GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

যোগেশ চন্দ্র ঘোষ

অবদানের ক্ষেত্র: শহীদ বুদ্ধিজীবী
যোগেশ চন্দ্র ঘোষ

যোগেশ চন্দ্র ঘোষ

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষ এদেশের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের এক কিংবদন্তি তুল্য নাম। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘সাধনা ঔষধালয়’-এর মাধ্যমে এ সুনাম অর্জন করেন। পৃথিবীতে যতদিন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র থাকবে ততদিন এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্রের নাম। একজন মহান দেশপ্রেমিক, শিক্ষাব্রতী ও সমাজ সেবক হিসাবেও তিনি ছিলেন অনন্য সাধারণ। একাত্তর সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তবে দুঃখের বিষয় এই প্রজন্ম তো বটেই, এদেশের শিক্ষিতজনদের অনেকেই তাঁর সম্পর্কে কোনো কিছুই জানে না। তারচেয়েও দুর্ভাগ্য তাঁর রক্ত ও ঘামে গড়া প্রতিষ্ঠান সাধনা ঔষধালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও কিছু জানে না।

অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষের জন্ম ১৮৮৭ সালে শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার জলছত্র গ্রামে। তাঁর বাবার নাম পূর্ণচন্দ্র ঘোষ। শিশুকাল থোকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। গ্রামের বাড়িতেই তাঁর ছেলেবেলা কাটে। গ্রামের এক স্কুলেই তিনি তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করেন। ছেলেবেলা থেকেই তিনি শিক্ষকদের নানা প্রশ্ন করতেন যার মূল কথা ছিল ‘এটা কেন হয়’। এই জিজ্ঞাসু দৃষ্টিভঙ্গীই তাঁকে জীবনে সব সমস্যার উত্তর দিতে সহায়তা করেছে। ছেলের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ ও মেধা দেখে পূর্ণচন্দ্র ঘোষ তাঁকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। তখন পুরান ঢাকাই ছিল মূল শহর। সেখানে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা জুবিলি স্কুলে তিনি ভর্তি হন। ১৯০২ সালে মাত্র পনের বছর বয়সে যোগেশ চন্দ্র ঘোষ প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেন। তারপর ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। স্কুল ও কলেজ জীবনে তিনি স্বদেশিকতা ও জাতীয়তাবাদের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েন। বিভিন্ন বিপ্লবী কর্মকান্ডের খোঁজ-খবর রাখতেন। তাঁর বন্ধুদের অনেকেই তখন বিপ্লবী দলের সাথে যুক্ত ছিল। কিন্তু তিনি সরাসরি এসবের সাথে জড়িত ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে স্বদেশ চিন্তা যে তাঁর ভিতরে গভীর প্রভাব ফেলেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যার প্রমাণ বিদেশি ঔষধের চেয়ে তিনি দেশীয় গাছ-গাছড়ার মাধ্যমে চিকিৎসাকে গুরুত্ব দিতেন।

যোগেশ চন্দ্র ঘোষ ১৯০৪ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করেন। তারপর চলে যান পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে গিয়ে কুচবিহার কলেজে ভর্তি হন। ১৯০৬ সালে কুচবিহার কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। এম.এ. ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে। সেখানে শিক্ষক হিসেবে পান প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়কে। ধীরে ধীরে তাঁর সাথে রায়ের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ই তাঁকে দেশজ সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগানোর জন্য ব্যাপক উৎসাহিত করেন। বলা যায়, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ই তাঁকে স্বদেশ প্রেমের বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া হাতে-নাতে শিখিয়ে দেন। ১৯০৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. পাশ করার পর তিনি উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ইংল্যান্ড চলে যান। সেখান থেকে এফ. সি. এস. ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর তিনি আমেরিকায় যান এবং সেখান থেকে এম.সি.এস. ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশুনা শেষ করে ভাল চাকরি-বাকরি নিয়ে আমেরিকাতে বেশ স্বচ্ছন্দেই জীবন অতিবাহিত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে দেশে ফিরে আসেন। ১৯০৮ সালে দেশে ফিরেই যোগেশ চন্দ্র ঘোষ যোগ দেন ভাগলপুর কলেজে। সেখানে একটানা চার বছর রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যাপক হিসেবে গৌরবের সাথে কাজ করেন। পরে চলে আসেন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে। ১৯১২ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ বছর তিনি জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা করেন। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি তাঁর চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজকেও একই গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান। অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষ কিশোর বয়স থেকেই দ্রব্যগুণ সম্পর্কে যে উৎসাহ লাভ করেছিলেন যৌবনে শিক্ষাগুরু বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি এ বিষয়ের উপরই গবেষণা শুরু করেন। স্বদেশের মানুষকে রোগ থেকে স্বল্প মূল্যে মুক্তি দিতে তিনি দেশিয় গাছপালা থেকে ঔষধ তৈরির কাজে আত্মনিয়োগ করেন। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে তিনি ১৯১৪ সালে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী গেন্ডারিয়ায় ৭১ দীননাথ সেন রোডে বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে তোলেন ‘সাধনা ঔষধালয়’। অনেকের ধারণা তিনি নিজের স্ত্রীর নামে এই প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করেছিলেন। কিন্তু তা নয়। তিনি নিজের স্বপ্ন-সাধনা থেকে প্রতিষ্ঠানের এরূপ নামকরণ করেছিলেন। প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে এটি দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও সুনাম অর্জন করে। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে এর শাখা ছড়িয়ে পরে। তাঁর গবেষণা, অদম্য সাধনা ও কর্মোদ্যমের ফলে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ও আয়ুর্বেদীয় ঔষধ প্রস্তুত প্রণালী আধুনিক মানে উন্নীত হয়। ডা. অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষ নিজের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশজ মানুষের সংযোগের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিগত কল্যাণের উর্ধ্বে উঠিয়া দেশের বৃহত্তম কল্যাণ কামনায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করিলে সেই প্রতিষ্ঠান দেশেরও প্রিয় হয়। সিংহ যখন জাগে, তখন তাহার স্বপ্ন, তন্দ্রা এবং নিদ্রা যায় না, তাহার সিংহত্ব জাগে। জাতি যখন জাগে, তখন সকল দিক দিয়াই জাগে। একার চেষ্টাতে জাগে না, সকলের চেষ্টাতেই জাগে। সর্বপ্রকার পরিপুষ্টি লইয়া দেশ উন্নতির পথে অগ্রসর হউক, এই কামনা প্রতিদিনের কামনা। সুতরাং জনসাধারণ সাধনা ঔষধালয়কে তাঁহাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান বলিয়া গণ্য করিবেন না কেন?’

যতদূর শোনা যায়, অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষ জগন্নাথ কলেজ থেকে অবসর গ্রহণের পর আয়ুর্বেদ ঔষধের উৎকর্ষ সাধন ও আয়ুর্বেদ ঔষধকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলতে নিজস্ব গবেষণাগারেই তিনি নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। শুধুমাত্র রোগী দেখা ছাড়া খুব একটা জনসমক্ষে আসতেন না। এই সময়ে তিনি রোগ ব্যাধির কারণ ও লক্ষণ, আয়ুর্বেদ চিকিৎসার অন্তর্নিহিত তত্ত্ব, আয়ুর্বেদ ঔষধের ব্যবহার পদ্ধতি ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে বহু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-‘অগ্নিমন্দা ও কোষ্ঠবদ্ধতা’, ‘আরোগ্যের পথ’, ‘গৃহ চিকিৎসা, চর্ম ও সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি’, ‘চক্ষু কর্ণ নাসিকা ও মুখ রোগ চিকিৎসা’, ‘আয়ুর্বেদ ইতিহাস’, ‘টেক্সট বুক অব এনঅরগানিক কেমিস্ট্রি’, ‘সিম্পল জিওগ্রাফ’, ‘সিম্পল এরিথমেটিক’ ইত্যাদি।

১৯৪৭ সালে দেশভাগ হলে এদেশের বহু হিন্দু পরিবার ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পদ ফেলে দেশ ত্যাগ করে ভারত চলে যায়। কিন্তু যোগেশ চন্দ্র ঘোষ তা করেননি। তিনি দেশের মায়ায় বাধা পড়ে এখানেই থেকে যান। বার বার তাঁর জীবনে নানা দুঃসময় এসেছে তবু কেউ তাঁকে নিজ দেশ ত্যাগে বাধ্য করতে পারেনি। তিনি ভালবাসতেন এদেশকে আর এদেশের মানুষকে। ১৯৬৪ সালে যখন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার শহর হিসেবে ঢাকার কুখ্যাতি ছড়িয়েছে তখনো নির্দ্বিধায় সব সঙ্কটকে মোকাবেলা করেছেন তিনি। সেই সময়ের একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আসিফ সিরাজ বলেন, ‘সেই দুর্যোগকালে আমরা তাঁর কাছে ছুটে যাই তাঁর সাহায্যের আশায়, তিনি আমাদের বিমুখ করেননি। তাঁর সাধনা ঔষধালয়ের বিরাট লৌহকপাট খুলে দেন। গেন্ডারিয়া, ধনিয়া ও শনির আখড়ার ভীতসন্ত্রস্ত হিন্দু পরিবার তাঁর কারখানায় নিশ্চিন্তে আশ্রয় পায়, বেঁচে যায়। দারোয়ানরা বন্দুক হাতে পাহাড়া দিত, আর আমরা ছেলেরা রাস্তায় লাঠি-হকিস্টিক নিয়ে এবং কারখানার ভেতরে হামলা হলে তিনি দারোয়ানদের গুলি চালানোর হুকুম দেওয়াতে রায়টকারিরা হামলা করার সাহস পায়নি। এখন ভাবি কারখানার নিরাপত্তা, লুটপাটের কথা ভেবে তিনি তো আমাদের ফিরিয়েও দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, আর এখানেই তাঁর মহানুভবতা, মানবতাবোধ। তিনি মানুষকে ভালবাসতেন। এমন মানুষকেও মরে যেতে হয় হায়েনাদের হাতে।… গেন্ডারিয়ার এমন কোনো সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্রীড়া সংগঠন নেই যারা তাঁর কাছ থেকে কমবেশি আর্থিক সহযোগিতা পায়নি।’

অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষ ছিলেন সহজ সরল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। তিনি ছিলেন সদালাপী। মানুষের সাথে অত্যন্ত সহজেই মিশতে পারতেন। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ পরিবারের সদস্যদের মতোই আপন করে নিতেন। জীবনের শেষ দিনগুলোতেও তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। শেষে খুব বেশি একটা বাইরে বেরুতেন না। শুধু নিজের পড়াশুনা আর গবেষণা করতেন। সকাল-বিকেলে ঘরের সামনের খোলা ছাদে পায়চারি করতেন। প্রতিদিন ঘন্টাখানেকের জন্য নীচে নেমে আসতেন। রোগী দেখতেন। ব্যবস্থাপত্র দিতেন। অফিস ও কারখানার কাজকর্ম তদারকি করতেন। এবং ‘সাধনার বাঁদর’ বলে খ্যাত কুঠুরী মৃগয়াদের খাদ্য খাওয়াতেন। এই ছিল তাঁর দৈনিক রুটিন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী এদেশের নিরীহ বাঙালীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে গণহত্যা। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে চলে এই গণহত্যা। সেসময় ঢাকা শহর ছেড়ে যেতে থাকে লোকজন। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে পাকবাহিনী ‘ভারতীয় দালাল’ বলে হত্যা করতে কসুর করত না। পাকবাহিনীর সহোদর রাজাকার-আলবদর-আলশামস-শান্তি কমিটির লোকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িগুলোতে পরিকল্পনা করে হামলা চালাতে থাকে। এই অবস্থায় ঢাকা শহর ছেড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভারতে আশ্রয় নিতে থাকে। সাধনা ঔষধালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও একই পথ বেছে নেয়। অনেকে যোগেশ চন্দ্র ঘোষকে সে সময় ভারতে চলে যাওয়ার কথা বললেও তিনি তা শোনেননি। তিন রয়ে গেলেন। সাথে নির্জন বাড়িতে থাকল তাঁরই বিশ্বস্ত দুই দারোয়ান রামপাল ও সুরুজ। এরা দীর্ঘ ১৭ বছর অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষের সাথে কাটিয়েছেন। সাথে থাকল বাড়ি আর কারখানা ভর্তি বানর।

প্রতিদিনের মতোই ৩ এপ্রিল রাতে কারখানার গেইট পাহাড়া দিচ্ছিল রামপাল, ইউসুফ মিস্ত্রি আর ডোমি সিং। রাত শেষে ৪ এপ্রিল ভোরের দিকে এক গাড়ি পাকিস্তানী হানাদার সাধনা ঔষধালয়ের গেইটের সামনে এসে দাঁড়ায়। ভিতরের দারোয়ানদের তারা গেইট খুলতে বলে। কিন্তু দারোয়ান গেইট না খুলে ভয়ে আত্মগোপন করে। পাকিস্তানী হানাদাররা প্রথমে কিছুক্ষণ গালাগালি ও চিৎকার করে। পরে বন্দুকের গুলিতে কারখানার গেইটের তালা ও শিকল ভেঙ্গে ফেলে। কিন্তু তখনই পাশ্ববর্তী মসজিদে ফজরের আযান শুরু হলে বর্বরের দল ভিতরে না ঢুকে এবারের মতো চলে যায়।

সকাল বেলা অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষ নীচে এসে দারোয়ানদের কাছ থেকে সব শোনেন। ঠিক এসময়ই গেন্ডারিয়ার শান্তি কমিটির একজন ব্যক্তি আরো জনা চারেক পাকিস্তানী সেনাকে সাথে নিয়ে ভিতরে ঢোকে। প্রথমে যোগেশ চন্দ্র ঘোষ পাকিস্তানী একজন সেনার সাথে ইংরেজিতে কথা বলেন। পরে তাদের সাথে দু’তলার ঘরের দিকে চলে যান। দারোয়ানরা সবাই নীচে থাকে। কিছুক্ষণ পরেই গুলির আওয়াজ হয়। সেখান থেকে যোগেশ চন্দ্র ছাড়া আর সবাই বের হয়ে আসে। আসার সময় প্রত্যেকের হাতে ছিল দু’টি করে কাঠের পেটি। এগুলোতে ছিল মূল্যবান জাফরান, এলাচি, লবঙ্গ ইত্যাদি। মিনিট দশেকের মধ্যেই হায়েনার দল তাদের কাজ শেষ করে চলে যায়। হায়েনারা চলে যাবার পর নীচ থেকে দারোয়ানরা উপরে ওঠে দেখতে পায় পিঠের বাঁ দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষের নিথর দেহ উপুড় হয়ে পড়ে আছে। পাঁজড়ে বেয়নেটের খোঁচা। তাজা রক্তে ভেসে গেছে ঘরের সিঁড়ি। দারোয়ানরা প্রাণভয়ে কারখানা ছেড়ে চলে গেল। সারা জীবনের শ্রম আর মেধা দিয়ে গড়ে তোলা অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান মাত্র ৫/৬ ঘন্টার মধ্যে লুট হয়ে শ্মশাণে পরিণত হয়।

১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বধীন হবার পর তাঁর ছেলে ডা. নরেশ চন্দ্র ঘোষ আবার সাধনা ঔষধালয়কে দাঁড় করান। যোগেশ চন্দ্র ঘোষের স্ত্রীর নাম ছিল কিরণবালা ঘোষ। তাঁদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে।

সংক্ষিপ্ত জীবনী:

জন্ম: অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র ঘোষের জন্ম ১৮৮৭ সালে শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার জলছত্র গ্রামে।

পড়াশুনা: গ্রামের এক স্কুলেই তিনি তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করেন। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা জুবিলি স্কুল থেকে ১৯০২ সালে মাত্র পনের বছর বয়সে যোগেশ চন্দ্র ঘোষ প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেন। তারপর ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে।

যোগেশ চন্দ্র ঘোষ ১৯০৪ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করেন। তারপর চলে যান পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে গিয়ে কুচবিহার কলেজে ভর্তি হন। ১৯০৬ সালে কুচবিহার কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। এম.এ. ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে। ১৯০৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. পাশ করার পর তিনি উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ইংল্যান্ড চলে যান। সেখান থেকে এফ. সি. এস. ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর তিনি আমেরিকায় যান এবং সেখান থেকে এম.সি.এস. ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন: ১৯০৮ সালে দেশে ফিরেই যোগেশ চন্দ্র ঘোষ যোগ দেন ভাগলপুর কলেজে। সেখানে একটানা চার বছর রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যাপক হিসেবে গৌরবের সাথে কাজ করেন। পরে চলে আসেন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে। ১৯১২ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ বছর তিনি জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা করেন। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি তাঁর চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজকেও একই গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান এবং ১৯১৪ সালে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী গেন্ডারিয়ায় ৭১ দীননাথ সেন রোডে বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে তোলেন ‘সাধনা ঔষধালয়’।

মৃত্যু: ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল পাকিস্তানী হানাদারদের হাতে নিহত হন।

তথ্যসূত্র: এই লেখাটি তৈরি করার জন্য সাধনা ঔষধালয়ের একজন পুরানো ভৃত্য, গেন্ডারিয়ার একজন প্রবীণ প্রতিবেশী এবং বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘স্মৃতি ১৯৭১’-এর দ্বাদশ খণ্ড, বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান, মমতাজ বেগম ও তপন কুমার দে সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের কথা’ বই ব্যবহার করা হয়েছে।

লেখক: চন্দন সাহা রায়

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.