GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

খাদেমুল বাশার

অবদানের ক্ষেত্র: সেনা প্রধান ও সেক্টর কমান্ডার
সেক্টর কমান্ডার খাদেমুল বাশার

সেক্টর কমান্ডার খাদেমুল বাশার

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

সেদিন ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬ সাল। ঢাকায় বিমান বাহিনীর উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ (বি এ এফ) স্কুলের শুভ উদ্বোধন করবেন এয়ার ভাইস মার্শাল এম খাদেমুল বাশার। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে খাদেমুল বাশার উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ স্কুলের শুভ উদ্বোধন করলেন। উদ্বোধন শেষে এবার সুদক্ষ বৈমানিক খাদেমুল বাশার উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ স্কুলের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মফিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী ফ্লাইটের একটি বিমানে চড়ে আকাশে উড়াল দিলেন। উপস্থিত সবার চোখ তখন আকাশে। মুহূর্তেই কেঁপে উঠল চারপাশ। সবাই হতবাক হয়ে দেখছে তেজগাঁও বিমান বন্দরের পাশেই একটি ইমারতের উপর এসে বিমানটি পতিত হলো। উড্ডয়নের পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিকট এক শব্দে স্তব্ধ হয়ে যায় চারপাশ। আর সেই সাথে স্তব্ধ হয়ে যায় স্কোয়াড্রন লিডার মফিজুল হক এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ খাদেমুল বাশারের জীবন। বিমান বাহিনীর যে ঘাঁটিতে তিনি ঘাঁটি অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন তাঁর মৃত্যুর পর সেই বিমান ঘাঁটির নামকরণ করা হয় বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার নামে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলার ইতিহাসে একটি জঘন্যতম কালো রাত। পাকিস্তান সেনাবাহিনী নির্বিচারে সেদিন হত্যা করেছিল এ ভূখন্ডের নিরীহ মানুষদের। পরদিন এই বর্বর হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ বাহিনীর বাঙালী সদস্যরাও বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। পাকিস্তান সেনাবহিনীর বর্বর এই গণহত্যা এ ভূখন্ডের নিরীহ মানুষের রক্তে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। জ্বলে উঠেছিল বাঙালী। পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তারা সুকৌশলে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীতে কর্মরত বাঙালী অফিসারদের বিচ্ছিন্ন রাখার কৌশল অবলম্বন করেছিল। যে কারণে রংপুর- দিনাজপুর অঞ্চলে সেদিন সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভ জানালেও সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ বাহিনীর বাঙালী সদস্যরা একটু দেরিতেই বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ২৭ মার্চ ৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকেরা, ৩১ মার্চ সৈয়দপুর সেনানিবাসের সৈনিকরা ও ১ এপ্রিল পার্বতিপুরের আলফা কোম্পানির বাঙালী সৈনিকেরা এবং স্থানীয় ইপিআর, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সৈনিকেরা ফুলবাড়িতে একত্রিত হয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। এদের সাথে বেসামরিক লোকজন সহকারে পরবর্তীতে গঠিত হয়েছিল ৬ নং সেক্টর।

রংপুর সেনানিবাসের কাছেই ছিল একটি এয়ার স্ট্রিট। এই জায়গাটা হালকা বিমান অবতরণের জন্য উপযোগী ছিল। উত্তরাঞ্চলের এটি একটি বড় ধরনের যোগাযোগ কেন্দ্র। এখানে ছিল একটি আধুনিক বেতার কেন্দ্র আর জেলা সদর হিসেবেও রংপুরের যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে, যে কারণে ৬নং সেক্টরের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রংপুর। এই সেক্টরের সাথে ঢাকার দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হওয়া সত্ত্বেও জেনারেল নিয়াজি এই এলাকার প্রতিরক্ষার জন্য ১৬ পদাতিক ডিভিশন মোতায়েন করেন। রংপুরে ছিল এর সদর দপ্তর। নিয়াজি ধারণা করেছিল ভারতীয় মিত্রবাহিনী প্রথমেই এই এলাকা দখলের চেষ্টা করবে। এছাড়া পাকিস্তানীরা চীনা সৈন্যদের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য এ অঞ্চলকেই নির্বাচন করেছিল।

জুন মাসে ৬নং সেক্টরে নিযুক্ত হন উইং কমান্ডার এম.কে. বাশার। তখনও ৬নং সেক্টরের সাংগঠনিক কাঠামো এতটা সুদৃঢ় হয়নি। ১২-১৫ জুলাই কলকাতায় সেক্টর কমান্ডারদের সম্মেলনে সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। সেই সম্মেলনেই ৬নং সেক্টরের বিন্যাস, কাঠামো ও যুদ্ধ কৌশল নির্ধারণ করা হয়। ৬নং সেক্টরের কোনো নিয়মিত ব্যাটালিয়ন ছিল না। নিয়মিত বাহিনীর সাথে সাবেক ইপিআর, আনসার , মুজাহিদ ও বেসামরিক লোকজন নিয়ে এই সেক্টর বাহিনী গঠিত হয়। খাদেমুল বাশার ৬ নং সেক্টরের দায়িত্ব নিয়ে অসীম সাহসিকতার সাথে তাঁর পদাতিক বাহিনীর সহায়তায় প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। পাকিস্তানী হায়েনাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা, বীরত্ব ও কৃতিত্বের জন্য জাতি তাঁকে ‘বীর উত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করে।

উইং কমান্ডার এম.কে. বাশার জন্মেছিলেন বগুড়াতে, ১৯৩৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। যদিও তাঁর পৈত্রিক বাড়ি রাজশাহী জেলার সারারবাড়িয়া গ্রামে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে খাদেমুল বাশার ছিলেন মা-বাবার তৃতীয় সন্তান। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন দুরন্ত স্বভাবের। খেলতেই বেশি পছন্দ করতেন তিনি। বেশি পছন্দ করতেন মডেল বিমান নিয়ে খেলতে। সারাদিন ছোটাছুটি করতেন, চোখে চোখে রাখতে হতো তাঁকে। এ জন্য বড় ভাই বোনদের তাঁর প্রতি বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হতো। মা ছিলেন একজন সুনিপুণ গৃহিণী ও বাবা ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। চাকরির কারণেই বাবার ছিল ভীষণ ব্যস্ততা। ফলে সংসারের গুরুদায়িত্ব পালন করতে হতো মাকেই।

দুরন্ত ও চঞ্চল স্বভাবের এই ছেলেটি ছিলেন পড়াশুনায় অসাধারণ মেধাবী। তাঁর ডাক নাম ছিল ডিকেন। মা-বাবা, ভাই-বোনরা তাঁকে ডিকেন নামেই ডাকতেন। কিন্তু কাগজে পত্রে তাঁর নাম ছিল মোঃ খাদেমুল বাশার। তাঁর মা-বাবা ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার ব্যাপারে ছিলেন খুব যত্নবান। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল বগুড়া থেকেই। ডিকেন সাতক্ষীরার প্রাণনাথ স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে রাজশাহী সরকারি মহাবিদ্যালয়ে উচ্চমাধ্যমিক ভর্তি হয়েছিলেন এবং রাজশাহী কলেজ থেকেই তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন।

রাজশাহী সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পরই খাদেমুল বাশার তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ফ্লাইট ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৬ সালের ১৭ জুন তিনি পাকিস্তান এয়ারফোর্স রিসালপুর থেকে জিডি শাখায় কমিশন লাভ করেন। কমিশন লাভের পর খাদেমুল বাশার বিভিন্ন ফ্লাইট স্কোয়াড্রনে জঙ্গি বিমানের বৈমানিক হিসাবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার কারণেই ১৯৬০ সালে তদানীন্তন ঢাকা বেস-এর ফ্লাইট সেফটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। পরবর্তীকালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ৮নং স্কোয়াড্রন ও ৪০৬ নং স্কোয়াড্রনের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সে সময় কর্মজীবনে একাগ্রতা ও নিষ্ঠার কারণে একজন দক্ষ বৈমানিক হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করেছিলেন খাদেমুল বাশার।

১৯৪৭ সালে সাম্প্রদায়িক দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল ভারত। ধর্মের ধোয়া তুলে এই উপমহাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে অবজ্ঞা করে মুসলমানদের জন্য গড়ে তোলা হয় পাকিস্তান আর হিন্দুদের জন্য হিন্দুস্তান অর্থাত্‍ ভারত নামের দুটি রাষ্ট্র। আর তখন থেকেই সীমান্ত বিরোধসহ আরও অন্যান্য বিষয়ে এ দু’দেশের সম্পর্ক ছিল বিরোধপূর্ণ। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৫ সালে শুরু হয়েছিল পাক-ভারত যুদ্ধ। খাদেমুল বাশার তখন বৈমানিক হিসেবে পাকিস্তানের একজন গুরুত্বপূর্ণ অফিসার। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর তিনিই একমাত্র বাঙালী বৈমানিক যিনি সে সময় পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে বোম্বার স্কোয়াড্রনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পাক-ভারতের এই যুদ্ধে তাঁর এই দায়িত্বশীল ভূমিকার জন্য এবং বিশেষ সুনাম অর্জন করায় পরবর্তীতে তাঁকে ‘তমঘা-ই-বাসালত’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি কৃতিত্বের সাথে এই পদে বহাল ছিলেন।

১৯৭০ সালে খাদেমুল বাশার পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে উইং কমান্ডার হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং ১৯৭১ সালে তিনি উইং কমান্ডার হিসেবে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ঢাকার একটি ফ্লাইং স্কোয়াড্রনে অধিনায়কের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু ততদিনে পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। এ ভূখন্ডের মানুষ বুঝতে পেরেছিল একটি যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। খাদেমুল বাশারও উপলব্ধি করেছিলেন পাকিস্তানি শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই হবে। আর সহ্য করা যায় না। দেশ মাতৃকার প্রতি অগাধ ভালবাসা আর দায়বদ্ধতা থেকেই সেদিন তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একজন পারদর্শী বৈমানিক হয়েও সকল খ্যাতি ও সমৃদ্ধির মোহ পেছনে ফেলে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মে মাসে বিমানবাহিনীর কিছু সংখ্যক কর্মকর্তাসহ মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের লক্ষ্যে আগরতলার উদ্দেশ্যে সেদিন তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন।

মুক্তিবাহিনীতে যোগদানের পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী প্রধান এম এ জি ওসমানী জুন মাসেই খাদেমুল বাশারকে রংপুর ও দিনাজপুর জেলা নিয়ে গঠিত ৬নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেন। যে কারণে শুরু থেকেই এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধ একটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থার মধ্যে চলে আসে। সুষ্ঠুভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য তিনি নতুন বিন্যাসে গড়ে তোলেন ৬নং সেক্টরকে। পাঁচটি সাব সেক্টরে ভাগ করে গ্রহণ করেন নতুন রণনীতি। বিমানবাহিনীর একজন বৈমানিক হয়েও সেনাবাহিনীর ভূমিকায় খাদেমুল বাশার মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হন।

খাদেমুল বাশারদের মতো হাজার হাজার বীর সেনারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি নতুন ভূখন্ডের জন্ম দেন। সদ্য স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। নতুন পতাকা, নতুন মানচিত্র, নতুন সংবিধান। এবার দেশ গড়ার পালা। পাকিস্তানী শোষণ-শাসন আর যুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। সবার চোখে তখন প্রিয় দেশটাকে গড়ে তোলার স্বপ্ন। খাদেমুল বাশার সেখানেও সামনের কাতারে থেকে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার ১৯৭২ সাল পর্যন্ত রংপুর ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে খাদেমুল বাশার গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি লাভ করে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি ঢাকার বেস কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছিলেন। এর একবছর পরেই অর্থাত্‍ ১৯৭৩ সালে অক্টোবর মাসে এয়ার কমোডর হিসেবে আবার পদোন্নতি লাভ করেন, পাশাপাশি সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ন্যায়-নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার জন্যই খাদেমুল বাশার খুব দ্রুত আরও দায়িত্বশীল পদে পদোন্নতি লাভ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় খাদেমুল বাশার ১৯৭৬ সালের ৩ মে এয়ার ভাইস মার্শাল পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং সেদিন থেকেই উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পান। আর ১৯৭৬ সালেই এই গুরু দায়িত্ব মাথায় নিয়ে তিনি সবার কাছ থেকে চির বিদায় নিলেন।

১৯৩৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর যে জীবনের শুরু হয়েছিল, সাহস, বীরত্ব আর জয়ের দীর্ঘ পরিক্রমা পাড়ি দিয়ে একটি বিমান দুর্ঘটনার কারণে মাত্র ৪১ বছরে এসে অর্থাত্‍ ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সে জীবনের অবসান ঘটে। যিনি একদিন শোষণের নাগপাশ ছিন্ন করে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতা, প্রিয়তম স্বদেশ ও একটি স্বাধীন মানচিত্র। শুধু স্বাধীনতা এনেই ক্ষান্ত ছিলেন না তিনি। প্রিয় মাতৃভূমিকে পৃথিবীর বুকে একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাঁর চোখে ছিল অগাধ স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রচেষ্টাও ছিল তাঁর। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র পাঁচ বছর পরই তা চিরতরে থেমে যায়। কিন্তু তিনি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়ে যান পরবর্তী প্রজন্মের কাঁধে।

সংক্ষিপ্ত জীবনী :

জন্ম ও বংশ পরিচয়
১৯৩৫ সালের ১ সেপ্টেম্বরে বগুড়াতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা হাসমত উল্লাহ ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও মা ছিলেন একজন গৃহিনী। বগুড়াতে জন্মগ্রহণ করলেও বাশারের পৈত্রিক বাড়ি ছিল রাজশাহী জেলার সারারবাড়িয়া গ্রামে। তাঁর ডাক নাম ছিল ‘ডিকেন’।

শিক্ষা
মোঃ খাদেমুল বাশার সাতক্ষীরার প্রাণনাথ স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পর রাজশাহী সরকারী মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন।

কর্ম জীবন
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর খাদেমুল বাশার ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ফ্লাইট ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৫৬ সালের ১৭ জুন তিনি পাকিস্তান এয়ারফোর্স রিসালপুর থেকে জিডি শাখায় কমিশন লাভ করেন। তাঁর কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার কারণেই ১৯৬০ সালে তদানীন্তন ঢাকা বেস এর ফ্লাইট সেফটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ৮নং স্কোয়াড্রন ও ৪০৬নং স্কোয়াড্রনের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেছিলেন। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর তিনিই একমাত্র বাঙালী বৈমানিক যিনি পাক ভারত যুদ্ধে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে বোম্বার স্কোয়াড্রনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে খাদেমুল বাশার উইং কমান্ডার হিসেবে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ঘাঁটি ঢাকার একটি ফ্লাইট স্কোয়াড্রনের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার রংপুর ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং বিমানবাহিনীর ঘাঁটি ঢাকার বেস কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে এয়ার কমোডর পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালের ৩ মে এয়ার ভাইস মার্শাল পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং সেদিন থেকেই উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্তি পান।

অবদান
এয়ার ভাইস মার্শাল এম খাদেমুল বাশার বীর উত্তম ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় খ্যাতি ও সমৃদ্ধ জীবনের মোহ পিছনে ফেলে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। রংপুর-দিনাজপুর নিয়ে গঠিত মুক্তিযুদ্ধকালীন ৬নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন এবং সম্মুখ সমরে পাকিস্তানিদের পরাজিত করে ঐ অঞ্চলকে হানাদার মুক্ত করেন।

স্বীকৃতি
১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধে বিশেষ সুনাম অর্জন করায় তত্‍কালীন পাকিস্তান বিমান বাহিনী তাঁকে ‘তমঘা-ই-বাসালত’ উপাধিতে ভূষিত করেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতি তাঁকে ‘বীর উত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করে। মৃত্যুর পর তিনি বিমানবাহিনীর যে ঘাঁটিতে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন সে ঘাঁটির নাম রাখা হয় বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার।

জীবনাবসান
১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিমান বাহিনীর উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ স্কুলের উদ্বোধনের পর স্কুলের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মফিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী ফ্লাইটের একটি বিমান নিয়ে আকাশে উড়লে কিছুক্ষণ পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় আর এই দুর্ঘটনায় এয়ার ভাইস মার্শাল এম খাদেমুল বাশার নিহত হন।

তথ্যসূত্র:
১. মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধকালীন ১১টি সেক্টর নিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থপুঞ্জি।
২. মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর।
৩. বি এ এফ শাহিন কলেজ ঢাকা- আয়োজিত তাঁর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অধ্যক্ষের ভাষণ।

লেখক : পিয়াস প্রান্তিক

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.