপনি গর্ভবতী।’ (সে সময় আমার ছোট ভাই মার পেটে)। পরে সে সৈনিকদের নিয়ে মার শোবার ঘরে ঢোকে। মাকে স্টিলের আলমারি খুলে গহনাগাঁটি, টাকাপয়সা – যা কিছু ছিলো, সব দিয়ে দিতে বলে। মা আলমারী খুলে সব তাদের দিয়ে দেন। তারা যখন চলে যাচ্ছিলো, তখন আমি ক্যাপ্টেনের কাছে জানতে চাইলাম, ‘আঙ্কেল, আমার বাবা কবে বাসায় আসবেন?’ ক্যাপ্টেন অনেকক্ষণ চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো। তারপর বললো, ‘আ জায়গা। ফিকর মাত করো।’

এদিকে বাবার অফিসের গার্ড এসে মাকে বললেন, ‘আমি খবর নিয়ে জেনেছি, স্যারকে মেরে ফেলা হয়েছে।’ কিন্তু মা তাঁর কথা বিশ্বাস করেননি।”

সাংবাদিক নাদীম কাদির যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আরও বলেন, ‘এমনই এক পরিস্থিতিতে আমার মা বুঝতে পারছিলেন, ওই বাসায় থাকলে হয়তো একদিন আমরাও সবাই মারা পড়বো। মা বাসা থেকে পালানোর একটা উপায় খুঁজছিলেন। প্রতিবেশীর একটি গাড়ি পেয়ে তিনি আমাদের নিয়ে বাবার পরিচিত একজনের বাসায় আশ্রয় নেন। কিন্তু তিনি পাক-সেনাদের টেলিফোন করে জানিয়ে দেন যে, কর্ণেল কাদিরের স্ত্রী ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে তার বাসায় উঠেছে। এমন অবস্থায় আমার মা কাঁদতে শুরু করেন। এদিকে কারফিউ শিথিল হলে সম্পর্কে চাচা রহুল আমিন বাবার গ্রেফতারের খবর পেয়ে আমাদের খোঁজ করতে এসে জানতে পারেন, আমরা কোথায় আছি। তখনই তিনি একটি গাড়ি জোগাড় করে সেখানে এসে চট করে আমাদের নিয়ে সরে পড়েন। পরে আমরা বহুদিন তাঁর বাসায় লুকিয়ে থেকেছি। তাঁরই সহায়তায় ছদ্মনামে মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আমাদের ছোট ভাইটি জন্মায়। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বলে মা হাসপাতালের ডাক্তার-নার্স সকলের বিশেষ সেবা পেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর আমরা চট্টগ্রামের পাট চুকিয়ে দিয়ে ঢাকায় চলে আসি। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমরা জানতে পারিনি, আমার বাবা আদৌ বেঁচে আছেন কী না? অথবা কী ঘটেছে তাঁর ভাগ্যে?”

স্বাধীনতার পর পরই রেড ক্রিসেন্ট তাদের নিজস্ব অনুসন্ধানের সূত্র ধরে লে. কর্ণেল আব্দুল কাদিরের পরিবারকে জানিয়েছিলো, “কর্ণেল কাদির ওয়াজ কিল্ড ইন অ্যাকশন।” কিন্তু তারা এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। ১৯৯৯ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী হাসনা হেনা কাদির কোনদিনই বিশ্বাস করেননি যে, তাঁর স্বামীকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। তিনি বলতেন, ‘আগে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাই, তারপর না হয় বিশ্বাস করবো।’

১৭ এপ্রিল ১৯৭১ আনুমানিক সকাল নয়টার দিকে একজন পাকিস্তানী ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে পাক হানাদার বাহিনীর একটি ছোট্ট দল লে. কর্ণেল মোহাম্মাদ আব্দুল কাদিরকে তাঁর নিজস্ব বাসভবন থেকে চট্টগ্রামস্থ সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল এবং এরপর তিনি আর কোনদিনই ফিরে আসেননি। ধারণা করা হয়, স্বাধীনতাকামী সামরিক অফিসারদের সাথে তাঁর গোপন যোগাযোগের খবর পাক সেনাবাহিনী জানতে পারে এবং সেই অপরাধেই তাঁকে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে নাদীম কাদির স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করে ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে জানতে পারেন, লে. কর্ণেল কাদিরকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে গুলি করে হত্যার পর মাটি চাপা দেয়া হয় আরও সতেরো জনের সাথে।

স্বাধীনতার পর ১৯৮৩ সালে দেশমাতার স্বাধীনতার জন্য তাঁর আত্মোৎসর্গের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তৎকালীন সরকার নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলাস্থ দয়ারামপুর সেনানিবাস-এর নাম পরিবর্তন করে “কাদিরাবাদ সেনানিবাস” করে, যা ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার ও স্কুল অফ মিলিটারী ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে সমাধিক পরিচিত। তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে এই সেনানিবাসে হোম অব স্যাপার্স নামে একটি স্মৃতিসৌধও নির্মাণ করা হয়। সরকার তাঁকে শহীদ বুদ্ধিজীবি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং তাঁর নামে একটি ডাকটিকেট চালু করে।

স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে অনেক খোঁজাখুজি করে ২০০৭ সালে শহীদ লে. কর্ণেল এম এ কাদিরের বড় ছেলে সাংবাদিক নাদীম কাদির চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে তাঁর বাবার কবরস্থান চিহ্নিত করেন। পরবর্তীতে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ও সরকারের নির্দেশে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাঁর দেহাবশেষ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম থেকে নাটোরের দয়ারামপুরে অবস্থিত কাদিরাবাদ সেনানিবাসে নিয়ে আসা হয়। বেলা তিনটার দিকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্ণেল মোহাম্মদ আব্দুল কাদিরের দেহাবশেষ হোম অব স্যাপার্সে নির্মিত স্মৃতিসৌধের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুনঃসমাহিত করা হয়।

তথ্যসুত্রঃ
১। হালিদা চৌধুরী-প্রাক্তন শিক্ষিকা, রংপুর সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও হাসনা হেনা কাদিরের বোন ২। বিপ্লব রহমান-সাংবাদিক, দৈনিক কালের কণ্ঠ ৩। রিয়াদ আনোয়ার শুভ- ফ্রিল্যান্সর সাংবাদিক, রংপুর।

লেখক : আতিকা বিনতে বাকী রোমা

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.