GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

আবু তাহের

অবদানের ক্ষেত্র: সেনা প্রধান ও সেক্টর কমান্ডার
সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের

সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

১৯৪৭ সালের শেষ দিকে মহিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন সিলেটের জুড়ী স্টেশনের স্টেশনমাষ্টার। দেশ বিভাগের পর সারা দেশে তখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছে। এদেশের হিন্দুরা দলে দলে আসাম চলে যাচ্ছে। এমন সময়েরই এক ঘটনা। শাকাত বক্স নামের কুখ্যাত এক ডাকাত জুড়ী স্টেশনের কাছাকাছি এলাকায় এক হিন্দু সাধুর সবকিছু ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছিল। ভর দুপুরের অনেকগুলো মানুষ নির্বাকভাবে সে ঘটনাটি দেখছিল। কিন্তু কারোর সাহস হচ্ছিল না শাফাত বক্স ডাকাতকে কিছু বলার। তখন মহিউদ্দিন আহমেদের দশ বছরের ছেলে দুহাত মেলে ডাকাতটির পথ আগলে দাঁড়ায়। তারপর চারপাশের লোকজন এসে কুখ্যাত ডাকাতটিকে ধরে ফেলে।

উপরে বর্ণিত ঘটনার দশ বছরের ছেলেটি, যিনি শাফাত ডাকাতের পথ আগলে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর নাম আবু তাহের। ভবিষ্যতের কিংবদন্তি কর্নেল তাহের। বহু বছর পর যিনি ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন আর মৃত্যুর মিনিটখানেক আগে নিজ হাতেই গলায় পরে নিয়েছিলেন ফাঁসির মোটা দড়ি। তাঁর সাহস দেখে জেলার, ডাক্তার, জল্লাদ সবাই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল।

বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ আর মা আশরাফুন্নেছা। বাবার স্টেশন মাস্টারের চাকরির সুবাদে আবু তাহেরের জন্ম আসামের বদরপুরে ১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর। পৈতৃক নিবাস বর্তমান নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলার কাজলা গ্রামে। কিন্তু গ্রামে কোনো দিন স্থায়ীভাবে থাকা হয়ে উঠেনি তাঁদের। বাবার বারবার বদলি তাহের ও তাঁর ভাই বোনদের বিচিত্র অভিজ্ঞতার শৈশব উপহার দিয়েছে। কখনো আসামের গহিন জঙ্গলে আমলকী বন খুঁজতে যাওয়া আবার কখনো ভাই বোনদের সঙ্গে দল বেঁধে শহরের অলিগলি ঘুরে বেড়িয়ে শৈশবকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি।

১৯৫২ সাল। আবু তাহেরের বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ তখন চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর স্টেশনে চাকরি করেন। তাহেরর শিশুসুলভ সাহসিকতার সাথে তখন সবে রাজনৈতিক মাত্রা যোগ হচ্ছে। তখনকার একটা ঘটনা- রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলন সবে শেষ হয়েছে। একদিন তাহের খবর পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন ষোলশহর স্টেশন পেরিয়ে দোহাজারী যাবেন। ঐদিন তাহের তাঁর কিছু বন্ধু নিয়ে একটি ঝোপের আড়াল থেকে ট্রেনে পাথর ছুঁড়ে মারেন। এই ঘটনা নিয়ে অবশ্য পরে মহিউদ্দিন আহমেদকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল। তাঁকে হুমকি দেয়া হয়েছিল পুর্নবার এরকম ঘটনা ঘটলে তাঁর চাকরি চলে যাবে।

এভাবেই রাজনৈতিক চেতনাগুলো পাকাপোক্ত ভাবে আসন করে নিচ্ছিল ভবিষ্যত্‍ কর্নেলের মস্তিস্কে। যা একদিন তাঁকে মানুষের মুক্তির পথ খোঁজার জন্য বিপ্লবী করে তুলেছিল। ‘প্রবর্তক’ স্কুলে পড়ার সময় তাহেরের এক শিক্ষক ছিলেন যিনি মাস্টারদা সূর্যসেনের সহযোগী। ঐ প্রবীণ শিক্ষকের কাছ থেকে কিশোর তাহের শুনতেন কীভাবে তাঁরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুট করেছিলেন, কীভাবে তাঁরা ব্রিটিশবিরোধী নানা আন্দোলন করতেন। প্রবীণ শিক্ষক সেইসব জায়গায় তাহেরকে নিয়ে যেতেন। আর তাঁকে প্রেরণা দেয়ার জন্যই হয়ত বলতেন, ‘আমাদের বয়স ছিল তখন ঠিক তোমার মতো।’ ১৫-১৬ বছরের বালক তাহের বিপ্লবের কথা শুনে শিহরিত হতেন। কিন্তু খুব বেশি দিন তিনি সেই শিক্ষকের সঙ্গে থাকতে পারলেন না। কারণ আবার বাবার বদলি। এবার গেলেন কুমিল্লায়। তাহের ভর্তি হন কুমিল্লার ইউসুফ স্কুলে। বিতর্ক, আবৃত্তি আর খেলাধুলা করে স্কুলে নিজের পরিচিতি বাড়াতে খুব বেশি সময় লাগেনি তাঁর। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যে টুকটাক যোগাযোগ অথবা এর প্রতি যে আগ্রহ ছিল তা অটুট ছিল কুমিল্লায় এসেও। বরং কুমিল্লায় এসে তা আরো নতুন মাত্রা পায়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের তরুণ নেতা তাহের উদ্দিন ঠাকুরের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। সেইসাথে কুমিল্লাতে এসে তাঁর পরিচয় হয় প্রচুর বইয়ের সঙ্গে। যা তাঁর সামনে উন্মোচন করে দেয় নতুন এক জগতের। তাহের পরিণত হতে থাকে মূলত তখন থেকেই।

মাধ্যমিক পাশ করার পর তাহের উদ্দিন ঠাকুরের আমন্ত্রণে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হবার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু আপত্তি করলেন বড় ভাই আরিফ। তাঁর ধারণা ছিল ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হলে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়াশুনার প্রতি অমনোযোগী হয়ে যাবেন তিনি। তাই বড় ভাইয়ের ইচ্ছায় তাঁকে ভর্তি হতে হয় সিলেটের এম.সি. কলেজে। দিন রাত শুধু বই পড়তেন। পাঠ্য বই যতটা না পড়তেন তার চেয়ে বেশি পড়তেন বাইরের বই। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশের বিপ্লবের ইতিহাস বেশি পড়তেন তিনি। তখন থেকেই তাঁর মধ্যে বিপ্লবী চেতনা জাগ্রত হতে থাকে। রুশ বিপ্লব, চীন বিপ্লব, এমনকি সাঁওতাল বিদ্রোহ, নানকর আন্দোলন এসব ইতিহাস পড়ে বিপ্লবের জন্য পরিকল্পনা করতেন। কিন্তু বিপ্লবের পথ খুঁজে পেতেন না। তাই পরিকল্পনা করলেন লেখাপড়া শেষ করে সেনাবাহিনীতে যাবেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ভর্তি হয়ে সামরিক শিক্ষা গ্রহণ করে পাকিস্তানীদের এ দেশ থেকে বিতাড়িত করবেন।

এম.সি. কলেজ থেকেই বি.এ. পাস করেন। সেনাবাহিনীতে ভর্তি হবার সুযোগের অপেক্ষায় থাকাকালীন কিছুদিন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের দুর্গাপুর স্কুলে শিক্ষকতা করেন। লক্ষ্য স্থির ছিল সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। কিছুদিন পর সে সুযোগ আসে। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় সুরা মুখস্থ বলতে না পারায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়। কিছুটা হতাশ হলেও আশাহত হন না তিনি। অপেক্ষায় থাকেন পরবর্তী সুযোগের জন্য। আর এই অবসরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে এম.এ. ভর্তি হন। কিন্তু এম.এ. পড়া শেষ করার পূর্বেই পুনর্বার সুযোগ পেয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বিপ্লব সংগঠিত করার চিন্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৬১ সালে বালুচ রেজিমেন্টে কমিশন পান। প্রশিক্ষণকালীন তাঁর নিষ্ঠা অফিসারদের নজরে পড়ে। তাঁকে প্যারাকমান্ডো দলে সুযোগ দেওয়া হয়। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে কাশ্মীর আর শিয়ালকোট সেক্টরে যুদ্ধ করেন তিনি। সে যুদ্ধে তিনি আহতও হন। একমাত্র বাঙালী অফিসার হিসাবে তাঁকে মেরুন প্যারাস্যুট উইং নামক সম্মাননা প্রদান করা হয়।

১৯৬৯ সালের ৭ আগস্ট পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে ছুটি নিয়ে এসে তাহের বিয়ে করেন লুত্‍ফাকে। কিন্তু শুরুর দিকে একসাথে থাকা হয়নি তাঁদের। স্ত্রী লুত্‍ফা তখন ময়মনসিংহে লেখাপড়া করছিলেন। আর তাহেরকে কর্তব্য পালনের জন্য চট্টগ্রাম ব্যারাকে চলে যেতে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর প্রথম বাঙালী আর্মি হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণের এর জন্য যান। কথা ছিল পরীক্ষা শেষ করে লুত্‍ফাও যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু প্রশিক্ষণের নিয়মের কড়াকড়ির জন্য যাওয়া হয়নি লুত্‍ফার। ট্রেনিং শেষে তাহের আর লুত্‍ফা ইংল্যান্ডে বেড়াতে যান তাহেরের ছোট বোন শেলী আর লুত্‍ফার বড় ভাই রাফি আহমেদের আতিথ্যে। তাহের ও লুত্‍ফা দম্পতির এক মেয়ে ও দুই ছেলে। মেয়ে জয়া আর দুই ছেলে যীশু আর মিশু। লুত্‍ফা তাহের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উচ্চপদে চাকরি করে অবসর নিয়েছেন। আর তাহেরের ভাই বোনরা প্রায় সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।

১৯৭১ সালে পূর্ববঙ্গের মানুষ যখন মুক্তির জন্য অস্থির হয়ে উঠেছিল কর্নেল তাহের তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। চাকরির কারণে সেইসময় ইসলামাবাদে বসবাস করছিলেন তিনি। ইসলামাবাদে তাহেরের বড় ভাই আরিফুর রহমানও থাকতেন। আর পাশের কোয়ার্টারে থাকতেন ক্যাপ্টেন পারভেজ মোশাররফ (পরবর্তীতে যিনি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন)। দুই পরিবারের মধ্যে একটা সখ্য গড়ে উঠেছিল। তখন এভাবে দিন যাচ্ছিল তাহেরের। তবে তাঁর রাজনীতি চর্চার অভিজ্ঞতার কারণে অনেকটা আগাম বুঝে ফেলেছিলেন যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। বিপদ ঘনিয়ে যেতে পারে ভেবে ১৯৭১ সালের শুরুর দিকেই স্ত্রী লুত্‍ফাকে দেশে পাঠিয়ে দেন।

তাঁর অনুমান মিথ্যে প্রমাণিত হয়নি। ২৫ মার্চ ১৯৭১ অপারেশন সার্চ লাইট নামে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ধ্বংসযজ্ঞ চালায় পাকবাহিনী। ২৬ মার্চ ভোরেই সারা দেশেই জানাজানি হয়ে যায় এই নিষ্ঠুরতার কথা। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জেও খবর পৌঁছে গিয়েছিল। লুত্‍ফা তাহের ইসলামাবাদ থেকে ফিরে রাজধানীর ভয়াবহতার কথা ভেবে ঈশ্বরগঞ্জে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সন্তানসম্ভবা। ইসলামাবাদে তাহের তাঁকে বলেছিলেন তাঁদের একটা মেয়ে হবে। নাম হবে জয়া। তাহেরের কথা যেন সৃষ্টিকর্তার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল যুদ্ধের দামামার মধ্যে জন্ম নেয় জয়া। কিছুদিন পর লুত্‍ফা তাহেরের কাছে ঈশ্বরগঞ্জকেও নিরাপদ মনে হয়নি। কারণ, শোনা যাচ্ছিল পাক সেনারা ময়মনসিংহ অবধি এসে পড়েছে। শেষে লুত্‍ফা তাহের শিশু জয়াকে নিয়ে স্বামীর পৈতৃক ভিটা শ্যামগঞ্জের কাজলায় আশ্রয় নেন।

যে দেশকে শোষণ মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে একদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন সে স্বপ্ন পূরণের দারুণ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তিনি নিজে আটকে আছেন শত্রুর আনুগত্যে। বিষয়টা ভাবতেই তাঁর অসহ্য লাগছিল। বাংলাদেশী অন্যান্য অফিসারদেরকে সঙ্গে নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করলেন তিনি কিন্তু তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ অফিসার তাঁকে নিরুত্‍সাহিত করলেন এবং তাঁরা অজুহাত দেখালেন যে তাহের যদি একাও পালায় তবে তাঁর জন্য সেখানকার সব বাঙালী অফিসাররা বিপদে পড়তে পারেন। এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁরা তাহেরকে অনেকদিন বিরত রাখেন। কিন্তু তাহের ভাবছিলেন পিছনে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। যেদিনগুলোতে বিপ্লবের চিন্তা মাথায় ঘুরত সব সময়। এখন সে বিপ্লব থেকে তাঁকে দূরে থাকতে হচ্ছে। বিষয়টা তাঁকে চরম হতাশায় ফেলে দিয়েছিল। আরো হতাশা যুক্ত হলো যখন তাহেরের পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা উপর মহলে ফাঁস হয়ে গেল। মেজর জেনারেল বি.এম. মোস্তফা তাহেরকে ডেকে পাঠিয়ে বলল, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও সরকার নিয়ে তুমি খারাপ মন্তব্য করেছো।’ আর এই অজুহাতে তাহেরকে নজরবন্দি করা হলো। কিন্তু তাহেরের ভেতর সার্বক্ষণিক চিন্তা পাকিস্তান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেই হবে। শেষ পর্যন্ত ক্যাপ্টেন দেলোয়ার আর ক্যাপ্টেন পাটোয়ারীকে সঙ্গে পান তাহের। তাঁদের দুজনকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পালানোর পথ খুঁজতে শুরু করলেন তিনি। তাঁরা তিনজন জানতেন পালানোর সময় ধরা পড়লে নির্ঘাত মৃত্যুদন্ড। তবু স্বদেশের টানে তাঁরা অটুট।

২৯ এপ্রিল বিকেলে তাহের ক্যাপ্টেন দেলোয়ার ও ক্যাপ্টেন পাটোয়ারীর সঙ্গে বেশ কিছু খাবার ও পানি নিয়ে খারিয়া থেকে এবোটাবাদ যাওয়ার পথে বাসে চড়ে মঙ্গলা বাঁধের পাশে আজাদ কাশ্মিীরের ছোট্ট শহর মিরপুর এসে পৌঁছলেন। কিন্তু দুর্গম  পাথুরে পাহাড়ী পথ ধরে পাকিস্তানী সেনাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতে প্রবেশ অসম্ভব হওয়ায় তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হলো। এরপর চলতে লাগল নানা পরিকল্পনা, কখনও আফগানিস্তান হয়ে কখনও অন্য কোন পথে দেশে ফিরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেবার চেষ্টা। অতঃপর নানা ধরনের ভয়ভীতিকে উপেক্ষ করে, সংশয়-সন্দেহকে দূরে ঠেলে ২৫ জুলাই রওনা হয়ে মেজর জিয়াউদ্দিন (পরবর্তীতে লে. কর্নেল এবং সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তকৃত), মেজর এম এ মঞ্জুর(পরবর্তীতে মেজর জেনারেল), মঞ্জুরের স্ত্রী ও দুই সন্তান ও ব্যাট্ম্যান আলমগীর এবং ক্যাপ্টেন দেলোয়ার ও ক্যাপ্টেন পাটোয়ারীসহ রাওয়ালপিন্ডি-ঝিলম হয়ে শিয়ালকোট সীমান্ত দিয়ে ২৬ জুলাই ভারতে প্রবেশ করতে সমর্থ হলেন মেজর আবু তাহের।

ভারতে পৌঁছেই তিনি প্রথমে দেখা করেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম.এ.জি ওসমানীর সঙ্গে। ওসমানী কর্নেল তাহেরকে সমগ্র বাংলাদেশের যুদ্ধাবস্থা নিরিখ করে তাঁকে রিপোর্ট করার দায়িত্ব দেন। সে মতো কাজে নেমে যান তাহের। তিনি এগারোটি সেক্টরে তাঁর গবেষণা চালিয়ে দেখেন যে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল নিয়ে গঠিত হওয়া ১১ নম্বর সেক্টরটি যুদ্ধের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনার। ঠিক তখনি জেড ফোর্স গঠিত হলে জিয়াউর রহমান জেড ফোর্সের দায়িত্ব নিলে কর্নেল তাহের এগারো নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব চান। জেনারেল এম.এ.জি. ওসমানীও রাজি হন তাহেরের কথায়। শুরু হয় কর্নেল তাহেরের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কাঙ্ক্ষিত অধ্যায়। জুলাই মাসে তিনি ১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করতে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে তিনি যুদ্ধটি শেষ করতে পারলেন না। কামালপুর অপারেশনের মাধ্যমে যুদ্ধের সবচেয়ে সম্ভাবনার দুয়ারটি খুলতে গিয়ে ঐ অপারেশনে তিনি মর্টার সেলের আঘাতে আহত হন। আহত তাহেরকে চিকিত্‍সার জন্য ভারতের পুনা, লক্ষ্ণৌ ইত্যাদি জায়গায় ঘুরতে হয়। মোটামুটি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন ১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে। জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী তখনো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান। যুদ্ধাহত তাহেরকে সেনাবাহিনীর শৃঙখলা বজায় রাখার বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে এডজোটেন্ট জেনারেল পদ দেন। তাহের তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরই তাঁকে কুমিল্লার ৪৪ বিগ্রেডিয়ার জিয়াউর রহমানের স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

১৯৭২ সালের শেষের দিকে কর্নেল তাহের একটি উত্‍পাদনক্ষম সেনাবাহিনী গঠনের রূপরেখা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাহেরের স্বপ্নের সে রূপরেখা গ্রহণ না করায় অভিমানে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর দুই বছর কর্নেল তাহেরকে বাধ্য হয়ে অনেকটা বাঁধা-ধরা জীবন যাপন করতে হয়। বাল্যকাল থেকেই যিনি শোষণমুক্ত সমাজের কথা ভাবতেন, নেতৃত্ব ছিল যাঁর সহজাত গুণ সে মানুষটিকে একেবারে নিষ্ক্রিয় জীবন-যাপন করতে হয়। সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেয়ার দুই বছরের মধ্যে রাজনীতিতে যোগদান বা দল গঠন না করার আইনি বাধা ছিল। তাই ঐ দুই বছর তিনি ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক চাকরি করেন অনেকটা জীবিকার তাগিদে, আবার অনেকটা কর্মহীনতাকে দূর করতে।

১৯৭৪ সালে সে আইনি বাধা দূর হলে কর্নেল তাহের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন। তাহেরের দীর্ঘ জীবন সামরিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে অতিবাহিত হলেও রাজনীতির চর্চা তাঁর ছাত্র জীবন থেকেই ছিল। শখের রাজনীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের রাজনীতি নয়। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রতিবাদী আর বিপ্লবী মানুষ। ‘কমিউনিস্ট মেনিফিস্টো’ তাঁর ছাত্র জীবনেই পড়া ছিল। সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তিনি বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন এবং তিনি বিপ্লবের স্বার্থে বামপন্থী মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হন সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী অফিসারের ষড়যন্ত্রে ও প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে খালেদ মোশাররফ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। খালেদ মোশাররফ ক্ষমতা দখল করেই জিয়াউর রহমানকে বন্দি করেন। কর্নেল তাহের রাজনীতির চর্চা করতেন বলেই তিনি ব্যক্তিগতভাবে চাইতেন না রাষ্ট্র সামরিক যাঁতাকলে পিষ্ট হোক। কারণ ইতিহাস বলে সামরিক শাসন রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। তাই তিনি এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। জাসদের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক সিপাহীর সহযোগিতায় ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে মেজর জিয়াকে মুক্ত করে আনেন তিনি।

কর্নেল তাহের চেয়েছিলেন সমাজতান্ত্রিক সরকার। সেখানে সমাজের মানুষের অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু তাঁর বিপ্লব হিতে বিপরীত হয়ে গেল। পাল্টা ঐ অভ্যুত্থানের পর মেজর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ নিযুক্ত হয়ে রাষ্ট্রকে পুনরায় সামরিক জান্তার কবলে পতিত করেন। ২৩ নভেম্বর জিয়উর রহমান কর্নেল তাহেরকে সামরিক সরকারে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু তাহের জাসদ ছাড়া ব্যক্তিগত সুবিধা ভোগ করার পক্ষপাতি ছিলেন না বলেই জিয়াউর রহমানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

২৪ নভেম্বর ১৯৭৫। সামরিক সরকার তার চরিত্র অনুযায়ী কর্নেল তাহেরসহ জাসদের ৩৩ জন নেতাকে বন্দি করে। বলা যায় এখানে কর্নেল তাহেরের সমস্ত বিপ্লব ও জীবনের যবনিকা হয়ে যায়। তারপর তাঁর সমগ্র পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য রাষ্ট্রীয় ক্রোধের দ্বারা বিচলিত হন। ১৯৭৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত তাহেরকে কবে কোন জেলখানায় রাখা হতো তা রাষ্ট্রীয়ভাবে গোপন করা হতো।

১৯৭৫ এর ২৫ নভেম্বর থেকে ১৯৭৬ সালের জুন পর্যন্ত কর্নেল তাহের-এর স্ত্রী, পুত্র, কন্যাসহ সমগ্র পরিবার চরম উত্‍কন্ঠায় কাটায়। জুন মাসের শেষের দিকে পত্রিকায় খুব ছোট করে খবর ছাপা হয়। রাষ্ট্রীয় এই বন্দিদের বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় কারাগারে তারকাঁটা দিয়ে স্থান নির্দিষ্ট করে কর্নেল তাহেরসহ ৩৩ জন বন্দির বিচার শুরু হয়। এর মধ্যে কর্নেল তাহেরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাও দেয়া হয়। ১৭ জুলাই মামলার রায়ে কর্নেল তাহেরের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। তাঁর পরিবারকে অন্ধকার আর অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়ে ২১ জুলাই ভোরবেলা কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। কিংবদন্তি বিপ্লবী তাহের কবিতা আবৃত্তি করতে করতে ফাঁসির মঞ্চে এগিয়ে গেলে সমাপ্তি হয় এক বিপ্লবী জীবনের।

সংক্ষিপ্ত জীবনী :

নাম : আবু তাহের
জন্ম : বদরপুর আসাম
বাবা : মহিউদ্দিন আহমেদ
মা : আশরাফুন্নেছা

লেখাপড়া : চট্টগ্রামের প্রবর্তক স্কুল, কুমিল্লার ইউসুফ স্কুল, সিলেটের এম.সি কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (অসমাপ্ত)। সেনাবাহিনীতে যোগদান : ১৯৬১ সালে।

উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ : ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ।

যুদ্ধের সম্মাননা : ১৯৬৫ সালে মেরুন প্যারাস্যুট উইং, ১৯৭১ সালে- বীর উত্তম।

রাজনীতি : ১৯৭৪ সালে সক্রিয়ভাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল গঠন করেন।

বিপ্লব : ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার সাহায্যে বিপ্লব ঘটিয়ে মেজর জিয়াকে মুক্ত করেন।

কারারুদ্ধ : ১৯৭৫ সালে ২৩ নভেম্বর।

মৃত্যু : ১৯৭৬ সালে ২১ জুলাই রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে ফাঁসির রায় কার্যকর করার মাধ্যমে।

তথ্যসূত্র :
১. ‘ক্রাচের কর্নেল’- শাহাদুজ্জামান।
২. ডলি আহমেদ (কর্নেল তাহেরের ছোট বোন)। এবং
৩. লুত্‍ফা তাহের (কর্নেল তাহেরের স্ত্রী)।

লেখক : কামরান পারভেজ

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.