GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

অরিণা বেগম

অবদানের ক্ষেত্র: বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অরিণা বেগম

বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অরিণা বেগম

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

রাজনীতি কী জিনিস তা অরিণা বেগম কখনোই জানতেন না। দেশের স্বাধীনতার কী হবে তাও তাঁর অজানা ছিলো। বিয়ের পর ভোট দেওয়ার সময় স্বামী বুঝালেন, কেন নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়া দরকার। স্বামীর কথামতো নৌকা মার্কায় ভোট দিলেন। কিন্তু এই ভোটই তাঁর জীবনে কাল হয়ে এলো।

এক রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার কারণে আওয়ামী লীগকর্মী অরিণার স্বামীকে রাজাকাররা তুলে নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। আর অরিণার ওপর চলে নির্মম নির্যাতন। সাড়ে চার দশক অরিণাকে তাড়িয়ে ফিরছে সেই দুর্বিসহ স্মৃতি। সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন হয়েছেন। কিন্তু কোনো স্বীকৃতি তিনি পাননি, বিচার তো দূরের কথা। তবু অদম্য অরিণা বেগম। যা ঘটেছে তা লুকানোর কিছু নেই। তিনি তাঁর ওপর নির্যাতনের কাহিনী শুনাতে চান কোনো স্বীকৃতির আশায় নয়, একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচার হবে সেই আশায় আজো বসে আছেন অরিণা বেগম। মোতালিব মিয়ার সঙ্গে অরিণা বেগমের বিয়ে হয় ১৯৭০ সাল। অরিণা বেগমের মনে আছে, সত্তর সালের ভোটৈর মাত্র তিন দিন আগে তিনি বাপের বাড়ি ছয়কোট গ্রাম থেকে স্বামীর বাড়ি পাশের বড়চেক গ্রামে আসেন। স্বামীর বাড়িতে সেদিন ঢোকার মুখইে দেখেছিলেন লালসালু দিয়ে বিশাল এক নৌকা বাঁধা। সেই নৌকার নীচ দিয়েই স্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করেন অরিণা বেগম। বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়েছিলো মাস ছয়েক আগেই। কিন্তু ছেলের ছুটি না থাকায় তখন বউ তুলে আনার কাজটি সম্পন্ন হয়নি। শ্বশুর বাড়িতে আসার পরেই স্বামীর কথায় নৌকা মার্কায় ভোট দেন অরিণা বেগম। স্বামী বলেছিলো, ‘মুজিবেরে নৌকায় ভোট দাও। দেশ স্বাধীন হইব।’

তখন এ এলাকায় নৌকা মার্কার সমর্থক খুবই কম ছিলো। মোতালিব মিয়া চট্টগ্রামে জেনারেল আয়রন অ্যান্ড স্টিল মিলে কাজ করতেন। সেখানেই তিনি শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরী, এম এ হান্নান প্রমুখ নেতা তখন প্রায়ই মিলে আসতেন। শ্রমিকদের মধ্যে তারা বক্তব্য দিতেন। মোতালিব মিয়া এসব সভায় নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন এবং এর মধ্য দিয়েই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক হয়ে উঠেন।সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করার পর বড়চেক গ্রামে মুসলিম লীগের সমর্থক ছিদ্দিক মিয়া, আনোয়ার খাঁ, মিছির উল্লাহ, মন্নান মিয়া হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করে। এলাকায় তখন মুসলমানদের মধ্যে ৭/৮টি পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক। আর পাশের নাথপাড়ায় ছিলো ১২০ ঘর হিন্দু পরিবার। তারাই মূলত আওয়ামী লীগের ভোটব্যাঙ্ক। নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই মোতালিব মিয়ার সঙ্গে মুসলিম লীগ সমর্থকদের প্রচণ্ড বিরোধ দেখা দেয়। ভোটের পর এখানে কয়েকদিন ধরে উত্তজেনা চলে। তারপর আবার তা থেমেও যায়। এলাকা একটু শান্ত হয়ে আসলেই মোতালিব মিয়া স্ত্রী অরিণা বেগমকে মায়ের কাছে রেখে আবার কর্মস্থল চট্টগ্রামে চলে যান। মোতালিব মিয়ার তখন বড় পরিবার। বাড়িতে ছোট দুই ভাই, মা, স্ত্রী। সবাই তাঁর উপরে নির্ভরশীল। ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সারাদেশে গণহত্যা শুরু করে দেয়। অরিণা বেগম স্বামীর চিন্তায় অস্থির হয়ে উঠেন। তিনি এলাকার লোকজনের কাছে শুনতে পেতেন চট্টগ্রামে অনেক মানুষকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করেছে। মৌলভীবাজার থেকে চট্টগ্রাম অনেক দূর। এই যুদ্ধের সময়ে মোতালিব মিয়ার খবর এনে দেবে তেমন কেউ ছিলো না।

এই দুশ্চিন্তার মধ্যইে একদিন গভীর রাতে মোতালিব মিয়া বাড়ি চলে আসেন। মোতালিব মিয়া চট্টগ্রাম থেকে সাতদিন হেঁটে কমলগঞ্জের বাড়িতে আসেন।কয়েকদিনের মধ্যেই মৌলভীবাজার ও কমলগঞ্জে পাকিস্তানি সেনারা চলে আসে। তারা আসার পর পরই এলাকায় এলাকায় শান্তি বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলা হয়। ছিদ্দিক মিয়া, আনোয়ার খাঁ, মিছির উল্লাহ, মন্নান মিয়া এদের নেতেৃত্ব রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি সেনারা সড়কে সড়কে টহল দেওয়া শুরু করে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা মাঝে মাঝে এসেই মোতালিব মিয়ার বাড়িতে খোঁজ-খবর নিতো, হুমকি দিয়ে যেত। অরিণা তখন নতুন বউ। ঘররে ভতির থেকেই এসব হুমকি শুনতেন।মোতালিব মিয়া তখন মুক্তিযোদ্ধাদের সহকারী হিসেবে রাজনগরে কাজ করতেন। মোতালিব মিয়ার একজন ভাতিজাও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য ভারতে চলে গেছেন। প্রতিদিনই অরিণা বেগম শুনতে পেতেন, যেসব পরিবারের ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধে গেছে রাজাকাররা তাদের চিহ্নিত করছে এবং পাকিস্তানি সেনাদের দিয়ে তাদের নানারকম নির্যাতন করাচ্ছে। এই নির্যাতনের মুখে অনেকেই দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। রাজাকাররা রাস্তায় রাস্তায় ক্যাম্প বসিয়েছে।

ভারতে যারা যেতে চাচ্ছে, তাদের আটকে দিচ্ছে, তাদেরে মালামাল লুটপাট করছে। নারীদের ধরে ধরে পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আশপাশের চা বাগান থকে সার বেঁধে প্রতিদিন মানুষ ভারতে যাচ্ছে। এদের মধ্যে বাগানের শ্রমিক যেমন আছে, তেমনি বাবুরাও আছে। অনেক বাগানে রাজাকারদের সহায়তায় সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করেছে। সেখানে নারীদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।অরিণা নতুন বউ। তাঁর বাড়ির বাইরে যাওয়া মানা। কিন্তু হাট-গঞ্জ থেকে বাড়ির মানুষজন ফিরে এসে এসব আলাপই করে। শুনে অরিণার মনে অজানা শঙ্কা ভর করে। স্বামীর চিন্তায় মন অস্থির হয়ে উঠে। কারণ, বিয়ের পর এ বাড়িতে এসেই তিনি বুঝতে পেরেছেন, স্বামী মোতালিবকে এলাকার রাজাকাররা স্বাধীনতার পক্ষের লোক হিসেবে জানে তারা সুযোগরে অপেক্ষায় আছে। যখনই সুযোগ পাবে, তারা প্রতিশোধ নেবে। এসব কথা চিন্তা করে একবার ভাবেন, স্বামী বাড়ি না এলেই ভাল। আবার ভাবেন, এই মানুষটিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি যদি বাড়ি ফিরে না আসেন তাহলে সংসারই বা কীভাবে চলবে।

এসব ঘটনার মধ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে মোতালিব মিয়াবাড়ি চলে আসেন। বাড়ির সবাই তখন ঘুমে। অরিণা পিছনের দরজায় স্বামীর ডাক শুনতে পান। তিনি শাশুড়িকে ডেকে তুলেন। শাশুড়ি দরজা খুলে দিলে মোতালিব মিয়া ঘরে ঢুকেন। তখন মা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, ‘দেখ আমার পোলা ফিরে আসছে।’ মোতালিব মিয়া মাকে শান্ত করেন। অরিণা বেগম স্বামীকে বলেন, ‘তুমি বাড়ি আসলা কেন? রাজাকাররা তোমারে খুঁজতাছে।’ মোতালিব মিয়া স্ত্রীকে বলেন, ‘কোনো চিন্তা করো না, আমি ফজরের আজানের সময় আবার চলে যাব। তোমাদের দেখার জন্যই এসেছি।’ অরিণা ঘরে রান্না করা যে খাবার ছিলো তাই খেতে দেন স্বামীকে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মোতালিব মিয়া স্ত্রীকে মুক্তিযুদ্ধের কথা শোনান। তিনি কোথায়, কী কাজ করেন সেসব বলতে থাকেন। তখনই অরিণা জানতে পারেন পাকিস্তানি বাহিনী কীভাবে মানুষদের হত্যা করছে, গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে, লুটপাট করছে।

মোতালিব মিয়া স্ত্রীকে জানান, এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা চৈত্রঘাট গ্রামের ইরেশ দত্তকে গুলি করে হত্যা করেছে। সেদিন বিকেল বেলায় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ইরেশ দত্তের বাড়ি আসে। তখন ইরেশ দত্ত নিজেদের মন্দিরে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। রাজাকাররা তাঁকে সেখান থেকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করে। তারপর পাকিস্তানি বাহিনী যায় পাশের মনোরঞ্জন ভৌমিকের বাড়িত। তখন পালিয়ে যাওয়ার সময় মনোরঞ্জন ভৌমিক ও তাঁর ভাই সুধেন্দু ভৌমিক গুলিবিদ্ধ হন। সেদিন চৈত্রঘাট গ্রাম থেকে যতীন্দ্র দত্ত, সোনাচাঁন দত্ত ও বনামলী গোসাইকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি বাহিনী। পরে চৈত্রঘাট ধলাই নদীর পাড়ে তাদেরকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। একইভাবে হত্যা করা হয় দুই ভাই মদনমোহন দত্ত ও মনমোহন দত্তকে।বাড়রি সব মানুষ তখন ঘুমে অচতেন। শুধু অরিণা বেগম আর তাঁর স্বামী মোতালিব মিয়া বিছানার উপর বসে এসব গল্প করছেন। মোতালিব মিয়া একটু পর পর ঘড়ি দেখছেন, কয়টা বাজে।

কারণ, ফজরের আজানের সময়ই তাঁকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে হবে। রাজাকাররা যদি জেনে যায়, সে বাড়িতে এসেছে তাহলে নির্ঘাত মৃত্যু।তখন রাত প্রায় ৩টা। হঠাৎ করেই অরিণা বেগম দেখতে পান বাড়ির চারপাশে মাঝে মাঝে আলো জ্বলছে। মাঝে মাঝে রাতের বেলায় রাজাকাররা রাস্তা দিয়ে টহল দেয়। তখন রাস্তার চারপাশে প্রচুর আলো ফেলে তারা পরিস্থিতি অবলোকন করে। সেই আলো এসে বাড়ির চারপাশেও পড়ে। অরিণা বেগম প্রথমে ভেবেছিলেন, সেই আলোতেই বোধহয় তিনি দেখতে পাচ্ছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পারেন, আসলে বাইরে থেকে কেউ তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে আলো ফেলছে। মোতালিব মিয়াও সেই আলো দেখে একটু চিন্তিত হন। অরিণা স্বামীকে বিছানার উপর রেখেই ঘরের টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখেন পুরো উঠান জুড়ে আলো। বাড়ির চারপাশে রাজকাররা অবস্থান নিয়েছে। তারাই টর্চ লাইটের আলো ফেলছে মোতালিব মিয়ার ঘর লক্ষ্য করে। ভয়ে অরিণার শরীর অবশ হয়ে যায়। তিনি যেন কোনো কথা বলতে পারছেন না। তাহলে কি রাজাকাররা মোতালিব মিয়ার বাড়ি আসার কথা জেনে গেছে! তাহলে এখন কী হবে? তিনি বিছানার কাছে গিয়ে স্বামীর হাত ধরনে।

মোতালিব মিয়া বিছানা থেকে নেমে টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে উঁকি দেন। অরিণা গিয়ে নিচু স্বরে শাশুড়িকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। দেবরকে ডাকেন।ততক্ষণে পুরো ঘর টর্চের আলোয় আলোকিত হয়ে পড়েছে। রাজাকাররা বাইরে থেকে মোতালিব মিয়ার নাম ধরে ডাকতে শুরু করে। তাঁকে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসতে বলে। দরজা না খুললে গুলি করা হবে বলে হুমকি দেয় রাজাকাররা। অরিণা কী করবেন বুঝতে পারছেন না। তিনি পাগলের মতো শুধু ঘরের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করছেন। একবার স্বামীর কাছে যাচ্ছেন, আরেকবার শাশুড়ির কাছে আসছেন। এদিকে রাজাকাররা ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য মোতালিব মিয়াকে ডাকছে। মোতালিব মিয়া ভাবেন, এখন যে পরিস্থিতি তাতে পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ডাক-চিৎকার দিয়ে লোক জড়ো করবেন। সে আশাও মিছে। কারণ, এই যুদ্ধের মধ্যে রাতের বেলায় কেউ তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে না। এদিকে দরজা না খুললে রাজাকাররা গুলি করবে। এতে যে কেউ মরতে পারে। তাঁর একার জন্য সবগুলো মানুষ মারা যাবে এটাও তিনি ভাবতে পারছেন না। ঘরে দা-কুড়াল-ফলা-বর্শা আছে, এগুলো নিয়ে রাজাকারদের মোকাবেলা করবেন? তাতেও কোনো লাভ হবে না। উল্টো বেঘোরে সবাই প্রাণ হারাবেন।

এসব চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন, দরজা খুলে দেবেন। তারপর যা হয়, হবে। এসব ভাবতে ভাবতে বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। বাইরে রাজাকাররা একে অপরকে দরজা ভেঙে ফেলার কথা বলছে, গুলি করার কথা বলছে। তখন মোতালিব মিয়া ঘরের দরজা খুলে দেন। দরজা খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৪/৫ জন বন্দুক নিয়ে এসে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে। মোতালিব মিয়াকে দুজন জোর করে ধরে বেঁধে ফেলে ঘরের বাইরে টানতে টানতে নিয়ে যায়। অরিণা আর তাঁর শাশুড়ি বাঁধা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তারাও মোতালিব মিয়াকে ধরে রাখার জন্য উঠানে চলে আসেন। কিন্তু বন্দুকের নলের মুখে তাদের আর বেশি দূর অগ্রসর হতে দেয়নি রাজাকাররা। টর্চের সামান্য আলোর মধ্যইে অরিণা বেগম দেখতে পান, রাজাকাররা তাঁর স্বামীকে মারতে মারতে বাড়ির বাইরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। অরিণার চিৎকার করে কান্না করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না।কিন্তু সেই চিৎকারও অরিণা বেগম বেশিক্ষণ দিতে পারেননি। হঠাৎ করেই একজন রাজাকার তাঁর মুখ চেপে ধরে। কিছু বুঝে উঠার আগেই একজন রাজাকার মাথায় কাছে বন্ধুক ধরে, গলা পেঁচিয়ে ধরে। অরিণা চুপ করে যান। মুর্হূতইে যেন ভুলে যান স্বামীকে কিছুক্ষণ আগেই তুলে নিয়ে গেছে। তিনি নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। দুজন রাজাকার টানতে টানতে তাঁকে ঘরের ভিতরে নিয়ে যায়।

বাড়ির সব লোককে রাজাকাররা বন্দুকের মুখে বন্দি করে ফেলে। সবাইকে একটি ঘরে বন্দি করে অরিণাকে নির্যাতন করে রাজাকাররা।একসময় জ্ঞান হারান অরিণা বেগম। তখন সুবহে সাদেক। গ্রামের মসজিদ থেকে আযান ভেসে আসছে। রাজাকাররা চলে যায়। ঘরের লোকজনই অরিণাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। ভোরের আলো একটু ফুটলে আশপাশের প্রতিবেশিরাও আসেন। অরিণা তখন নির্বাক, কথা বলার মতো শক্তিও আর অবশিষ্ট ছিলো না।এদিকে মোতালিব মিয়াকে রাজাকাররা প্রথমে স্থানীয় শান্তি কমিটির কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে। তারাই মৌলভীবাজারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে খবর পাঠায়। পরদিন দুপুরের দিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি জিপ এসে মোতালিব মিয়াকে তুলে নিয়ে যায়। মৌলভীবাজারের সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর সেই ক্যাম্পে আরো অনেককে ধরে আনা হয়েছে। সেখানেই তাদের আটক করে রাখা হয়। টানা ১০ দিন মোতালিব মিয়া সেখানে আটক ছিলেন। এখানে আটক থাকাবস্থায় অনেক লোককে হারিয়ে যেতে দেখেছেন মোতালিব মিয়া।

প্রতিদিন রাতেই এখান থেকে লোকদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হতো। তাদের কান্নার শব্দ শোনা যেত। কিন্তু কারো কিছু করার নেই। ১০ দিন পর এক সকালে মোতালিব মিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় সার্কিট হাউজের উল্টো দিকে এসডিওর বাংলোতে। সেখানেই নিজের অফিস বানিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক মেজর। মেজর সেখানে বসে প্রত্যকের বিচার কাজ করছে। তাকে সাহায্য করছে মৌলভীবাজার মহকুমা শান্তি কমিটির আহ্বায়ক মিছির আলী। সবাইকে চোখ বেঁধে মেজরের সামনে হাজির করা হয়। মোতালিব মিয়াকেও সেভাবেই হাজির করা হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁর চোখ খুলে দিলে মেজর নানা প্রশ্ন করা শুরু করে। একপর্যায়ে মোতালিব মিয়া তাঁর পকেটে থাকা চট্টগ্রামের জেনারেল আয়রন স্টিল মিলের পরিচয়পত্র দেখান। সেই পরিচয়পত্রে উর্দুতে ঠিকানা লেখা ছিলো। বিচারের একপর্যায়ে মেজর মোতালিব মিয়াকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।অরিণা বেগম সুস্থ হওয়ার পর জানতে পারেন তাঁর স্বামী মোতালিব মিয়া জেলে আটক আছেন। কিন্তু তাঁকে ছাড়ানোর মতো কোনো ব্যবস্থা তিনি করতে পারেননি।

প্রায় এক মাস জেলে বন্দি থাকার পর ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা মৌলভীবাজার দখল করে নেয়। তখন তারা জেল ভেঙে সেখানে বন্দি সবাইকে মুক্ত করেন। তখন মোতালিব মিয়াও জেল থেকে বের হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।বাড়িতে ফেরার পরই স্ত্রী অরিণা বেগম স্বামীকে তাঁর ওপর রাজাকারদের নির্মম অত্যাচারের কথা বলেন। মোতালিব মিয়াসব কিছু মেনে নেন। কোনোদিন এ নিয়ে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধেনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার আট বছর পর মোতালিব মিয়া চট্টগ্রামের চাকরি ছেড়ে কুয়েতে চলে যান। একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পা ভেঙে যায়। তারপর নিঃস্ব, রিক্ত মোতালিব মিয়া খালি হাতে আবার বাড়ি ফিরে আসেন। এর মধ্যে মোতালিব মিয়া আর অরিণা বেগমের ঘরে চার মেয়ে সন্তান এসেছে। তাদের বিয়ে দিয়েছেন। বড় মেয়ে রনি বেগমকে বিয়ে দিয়েছেন চামড়কোনা গ্রামে। তৃতীয় মেয়ে পান্না বেগমকে বিয়ে দিয়েছেন শমসেরেনগরে। দ্বিতীয় মেয়ে ইমরানার বিয়ে দিয়েছেন ভানুগাছ থানার গোবিন্দপুর গ্রামে। সবার ছোট মেয়ের বিয়ে হয়েছে বড়চেক গ্রামেই। মেয়েদের খুব একটা পড়াশোনা করাতে পারেননি এই দম্পতি। বড় মেয়েটা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। আর বাকিদের প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর পরই বিয়ে দিয়ে দেন।

মূলত অভাবের কারণেই মেয়েদের পড়াশোনা করাতে পারেননি।মোতালিব মিয়াও অরিণা বেগমের নিজেদের কোনো জমি-জিরাত নেই। শারীরিক কারণে মোতালিব মিয়াও এখন আর কোনো কাজ করতে পারেন না। মেয়েদের অবস্থাও তত ভাল নয় যে, বাবা-মাকে দেখবে। তবু তারা সুযোগ পেলে সাহায্য করেন। মোতালিব মিয়া আর অরিণা বেগম এখন ছোটভাই ও ভাইপোর ওপরই নির্ভরশীল। কষ্টে-সৃষ্টে দিন কেটে যাচ্ছে তাদের।মোতালিব মিয়াকে আজো চার বছর আগের সেই স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজাকাররা পালিয়ে যায়, আত্মগোপন করে। স্বাধীনতার বেশ কিছু পর তারা আবার গ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকায় তখন তাদের নামে মামলা করতে পারেননি মোতালিব মিয়া। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় রাজাকারও সমাজে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের বিচার চেয়ে মোতালিব মিয়া গ্রামের রাজাকারদের নামে মামলা করেছেন। এই শেষ বয়সে তিনি এই মামলার বিচার দেখে যেতে চান। আর চান, স্ত্রীর স্বীকৃতি। এর জন্য তিনি অনেকেরে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি তবু মোতালিব মিয়ার আশা, এই দেশ তাঁর স্ত্রীকে নিশ্চয়ই প্রাপ্য মর্যাদা দেবে।২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বড়চেক গ্রামে অরিণা বেগম ও তাঁর স্বামী মোতালিব মিয়ার বাড়িতে তাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

লেখক : চন্দন সাহা রায়

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.