GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

মালেকা বেগম

অবদানের ক্ষেত্র: নারী অধিকার আন্দোলন
মালেকা বেগম
আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

১৯৬২ সালের একদিন। মালেকা বেগম তখন বাংলায় অনার্স পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মিছিল বেরিয়েছিল সেদিন। সেই মিছিলে হঠাৎ পুলিশের হামলা। পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার এড়াতে যে যেদিকে পারেন চলে গেছেন। রাস্তা একেবারে ফাঁকা। মাঝ রাস্তায় একা দাঁড়িয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় মালেকা বেগম। তাকে দেখে ছুটে এলেন সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ (প্রয়াত সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব)। এলোপাতাড়ি টিয়ারশেলের হাত থেকে বাঁচাতে মালেকা বেগমকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন পাশের ড্রেনে। পড়লেন নিজেও। ষাটের দশকের উত্তাল সময়ে মিছিলের সেই নির্ভীক, স্নিগ্ধদর্শন, শ্যামলা মেয়েটিই আজকের মালেকা বেগম- একাধারে নারীনেত্রী, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, লেখক ও অধ্যাপক।

পারিবারিকভাবে ভাইয়ের প্রভাবে মার্কসবাদের প্রতি আগ্রহ জাগে মালেকা বেগমের। সেই সময়ের ছাত্রীরা ছিলেন রাজনীতিতে আগ্রহী। লীলা নাগ প্রতিষ্ঠিত ঢাকার নারীশিক্ষা মন্দির স্কুলে (১৯৫৪-১৯৬০) পড়া শেষে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ১৯৬১ সালে বকশীবাজারে ইডেন কলেজে আইএ পড়ার সময়ে অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি প্রচ্ছন্ন আকর্ষণ ও শ্রদ্ধা মালেকা বেগমের চেতনায় সমসাময়িক ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে জানার আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর সেই আগ্রহ আরো বাড়তে থাকে।

শুধু ১৯৬২ নয়, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোতেও মিছিলের সামনে ছিলেন মালেকা বেগম। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটির ১১ দফায় সাড়া দিয়ে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে তখন ফুঁসছে বাংলার ছাত্রজনতা। পাকিস্তান সরকারের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বেরিয়েছে দশ হাজার ছাত্রজনতার বিরাট মিছিল। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারির এই মিছিলের সামনে ছাত্রীরা। তাদের মধ্যে আছেন মালেকা বেগম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিলটি বেরিয়ে কেবল এগিয়েছে চানখারপুল পর্যন্ত। পুলিশ সেখানেই থামিয়ে দেয় মিছিলটি। এই মিছিলের পেছন দিকে আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান (শহীদ আসাদ নামেই এখন পরিচিত)। ওই অবস্থায় খুব কাছ থেকে আসাদকে লক্ষ্য  করে গুলি চালায় এক পুলিশ কর্মকর্তা। শহীদ হন আসাদ।

আসাদদের আত্মত্যাগ, ছাত্রসমাজের আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন আর মালেকা বেগমের মতো আরো অনেক ছাত্রছাত্রীর সাহস, সংগ্রাম ও সঠিক যাত্রার ফসল আজকের এই বাংলাদেশ। ষাটের রাজপথে জাতির উত্থানের আন্দোলনে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ে, একাত্তরে স্বাধীনতা লাভের পর দেশ গঠনে সামগ্রিক ভূমিকায় থেকেছেন মালেকা বেগম। পরে এসে নিবিড়ভাবে মনোযোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়নে। কাজ করেছেন নারীদের অধিকার সচেতন করে তোলা এবং নারীর সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। এখনও কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের নারী পর্যন্ত বিস্তৃত তার কাজের পরিধি। ধ্যান-ধারণার দিক থেকে তিনি নারীবাদী। নারীবাদের একেবারের হালনাগাদ তত্ত্ব ও তথ্যের ব্যাপারে তিনি ওয়াকিফহাল। একইভাবে তিনি খেয়াল রাখেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে কীভাবে নারী উন্নয়ন চিন্তার প্রয়োগ ঘটাতে হবে, কীভাবে নারী উন্নয়ন চিন্তার তত্ত্ব ও তথ্যের প্রয়োগ ঘটিয়ে বাংলাদেশের সমাজে সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির জন্মের পর থেকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর ও তাঁদের চিন্তা, পদক্ষেপ ও পরামর্শের পথ ধরেই নারী নির্যাতন ও যৌতুক বন্ধের নানা আইন ও পদক্ষেপ। নারীর সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন তথা নারীর সমানাধিকার নিশ্চিত করা এবং নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ দূর করার ক্ষেত্রে আইন ও বিধিমালার মাধ্যমে বাংলাদেশে এখন যে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা কাঠামো আছে তাতে প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন ভূমিকা আছে মালেকা বেগমের।

বিশ শতকের ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী মালেকা বেগম নারী আন্দোলনে যুক্ত হন ১৯৬৮ সালে। ১৯৬৯ সালে কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে গড়ে তোলেন মহিলা সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল। তিনি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকায় থেকেছে এই সংগঠন। বাংলাদেশের নারী সমাজের সার্বিক উন্নয়নে এখনো অগ্রণী ভূমিকায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মালেকা বেগমও কাজ করেছেন মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে। বাংলাদেশের বিপন্ন মানুষের দুর্দশা তুলে ধরে প্রচারকাজে সক্রিয় ছিলেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সুফিয়া কামালের সভাপতিত্বে তিনি ছিলেন এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। পরে তিনি এই সংগঠনের সহ-সভাপতি হন।

প্রায় অর্ধশতাব্দি ধরে নারী আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকে মালেকা বেগম যে শুধু নারীর অধিকার নিশ্চিতে সীমাবদ্ধ থেকেছেন তা নয়, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেও তিনি সব সময় রেখেছেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। সেই ভূমিকা যেমন মিছিল-বিক্ষোভ-আন্দোলনে তেমনি আবার সংগঠন, সভা-সমিতি-সেমিনার এবং লেখনির মাধ্যমেও।

মালেকা বেগমের যখন জন্ম, ১৯৪৪ সালের ৩ মার্চ, অবিভক্ত ভারতের হুগলি শহরে। সেখানেই ছিল বাবা আব্দুল আজিজের কর্মস্থল। তখন বিশ্বে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে একসঙ্গে অনেকগুলো বড় ঘটনা ঘটছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তখন তছনছ হয়ে যাচ্ছে দুনিয়া। ভাগ হওয়ার জন্য ভিতরে ভিতরে প্রস্তুত হচ্ছে ভারত।

মালেকা বেগমদের পরিবারের জন্য সেই সময়টা ছিল বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়ানোর। ছুটে বেড়ানো মানে কিন্তু ঘুরে বেড়ানো নয়। বাবা আব্দুল আজিজ ছিলেন সরকারি চাকুরে, আয়কর কমকর্তা। তাঁর বদলির কারণেই তখন ঘুরে বেড়াতে হয়েছে তাদের।

মালেকা বেগমের দাদা মুন্সি আনোয়ারউদ্দিন ছিলেন সেই সময়ের জেলা বিচারালয়ের জুরি বোর্ডের সদস্য। বাবা আব্দুল আজিজ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের ছাত্র সংসদের প্রথম সহ-সভাপতি। দাদা ও বাবার বাড়ি কুমিল্লা জেলার পাণ্ডুঘরের কোড়েরপাড়ে। নানি ও মা-খালাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার ভুবনঘর গ্রামে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরপর বাবা-মা, ভাইবোন সবাই বরিশালে চলে আসেন। মালেকা বেগমের ছেলেবেলার অনেকটা সময় কেটেছে বরিশালে। বরিশাল থেকে ফরিদপুর হয়ে মালেকা বেগমদের পরিবার যখন ময়মনসিংহে তখন তার বয়স ছয়।

মালেকা বেগমরা ভাইবোন মিলে ১২ জন। নয় ভাই ও তিন বোন। অধিকাংশই তার বড়। বড় ভাইবোনেরা প্রতিদিন স্কুলে যায়। তাদের স্কুলে যাওয়া দেখতে দেখতে ছোটবেলায়ই প্রবল আগ্রহ তৈরি হয় স্কুলে যাওয়ার। মায়ের কাছে আবদার ও কান্নাকাটি স্কুলে যাওয়ার জন্য। যে কারণে মাত্র ছয় বছর বয়সেই তাকে ভর্তি করা হয় ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে।

মালেকা বেগম ময়মনসিংহে ছিলেন তৃতীয় শ্রেণি পড়া পর্যন্ত। এরপর ১৯৫৪ সাল থেকে তার পরিবারের বসবাস ঢাকায়। ঢাকার ওয়ারিতে এসে ওঠেন তারা। বাবা তখন আয়কর কমিশনার। পুরোনো ঢাকার ওয়ারি তখন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু। সেখানেই লীলা নাগ গড়ে তুলেছিলেন নারীশিক্ষা মন্দির (বর্তমানে হাটখোলার শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়)। লীলা নাগ ছিলেন এদেশের নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন আন্দোলনের পূর্বসূরি। নারীশিক্ষা মন্দির থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন মালেকা বেগম ১৯৬০ সালে। এই সময়টায় ধনাঢ্য, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের আবাসকেন্দ্র ছিল ওয়ারি এলাকা। ওয়ারি এলাকার সেই সময়ের সামাজিক পরিবেশের বর্ণনা দিতে গিয়ে ঢাকা শহরের বিখ্যাত চিকিৎসক মম্মথনাথ নন্দীর মেয়ে ইতিহাসবিদ মন্দিরা নন্দী বলেছেন, ‘‘আমাদের ছোটবেলার ঢাকা বিশেষ করে পুরান ঢাকার পরিবেশ ছিল খুবই উদার। মহল্লার মানুষদের মধ্যে প্রগাঢ় আন্তরিকতা ছিল। একটা অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ ছিল। এক মহল্লার মুরব্বিকে অন্য মহল্লায় কঠোরভাবে সম্মান করা হতো। ছোট-বড়দের মধ্যে শাসন-শ্রদ্ধা-ভালবাসার একটা অলিখিত সম্পর্ক ছিল। বড়দের সামনে ছোটরা আদব-লেহাজ নিয়ে চলাফেরা করত। কথাও বলত সেভাবে। সব পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক ছিল আত্মীয়র মতো। এ মহল্লা থেকে ওই মহল্লা- সব মহল্লাই যেন অদৃশ্য এক আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। আমাদের ছোটবেলায় আমরা ঈদ-পুজোর মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পেতাম না।’’ (ইতিহাস কখনো বদলে যায় না, সাক্ষাৎকার, মন্দিরা নন্দী, ২২ মে ২০১৫, দৈনিক জনকণ্ঠ)

মন্দিরা নন্দীর সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব ছিল মালেকা বেগমের। বিশ শতকের ষাটের দশকে বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারতে চলে যাওয়া মন্দিরা নন্দীর (বর্তমানে ভট্টচার্য) সঙ্গে সেই বন্ধুত্ব এখনও অটুট আছে। ওয়ারি এলাকায় শিশু-কিশোরদের সংস্কৃতি ও শরীর চর্চার জন্য ছিল মুকুল ফৌজ নামের সংগঠন। সেই সংগঠনের সদস্য হিসেবে এবং মন্দিরা নন্দীর মতো একই বয়সীদের পারিবারিক বলয়ের মধ্যে থেকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে মালেকা বেগমের। ১৯৬০ সালে ভর্তি হন ইডেন কলেজে। ইডেনে ঢোকার পরই শুরু হয় তার এক নতুন জীবন। রাজনীতি সম্পর্কে গড়ে উঠতে থাকে এক নতুন বোধ।

১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) অর্জন করেন মালেকা বেগম। এই সময়গুলো তার কাটে শ্রেণিকক্ষে আর মিছিলে মিটিংয়ে। বাম রাজনীতিতে তুমুলভাবে সক্রিয় মালেকা বেগম রাজনীতি এবং প্রগতিশীলতার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন সেই ছোটবেলায় তারই বড়ভাই ও ভাবীর কাছ থেকে। বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া এবং খালাত বোন নাদিরা বেগম ছিলেন ভাষা আন্দোলনের সময়ের প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয়। তখন মালেকা বেগমরা থাকেন ময়মনসিংহে। কিবরিয়া ও নাদেরা বেগম কারাবরণ করেছিলেন। পরে এই দুজন দাম্পত্যজীবন শুরু করেন। ছোটবেলায় এই দুজনের প্রগতিশীল জীবনযাপন, চিন্তাভাবনা, রাজনীতি ও ভোগান্তি সম্পর্কে তেমন কিছু বুঝতেন না মালেকা বেগম। তবে তারা পরিবারের সবার আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন। মালেকার মতো শিশুদের কাছে তারা হয়ে উঠেছিলেন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।

মালেকা বেগম লিখেছেন, ‘‘আমাদের পরিবারে ১৯৫০-এর দশকে রূপান্তর ঘটিয়েছিলেন বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া, ভাবি নাদেরা বেগম ও খালাতো ভাই মুনীর চৌধুরী। ১৯৫০ এর দশকে বড় ভাইয়ের খোঁজে পুলিশ এলে তাদের মুখোমুখি হওয়া, পুলিশের নজর এড়িয়ে ছেলেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা, স্বামীকে লুকিয়ে (যেহেতু সরকারি অফিসার হওয়ায় বাধা দিতে পারেন) ছেলেমেয়ের রাজনৈতিক কাজে নীরব সমর্থন দেওয়া, সহযোগিতা করা, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রমে ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত করা- মা-র এসব কাজ আমার মনের ভেতর অঙ্কুরোদ্গমে সাহায্য করেছে।’’ (গ্রন্থ: নারী আন্দোলনের পাঁচ দশক/ মালেকা বেগম)

বড় হয়ে কলেজে পড়ার সময় তেমন একটি জীবনের মধ্যেই ঢুকে যান মালেকা বেগম। এরই মধ্যে ১৯৬৬ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। রোকেয়া হলের ভিপি নির্বাচিত হন দুইবার। ডাকসুতে কমনরুম সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের স্বার্থ আদায়ের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও তাদের ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পড়েছিল। ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে পিএইচ ডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৮ সালে মালেকা বেগম ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

মালেকা বেগমরা ঢাকা শহরের প্রগতিশীল আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন। বিশ শতকের ষাটের দশকে পূর্ব পাকিস্তানে যখন বাংলাদেশের চেতনা দানা বেঁধে উঠছে। এই চেতনার ধারা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করেছিলেন মালেকা বেগমরা।

মালেকা বেগম বিয়ে করেন ১৯৭০ সালে। সেই সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গী মতিউর রহমানের (প্রখ্যাত সাংবাদিক, দৈনিক প্রথম আলো’র সম্পাদক ও প্রকাশক) সঙ্গে দাম্পত্যজীবন শুরু করেন তিনি। মালেকা বেগমের মতো তখনকার সরকারবিরোধী ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত নারীদের অনেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গীদের বিয়ে করেন।

১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মালেকা বেগম। মুক্তিযুদ্ধের সময় আরো অনেকের মতো তিনি ও মতিউর রহমান ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারকে ঘিরে কার্যক্রম শুরু করেন। সংগঠক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন মুক্তিযুদ্ধে। ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের দেখাশোনা ও সেবা দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের প্রভাবশালী নারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে সচেতন করে তোলেন। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অসহায় মানুষের প্রতি তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা আদায় করেন।

১৯৯৫ সালে বেইজিং বিশ্বনারী সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। এর আগে-পরে নারী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের নারী উন্নয়ন, সমতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নেওয়া নানা উদ্যোগে নীতি-নির্ধারণী ভূমিকা রাখেন মালেকা বেগম।

নারীনেত্রী ও নারী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ মালেকা বেগম একাধারে লেখক, শিক্ষক ও সাংবাদিক। শিক্ষকতাকে জীবনে পেশা হিসেবে নিতে চেয়েছিলেন মালেকা বেগম। ১৯৬৮ সাল থেকে বছর খানেক ওয়ারি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। এরপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির রিসার্চ স্কলার হিসেবে কাজ করেন মালেকা বেগম। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কনসার্ন ওম্যান ফর ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ে মাঠকর্মী হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে আগ্রহ ছিল মালেকা বেগমের। সেই সুবাদে যুক্ত হন সাংবাদিকতায়। সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানীতে শুরু করেন প্রদায়কের কাজ। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন সেই পত্রিকায়। ১৯৮১ সালে মালেকা বেগম সচিত্র সন্ধানীর নির্বাহী সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। এরপর নারী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এর পাশাপাশি চলতে থাকে লেখালেখি। ২০০০ সালে মালেকা বেগম যোগ দেন শিক্ষকতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ওম্যান অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের ফ্যাকাল্টি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ২০১৩ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি সেন্ট্রাল ওম্যান’স ইউনিভার্সিটির সোশিয়োলজি অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারপার্সন।

মালেকা বেগম লিখছেন ষাটের দশক থেকে। তাঁর লেখা গ্রন্থের সংখ্যা তিরিশটিরও বেশি। ভাষার বিকাশে ব্যবহারিক জীবন (১৯৮২), বাংলার নারী আন্দোলন (১৯৮৯), সূর্যসেনের স্ত্রী পুষ্পকুন্তলা (১৯৯৪), নারী আন্দোলনের পাঁচ দশক (২০০২), যৌতুকের সংস্কৃতি (২০০২), মুক্তিযুদ্ধে নারী (২০১১), রবীন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি (২০১২), শুভ্র সমুজ্জ্বল জীবনের আয়নায় ও অন্যান্য (২০১৬) তাঁর গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এছাড়া বেগম রোকেয়া, অগ্নিযুগের নারী সংগ্রামী ইলা মিত্র এবং বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ও কবি সুফিয়া কামালকে নিয়ে রয়েছে তাঁর আলাদা আলাদা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। নারী আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ এক নেত্রী হিসেবেই লিখেছেন মালেকা বেগম।

বাংলাসাহিত্য ও বাঙালি সমাজে নারীদের অবস্থা ও অবস্থান তিনি তার গ্রন্থের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করেছেন। আমাদের সমাজের অনুপ্রেরণাদায়ী নারীদের জীবন উন্মোচিত করেছেন গ্রন্থে গ্রন্থে। একইভাবে তিনি উপস্থাপন করেছেন বিশ শতকের নারী আন্দোলনের নির্ভরযোগ্য ইতিহাস। বাংলাদেশের নারীরা বিশ শতকের শুরু থেকে কীভাবে জীবন-সমাজ ও রাজনীতিতে এগিয়ে এসেছেন, কীভাবে তারা সমাজের অন্যতম কণ্ঠস্বর ও অংশীদার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন সেই সংগ্রাম ও ইতিহাস বিধৃত আছে তার লেখায়। এসব লেখার মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন সেসব অলঙ্ঘ্য বাধার কথা যা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশের নারীরা। উদার নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনাভিজ্ঞতার আলোকে যাপিত জীবন ও সমাজের দরদ ও দহনভরা বয়ান তুলে ধরেছেন তিনি তার গ্রন্থ ও লেখার মাধ্যমে। পত্রপত্রিকা ও সাময়িকীতে এখনো তিনি লিখছেন নিয়মিত।

নারী আন্দোলন, নারী নেতৃত্ব, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন, সাংবাদিকতা, লেখালেখি, অধ্যাপনা এবং জেন্ডার বিশেষজ্ঞ হিসেবে মালেকা বেগমের রয়েছে জীবনব্যাপী অবদান। এসব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে নানা সম্মাননা।

নারী আন্দোলনের ভূমিকাই তাঁকে নিয়ে গেছে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক পরিসরে। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তিনি যোগ দিয়েছেন অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। এই সূত্রেই তাঁকে যেতে হয়েছে ভারত, চেক রিপাবলিক, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, বুলগেরিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে।

সংক্ষিপ্ত জীবন

জন্ম ও বাবা-মা: মালেকা বেগমের জন্ম ১৯৪৪ সালের ৩ মার্চ, অবিভক্ত ভারতের হুগলি শহরে। বাবার বাড়ি কুমিল্লায়। বাবা আব্দুল আজিজ ছিলেন আয়কর কমিশনার। মা ফাহিমা বেগম ছিলেন গৃহিনী। মালেকা বেগমরা ১২ ভাইবোন। বাবার চাকরির কারণে ছোটবেলা কেটেছে বরিশাল, ফরিদপুর এবং ময়মনসিংহে।

শিক্ষা: ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাথমিকের পড়াশোনা শুরু। পরে ঢাকায় এসে ভর্তি হন নারীশিক্ষা মন্দিরে চতুর্থ শ্রেণিতে। সেখান থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ইন্টারমিডিয়েট পড়েন ইডেন কলেজে। ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) হন। ১৯৬৬ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে পিএইচ ডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৮ সালে মালেকা বেগম ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন স্টাডিজ সেন্টার থেকে পোস্ট ডক্টরেট অর্জন করেন।

কর্মজীবন: নারীনেত্রী মালেকা বেগম একাধারে লেখক, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও সাংবাদিক। ষাটের দশক থেকে তিনি সরাসরি নারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। ওই সময় থেকে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন জাতীয় রাজনীতির প্রগতিশীল ধারায়।

পরিবার: ১৯৭০ সালে আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গী মতিউর রহমানের (প্রখ্যাত সাংবাদিক, দৈনিক প্রথম আলো’র সম্পাদক ও প্রকাশক) সঙ্গে দাম্পত্যজীবন শুরু করেন। মালেকা বেগম এক মেয়ে ও এক ছেলের জননী। মেয়ে মহসিনা বেগম এবং ছেলে মাহমুদুর রহমান। চার নাতি-নাতনি।

তথ্যসূত্র: ২০১৮ সালে নেওয়া মালেকা বেগমের সাক্ষাৎকার এবং তাঁর ‘নারী আন্দোলনের পাঁচ দশক’ গ্রন্থ।

লেখক- ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.