GUNIJAN
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
  • মূলপাতা
  • ক্ষেত্র
    • সাহিত্য
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • ক্রীড়া
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • শিল্পকলা
    • আলোকচিত্র
    • গণমাধ্যম
    • পারফর্মিং আর্ট
    • সংগীত
    • সংগঠক
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • ইতিহাস গবেষণা
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • লোকসংস্কৃতি
    • সমাজবিজ্ঞান
    • আইন
    • দর্শন
    • মানবাধিকার
    • শিক্ষা
    • স্থাপত্য
    • সাহিত্য
    • শিল্পকলা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • আইন
    • আদিবাসী অধিকার আন্দোলন
    • আলোকচিত্র
    • ইতিহাস গবেষণা
    • ক্রীড়া
    • গণমাধ্যম
    • চিকিৎসা বিজ্ঞান
    • দর্শন
    • নারী অধিকার আন্দোলন
    • পারফর্মিং আর্ট
    • প্রকৃতি ও পরিবেশ
    • মানবাধিকার
    • মুক্তিসংগ্রাম
    • লোকসংস্কৃতি
    • শিক্ষা
    • সংগঠক
    • সংগীত
    • সমাজবিজ্ঞান
    • স্থাপত্য
  • কর্মসূচি
  • সহযোগিতা
  • মনোনয়ন
  • কার্যক্রম
No Result
View All Result
GUNIJAN
No Result
View All Result

সাবিত্রী নায়েক

অবদানের ক্ষেত্র: বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা
সাবিত্রী নায়েক

সাবিত্রী নায়েক

আলোকচিত্র / অডিও / ভিডিও / ফাইল

অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা, নিরন্তর ধ্বংসযজ্ঞ ও রক্তাক্ত সংগ্রামের পথ ধরে আসে স্বাধীনতা। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই মানচিত্র এদেশের মানুষকে কিনতে হয়েছে অনেক দাম দিয়ে। মূলধারার ইতিহাস সবার ত্যাগের সমান স্বীকৃতি দেয়নি। ইতিহাসের পাতায় নারীর ভূমিকাকে মর্যাদাহীনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যতটা দায়িত্বশীল ও সংবেদনশীল মনযোগ এসব নারীদের প্রাপ্য ছিল, রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার তাদের ততটাই অবজ্ঞা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হয়ে গেছে পুরুষের বীরত্ব ও নারীর সম্ভ্রমহানির দলিল। তাই এই দলিল অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ। যুদ্ধ একটা দেশের মানুষের অস্তিত্বে জড়িয়ে থাকা, চেতনায় মিশে থাকা সামগ্রিক সত্ত্বাকে নাড়িয়ে দেয়, সেখানে নারী-পুরুষ, ধনী- গরিব, বাঙালি-আদিবাসী, শিক্ষিত-অশিক্ষিত বলে আলাদা করার সুযোগ নেই। তারামন বিবি রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘বীর প্রতীক’ লাভ করেছেন স্বাধীনতার ২৪ বছর পর। নারী বলেই তাঁর স্বীকৃতির জন্য তাঁকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এই সমাজ বাস্তবতায় একজন সাবিত্রী নায়েকের অবস্থান আরও একধাপ নীচে। কারণ তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী চা-শ্রমিকদের প্রতিনিধি।

হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাট থানার চানপুর চা বাগানের বীরাঙ্গনাদের সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি সাংবাদিক অপূর্ব শর্মার সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে। তিনি বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বীরাঙ্গনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করেছেন। আমিও বীরাঙ্গনাদের নিয়ে কাজ করি। তাই আমার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায় চানপুর চা বাগানের বীরাঙ্গনারা। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে থাকি। যোগাযোগ করি হবিগঞ্জের আরেক সাংবাদিক আব্দুল হালিম ভাইয়ের সঙ্গে। তখন তিনি আমাকে এ এলাকার আরো কয়েকজন বীরাঙ্গনার কথাও জানান। হালিম ভাই, কীভাবে যেন জানতে পারেন আমি বীরাঙ্গনাদের নিয়ে নিজের আগ্রহেই টুকটাক কাজ করি। তাই সানন্দে কথা দেন, আমাকে সাহায্য করার। তাঁর কথামতো ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মাসে ঢাকা থেকে বের হই হবিগঞ্জের চা বাগানের পথে। যুদ্ধ কেবল ভূগোল বা ইতিহাস নয়, মানুষের স্বপ্নকেও পাল্টে দেয়, বদলে দেয় জীবন- যাপনের গতিধারা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার চানপুর চা-বাগানের সাবিত্রী নায়েকের জীবনের চেনা ছককে পাল্টে দিয়েছে। বহুবিচিত্র এই সবিত্রীর জীবন। কখনও সে নেশায় বুঁদ, কখনও আত্মভোলা, কখনও উদাসীন- যেন চারপাশে ঘটে যাওয়া কোন কিছুর সাথেই তাঁর কোনো যোগ নেই। হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে ‘উধাও’ হয়ে যান। কোথায় যান কেউ জানে না। ৫-৭ দিন ঘুরেফিরে তিনি আবার তাঁর আস্তানায় ফিরে আসেন। আমরা যেদিন সাবিত্রীর বাড়ি যাই তাঁর একদিন আগেই তিনি ‘উধাও’ হয়ে যান। এখানে-সেখানে যোগাযোগ করে খোঁজ নেওয়া হলেও তাঁর কোনো ঠিকানা জানা যায়নি। অবশেষে বাধ্য হয়েই সাবিত্রীর জীবন জানার জন্য আমাদের বসতে হয় তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সাবিত্রীর ভাই মঙ্গল নায়েক, ছেলে বড় ছেলে আলম ও ছোট ছেলে খোকনই আমাদের শুনান বীরাঙ্গনাগাঁথা।

সাবিত্রীর ভাই মঙ্গল নায়েক জানান, যুদ্ধের সময় সাবিত্রী ছিল বিশ বছরের এক উচ্ছল তরুণী। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সাবিত্রী সবার ছোট। বড় বোন মেরির যুদ্ধের বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় পাশের নলুয়া চা-বাগানে। তাই তখন সাবিত্রীর বিয়ের ব্যাপারে ভাবছিলেন বাবা মধু নায়েক ও মা রমনী নায়েক। সন্তানদের মধ্যে সবার ছোট হওয়ায় সাবিত্রী ছিল খুব আদরের। কিন্তু সবকিছুকে উলট-পালট করে দিয়ে বেজে উঠে যুদ্ধের দামামা।স্বাধীকারের দাবিতে রাজপথ কেঁপে উঠলে সেই স্পন্দন পাহাড়ি টিলা ও নিবিড় অরণ্য পেরিয়ে পৌঁছে যায় চা-বাগানের নীরব-নিস্তরঙ্গ জনপদে। ১৯৭১ সালের মে-জুন মাসে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠে চুনারুঘাটের চানপুর চা- বাগানে। চানপুর বাগানের ফ্যাক্টরিতে ক্যাম্প স্থাপন করে পাকস্তানি বাহিনী। পাকিস্তানি সেনারা চা-বাগানে ক্যাম্প স্থাপন করলে চা-শ্রমিকদের মধ্যে আসন্ন বিপদের আশংকায় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। সাবিত্রীও চারপাশের উত্তাপের আঁচ পাচ্ছিলেন। প্রতিদিন লাইন ধরে অসংখ্য মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় সীমান্ত পার হয়ে ভারত যাচ্ছিল। পাকস্তানি সেনাদের ক্যাম্প স্থাপনের পর চা-বাগানে নানা রকম গুজব ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুনা যাচ্ছিল, নানাদিকে মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে পাকিস্তানি আর্মিরা। আশপাশের বিভিন্ন চা বাগানে ও গ্রামে সেনাবাহিনী ঢুকে শ্রমিকদের ও গ্রামবাসীদের নির্বিচারে হত্যা, লুন্ঠন, নির্যাতন ও ধর্ষণ করছে। শহর থেকে মানুষজন যে যেভাবে পারছে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যাচ্ছে এমন কথাও সাবিত্রী শুনতে পাচ্ছিলেন। চা বাগানের সবাই তখন চারপাশের এসব ঘটনা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতো। সাবিত্রী সবকিছু ঠিকঠাক বুঝতে না পারলেও, সবার এই চাপা আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তা দেখে ভেতরে ভেতরে নিজেও আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক অবস্থানের সাবিত্রী আরও প্রান্তিক হয়ে পড়েন যুদ্ধের নারকীয় বিভীষিকায়।মঙ্গল নায়েক জানান, পাকিস্তানিরা চানপুর চা বাগানে আসছে শুনে এখানকার যুবকরা স্থানীয় চণ্ডিবাজারে অপেক্ষা করতে থাকেন প্রতিরোধের জন্য। দুই নম্বর টার্নিং পয়েন্টে সেদিন অনেকেই জড়ো হয়। কিন্তু পাকিস্তানিরা শাহাজিবাজারের ক্যাম্প থেকে ভিন্ন পথে বাগানে আসে। বাগানে এসে তারা ফ্যাক্টরির গুদামে ক্যাম্প স্থাপন করে।

চানপুর চা বাগানের ম্যানেজার ছিলেন একজন পাকিস্তানি নাগরিক। প্রথমদিকে তারা বাগানের লোকজনকে তেমন কোনো নির্যাতন করতো না। তবে নিয়মিত টহল দিতো এবং বাইরে থেকে লোকজনকে ধরে এনে বাগানের ক্যাম্পে নির্যাতন করতো। তখন বাগানের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এরমধ্যে দুজনকে হত্যাও করে পাকিস্তানিরা। যদিও পাকিস্তানিরা বাগানে ক্যাম্প করার পর থেকেই শ্রমিকরা কলোনি থেকে যে যেভাবে পারেন পরিবার নিয়ে বাগান ছেড়ে যাচ্ছিলেন। সাবিত্রীর প্রতিবেশী অনেক পরিবারও তখন টেংরাবাড়ি, চিমটি বিল, সাতছড়ি আর তেলিয়াপাড়া সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যায়।এরকম পরিস্থিতিতে সাবিত্রীর পরিবার মনে করে তাঁরাও বাগান ছেড়ে অন্যদের মতোই ভারতে চলে যাবে। সে অনুযায়ী তাঁরা প্রস্তুতিও নেয়া শুরু করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর বাগান ছেড়ে কোথাও যাওয়া হয়ে ওঠে না। এই চাপা আতঙ্কের মধ্যেই সাবিত্রী নায়েকের পরিবার বাগানেই থেকে যায়। কারণ, সেসময় সাবিত্রীর ভাই মঙ্গল নায়েক টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে তাঁদের পক্ষে আর অন্যদের মতো ভারতে শরণার্থী হয়ে ওঠা হয় না। আর ভাই মঙ্গল নায়েকের এই অসুস্থতাই সাবিত্রীর জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসে। যুদ্ধকালীন বাস্তবতায় নারীর ওপর যে ধরনের অমানুষিক ও পাশবিক নির্যাতন হয়, সাবিত্রীকে তার শিকার হতে হয়েছে। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ায় সাবিত্রীর মাকেই সংসারের হাল ধরতে হয়। বাগান ছাড়ার সময় মঙ্গল নায়েক অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় সাবিত্রী ও তাঁর মা বাগানেই থেকে যান। চানপুর চা-বাগানে পাকবাহিনী ক্যাম্প করার কিছুদিনের মধ্যেই তারা সাবিত্রীদের হানা দেয়। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও সাবিত্রী মায়ের পাশে শুয়ে ছিলেন। সাবিত্রীর ঘুম ভাঙ্গে দরজায় প্রচন্ড আঘাতের শব্দে। একপর্যায়ে পাকিস্তানি সেনারা দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর ঢুকে যায়। প্রচন্ড ভয় ও আতঙ্কে সাবিত্রী তাঁর মাকে জড়িয়ে ধরে। পাকসেনারা ঘরে ঢুকে সাবিত্রীকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়। মা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পাঁচজন পাকসেনার সাথে পেরে উঠেননি। আর ভাই মঙ্গল নায়েক তো টাইফয়েডে শয্যাশায়ী। সাবিত্রী ও তাঁর মায়ের চিৎকার রাতের নিস্তব্ধতাকে ভেঙ্গে দিলেও সে সময় কেউ এগিয়ে আসেনি।সাবিত্রীকে নিয়ে প্রথমে আটকে রাখে চা-বাগানের ৬ নম্বর বাংলোতে। সেখানে তাঁকে দুই সপ্তাহ আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। দুই সপ্তাহ পর তারা তাঁকে নিয়ে যায় মাধবপুর থানার সুরমা চা-বাগানের বাংলোতে। সেখানে সাবিত্রীর সঙ্গে আরেকটি মেয়েকেও আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো।সাবিত্রী তাঁর এক স্মৃতিচারণায় বলেছেন- ‘যার যখন যেমনে ইচ্ছা তেমনে নির্যাতন করতো। তখন পাকসেনারা জোর করে আমাকে সাদা রঙের একটা বড়ি খাওয়াতো। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে মাধবপুর থানা শত্রুমুক্ত হলে পাকিস্তানি বাহিনী এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

তখন স্থানীয় চা শ্রমিকরা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চানপুর বাগানে পৌঁছে দেয়।’বাড়ি ফিরে আসে সাবিত্রী। সেই আজন্ম পরিচিত বাগানে, যেখানে সে বেড়ে উঠেছে চারপাশের আলো-হাওয়ার অধিকার নিয়ে। কিন্তু চিরপরিচিত বাগান তাঁর কাছে অপরিচিত হয়ে উঠে। চারপাশের চেনা মুখগুলো অচেনা হয়ে যায়। সে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, এতে তাঁর কোনো দায় নেই। কিন্তু সমাজ-সংসার সে সত্যকে স্বীকার করতে রাজি নয়। সমাজ তাঁকে ‘অসতী’ বলে আখ্যা দেয়। নানা বিদ্রুপ, সমালোচনা ও সামাজিক নিগ্রহকে সঙ্গী করে শুরু হয় স্বাধীন দেশে সাবিত্রীর নতুন জীবন। সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মা রমনী নায়েক মেয়েকে বুকে টেনে নেন। লোকজন প্রকাশ্যেই সাবিত্রীকে অপমান করতে থাকে, তাই ক্রমশ তাঁরা একঘরে হয়ে যান। দরিদ্র চা-শ্রমিক পরিবারের পক্ষে সমাজকে উপেক্ষা করে বেঁচে থাকা কঠিন। নিরক্ষর সাবিত্রী ও মঙ্গল নায়েকের জন্য জীবনধারণ কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই আর্থ-সামাজিক চাপ সাবিত্রীকে জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তুলে কিন্তু বৃদ্ধা মার কথা ভেবে তিনি আত্মহত্যা করেননি। জীবনের এই চরম দুর্দিনে সাবিত্রী বেঁচে থাকার জন্য একটি আলোর রেখার সন্ধান পান।সাবিত্রীর অন্ধকার জীবনে স্বস্তির সুবাতাস নিয়ে এগিয়ে আসেন চানপুর চা-বাগানের মুক্তিযোদ্ধা কেরামত আলী। কেরামত আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্মুখ সমরে যোগ দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি চা-বাগানে ফিরে আসেন। কেরামত আলীর ডাকনাম মঞ্জুর, এই নামেই তিনি বাগানে বেশি পরিচিত। বাগানে প্রায় একশ ঘর বিহারি আছে, কেরামত আলীও বিহারি। যুদ্ধ মাত্র শেষ হয়েছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা যেমন কিছু মানুষকে সুযোগসন্ধানী করেছে তেমনি কিছু মানুষকে সংকীর্ণতা থেকে মুক্তিও দিয়েছে। চা-বাগানের খেটে খাওয়া এক সাধারণ শ্রমিকের মনোজগতকেও নাড়িয়ে দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা। তাই সবকিছু জেনেশুনেও কেরামত আলী সাবিত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। এই প্রস্তাব সাবিত্রীর কাছে ডুবন্ত মানুষের শেষ খড়কুটো আঁকড়ে ধরার স্বস্তি নিয়ে আসে। তাই কোনোকিছু চিন্তা না করে তিনি এক কথায় এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে যান। কিন্তু বাধা হয়ে দেখা দেয় ধর্মীয় পরিচয়। সাবিত্রী সে বাধাও পার হয়ে যান ধর্মান্তরিত হয়ে। সাবিত্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর মুক্তিযোদ্ধা কেরামত আলীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।শুধু ধর্মান্তর নয়, সাবিত্রী যেন নবজীবন লাভ করেন এই বিয়ের মাধ্যমে। শুরু হয় রূপকথার নতুন অভিযাত্রা।

যে সমাজে সাবিত্রী বেড়ে উঠেছেন সেখানে সংসার ও ঘরকন্যা নারীর সহজ ও স্বাভাবিক জীবনের অংশ। অনেক দুঃখ কষ্ট ভোগ করার পর সাবিত্রী আশৈশব ও আকৈশোর লালিত স্বপ্নের সন্ধান পায়। মুক্তিযুদ্ধোত্তর স্বাধীন বাংলাদেশের যথার্থতা দেখা দেয় চা-বাগানের প্রান্তিক জনপদে। জীবন চলতে থাকে জীবনের ছন্দে। মানুষ তখনও নানাভাবে উপহাস করত, কিন্তু তখন এই কটূক্তির চেয়ে বড় ছিল জীবনের আনন্দ। বিয়ের দু’বছরের মাথায় সাবিত্রীর ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান, নাম রাখা হয় আলম। এর তিন বছর পর জন্ম হয় দ্বিতীয় ছেলে খোকনের। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল সাবিত্রীর। ছেলেরা বড় হচ্ছিল আদর-যত্নে, সাবিত্রীর দিনও কাটছিল স্বামীর আদর-সোহাগে।জীবন রূপকথা নয়, জীবন রুক্ষ কঠিন রূঢ় বাস্তবতা। কেরামত আলীর মহানুভবতায় যে রূপকথার যাত্রা শুরু হয়েছিল, তার ঘৃণা ভরা প্রত্যাখানে সেই রূপকথার সমাপ্তি হয়। সমাজ ও চারপাশের মানুষের প্রতিনিয়ত করা ব্যাঙ্গোক্তি একসময় সাহসী মুক্তিযোদ্ধার প্রতিরোধের দেয়ালও ভেঙ্গে দেয়। তের বছরের সংসার থেকে দু’সন্তানের হাত ধরে বেরিয়ে আসতে হয়। আবার অনিশ্চিত যাত্রা, সামনে বিরূপ পৃথিবী।ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছেন, স্বজাতির মধ্যে কেউ আশ্রয় দেবে না। এ অবস্থায় কোনো উপায় না দেখে ভাই মঙ্গল নায়েকের আশ্রয়ে আসেন। সামাজিক ও ধর্মীয় বাধা সত্ত্বেও সাবিত্রীকে আবার তাঁর ভাই আশ্রয় দেন। এদিকে সাবিত্রীকে তালাক দিয়ে চানপুর চা-বাগানের সেকশন চৌকিদার কেরামত আলী আবার বিয়ে করেন আশুগঞ্জের এক মেয়েকে। সেই সঙ্গে সন্তানদের দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানায়। যে আলোর দিশা নিয়ে কেরামত আলী সাবিত্রীর জীবনে এসেছিলো, তার চেয়ে বেশি অন্ধকারে তাঁকে ঠেলে দেন। সমাজে তাঁর জন্য কাজ যোগাড় করা কঠিন, ভাইয়ের পক্ষেও তিনটি প্রাণীর খাবার যোগানো কঠিন। কেননা চা-বাগানের প্রায় সকল শ্রমিককেই অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়।

এই দুর্দিনে এগিয়ে আসেন তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি অর্থাৎ কেরামত আলীর মা-বাবা। কেরামত আলীর বাবা নজর আলী মেম্বার ছেলের বউ ও দুই নাতিকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন। শাশুড়ি সুরুজ মনিও তাঁদের প্রতি আন্তরিক ছিলেন। শ্বশুর-শাশুড়ির আশ্রয়ে থাকার ব্যাবস্থা হয়। অনেক কষ্ট করে তাঁদের খাবার যুগিয়েছেন দুই সন্তানের মুখে। দুই ছেলে এখন চা- বাগানে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করে এবং তাদের সংসার হয়েছে। কিন্তু দারিদ্র্য সাবিত্রীর পিছু ছাড়েনি। ছেলেদের উপার্জনে তাদের সংসারই ঠিকমতো চলে না।জীবনের এই পড়ন্ত বেলায়ও তাঁকে আগামীকালের ভাবনায় অস্থির থাকতে হয়। দুঃখ- যন্ত্রণার মহাকাব্য যে জীবন, তার জন্য সুখ ও স্বস্তির স্বপ্ন দেখাই পাপ। তাই সাবিত্রী এই জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ডুব দেন মদের নেশার রঙ্গিন জগতে। কিছুক্ষণের জন্য জাগতিক দুঃখ-কষ্টের উর্ধ্বে উঠে যান। নেশার ঘোর কেটে গেলেই স্মৃতিরা ভিড় করে। যখন স্মৃতি আসে বাগান থেকে বাগানে, ম্যানেজার বাবু কিংবা স্থানীয় সর্দারের কাছে ধরনা দেন স্বীকৃতির দাবিতে। রাষ্ট্র তাঁর সবকিছু কেড়ে নিয়েছে, স্বীকৃতি হয়তো সাবিত্রীর সেই ক্ষতে কিছুটা সান্ত্বনার পরশ দেবে।

সহায়ক গ্রন্থ ও লেখা
১. বীরাঙ্গনা কথা- অপূর্ব শর্মা (প্রচ্ছদ শিল্পী: অশোক কর্মকার, সাহিত্য প্রকাশ, ফেব্রুয়ারি-২০১৩)
২. আসুন বীরাঙ্গনা হীরামনির পাশে দাঁড়াই- কেয়া চৌধুরী। মানবকণ্ঠ, ০৬-২৭-১৪.
৩. মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনা জননী/হবিগঞ্জে খোঁজ মিলেছে ১০ বীরাঙ্গনার- আবু সালেহ রনি/ সমকাল ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৩
(বীরাঙ্গনা সাবিত্রীর ভাই মঙ্গল নায়েক, বড় ছেলে আলম ও ছোট ছেলে খোকনের এ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের এক বিকালে তাদের চানপুর চা বাগানের বাড়িতে।)লেখক : চন্দন সাহা

ShareTweetShareScanSend

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

খুঁজুন

No Result
View All Result
এ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন
Web Counter

সম্পৃক্ত হোন

  • সহযোগিতা করুন
  • স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিন
  • মনোনয়ন করুন

আমাদের সম্পর্কে

  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • আপনার মতামত

যোগাযোগ

  •   info@gunijan.org.bd
  •   +৮৮০১৮১৭০৪৮৩১৮
  •   ঢাকা, বাংলাদেশ

© - All rights of Photographs, Audio & video clips on this site are reserved by Gunijan.org.bd under  CC BY-NC licence.

No Result
View All Result
  • #8898 (শিরোনামহীন)
  • অজয় রায়
  • অজিত গুহ
  • অনিল মুখার্জি
  • অনুপম সেন
  • অমলেন্দু বিশ্বাস
  • অরবিন্দ ঘোষ
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অরিণা বেগম
  • অশ্বিনীকুমার দত্ত
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা
  • আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
  • আজহারুল হক
  • আজিজুর রহমান মল্লিক
  • আঞ্জেলা গমেজ
  • আতাউস সামাদ
  • আতিউর রহমান
  • আনিসুজ্জামান
  • আনোয়ার পাশা
  • আনোয়ার হোসেন
  • আনোয়ার হোসেন
  • আপনার মতামত
  • আবদুর রাজ্জাক
  • আবদুল আলীম
  • আবদুল আহাদ
  • আবদুল ওয়াহাব তালুকদার
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
  • আবদুল্লাহ আল মামুন
  • আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
  • আবিরন
  • আবু ইসহাক
  • আবু ওসমান চৌধুরী
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবু তাহের
  • আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  • আবুল ফজল
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আব্দুল জব্বার
  • আব্দুল মতিন
  • আব্বাসউদ্দীন আহমদ
  • আমিনুল ইসলাম
  • আরজ আলী মাতুব্বর
  • আরমা দত্ত
  • আল মাহমুদ
  • আলতাফ মাহমুদ
  • আলম খান
  • আলমগীর কবির
  • আলী আহাম্মদ খান আইয়োব
  • আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
  • আসিয়া বেগম
  • আহসান হাবীব
  • ইদ্রিছ মিঞা
  • ইমদাদ হোসেন
  • ইলা মজুমদার
  • ইলা মিত্র
  • উল্লাসকর দত্ত
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী
  • এ কে খন্দকার
  • এ. এন. এম. মুনীরউজ্জামান
  • এ. এম. হারুন অর রশীদ
  • এ.এন.এম. নূরুজ্জামান
  • এ.টি.এম. হায়দার
  • এবিএম মূসা
  • এম আর খান
  • এম এ জলিল
  • এম হামিদুল্লাহ্ খান
  • এম. এ. মঞ্জুর
  • এম. এ. রশীদ
  • এম. এন. রায়
  • এস এম সুলতান
  • ওবায়েদ উল হক
  • কবরী
  • কবীর চৌধুরী
  • কমলা বেগম (কিশোরগঞ্জ)
  • কমলা বেগম (সিরাজগঞ্জ)
  • করিমন বেগম
  • করেপোরাল আবুল বাশার মো. আবদুস সামাদ
  • কর্মসূচি
  • কলিম শরাফী
  • কল্পনা দত্ত
  • কাইয়ুম চৌধুরী
  • কাঁকন বিবি
  • কাজী আবদুল আলীম
  • কাজী আবুল কাসেম
  • কাজী এম বদরুদ্দোজা
  • কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
  • কাজী নূর-উজ্জামান
  • কাজী সালাউদ্দিন
  • কামরুল হাসান
  • কামাল লোহানী
  • কার্যক্রম
  • কিউ এ আই এম নুরউদ্দিন
  • কুমুদিনী হাজং
  • কে এম সফিউল্লাহ
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • খাদেমুল বাশার
  • খালেকদাদ চৌধুরী
  • খালেদ মোশাররফ
  • খোকা রায়
  • গণেশ ঘোষ
  • গাজীউল হক
  • গিয়াসউদ্দিন আহমদ
  • গুণীজন ট্রাষ্ট-এর ইতিহাস
  • গোপাল দত্ত
  • গোবিন্দচন্দ্র দেব
  • চাষী নজরুল ইসলাম
  • চিকিৎসক নুরুল ইসলাম
  • চিত্তরঞ্জন দত্ত
  • চিত্তরঞ্জন দাশ
  • ছবিতে আমাদের গুনীজন
  • জয়গন
  • জয়নুল আবেদিন
  • জসীমউদ্দীন মণ্ডল
  • জহির রায়হান
  • জহুর হোসেন চৌধুরী
  • জামাল নজরুল ইসলাম
  • জামিলুর রেজা চৌধুরী
  • জাহানারা ইমাম
  • জিতেন ঘোষ
  • জিয়া হায়দার
  • জিয়াউর রহমান
  • জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
  • জুয়েল আইচ
  • জোবেরা রহমান লিনু
  • জোহরা বেগম কাজী
  • জ্ঞান চক্রবর্তী
  • জ্যোতি বসু
  • জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা
  • জ্যোৎস্না খাতুন
  • ট্রাস্টি বোর্ড
  • তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
  • তরুবালা কর্মকার
  • তাজউদ্দীন আহমদ
  • তিতুমীর
  • ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী
  • দিলওয়ার খান
  • দীনেশ গুপ্ত
  • দুলু বেগম
  • দ্বিজেন শর্মা
  • ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
  • নভেরা আহমেদ
  • নভেরা আহমেদ
  • নয়ন মিয়া
  • নলিনী দাস
  • নাজমুল হক
  • নিজাম উদ্দিন আহমদ
  • নিতুন কুন্ডু
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীলিমা ইব্রাহিম
  • নীলুফার ইয়াসমীন
  • নুরজাহান
  • নূর মোহাম্মদ শেখ
  • নূরজাহান বেগম
  • নূরজাহান বেগম (ময়মনসিংহ)
  • নেত্রকোণার গুণীজন
  • নেপাল নাগ
  • পার্থ প্রতীম মজুমদার
  • পূর্ণেন্দু দস্তিদার
  • প্রতিভা মুৎসুদ্দি
  • প্রফুল্ল চাকী
  • প্রভারাণী মালাকার
  • প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
  • ফজল শাহাবুদ্দীন
  • ফজলুর রহমান খান
  • ফজলে হাসান আবেদ
  • ফয়েজ আহমদ
  • ফররুখ আহমদ
  • ফরিদা পারভীন
  • ফিরোজা বেগম
  • ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফেরদৌসী রহমান
  • ফ্লাইট সার্জেন্ট আব্দুল জলিল
  • ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
  • বদরুদ্দীন উমর
  • বশির আহমেদ
  • বশিরন বেগম
  • বশীর আল্‌হেলাল
  • বাদল গুপ্ত
  • বিনয় বসু
  • বিনোদবিহারী চৌধুরী
  • বিপিনচন্দ্র পাল
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল
  • বুলবুল আহমেদ
  • বেগম রোকেয়া
  • বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • ব্লগ
  • ভগৎ সিং
  • ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ভিডিও
  • মঙ্গল পান্ডে
  • মজনু শাহ
  • মণি সিংহ
  • মণিকৃষ্ণ সেন
  • মতিউর রহমান
  • মনোনয়ন
  • মনোরমা বসু
  • মমতাজ বেগম
  • ময়না বেগম
  • মশিউর রহমান
  • মহাদেব সাহা
  • মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
  • মামুন মাহমুদ
  • মামুনুর রশীদ
  • মায়া রাণী
  • মারিনো রিগন
  • মালেকা বেগম
  • মাহমুদুল হক
  • মাহেলা বেওয়া
  • মীর শওকত আলী
  • মুকশেদ আলী
  • মুকুন্দদাস
  • মুকুল সেন
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘মহিমা তব উদ্ভাসিত’
  • মুক্তিসংগ্রাম
  • মুজফফর আহমদ
  • মুনীর চৌধুরী
  • মুন্সি আব্দুর রউফ
  • মুর্তজা বশীর
  • মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
  • মুস্তাফা মনোয়ার
  • মুহ. আব্দুল হান্নান খান
  • মুহম্মদ আবদুল হাই
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ ইঊনূস
  • মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
  • মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা
  • মূলপাতা
  • মেহেরজান বেগম
  • মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী
  • মোঃ আওলাদ হোসেন খান
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন
  • মোঃ শফিকুল আনোয়ার
  • মোজাফফর আহমদ
  • মোনাজাতউদ্দিন
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
  • মোয়াজ্জেম হোসেন
  • মোরশেদুল ইসলাম
  • মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
  • মোহাম্মদ কিবরিয়া
  • মোহাম্মদ মনসুর আলী
  • মোহাম্মদ মোর্তজা
  • মোহাম্মদ রুহুল আমিন
  • মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • মোহাম্মাদ আব্দুল কাদির
  • মোহিউদ্দীন ফারুক
  • যতীন সরকার
  • যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
  • যোগেশ চন্দ্র ঘোষ
  • রওশন আরা রশিদ
  • রওশন জামিল
  • রংগলাল সেন
  • রণদাপ্রসাদ সাহা
  • রণেশ দাশগুপ্ত
  • রফিকুন নবী
  • রফিকুল ইসলাম
  • রবি নিয়োগী
  • রশিদ চৌধুরী
  • রশীদ তালুকদার
  • রশীদ হায়দার
  • রহিমা
  • রাজিয়া খান
  • রাজুবালা দে
  • রাণী হামিদ
  • রাবেয়া খাতুন
  • রাবেয়া খাতুন তালুকদার
  • রামকানাই দাশ
  • রাশীদুল হাসান
  • রাসবিহারী বসু
  • রাসমণি হাজং
  • রাহিজা খানম ঝুনু
  • রাহেলা বেওয়া
  • রিজিয়া রহমান
  • রেহমান সোবহান
  • রোনাল্ড হালদার
  • লীলা নাগ
  • লুকাস মারান্ডী
  • শওকত আলী
  • শওকত ওসমান
  • শম্ভু আচার্য
  • শরীয়তুল্লাহ
  • শহীদ খান
  • শহীদ সাবের
  • শহীদুল্লা কায়সার
  • শাকুর শাহ
  • শামসুন নাহার
  • শামসুর রাহমান
  • শামীম আরা টলি
  • শাহ আব্দুল করিম
  • শাহ মোঃ হাসানুজ্জামান
  • শিমুল ইউসুফ
  • শেখ আবদুস সালাম
  • শেখ মুজিবুর রহমান
  • সকল জীবনী
  • সতীশ পাকড়াশী
  • সত্যেন সেন
  • সন্‌জীদা খাতুন
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য
  • সফিউদ্দিন আহমদ
  • সমাজবিজ্ঞানী নুরুল ইসলাম
  • সরদার ফজলুল করিম
  • সহযোগিতা
  • সাইদা খানম
  • সাঈদ আহমদ
  • সাখাওয়াত আলী খান
  • সাবিত্রী নায়েক
  • সামিনা খাতুন
  • সালমা সোবহান
  • সালাহ্উদ্দীন আহমেদ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্য গবেষণা
  • সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী
  • সিরাজুদ্দীন হোসেন
  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুধীন দাশ
  • সুফিয়া আহমেদ
  • সুফিয়া কামাল
  • সুভাষ চন্দ্র বসু
  • সুরাইয়া
  • সুলতানা সারওয়াত আরা জামান
  • সুহাসিনী দাস
  • সূর্য বেগম
  • সূর্যসেন
  • সেলিনা পারভীন
  • সেলিনা হোসেন
  • সেলিম আল দীন
  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • সৈয়দ মাইনুল হোসেন
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • সৈয়দ হাসান ইমাম
  • সোনাবালা
  • সোমেন চন্দ
  • স্বেচ্ছাসেবক
  • হবিবুর রহমান
  • হাজেরা খাতুন
  • হাতেম আলী খান
  • হামিদা খানম
  • হামিদা বেগম
  • হামিদা হোসেন
  • হামিদুর রাহমান
  • হালিমা খাতুন
  • হাশেম খান
  • হাসান আজিজুল হক
  • হাসান হাফিজুর রহমান
  • হাসিনা বানু
  • হীরামনি সাঁওতাল
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেনা দাস
  • হেরাম্বলাল গুপ্ত

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.